এই পোস্ট নিয়মিত আপডেট করার চেষ্টা করবো, তাই নিয়মিত খেয়াল রাখুন।
Covid19graphics 2
আপনাদের চোখে কোন খবর পত্রিকায় বা ফেসবুকে পড়লে এখানে কমেন্টে সূত্র উল্লেখ করে জানাতে অনুরোধ করছি।
এখানে আমরা বেসরকারি মৃত্যু মানে বুঝিয়েছি, এই মৃত্যুগুলোর ক্ষেত্রে করোনাভাইরাসের লক্ষণ ছিল; কিন্তু কোনরকম কিংবা পর্যাপ্ত ও যথাসময়ে টেস্ট না হওয়ার কারণে আমরা জানি না, আসলেই এইসব মৃত্যুর পেছনে করোনাভাইরাসই দায়ী কি না। যদিও, মৃত্যুর আগে দিয়ে জ্বর, কাশি ও শ্বাসকষ্টের লক্ষণ, অন্যের সাথে সংস্পর্শে আসার ইতিহাস, শেষ মুহুর্তে খুব দ্রুত বা হঠাৎ করেই একেবারে মৃত্যুর কোলে ঢলে পড়া – এরকম অনেক বিষয় মিলেই, এ মৃত্যুঘটনাগুলোর পেছনে কোভিড-১৯ এ আক্রান্ত হওয়ার সম্ভাবনাই প্রবল বলে মনে করি, তদুপরি, নিশ্চিত করে আমরা দাবি করছি না যে, এগুলো কোভিড-১৯ এই মৃত্যু। আমরা বলছি, আমরা জানি না। ‘বেসরকারি মৃত্যু’ মানে সরকারি ভাষ্যে এসব মৃত্যুর কোন উল্লেখ নেই, এমনকি এসব মৃত্যুর আসল কারণও জানা নেই। এই মৃত্যুগুলোকে সরকারি ভাষ্যমোতাবেক “নিউমোনিয়া”, “সাধারণ জ্বর ও শ্বাসকষ্ট”, কিংবা “হার্ট এটাক” বলা হচ্ছে, কিন্তু টেস্ট না হওয়ায়, কিংবা যথাসময়ে টেস্ট না হওয়ায় আমরা এসব মৃত্যুকে “করোনায় না” বলতে রাজি নই। তাই আমরা বলছিঃ “কোভিড-১৯ এর লক্ষণে বেসরকারি মৃত্যু”! বেশ কিছু মৃত্যুর ক্ষেত্রে মরদেহ থেকে নমুনা সংগ্রহ করা হয়েছে, যেগুলোর মধ্যে এখন পর্যন্ত একজনের পজিটিভ এসেছে বলে খবরে এসেছে। বাকিগুলোর কোন খবর আমরা জানি না, ধরে নেয়াই যায়- সেগুলো টেস্ট নেগেটিভ এসেছে, কেননা সরকারি মৃত্যুর সংখ্যা বাড়েনি। তারপরেও সেগুলোকেও আমরা এই তালিকায় রাখছি। কেননা, মরদেহ থেকে সংগ্রহ করা নমুনা সনাক্তকরণকে আমরা পুরোপুরি ত্রুটিমুক্ত মনে করি না (বিস্তারিত ব্যাখ্যা এই পোস্টে পাওয়া যাবে)।
সবশেষ লাইভ আপডেট পাবেন নীচের লিংকে
বাংলাদেশে করোনাভাইরাস আপডেট (গুগলডকের এই লিংকে ক্লিক করে সবশেষ পূর্ণাঙ্গ আপডেট পাবেন)
মৃত্যু ১
১১ মার্চ। বাংলাদেশ কম্পিউটার কাউন্সিলে কর্মরত এই আনসার সদস্য মার্চ তারিখে ঠাণ্ডা ও জ্বরের কারণে ছুটি নিয়ে রংপুরে বাড়িতে চলে যান। সেখানে ১১ মার্চ তারিখে মারা যান। এই ঘটনায় বাংলাদেশ কম্পিউটার কান্সিলের আনসার সদস্যদের মাঝে আতংকের সৃষ্ট হয় এবং সকল সদস্যদের পরীক্ষা করে দেখা হয়, করোনার লক্ষণ আছে কি না। (সূত্রঃ ঢাকাট্রিবিউন, ১৮ মার্চ)
মৃত্যু ২
১৯ মার্চ বৃহস্পতিবার। বাগেরহাটের মংলা উপজেলার এক ব্যক্তি ৫-৬ দিন জ্বর-শ্বাসকষ্টে ভুগছিলেন, স্থানীয় চিকিৎসকের ওষুধে কাজ হচ্ছিলো না বিধায় খুলনা মেডিকেল হাসপাতালে আনা হয়। জরুরী বিভাগে উপসর্গ শুনেই তারা বহির্বিভাগে পাঠিয়ে দেয়। অসুস্থ ওই ব্যক্তিকে কোনো রকমে ধরাধরি করে বহির্বিভাগে নেওয়ার পর কোনো চিকিৎসকই তাঁর কাছে যাচ্ছিলেন না। করোনা পরীক্ষার কোনো ব্যবস্থা না থাকায় করোনা হয়েছিল কি না, তা নিশ্চিত হওয়া যায়নি, কিন্তু উপসর্গ শুনেই চিকিৎসকেরা ভয় পেয়ে রোগীর কাছে আসেননি। একপর্যায়ে সেখান থেকে তাঁকে আবার জরুরি বিভাগে পাঠানো হয়। পরে জরুরি বিভাগে নিয়ে আসার সময় মারা যায়। (সূত্রঃ প্রথম আলো, ২১ মার্চ)
মৃত্যু ৩
১৯ মার্চ। নড়াইলের এক ব্যক্তি কিছুদিন আগে সপরিবারে ভারতে বেড়াতে গিয়েছিলেন। এক সপ্তাহ আগে ভারত থেকে বাড়িতে ফেরেন। এরপরই জ্বর, গলাব্যথা, কাশিতে আক্রান্ত হন তিনি। স্থানীয়ভাবে তাঁকে চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছিল। বৃহস্পতিবার (১৯ মার্চ) খুলনায় আনার পথেই তিনি মারা যান। (সূত্রঃ প্রথম আলো, ২১ মার্চ)
মৃত্য ৪
১৯ মার্চ। চট্টগ্রামের এই নারী ১৯ মার্চ তারিখে কাশি এবং শ্বাসকষ্ট নিয়ে বেসরকারি ‘রয়েল হাসপাতাল প্রাইভেট লিমিটেডে’ ভর্তি হন। চিকিৎসাধীন অবস্থায় শ্বাসকষ্টে ওইদিন রাতেই তার মৃত্যু হয়। ঘটনার পর থেকে হাসপাতালটির আইসিইউ ও এইচডিইউ ইউনিট বন্ধ করে দেয়া হয়েছে। যে চিকিৎসক ওই রোগীকে সেবা দিয়েছেন তাকেও হোম কোয়ারেন্টাইনে থাকতে বলা হয়েছে। (সূত্রঃ জাগোনিউজ২৪ ডট কম, ২৩ মার্চ)
মৃত্যু ৫
২০ মার্চ। খুলনার রূপসা উপজেলার ঘাটভোগ ইউনিয়নের শিয়ালী মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের এই স্কুল শিক্ষক গত ৮ মার্চ ভারত থেকে নিজ বাড়িতে আসেন বিষ্ণুপদ বিশ্বাস। আসার পর জ্বর-ঠান্ডা ছিল। তার বড় ধরনের কোনো রোগ ছিল না। গত বৃহস্পতিবার (১৯ মার্চ) দিবাগত রাতে তিনি মারা যান। (সূত্রঃ অধিকার ডট নিউজ, ২০ মার্চ)
মৃত্যু ৬
২২ মার্চ। মিরপুরের টোলারবাগে কোভিড-১৯ এ মৃত ব্যক্তির সংস্পর্শে আসা, পাশের বাসায় বাস করা এই ব্যক্তি দুদিন ধরে ওই ব্যক্তির দুদিন ধরে কাশি হচ্ছিল, খাওয়ার রুচি চলে গিয়েছিল। শনিবার (২১ মার্চ) কুর্মিটোলায় নিয়ে গেলে চিকিৎসকেরা পরীক্ষা করে বাসায় পাঠিয়ে দেয়। এরপরে রোববারে শ্বাসকষ্টে অচেতন হয়ে গেলে, কুর্মিটোলায় নিয়ে যাওয়ার জন্যে এম্বুলেন্স ডাকা হয়। লক্ষণ শুনে এম্বুলেন্সচালক ভয় পেয়ে রোগী বহন করতে অস্বীকৃতি জানায়। পরে অন্য এম্বুলেন্সে কুর্মিটোলা নিয়ে যাওয়ার সময়ে পথেই মারা যান। রোববার সকালে আইইডিসিআর নমুনা সংগ্রহ করে নিয়ে যায়, কিন্তু পরীক্ষার ফল মিডিয়াতে পাইনি। (সূত্রঃ প্রথম আলো, ২২ মার্চ)
