০
১২২২ বার পঠিত
গণমাধ্যমের হলো কি! একটি কাগজ শিরোনাম করেছে, ‘আন্দোলনে উত্তাল ঢাবি, ব্যাট হাতে মাঠে ভিসি’। এরা তো দেখি খেলাধুলাও করতে দেবে না। সম্পাদক সাহেবরা কি দেখেন না? আরে খেলাধুলা না করলে তরুণেরা বিপথগামী হবে, এমনসব আন্দোলন-টান্দোলন করবে। রাস্তা অবরোধ করে মানুষকে কষ্ট দেবে, গাড়িঘোড়া ভাঙবে, দেশের সম্পদ নষ্ট হবে। তারচেয়ে খেলাধুলা ভালো না। শরীর ও মন দুটোই ভালো থাকবে।
শিক্ষকরা শিক্ষাদান করেন। খেলাধুলার শিক্ষাটাও তাই নতুন করে দিতে চাচ্ছেন। এইটা না বোঝার কি আছে! আহা, এই বুড়ো বয়সে, বুড়ো হাড়ে তারা কতই না কষ্ট করছেন শিক্ষার্থীদের ভবিষ্যত চিন্তা করে। হায়, তাও যদি বুঝতো অবুঝ পোলাপানগুলো। খেলাধুলা বাদ দিয়ে কিসব গান-বাজনা শুরু করেছে। সুর করে বলছে, ‘তুমিই ধর্ষক’। এদের সঠিক পথে আনতে হবে, এর কোনো বিকল্প নেই।
আরে ওই কাগজটা এমন করলো। এটাতো হবার কথা নয়। গণমাধ্যমগুলো মাঝেমধ্যে খুব ঝামেলা পাকিয়ে ফেলে। বলে পাবলিক ডিমান্ডের কথা। আরে ভাই, অশিক্ষিত পাবলিকের ডিমান্ড নিয়ে এতো ভাবলে চলে। গুরুদের বাদ দিয়ে গরুদের কথা ভাবা নেহাতই কূপমন্ডূকতা।
এ জন্যেই অনেকে বলেন, গণতন্ত্র মূলত মূর্খদের তন্ত্র। একপাল মূর্খ ব্যালটে সিল মেরে দিলো আর গনেশ উলেট গেলো। ওই মূর্খরা কি বোঝে সরকার কাকে বলে! তারা কি জানে কিভাবে রাষ্ট্র চলে, চালাতে হয়। বোঝে না এবং জানে না। অথচ তাদের ইচ্ছামতই গনেশ উল্টে যায়। ধিক, গণতন্ত্র কোনো কাজের কথা নয়। গণতন্ত্রের চেয়ে বেশি প্রয়োজন শিক্ষিত আর অভিজাতদের শাসন। ভোটের চেয়ে প্রয়োজন কল্যাণের।
গণতন্ত্র দিয়ে কি হয়! আন্ডার মেট্রিক কেউ এসে ক্ষমতায় বসবে। সব সর্বনাশ করবে, সর্বনাশ। দেশ ক্রমেই লাসভেগাস হয়ে উঠছে। ক্যাসিনোর বৈধতা দেয়া নিয়েও আলাপ উঠেছে, একটা হেস্তনেস্ত হলেই রাতের আড্ডাটা জমে উঠবে। সারাদিনের ক্লান্তি ঢেলে আসা যাবে। শেখানোর কাজটা বড়ই পরিশ্রমের। দু’একজন যাও কোনো উছিলায় বিদেশযাত্রার আয়োজন করছিলেন। বিশ্রামের সাথে সাথে নগদ নারায়নেরও দেখা পাওয়া যেতো। তাতেও খবরওয়ালাদের নজর পড়েছে। সেটাও বন্ধ হবার উপক্রম।
