২
১৫৯৯ বার পঠিত
বাঙ্গালি জাতিগত ভাবেই অবিশ্বাসী। আমাদের ইতিহাস অবিশ্বাস এর ইতিহাস। আমরা এক-ই সাথে মুক্তিযোদ্ধাদের অবিশ্বাস করি, আবার রাজাকারদের তো করিই। আমাদের চোখে অপরিচিত মানেই অবিশ্বাস্য- সন্দেহজনক। অন্যে অবিশ্বাস আর নিজেতে বিশ্বাস। এটা আসলে বিশ্বাস না অহংকার।
অদ্ভুত ব্যাপার আমরা প্রায় প্রতিক্ষেত্রে স্ববিরোধী। সর্বোচ্চ প্রগতিকে মানতে চাই না, আবার নিজেকে প্রগতিশীলও বলি। পশ্চিমা সভ্যতা ও সংস্কৃতিকে ঘৃণ্য বলি আবার তাদের অর্থনৈতিক, সামাজিক, শৈল্পিক নিরাপত্তাকে ভোগের স্বপ্নও দেখি। কি অদ্ভুত বৈপরীত্য।
ঈর্ষায় অন্যকে ছোট করতে চাইলেই সে ছোট হয়ে যায় না। কখন কে এগিয়ে যাচ্ছে আপনার-আমার মাথাকে ছাড়িয়ে সেটা বোঝাও জরুরি আর তার চেয়ে জরুরি তা মানতে অভ্যাস করা। না মানলে আমি-আপনি তার পিছনেই থাকব এগিয়ে আর যাচ্ছি না। যদি নাই মানি তাতে তার কিছু হবে না; শুধু আমরাই আমাদের অহমিকার অভ্যাসটা বাড়াতে থাকব।
একসময় এই অহমিকা গ্রাস করে পুরো সত্যিকে। আর আমি-আপনি বাস করতে থাকি নিজের তৈরি অহংকারের বৃত্তে। এ বড় ভয়ঙ্কর মুক্তিহীন পরাধীনতা। একসময় এই মিথ্যেকে সত্যি বলে মানতে শুরু করি। এই অহঙ্কার ভ্রমের মদিরায় বুঁদ থাকি।
বাঙালি মুসলমানদের অবস্তা আরও ভয়াবহ। নিজেদের সুপিরিয়র ভাবাটা আমাদের মনোজগতে এমনভাবে শিকড় গেড়েছে যার থেকে মুক্তি কঠিন, খুব কঠিন। সবকিছুকে ধর্ম দিয়ে বিচারের প্রবণতা আমাদের মজ্জাগত। আমি নিজে ধার্মিক কতটুকু তার চেয়ে বেশী বিবেচ্য অন্যে কতটা ধার্মিক, কতটা অধার্মিক, কতটা আস্তিক, কতটা নাস্তিক, কে কার গ্রিবার দিকে তাকাল, কে তার বুকের কত অংশ দেখাল এটাই জরুরি।
এ জাতি কবে বুঝবে যে, শুধুমাত্র ধার্মিক হলেই ক্ষুধা নিবারণ হয় না। উপোষী ক্ষুধার্তের সামনে নিজে বার্গার খেতে খেতে যদি বলেন তুমি ধার্মিক না তাই খেতে পাচ্ছ না, ধার্মিক হলেই পেট ভরে যাবে তাহলে নিরাপদ দূরত্বে গাল সরিয়ে বলাই ভালো। গালের মায়া আছে তো।
মানুষের জীবন চলার জন্য অর্থনৈতিক স্বাধীনতা অনেক বেশী জরুরি অন্য অনেক কিছুর চেয়েই। এমন কি ধর্মের চেয়েও। ধর্ম মানুষকে গোত্রিভুত করে, একত্রিভুত করে না। মানুষের দৈনন্দিন জীবন চলার জন্য ধর্মের প্রয়োজন খুব সামান্যই, না ধরলে নাই-ই।
কি অদ্ভুত অবিশ্বাসের অন্ধকারে বাস করি। এখানে নাস্তিক অবিশ্বাস করে ঈশরকে কিংবা অসীমকে, আর আস্তিক অবিশ্বাস করে নাস্তিককে। এত অবিশ্বাস কোন জাতিকে এগিয়ে নিয়ে যায় না বরং এই একুশ শতকেও মধ্যযুগ দেখতে পাই।
ই-মেইলে যোগাযোগ করুন
জুন ১৫, ২০১৩; ১১:৪৬ অপরাহ্ন
সব মুমিন বান্দারা এক যোগে ইহুদি নাসারাদের গালি গালাজ করে , অথচ একই সাথে সেই সব ইহুদি নাসারাদের দেশে প্রবাসী হওয়ার জন্য উন্মাদ থাকে। এটাকে কি বলে ? নেমকহারামি নাকি মুনাফেকি ? এ থেকে কি মুমিন বান্দারা কিছুই শিখতে পারে না ?
জুন ১৬, ২০১৩; ৪:২৮ পূর্বাহ্ন
সমস্যা মুমিন বান্দাদের নিয়ে না বিদ্রোহী। সমস্যা আমাদের সবার ভণ্ড মানসিকতা। আমরা দ্বিধা বিভক্ত জাতি। আমরা কোন কিছু পুরাপুরি মানিও না আবার পুরাপুরি অস্বীকার ও করি না। আমরা ভিরে নারীর বুকেও হাত দেই কিংবা লুকিয়ে পুরানো প্রেমিকের সাথে সম্পরকউ রাখি কিংবা নতুন। এ সব ই আমাদের ভাল লাগে কিন্তু মানতে সমস্যা। অনেকটা মধ্যবিত্ত পতিতাদের মত। সরিরি উপার্জন আর সংসারী সুখ নিরাপত্তা দুটোই চাওয়া। (পতিতাদের প্রতি সন্মান রেখেই বলা, আটা শুধু একটা রুপকি উদাহরণ)।