মৃত্যু ৭
২২ মার্চ। ভৈরবের এই ব্যক্তি ২৮ ফেব্রুয়ারি ইতালি থেকে দেশে আসেন। শনিবার (২১ মার্চ) থেকে ওই ব্যক্তি জ্বর ও শ্বাসকষ্টে ভুগছিলেন। অবস্থার অবনতি হলে রাত নয়টার দিকে স্থানীয় একটি বেসরকারি হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। সেখানে কিছুক্ষণ থাকার পর চিকিৎসকেরা তাঁর পরিবারের সদস্যদের তাঁকে হৃদ্রোগের চিকিৎসা করাতে পরামর্শ দেন। এ অবস্থায় ওই হাসপাতাল থেকে তাঁকে আরেকটি বেসরকারি হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। সেখানে চিকিৎসকেরা তাঁকে মৃত ঘোষণা করেন। মারা যাওয়ার পরে নমুনা সংগ্রহের জন্য রোগতত্ত্ব, রোগনিয়ন্ত্রণ ও গবেষণা প্রতিষ্ঠানকে (আইইডিসিআর) জানানো হয়েছিলো, কিন্তু তারপরে নমুনা সংগ্রহ করা হয়েছে কিনা, টেস্টে রেজাল্ট কি- সে খবর মিডিয়াতে পাইনি। (সূত্রঃ প্রথম আলো, ২২ মার্চ)
মৃত্যু ৮
২২ মার্চ। সিলেটের এই নারী গত ৪ মার্চ লন্ডন থেকে দেশে ফেরেন। ১০ দিন ধরে জ্বর, সর্দি, কাশি ও শাসকষ্টে ভুগছিলেন তিনি। গত ২০ মার্চ শহীদ শামসুদ্দিন আহমদ হাসপাতালে ভর্তি হন ওই নারী। অবস্থার উন্নতি না হওয়ায় তাকে আইসোলেশনে রেখেছিলেন চিকিৎসকরা এবং শনিবার (২১ মার্চ) দিবাগত রাত সাড়ে ৩টার দিকে আইসোলেশনে থাকা অবস্থাতেই তিনি মৃত্যুবরণ করেন। রোববার (২২ মার্চ) ঢাকা থেকে আইইডিসিআরের লোক সিলেটে এসে তার রক্তের নমুনা সংগ্রহ করার কথা ছিল। তবে এর আগেই ওই নারী মারা যান। (সূত্রঃ যুগান্তর, ২২ মার্চ)
মৃত্যু ৯
২৪ মার্চ। জামালপুরের এই বৃদ্ধা শনিবার (২১ মার্চ) রাতে ঢাকা থেকে গ্রামের বাড়িতে আসেন। তিনি শ্বাসকষ্টজনিত রোগে ভুগছিলেন। মঙ্গলবার (২৪ মার্চ) সকাল ৭টার দিকে তিনি শ্বাসকষ্টে মারা যান। আইইডিসিআরের নির্দেশে সন্ধ্যায় জামালপুরের সিভিল সার্জন মৃত ওই নারীর মৃত্যুর কারণ নির্ণয়ে মরদেহের নমুনা সংগ্রহ করেছেন। সেই নমুনা পরীক্ষণের ফল মিডিয়ায় পাইনি। (সূত্রঃ ভোরের কাগজ, ২৫ মার্চ)
মৃত্যু ১০
২৪ মার্চ। চট্টগ্রামের সীতাকুণ্ডের এই নারী তার বাবার বাসায় অসুস্থ মায়ের সেবার কাজ করছিলেন। এক সপ্তাহ আগে তার মা শ্বাসকষ্টে মারা যান। তার মা’র জ্বর, সর্দি ও কাশি ছিল। সেখানে তিনি অসুস্থ হন, তারও জ্বর, সর্দি, কাশি হয়। গতকাল গুরুতর অবস্থায় তাকে হাসপাতালে নেওয়া হলেও হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ তাঁকে রাখেনি। সন্ধ্যায় বাবার বাড়িতে না নিয়ে তাকে নিজ বাড়িতে আনা হয়। বাড়িতে আনার কিছুক্ষণের মধ্যে তিনি মারা যান। (সূত্রঃ প্রথম আলো, ২৫ মার্চ)
মৃত্যু ১১
২৪ মার্চ। ওই ব্যক্তি ঢাকার একটি হাসপাতালের ক্যাশিয়ার পদে চাকরি করতেন। সপ্তাহখানেক আগে তিনি সর্দি-জ্বরে আক্রান্ত হলে তার কর্মস্থল থেকে তাকে হোম কোয়ারেন্টিনে থাকার পরামর্শ দেওয়া হয়। মঙ্গলবার (২৪ মার্চ) দুপুরের পর থেকে তাঁর শ্বাসকষ্ট বেড়ে যায়। পরে রাত সাড়ে নয়টার দিকে তাঁকে ঢাকার কুর্মিটোলা হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। এরপর হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ তাকে মৃত ঘোষণা করে। (সূত্রঃ প্রথম আলো, ২৫ মার্চ)
মৃত্যু ১২
২৪ মার্চ। রাজশাহী মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে মঙ্গলবার (২৪ মার্চ) রাতে এই রোগী কোভিড-১৯ এর যাবতীয় লক্ষণ নিয়ে আইসিইউতে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা গিয়েছেন। ২০ মার্চ তারিখে তিনি জ্বর-সর্দি ও শ্বাসকষ্ট নিয়ে হাসপাতালের মেডিসিন ওয়ার্ডে ভর্তি হন, অবস্থার অবনতি হওয়ায় তাকে ২২ মার্চ আইসিইউতে নেয়া হয় এবং সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মঙ্গলবার দিবাগত রাত পৌনে একটার দিকে তিনি মারা যান। (সূত্রঃ বিটিনিউজ২৪ ডট কম, ২৬ মার্চ)
মৃত্যু ১৩
২৪ মার্চ। সিলেট নগরীর হাউজিং এস্টেট এলাকার বাসিন্দা এই বৃদ্ধ দেশে থাকলেও তার ছেলে সম্প্রতি যুক্তরাজ্য থেকে দেশে ফিরেছিলেন। তিনি কিডনির জটিলতায় ভূগছিলেন, নিয়মিত ডায়ালিসিস করাতে হতো। গত ১৪ মার্চ যুক্তরাজ্য থেকে তার ছেলে দেশে ফেরেন এবং পরদিন থেকেই গিয়াসউদ্দিনের শ্বাসকষ্ট শুরু হলে বাবাকে নিয়ে সিলেট কিডনী ফাউন্ডেশনে যান তার প্রবাসী ছেলে। সেখানে কর্তব্যরত চিকিৎসক বিস্তারিত শুনে গিয়াস উদ্দিনকে কোয়ারেন্টিনে থাকার পরামর্শ দেন। হোম কোয়রেন্টিনে থাকা অবস্থাতেই মঙ্গলবার (২৪ মার্চ) রাত ৯ টায় তিনি মারা যান। (সূত্রঃ সিলেটটুডে২৪ ডট কম, ২৫ মার্চ)
মৃত্যু ১৪