প্রায় উন্নত দেশের সারিতে উঠে আসার এমন সময়ে আয় রোজগারওতো খারাপ না। বেতন আছে, রয়েছে কনসালটেন্সির মোটাসোটা রকম, বক্তৃতাবাজির পেটমোটা খাম। এর বাইরেও রয়েছে আরো অনেক কিছু, দৃষ্টির বাইরেও রয়েছে অচিন নগর। সুতরাং কিছুটা আনন্দ আয়োজনের সঙ্গতিতো রয়েছেই। সঙ্গতি পূরণের ব্যবস্থা না থাকার কারণেই কেউ কেউ ছাত্রীদের সাথে ‘ইয়ে-টিয়ে’র কোশেশ করেছে। বিকল্প আনন্দের চেষ্টা। কাগজওয়ালাদের আস্কারা আর চিল্লাচিল্লিতে সেখানেও বদনাম হতে হয়েছে। চাকরীও গেছে কারো কারো। ‘মুন্নী বদনাম হুয়ি’র মতন অবস্থা।
এই গণমাধ্যমের লোকজন এসব কবে বুঝবে। আর কবেই বা বুঝবে অবুঝ পোলাপানগুলো। আরে ভাই, কী এমন হয়েছে! রাতের বেলায় একা একা বেরুলেতো এমনই হবে। কেনো রে একা যেতে গেলি। বললে কি আমাদের কেউ সঙ্গ দিতো না। একা গেলেতো এমনই হবে। পোশাক-আশাকের না জানি কী অবস্থা ছিলো। আজকাল পোলাপানের যা পোশাক, চোখে দেখা যায় না। একবার দেখা গেলে চোখ আর ফেরে না। ব্যবস্থাতো নেয়াই হচ্ছে। চিকিৎসা দেয়া হচ্ছে, খোঁজখবর করা হচ্ছে, এরচেয়ে বেশি আর কি! এরা আসলে কী চায়? ধান্ধা খালি গন্ডগোল পাকানো।
তারচেয়ে একটা ফুটবল টুর্নামেন্টের আয়োজন করুক। না হয় ক্রিকেট ম্যাচ। শিক্ষক ও শিক্ষার্থীদের প্রীতি ম্যাচ, শুনতেই কানটা জুড়িয়ে যায়। এমনটা হলে মিডিয়াগুলো এটা নিয়েই মেতে থাকবে। ওরাও বাঁচবে, আমরাও স্বস্তির নিঃশ্বাস ছাড়বো। এসব না করে পোলাপান শুরু করেছে ‘তুমিই ধর্ষক’ বলে গানবাজনা। তারচেয়ে উচিত ছিলো কোনো ‘আইটেম’ গানের। হিন্দি সিনেমায় এরা দেখে না। সেখানে কলেজ-ভার্সিটির অনুষ্ঠানে চলে ‘আইটেম সং’। ভিসি-টিসি আর প্রিন্সিপালরাও মৌজ-মাস্তি, ‘ইয়ে-টিয়ে’ করে আর কী। মনের সাথে দেহের সম্পর্ক। মন চাঙ্গা থাকলে শরীরও ফিট থাকে। পোড়ার দেশে এসব কেউ বোঝে না, আর পোলাপানগুলোও হয়েছে, ‘উল্টো বুঝলি রে রাম টাইপ‘। বেশিরভাগই বিচ্ছু। এদের নিয়েই যত জ্বালা।
বলেন তো, কত আর যন্ত্রণা সওয়া যায়। কদিন আগেই এক ঘটনায় কাগজ-টিভিওয়ালারা পেছনে লাগলো। হাসপাতালে গেলেও রেহাই নেই। গোদের উপর বিষফোঁড়ার মতন হলো সামাজিকমাধ্যম। ওই যে ফেসুবক-টুক, কি-কি যেনো। ট্রল-ফল করে শেষ। কিছু হলেই পেছনে পড়ে যায়। মূর্খের দেশ রে ভাই। সব অকাট মূর্খ। নমস্যরা কি সাধে বিশ্ববিদ্যালয় বানানোর বিপক্ষে ছিলেন। চাষাভুষোর পোলাপান, বিশ্ববিদ্যালয়ে এলেও জাতের দোষ যাবে কোথায়। মহামহিমরা তাই আগেই বুঝেছিলেন। অবশ্য তাদের কথা শুনলে সমস্যাও হতো। এমন গুরুকুলের জন্ম হতো না। মূর্খরা জ্ঞান থেকে বঞ্চিত হতো, উনারা হতেন ‘ইয়ে’ হতে।
ই-মেইলে যোগাযোগ করুন