২৫ মার্চ। খাগড়াছড়ির ত্রিপুরা জাতির এই তরুণ শ্রমিক চট্টগ্রামের একটি শিপ ব্রেকিং ইয়ার্ডে কাজ করতেন। ঠাণ্ডা, উচ্চ তাপমাত্রার জ্বর ও শ্বাসকষ্ট নিয়ে তিনি বাড়িতে আসেন। এবং বুধবারে বাড়িতেই মারা যান। উপজেলা স্বাস্থ্য কর্মকর্তা জানান আইইডিসিআর এর পরামর্শ মোতাবেক মৃত ব্যক্তি থেকে নমুনা সংগ্রহ করতে তারা ব্যর্থ হয়েছেন, কেননা তাদের কাছে কোন সুরক্ষা সরজঞ্জামাদি ছিল না। (সূত্রঃ ডেইলীস্টার, ২৬ মার্চ)
মৃত্যু ১৫
২৫ মার্চ। খাগড়াছড়ির সদর হাসপাতালে বুধবার (২৫ মার্চ) এই ব্যক্তি জ্বর ও শ্বাসকষ্ট নিয়ে আসেন। তাকে আইসোলেশন ইউনিটে রাখা হয়। হাসপাতালে নিয়ে আসার ৬ ঘন্টার মধ্যেই তিনি মারা যান। (সূত্রঃ ডেইলী স্টার, ২৬ মার্চ)
মৃত্যু ১৬
২৬ মার্চ। ঢাকায় করোনায় আক্রান্ত হয়ে আনোয়ার খান মডার্ন মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যাওয়া ব্যক্তির সঙ্গে একই হাসপাতালের আইসিইউতে পাশাপাশি বেডে চিকিৎসাধীন ছিলেন এই ব্যক্তি। সে ঘটনার পরে ওই হাসপাতাল থেকে সব রোগীকে ছেড়ে দেওয়া হয় এবং নিজ নিজ বাসায় সবাইকে কোয়ারেন্টিনে থাকার পরামর্শ দেওয়া হলে থাইরয়েড সার্জারির এই রোগীও খুলনায় চলে আসেন। কিন্তু বুধবার (২৫ মার্চ) দিনগত রাত আড়াইটার দিকে তিনি থাইরয়েড সার্জারিতে ইনফেকশন নিয়ে ভর্তি হন। ঢাকায় করোনা রোগীর সংস্পর্শে তথ্য গোপন করে ভর্তি হলেও, বৃহস্পতিবার (২৬ মার্চ) সকাল থেকে তার করোনার লক্ষণ শুরু হয়, তার শ্বাসকষ্ট হতে থাকে। এরপরে, গোপন করা তথ্য প্রকাশ পেলে তাকে সার্জারি ইউনিট-২ থেকে সরিয়ে ফাঁকা একটি ওয়ার্ডের এক কোণে রেখে চিকিৎসা সেবা দেওয়া হচ্ছিল এবং দুপুর দেড়টার দিকে মারা যান। (সূত্রঃ বাংলা ট্রিবিউন, ২৬ মার্চ)। পরে, মৃত ব্যক্তি থেকে নমুনা সংগ্রহ করে আইইডিসিআরে পাঠানো হয়। একদিন পরের খবরে অবশ্য বলা হচ্ছে- ঐ ব্যক্তির করোনা টেস্টের ফলাফল নেগেটিভ এসেছে। (সূত্রঃ বাংলা ট্রিবিউন, ২৭ মার্চ)
মৃত্যু ১৭
২৬ মার্চ। ময়মনসিংহের ঈশ্বরগঞ্জ উপজেলার কাঁকনহাটি গ্রামের এই ব্যক্তি জ্বর, সর্দি ও কাশিতে আক্রান্ত হয়ে গত বৃহস্পতিবার (২৬ মার্চ) মারা যান। ইকুয়েপমেন্ট না থকাায় নমুনা সংগ্রহ করা যায়নি। (সূত্রঃ কালের কন্ঠ, ১ এপ্রিল)
মৃত্যু ১৮
২৬ মার্চ। গত বৃহস্পতিবার (২৬ মার্চ) সন্ধ্যায় মারা যান ময়মনসিংহের ঈশ্বরগঞ্জ উপজেলার মাইজবাগ ইউনিয়নের কবীরভুলসোমা গ্রামের এক নারী (২৫)। তার জ্বর, সর্দি ও কাশি ছাড়াও ছিল শ্বাসকষ্ট। ইকুয়েপমেন্ট না থকাায় নমুনা সংগ্রহ করা যায়নি। (সূত্রঃ কালের কন্ঠ, ১ এপ্রিল)
মৃত্যু ১৯
২৭ মার্চ। শুক্রবার (২৭ মার্চ) সন্ধ্যায় মারা যান ময়মনসিংহের ঈশ্বরগঞ্জ উপজেলার মাইজবাগ ইউনিয়নের এই ব্যক্তি। আগেরদিন তার ভাতিজি জ্বর, সর্দি, কাশি ও শ্বাসকষ্টে মারা যাওয়ার একদিন পরে একই উপসর্গে চাচাও মারা যান। ইকুয়েপমেন্ট না থকাায় নমুনা সংগ্রহ করা যায়নি। (সূত্রঃ কালের কন্ঠ, ১ এপ্রিল)
মৃত্যু ২০
২৭ মার্চ। গাজীপুর থেকে বাড়িতে ফিরে জ্বর ও সর্দি–কাশিতে পড়েন বগুড়ার শিবগঞ্জের এই ব্যক্তি। শুক্রবার (২৭ মার্চ) রাতে তার অবস্থার অবনতি হয়। অসুস্থ স্বামীকে হাসপাতালে নেওয়ার জন্য স্ত্রী প্রথমে পাড়া–প্রতিবেশীদের সহযোগিতা চান। ওই ব্যক্তি করোনাভাইরাসে আক্রান্ত সন্দেহে কেউ এগিয়ে আসেননি। এরপর স্ত্রী অ্যাম্বুলেন্সের জন্য মুঠোফোনে যোগাযোগ করেন জেলা ও উপজেলার হাসপাতাল, ফায়ার সার্ভিস ও পুলিশে। কিন্তু সারা রাতে কোথাও থেকে তিনি কোনো সাড়া পাননি। তিনি রাতে আইইডিসিআর হটলাইনে ফোন দিয়ে কাউকে পাননি। বগুড়ার শহীদ জিয়াউর রহমান মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল এবং মোহাম্মদ আলী হাসপাতালের হটলাইনে ফোন করেও সাড়া পাননি। ওই নারী বলেন, ‘দেখছি’ বলার বেশি কেউ কিছু করেননি। ছোট একটা মেয়েকে নিয়ে ঘরে নিস্তেজ মানুষটার পাশে বসে আছেন—জানিয়ে তিনি বলেন, ‘বেঁচে আছে, না মরে গেছে, বুঝতে পারছি না। কী করব বুঝতে পারছি না। করোনাভাইরাসের ভয়ে কেউ তো কাছে আসছেন না।’ (সূত্রঃ প্রথম আলো, ২৮ মার্চ)
মৃত্যু ২১
২৭ মার্চ। নোয়াখালির বেগমগঞ্জের এই ব্যক্তি ঢাকার একটি হাসপাতালে এক ডাক্তারের সহকারি হিসেবে কাজ করতো। সম্পরিত তিনি জ্বর নিয়ে বাড়িতে আসেন। বৃহস্পতিবার (২৬ মার্চ) উচ্চ তাপমাত্রার জ্বর ও কাশি নিয়ে নোয়াখালি জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি হন এবং সেখানেই চিকিৎসাধীন অবস্থাতেই মারা যান। আইইডিসিআরের পরামর্শ মোতাবেক নমুনা সংগ্রহ করে পাঠানো হয়েছে। পরীক্ষণের ফল কি, তা মিডিয়ায় পাইনি। (সূত্রঃ ডেইলী স্টার, ২৭ মার্চ)
মৃত্য ২২
২৮ মার্চ। বগুড়ার শিবপুরের এই ব্যক্তি ঢাকায় ব্যবসা করতেন, গত মঙ্গলবার (২৬ মার্চ) তিনি বগুড়ায় যান। পাঁচদিন জ্বরে ভুগছিলেন তিনি। পল্লী চিকিৎসকের পরামর্শে ওষুধ নিলেও তার জ্বর ভাল হচ্ছিলনা। শনিবার (২৮ মার্চ) সকালে তার মৃত্যু হয়। আইডিসিআর জানিয়েছিল, বগুড়া শহীদ জিয়াউর রহমান মেডিকেলের একটি টিম নমুনা সংগ্রহ করবে। এরপরের খবর এখনো জানি না। (সূত্রঃ চ্যানেল২৪বিডি ডট টিভি, ২৮ মার্চ)
মৃত্যু ২৩ ২৮ মার্চ। লালমনিরহাটের এই ব্যক্তি ঢাকায় রিকশা চালাতেন। গত ৭-৮ দিন আগে জ্বর, সর্দ্দি ও কাশি নিয়ে বাড়ি ফেরেন। বাড়ি ফিরে জ্বর, সর্দ্দি, কাশি ও শ্বাসকষ্টের জন্য আদিতমারী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের বর্হিবিভাগে চিকিৎসাপত্র গ্রহণ করেন। শনিবার (২৮ মার্চ) দুপুরে তিনি মারা যান। (সূত্রঃ বাংলানিউজ২৪, ২৮ মার্চ)
মৃত্যু ২৪
২৮ মার্চ। বগুড়ার এই ব্যক্তি করোনা উপসর্গ নিয়ে ঢাকা থেকে গত মঙ্গলবার (২৪ মার্চ) শিবগঞ্জ উপজেলার মহব্বত নন্দীপুর গ্রামে স্ত্রীর কর্মস্থল এলাকায় ভাড়া বাসায় আসেন। শনিবার (২৮ মার্চ) সকালে মারা যান ওই ব্যক্তি। এদিকে করোনা উপসর্গ নিয়ে মারা যাওয়ার খবরে এলাকা জুড়ে করোনা আতংক ছড়িয়ে পড়লে স্থানীয় প্রশাসন সেখানকার ১৫টি বাড়ি লকডাউন ঘোষণা করে। এরপর নিশ্চিত হওয়ার জন্য মরদেহ থেকে নমুনা সংগ্রহ করে নিয়ে যায় স্বাস্থ্য বিভাগ। বিকেলের দিকে মরদেহ দাফন নিয়ে দেখা দেয় বিপত্তি, গ্রামের লোকজন সেখানে দাফনে আপত্তি জানায়। (সূত্রঃ বাংলানিউজ২৪, ২৮ মার্চ)
মৃত্যু ২৫
২৮ মার্চ। চাঁদপুরের এই ব্যক্তি কয়েকদিন আগে নারায়নগঞ্জে তার কর্মস্থলে জ্বর, সর্দি ও কাশিতে আক্রান্ত হন। প্রথমে তাকে নারায়ণগঞ্জ জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। পরে পরিস্থিতির অবনতি ঘটলে তার স্ত্রী কুর্মিটোলা জেনারেল হাসপাতালে নিয়ে যান স্বামীকে। ২৬ তারিখে ভর্তির দুদিনের মাথায় চিকিৎসাধীন অবস্থায় শনিবার (২৮ মার্চ) বিকেলে রাজধানীর কুর্মিটোলা জেনারেল হাসপাতালে মারা যান। আইইডিসিআর এর রিপোর্টে টেস্ট নেগেটিভ এসেছে বলে চাঁদপুর সিভিল সার্জন জানিয়েছেন। (সূত্রঃ কালের কন্ঠ, ২৮ মার্চ)
মৃত্যু ২৬
২৮ মার্চ। বরিশালের এই নারীর ডায়াবেটিস ও উচ্চ রক্তচাপ ছিল, কয়েক দিন আগে তিনি ডায়রিয়ায় আক্রান্ত হয়ে বরিশাল সদর হাসপতালে চার দিন চিকিৎসাধীন ছিলেন। চিকিৎসা শেষে বৃহস্পতিবার (২৬ মার্চ) তিনি বাড়ি ফিরে যান। এরপরে শুক্রবার (২৭ মার্চ) থেকেই তাঁর হালকা কাশি ও শ্বাসকষ্ট শুরু হয়। শনিবার (২৮ মার্চ) রাত পৌনে ১২টার দিকে ওই নারীকে শের-ই-বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের জরুরি বিভাগে নিয়ে আসা হয়। তখন তার শ্বাসকষ্ট হচ্ছিল। রোগীর স্বজনদের কাছে উপসর্গের ইতিহাস শুনে তাকে হাসপাতালের করোনা ইউনিটে পাঠানো হয়। করোনা ইউনিটে নেওয়ার পথেই তিনি মারা যান। (সূত্রঃ প্রথম আলো, ২৯ মার্চ)
মৃত্যু ২৭
২৮ মার্চ। ভোলার বৃদ্ধ এই ভ্যানচালক সর্দি-কাশি ও শ্বাসকষ্ট নিয়ে চিকিৎসার জন্য তিন সপ্তাহ আগে পটুয়াখালী জেলা শহরের টাউন কালিকাপুর এলাকায় মেয়ের শ্বশুরবাড়িতে আসেন। শনিবার (২৮ মার্চ) বিকালে তিনি মারা যান। মৃত্যুর পরে নমুনা সংগ্রহ করে আইইডিসিআরে পাঠানো হয়েছে। (সূত্রঃ প্রথম আলো, ২৯ মার্চ)
মৃত্যু ২৮
২৮ মার্চ। নওগাঁর এই তরুণ ঢাকায় একটি কাপড়ের দোকানে কাজ করতেন। শুক্রবার (২৭ মার্চ) রাতে জ্বর আর কাশি নিয়ে ঢাকা থেকে নওগাঁয় আসেন। শনিবার (২৮ মার্চ) সকালে সেখান থেকে গ্রামের বাড়িতে নিয়ে আসার সময় করোনা আক্রান্ত হয়েছে সন্দেহে মেম্বার ও গ্রামের লোকজন তাকে আসতে দেয়নি। বাধ্য হয়ে এলাকার ভেটি স্ট্যান্ড থেকে চিকিৎসার জন্য আদমদীঘি হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। সেখানে তার চিকিৎসা না করেই ফিরিয়ে দেন চিকিৎসকরা। এরপর তাকে কমিউনিটি ক্লিনিকে নিয়ে যাওয়া হয়। স্থানীয়রা বিষয়টি উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তাকে জানালে পরে তার সহযোগিতায় চিকিৎসার জন্য প্রথমে রাণীনগর হাসপাতালে পাঠানোর ব্যবস্থা করা হয়। সেখানে চিকিৎসকরা দেখেই হাতে কাগজ ধরিয়ে দিয়ে নওগাঁ সদর আধুনিক হাসপাতালে পাঠায়। নওগাঁ হাসপাতালে পৌঁছার পর সেখানেও ভালোভাবে না দেখে রাজশাহী নিয়ে যেতে বলে হাতে একটি কাগজ ধরিয়ে দেয়। এরপর রাজশাহী মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে যায়। সেখানে নিয়ে যাওয়ার পরে তার জ্বর কোনোভাবেই কমছিল না। সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় শনিবার (২৮ মার্চ) রাতে তার মৃত্যু হয়।। (সূত্রঃ বাংলাট্রিবিউন, ২৯ মার্চ)
মৃত্যু ২৯
২৯ মার্চ। পটুয়াখালীর এই ব্যক্তি শ্বাসকষ্টজনিত সমস্যায় পটুয়াখালী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি ছিলেন। সেখান থেকে রেফার করার পর শনিবার (২৮ মার্চ) বিকেলে তাকে বরিশাল শের-ই-বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে আসেন তাঁর স্বজনেরা। ওই রোগীকে প্রথমে মেডিসিন ইউনিটে এবং পরে করোনা ইউনিটে স্থানান্তর করা হয়। রোববার (২৯ মার্চ) সকালে তাঁর মৃত্যু হয়। হাসপতালের পরিচালক বলেন, ‘আমাদের এখানে করোনাভাইরাস শনাক্তকরণ কোনো কিট নেই। তবুও রোগীর লক্ষণ দেখে করোনাভাইরাসে আক্রান্ত সন্দেহে তাঁকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়।’ হাসপাতাল সূত্র জানায়, করোনা ইউনিটে এখন পাঁচজন রোগী ভর্তি আছেন। তাঁরা কেউ করোনাভাইরাসে আক্রান্ত কিনা, সেটা পরীক্ষা-নিরীক্ষা না করে নিশ্চিত বলা যাবে না। (সূত্রঃ প্রথম আলো, ২৯ মার্চ)
মৃত্য ৩০
২৯ মার্চ। মানিকগঞ্জের এই নারীর শ্বশুর এক সপ্তাহ আগে মারা যান। তার শেষকৃত্য অনুষ্ঠানে তিনি গিয়েছিলেন, যেখানে অনেক লোক সমাগম হয়েছিল। এরপরে গত সাত দিন ধরে তিনি জ্বর, কাশি ও শ্বাসকষ্টে ভুগছিলেন। দুই দিন ধরে তার পাতলা পায়খানা ছিল। রোববার (২৯ মার্চ) সকাল সাড়ে নয়টার দিকে মানিকগঞ্জ সদর উপজেলার মুন্নু মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে আনা হলে সেখানকার কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন। আইইডিসিআর এর নির্দেশনা অনুযায়ী মৃত ব্যক্তি করোনাভাইরাসে আক্রান্ত ছিলেন কিনা তা নিশ্চিত হওয়ার জন্য ইতিমধ্যে নমুনা সংগ্রহ করা হয়েছে। দ্রুততম সময়ের মধ্যে তা পরীক্ষার জন্য ঢাকায় পাঠানো হবে। নিহত ব্যক্তির পরিবারের সদস্য এবং তাদের নিকটতম প্রতিবেশীদের হোম কোয়ারেন্টাইনে রাখার নির্দেশ দেয়া হয়েছে। পরীক্ষায় করোনাভাইরাস শনাক্ত হলে নিহত ওই ব্যক্তির পুরো গ্রামকেই লকডাউন করা হবে বলে জানানো হয়েছে। (সূত্রঃ আরটিভিঅনলাইন ডট কম, ২৯ মার্চ)
মৃত্যু ৩১
২৯ মার্চ। রাজধানীর মোহাম্মদপুর এলাকার বাসিন্দা এই নারী কয়েক দিন ধরেই সর্দি, জ্বর, শ্বাসকষ্টে ভুগছিলেন। অল্প অল্প অসুস্থ ছিলেন। তাই তাকে হাসপাতালে নেয়া হয়নি। আইইডিসিআরকে জানানো হলে রোববার (২৯ মার্চ) সকালে তার মোহাম্মদপুরের বাসায় এসে নমুনা নিয়ে যাওয়া হয়। তবে সেই পরীক্ষার ফল আসেনি। (সূত্রঃ প্রথম আলো, ২৯ মার্চ)
মৃত্যু ৩২
২৯ মার্চ। নড়াইলের কালিয়া উপজেলার এই বৃদ্ধ ‘স্ট্রোক ও শ্বাসকষ্টজনিত’ সমস্যায় শনিবার (২৮ মার্চ) খুলনা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে যান। তাকে করোনা আইসোলেশন ইউনিটে রাখা হয়। রোববার (২৯ মার্চ) সকালে তিনি মারা যান। আইইডিসিআর জানিয়েছে, করোনা টেস্টের জন্যে নমুনা সংগ্রহের প্রয়োজন নেই। (সূত্রঃ ময়মনসিংলাইভ ডট কম, ২৯ মার্চ)
মৃত্যু ৩৩ ২৯ মার্চ। বরিশালের গৌরনদী উপজেলার এই নারীর ৪/৫ দিন আগে প্রচণ্ড জ্বর, কাশি, সর্দি ও শ্বাসকষ্ট শুরু হয়। বিষয়টি জানাতে হটলাইনে ফোন করা হলেও কেউ ধরেনি। মারা যাওয়ার পরে বিষয়টি উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ও স্বাস্থ্য কর্মকর্তাকে অবহিত করা হয়। কিন্তু তাঁরাও পরীক্ষা-নিরীক্ষার জন্য কেউই আসেননি। পরে পারিবারিক গোরস্থানে লাশ দাফন করা হয়েছে। (সূত্রঃ প্রথম আলো, ২৯ মার্চ)
মৃত্যু ৩৪
২৯ মার্চ। শেরপুরের নালিতাবাড়ী উপজে’লার এই ব্যক্তি গত তিন চার দিন ধরে জ্বর ও শ্বা’সক’ষ্টে ভুগছিলেন। তিনি বাগেরহাট জে’লার রামপাল উপজে’লায় পাইলিং কন্সট্রাকশনের নির্মাণ শ্রমিক হিসেবে কর্মরত ছিলেন। গত চার দিন আগে সাধারণ ছুটি পেয়ে বাড়িতে আসেন। বাড়িতে আসার পর থেকেই তার জ্বর ও শ্বাসকষ্ট বেড়ে যায়। হাসপাতালে না নেয়ায় এক পর্যায়ে রবিবার (২৯ মার্চ) রাত সাড়ে নয়টার দিকে নিজ বাড়িতেই তিনি মারা যান। মৃত ব্যক্তির নমুনা সংগ্রহ করে আইইডিসিআরে পাঠানো হয়েছে। ওই ব্যাক্তির সংস্পর্শে যারা ছিলেন তারাসহ আশপাশের ১০টি বাড়ি লকডাউন ঘোষণা করা হয়েছে। (সূত্রঃ জাগোনিউজ, ৩০ মার্চ)
#মৃত্যু_৩৫
২৯ মার্চ। মুন্সীগঞ্জের টঙ্গীবাড়ি উপজেলার এ নারীর দীর্ঘদিন কিডনি ও লিভার ক্যান্সারে আক্রান্ত হয়ে ভুগছিলেন। তার স্বামী মালয়েশিয়া প্রবাসী। গত কিছুদিন তার জ্বর ও সর্দি কাশি ছিল। রোববার (৩০ মার্চ) রাতে তার মৃত্যু হয়। (সূত্রঃ বাংলাদেশের খবর, ৩০ মার্চ)
মৃত্যু ৩৬
৩০ মার্চ। দিনাজপুরের বিরামপুরের এই দিনমজুর ১০/১২ দিন আগে কুমিল্লার কর্মস্থল থেকে ঠাণ্ডা ও জ্বর নিয়ে বাড়িতে ফিরেন। কুমিল্লায় যে বাড়িতে তিনি কাজ করতেন, তার মালিক একজন সৌদি প্রবাসী যিনি সম্প্রতি দেশে ফিরেছেন। প্রশাসন ঐ বাড়ির সবাইকে কোয়ারেন্টাইন রেখেছিলো, কিন্তু এই দিনমজুর সেখান থেকে পালিয়ে নিজ বাড়িতে চলে আসেন। শ্বাসকষ্ট শুরু হয় এবং জন্ডিসও দেখা দেয়। সোমবার (৩০ মার্চ) সকালে তিনি মারা যান। মৃত ব্যক্তির পরিবারের ৪ জনকে কোয়ারেন্টাইন করা হয়েছে। (সূত্রঃ ঢাকাট্রিবিউন, ৩০ মার্চ)
মৃত্যু ৩৭
৩০ মার্চ। রোববার (২৯ মার্চ) বিকেলে যশোরের ১২ বছর বয়সী এই শিশু সর্দি, কাশি, জ্বর ও শ্বাসকষ্ট নিয়ে যশোর জেনারেল হাসপাতালের জরুরি বিভাগে আসে। তাকে ভর্তি করে হাসপাতালের আইসোলেশন ওয়ার্ডে প্রাতিষ্ঠানিক কোয়ারেন্টিনে পাঠানো হয়। সকালে চিকিৎসক ওই ওয়ার্ড পরিদর্শনে গিয়ে শিশুটিকে মৃত অবস্থায় পান। এ সময় ওই ওয়ার্ডে শিশুর সঙ্গে স্বজনদের কেউ ছিলেন না। করোনাভাইরাস পরীক্ষার বিষয়ে হাসপাতালের সহকারী পরিচালক বলেন, ‘করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে শিশুটি মারা গেল কি না, তা নিশ্চিত নয়। পরীক্ষার নমুনা সংগ্রহের জন্য আইইডিসিআরে যোগাযোগ করা হয়েছে। তবে শিশুটির রোগের ইতিহাস শুনে সেখান থেকে জানানো হয়েছে, শিশুটির রোগের ইতিহাসের সঙ্গে করোনাভাইরাসের লক্ষণ মিলছে না। এ জন্য পরীক্ষা করার প্রয়োজন নেই।’ (সূত্রঃ প্রথম আলো, ৩০ মার্চ)
মৃত্যু ৩৮
৩০ মার্চ। কুষ্টিয়ার এই ব্যক্তি পেশায় ইজিবাইকচালক ছিলেন। শহরের চৌড়হাস এলাকায় পরিবার নিয়ে ভাড়া বাসায় থাকতেন। গত শুক্রবার (২৭ মার্চ) তাঁর সর্দি দেখা দেয়। এরপর কাশি ও শ্বাসকষ্ট হতে থাকে। সোমবার (৩০ মার্চ) সকালে শ্বাসকষ্টের সমস্যা বেড়ে যায়। একপর্যায়ে তিনি নিস্তেজ হয়ে পড়েন। পরে তাকে হাসপাতালে নেওয়া হয়। সেখানে চিকিৎসকেরা তাকে মৃত ঘোষণা করেন। অর্থাৎ হাসপাতালে নিয়ে আসার আগে পথেই তার মৃত্যু হয়। পরীক্ষার জন্য নমুনা সংগ্রহ করা হয়েছে। (সূত্রঃ প্রথম আলো, ৩০ মার্চ)
মৃত্যু ৩৯
৩০ মার্চ। সুনামগঞ্জের এই নারী উচ্চরক্তচাপ ও শ্বাসকষ্টের রোগী ছিলেন। গত কয়েকদিন ধরে তিনি সর্দি-কাশিতে ভুগছিলেন। সোমবার (৩০ মার্চ) ভোর ৬টার দিকে তার পরিবারের লোকজন অসুস্থ অবস্থায় সদর হাসপাতালে নিয়ে গেলে সেখানে কর্তব্যরত ডাক্তার তাকে মৃত ঘোষণা করেন। মৃত নারীর শেষকৃত্য সম্পন্ন হওয়ায় তার নমুনা সংগ্রহ করা যায়নি বলে সিভিল সার্জন জানিয়েছেন। ঐ নারীর স্বামীকে পরীক্ষার জন্যে সিলেটে পাঠানো হয়েছে। (সূত্রঃ সুনামগঞ্জ২৪ ডট কম, ৩০ মার্চ)
মৃত্যু ৪০
৩০ মার্চ। মৌলভীবাজারের শ্রীমঙ্গল উপজেলার এই যুবক একটি কীর্তন পার্টির সঙ্গে কাজ করতেন। কুমিল্লা, যশোরসহ দেশের বিভিন্ন এলাকায় তিনি কীর্তন করে বেড়াতেন। গত ১০-১২ দিন আগে তিনি বাড়িতে আসেন। এলাকার বিভিন্ন মানুষের সঙ্গে ঘুরে বেড়িয়েছেন। হঠাৎ করে ৩-৪ দিন ধরে তার অসুস্থতা শুরু হয়। গত শুক্রবার (২৭ মার্চ) জ্বর নিয়ে হাসপাতাল থেকে চিকিৎসা নিয়ে যান। সোমবার (৩০ মার্চ) সকালে ভীষণ জ্বর, শ্বাসকষ্ট ও গলাব্যথার জন্যে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে তাকে প্রাথমিক চিকিৎসা দেওয়া হয়। পরে বেলা একটার দিকে তার মৃত্যু হয়। অবশ্য উপজেলা স্বাস্থ্য বিভাগ বলছে, ওই যুবক জলবসন্ত রোগে আক্রান্ত হয়ে মারা গেছেন। (সূত্রঃ প্রথম আলো, ৩০ মার্চ)
মৃত্যু ৪১
৩০ মার্চ। মুন্সীগঞ্জের গজারিয়া উপজেলার ১২ বছর বয়সী এই শিশু গত চার দিন ধরে জ্বর ছিল এবং সে অ্যাজমায় আক্রান্ত ছিল। সম্প্রতি তাদের পাশের বাড়িতে ইতালি থেকে এক প্রবাসী এসেছেন। তবে তিনি হোম কোয়ারেন্টাইনে আছেন। জ্বর নিয়ে রবিবার রাত সাড়ে ৩টার দিকে এই শিশুকে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। পরে অবস্থা খারাপ হলে ভোরে ঢাকা নেওয়ার পথে শিশুটি মারা যায়। আইইডিসিআরকে বিষয়টি অবহিত করলেও রক্তের নমুনা সংগ্রহ না করে ছেলেটির দাফন সম্পন্ন করা হয়েছে। এ ঘটনায় এলাকায় করোনাভাইরাস আতঙ্কে ছড়িয়ে পড়েছে। (সূত্রঃ ঢাকাট্রিবিউন, ৩০ মার্চ)
মৃত্যু ৪২
৩০ মার্চ। চাঁদপুরের হাজীগঞ্জ বাজারের ব্যবসায়ী টানা দশদিন জ্বর, কাশি ও গলাব্যথায় ভুগছিলেন। করোনাভাইরাস সংক্রমণের সব উপর্সগ ছিল তার। তাই স্থানীয়ভাবে কোনো চিকিৎসা না দিয়ে তাকে ঢাকায় নিয়ে যাওয়া হয়। ঢাকায় চিকিৎসাধীন অবস্থায় সোমবার (৩০ মার্চ) সকালে রাজধানীর একটি হাসপাতালে তার মৃত্যু হয়। (সূত্রঃ সমকাল, ৩০ মার্চ)
মৃত্যু ৪৩
৩১ মার্চ। ময়মনসিংহের ঈশ্বরগঞ্জ উপজেলার মগটুলা ইউনিয়নের মধুপুর বাজারের এই বৃদ্ধ গত প্রায় এক সপ্তাহ ধরে জ্বর, সর্দি ও কাশিতে ভুগছিলেন। এ অবস্থায় পরিবারের লোকজন প্রয়োজনীয় ওষুধ খাওয়ালেও সেরে ওঠেননি। এ অবস্থায় গত মঙ্গলবার (৩১ মার্চ) রাত ৯টার দিকে নিজ বসতঘরেই মারা যান। ইকুয়েপমেন্ট না থকাায় নমুনা সংগ্রহ করা যায়নি। (সূত্রঃ কালের কন্ঠ, ১ এপ্রিল)
মৃত্যু ৪৪
৩১ মার্চ। ময়মনসিংহের ঈশ্বরগঞ্জ উপজেলার উচাখিলা ইউনিয়নের গোল্লা জয়পুর গ্রামে বোনের বাড়িতে থাকা এই কলেজছাত্র মঙ্গলবার (৩১ মার্চ) বিকেলে মারা যান। গত চার দিন আগে জ্বর, সর্দি, কাশি ও গলাব্যথা নিয়ে ঢাকা থেকে বোনের বাড়িতে চলে আসেন। সেখানে অবস্থানের সময় গত মঙ্গলবার বিকেলে মারা যান। পরে রাতে তড়িঘড়ি করে লাশ নিজ বাড়িতে নিয়ে যায় পরিবারের লোকজন। এ নিয়ে এই উপজেলায় এক সপ্তাহে ৫ জন জ্বর, সর্দি, কাশি ও শ্বাসকষ্টে মারা গেল। ঈশ্বরগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ৫ মৃত্যুর ঘটনার সত্যতা স্বীকার করে জানান, তারা আগে থেকেই নানা অসুখে ভুগছিলেন। তা ছাড়া করোনা পরীক্ষা করার মতো আমাদের কোনো ইকুইপম্যান্ট ছিল না। (সূত্রঃ কালের কন্ঠ, ১ এপ্রিল)
মৃত্যু ৪৫
৩১ মার্চ। ঢাকার নবাবগঞ্জের এই রিকশাচালক কয়েকদিন ধরে সর্দি, কাশি ও জ্বরে ভুগছিলেন তিনি। অবস্থার অবনতি হলে নবাবগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নেয়া হয়। ঐ ব্যক্তিকে সোমবার (৩০ মার্চ) রাতে নবাবগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের আইসোলেশন ওয়ার্ড থেকে কুয়েত মৈত্রী হাসপাতালে নেয়া হয়। চিকিৎসাধীন অবস্থায় মঙ্গলবার (৩১ মার্চ) সকালে মারা যান তিনি। (সূত্রঃ চ্যানেল২৪ ডট টিভি, ৩১ মার্চ)
মৃত্যু ৪৬
৩১ মার্চ। চাঁপাইনবাবগঞ্জের গোমস্তাপুরের এই আদিবাসী নারী ১১ দিন আগে রাজশাহীর তানোরের কালীগঞ্জ এলাকায় খেতের আলু তোলার কাজে গিয়েছিলেন। সাথে ছিলেন তার মেয়েসহ ১১ জন নারী-পুরুষ। দুই দিন আগে তিনি কাশি ও জ্বরে আক্রান্ত হন। সোমবার (৩০ মার্চ) সকালে তারা এলাকায় ফিরে আসেন। মঙ্গলবার (৩১ মার্চ তিনি মারা যান)। যাদের সঙ্গে রাজশাহীর তানোরে কৃষিকাজে গিয়েছিলেন, তাঁদের সবাইকে হোম কোয়ারেন্টিনে থাকার নির্দেশ দিয়ে এসেছেন পুলিশ ও উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের লোকজন। (সূত্রঃ প্রথম আলো, ৩১ মার্চ)
মৃত্যু ৪৭
৩১ মার্চ। টাঙ্গাইলের মধুপুরের এই পোশাকশ্রমিক ঢাকায় একটি পোশাক কারখানায় কাজ করতেন। রোববার (২৯ মার্চ) জ্বর নিয়ে তিনি বাড়িতে আসেন। বিষয়টি তাঁর পরিবারের লোকজন গোপন রেখেছিলেন। সোমবার (৩০ মার্চ) থেকে তার পাতলা পায়খানা শুরু হয়েছিল। মঙ্গলবার (৩১ মার্চ) তিনি নিজ বাড়িতে মারা যান। তার রক্তবমিও হয়েছিল। এই পোশাকশ্রমিকের মৃত্যুর খবর পেয়ে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের চিকিৎসকদের একটি দল তাদের বাড়িতে তার নমুনা সংগ্রহ করার জন্যে গিয়েছেন। এ ঘটনায় ওই পোশাকশ্রমিকের বাড়ি অবরুদ্ধ (লকডাউন) করা হয়েছে। (সূত্রঃ প্রথম আলো, ৩০ মার্চ)
মৃত্যু ৪৮
৩১ মার্চ। পিরোজপুরের ভাণ্ডারিয়া উপজেলার দক্ষিণ ধাওয়া গ্রামের এই স্কুলছাত্র চার দিন ধরে জ্বর-সর্দি-কাশি ও গলা ব্যথায় ভুগছিল। মঙ্গলবার (৩১ মার্চ) সকালে মোবাইল ফোনে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে তার পরিবারের পক্ষ থেকে যোগাযোগ করা হলে তাকে হাসপাতালে নিয়ে যেতে বলা হয়। তবে তারা ছেলেটিকে বাড়িতে রেখেই চিকিৎসার ব্যবস্থা করেন এবং দুপুরের দিকে সে মারা যায়। এই মৃত্যুর ঘটনায় উপজেলা প্রশাসন মৃত ছেলেটির ও তার আশপাশের বাড়ির লোকদের লকডাউন এবং ওই গ্রামকে কোয়ারেন্টিন ঘোষণা করেছে। মরদেহ থেকে নমুনা সংগ্রহ করে আইইডিসিআরে পাঠানো হয়েছে। (সূত্রঃ বাংলাট্রিবিউন, ৩১ মার্চ)
মৃত্যু ৪৯
৩১ মার্চ। সিলেটের বালাগঞ্জ উপজেলার এই কিশোরী দুই মাস ধরে শ্বাসকষ্টে ভুগছিল। এর সঙ্গে ১০ দিন ধরে তার জ্বর, সর্দি-কাশি শুরু হয়। মঙ্গলবার(৩১ মার্চ) বেলা সাড়ে ১১টার দিকে বালাগঞ্জ থেকে শ্বাসকষ্ট, জ্বর, সর্দি ও কাশি নিয়ে তাকে শহীদ শামসুদ্দিন আহমদ হাসপাতালে নিয়ে আসা হয়। বালাগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স থেকে তাকে করোনা সন্দেহে শহীদ শামসুদ্দিন আহমদ হাসপাতালে স্থানান্তর করা হয়েছিল। হাসপাতালে নিয়ে আসার পর বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক দল তাকে পর্যবেক্ষণ করে চিকিৎসা দেয়। মঙ্গলবার (৩১ মার্চ) বেলা দুইটার দিকে নগরীর শহীদ শামসুদ্দিন আহমদ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তার মৃত্যু হয়। সিলেট বিভাগীয় স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের সহকারী পরিচালক বলেন, ওই কিশোরী করোনায় নয়, হার্ট ফেইলুর হয়ে মারা গেছে। (সূত্রঃ প্রথম আলো, ৩১ মার্চ)
মৃত্যু ৫০
৩১ মার্চ। কেরানীগঞ্জ মডেল থানার মান্দাইল এলাকার সাবেক উপজেলা চেয়ারম্যান হাজী নাসির উদ্দিনের ছেলে ফয়সাল আহমেদ গত ২০ দিন ধরে জ্বর, ঠান্ডা ও কাশিতে ভুগছিলেন। সোমবার সকালে ফয়সালের কাশির সাথে নাক দিয়ে রক্তপড়া শুরু হলে তার বড় ভাই জিগির আহমেদ অ্যাম্বুলেন্স নিয়ে রাজধানীর মিটফোর্ড, ঢাকা মেডিকেলসহ উত্তরা পর্যন্ত ১৬ হাসপাতালে নিয়ে ভর্তির চেষ্টা করে ব্যর্থ হন। পরে বিকালে তিনি মারা যান। (সূত্রঃ ঢাকা ট্রিবিউন, ৩১ মার্চ)
মৃত্যু ৫১
৩১ মার্চ। রাজবাড়ী সদর উপজেলার টিএন্ডটি এলাকার এই সবজি বিক্রেতা মঙ্গলবার (৩১ মার্চ) সকাল ১০টার দিকে ঠান্ডা, জ্বর, কাশি ও শ্বাসকষ্ট সহ শরীরে ব্যথা নিয়ে হাসপাতালে ভর্তি হয়। পরে তার স্বাস্থ্য পরীক্ষা ও এক্সে প্রতিবেদন বিশ্লেষণ ও শারীরিক অবস্থা বিবেচনা করে ঢাকার কুর্মিটোলা হাসপাতালে প্রেরণ করা হয়। কিন্তু সেখানে তাকে ভর্তি না করে রাজবাড়ীতে বাড়ির উদ্দেশ্যে পাঠানো হয়। মঙ্গলবার রাত ৮টার দিকে ঢাকা থেকে ফেরার পথে ফেরির মধ্যে তিনি মৃত্যুবরণ করেন। (সূত্রঃ বিডি-প্রতিদিন, ৩১ মার্চ)
মৃত্যু ৫২
৩১ মার্চ। মঙ্গলবার (৩১ মার্চ) সকালে চট্টগ্রাম মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতাল থেকে এই ব্যক্তিকে বাংলাদেশ ইনস্টিটিউট অব ট্রপিক্যাল অ্যান্ড ইনফেকশাস ডিজিজে (বিআইটিআইডি) পাঠানো হয়। সেখানে আইসোলেশনে থাকা অবস্থায় তিনি মঙ্গলবার (৩১ মার্চ) রাত ৯টার দিকে সীতাকুণ্ডের বিআইটিআইডি হাসপাতালে মৃত্যুবরণ করেছেন। রোগীটি আগে থেকেই ডায়াবেটিসসহ বিভিন্ন রোগে ভুগছিলেন। সেই সঙ্গে হাঁপানিও ছিল। তাই তাকে আইসোলেশনে রাখার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। আইটিআইডির মাইক্রোবায়োলজি বিভাগের অধ্যাপক শাকিল আহমদ জানিয়েছেন, ‘(১ এপ্রিল) সকালে মৃত রোগীর নমুনা সংগ্রহ করে করোনা পরীক্ষা করা হবে। (সূত্রঃ বাংলানিউজ২৪, ৩১ মার্চ; জাগোনিউজ২৪, ৩১ মার্চ)
মৃত্যু ৫৩
৩১ মার্চ। এ ব্যক্তি মঙ্গলবারে (৩১ মার্চ) প্রথমে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে যান। সেখান থেকে তাঁকে কুর্মিটোলা জেনারেল হাসপাতালে পাঠানো হয়। কুর্মিটোলা ওই রোগীকে সোহরাওয়ার্দীতে পাঠিয়ে দেয়। সোহরাওয়ার্দী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের আইসোলেশন ওয়ার্ডে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তিনি সন্ধ্যার দিকে মারা যান। সোহরাওয়ার্দী হাসপাতালের পরিচালক জানিয়েছেন, ওই রোগীর শরীর থেকে নমুনা সংগ্রহ করা হয়নি। তবে আরেকট একটি সূত্র মারফত প্রথম আলো জানিয়েছে, মৃত্যুর পর তাঁর শরীর থেকে নমুনা সংগ্রহ করে শিশু হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। (সূত্রঃ প্রথম আলো, ১ এপ্রিল)
মৃত্যু ৫৪
৩১ মার্চ। ঝালকাঠির কাঁঠালিয়ার তিন বছরের এই শিশু গত কয়েক দিন ধরে জ্বরে আক্রান্ত ছিল। শিশুটি জ্বরের পাশাপাশি ডায়রিয়াতেও আক্রান্ত হয়। মঙ্গলবার (৩১ মার্চ) সন্ধ্যায় শিশুটি নিজ বাড়িতে মারা যায়। এ অবস্থায় মারা যাওয়ায় সে করোনাভাইরাসে আক্রান্ত বলে সন্দেহ করা হচ্ছে। সতর্কতামূলক ব্যবস্থা হিসেবে আলভীর বাড়ির ছয়টি পরিবারের ৩০ জনকে ১৪ দিন হোম কোয়ারন্টিনে থাকার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। শিশুটির নমুনা সংগ্রহ করে ঢাকায় পাঠানো হইেছে। (সূত্রঃ প্রথম আলো, ১ এপ্রিল)
মৃত্যু ৫৫
৩১ মার্চ। মঙ্গলবার (৩১ মার্চ) বিকেল ৫টার দিকে এই যুবককে রাজশাহী মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে আসা হলে জ্বর সর্দি-কাশি ও শ্বাসকষ্ট থাকায় তাকে হাসপাতালের ৩৯ নম্বর ওয়ার্ডে (করোনা ওয়ার্ড) ভর্তি করা হয়। রাত সাড়ে আটটার দিকে তার মৃত্যু হয়। রামেক হাসপাতালের রেকর্ড খাতায় ওই যুবকের মৃত্যুর কারণ লেখা রয়েছে ‘Severe Bronchial Asthma’ (মারাত্মক শ্বাসনালীর হাঁপানি)। (সূত্রঃ রাজশাহী এক্সপ্রেস, ৩১ মার্চ)
মৃত্যু ৫৬
৩১ মার্চ। নড়াইলের এই যুবক ১০ দিন ধরে জ্বর, বমি ও শ্বাসকষ্টে ভুগছিলেন। করোনা ভাইরাসের বিভিন্ন উপসর্গ থাকায় তার পরিবার আইইডিসিআর’র হটলাইনে যোগাযোগ করেও সন্তোজজনক কোনো উত্তর পায়নি। কয়েকদিন ধরে একটি প্রাইভেট ক্লিনিকে চিকিৎসা সেবা দেয়া হয়। কিন্তু অবস্থার কোনো পরিবর্তন না হওয়ায় মঙ্গলবার (৩১ মার্চ) রাত পৌনে ৯টার সময় সদর হাসপাতালে ভর্তি করে পরিবার। ভর্তির পর ওয়ার্ডে নেয়ার সময় মারা যান তিনি। পরে রাতেই তাকে দাফন করা হয়। হাসপাতালের আবাসিক মেডিকেল অফিসার (আরএমও) বলেন, ‘১৫ মিনিটে কোনো করোনায় আক্রান্ত রোগী মারা যেতে পারে না। তিনি মিনি স্ট্রোকে মারা গেছেন।’ (সূত্রঃ জাগোনিউজ২৪, ১ এপ্রিল)
মৃত্যু ৫৭
৩১ মার্চ। শরীয়তপুরের নড়িয়া উপজেলার এই যুবক পেশায় শ্রমিক ছিলেন। গত ১৯ মার্চ কাশি নিয়ে হাসপাতালে ভর্তি হন তিনি। পরীক্ষায় তার যক্ষ্মা ধরা পড়ায় তাকে চিকিৎসা দেয়া হয়। চিকিৎসা শেষে ২৩ মার্চ তিনি সদর হাসপাতাল থেকে বাড়িতে চলে যান। গত মঙ্গলবার (৩১ মার্চ) তিনি শ্বাসকষ্ট নিয়ে হাসপাতালে আসেন। শারীরিক অবস্থা খারাপ ছিল তার। শ্বাসকষ্ট, জ্বর ও কাশি থাকায় ওই যুবককে মঙ্গলবার (৩১ মার্চ) সন্ধ্যায় শরীয়তপুর সদর হাসপাতালের আইসোলেশন ওয়ার্ডে রেখে চিকিৎসা দেয়া হচ্ছিল। চিকিৎসা দেয়া অবস্থায় রাত ৯টার দিকে তিনি মারা যান । ওই ব্যক্তির নমুনা সংগ্রহ করে আইইডিসিআর’এ পাঠানো হইেছে। তার বাড়ির আশপাশের পাঁচটি বাড়ি লকডাউন করেছে উপজেলা প্রশাসন। (সূত্রঃ জাগোনিউজ২৪, ১ এপ্রিল)
মৃত্যু ৫৮
৩১ মার্চ। ঝালকাঠির রাজাপুরের এই ব্যক্তি দীর্ঘ ১০ দিন ধরে জ্বরে আক্রান্ত হয়ে একটি ক্লিনিকে এবং বরিশাল শেবাচিমে চিকিৎসা নিয়ে বাড়িতেই অবস্থান করেছিলেন। মঙ্গলবার (৩১ মার্চ) সকালে উপজেলার সাউথপুর গ্রামের নাপিতবাড়ি এলাকায় তার মৃত্যু ঘটে। অসুস্থ অবস্থায় তিনি বাহিরে ঘোরাফেরাও করতেন বলে স্থানীয়রা জানান। রাজাপুর স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের টিএইচও জানান, তিনি জ্বরে মারা গেছেন, জীবিত লোকের করোনা পরীক্ষা করাই মুশকিল, তারপর তো মৃত ব্যক্তির? (সূত্রঃ বিডি-প্রতিদিন, ৩১ মার্চ)
মৃত্যু_৫৯
১ এপ্রিল। গত ২৬ মার্চ সন্ধ্যার দিকে সাতক্ষীরার কালীগঞ্জের এই নারীর জ্বর শুরু হয়। ২৭ মার্চ তিনি শ্বশুরবাড়ি থেকে বন্দকাটি গ্রামে বাবার বাড়িতে চলে আসেন। ২৮ মার্চ স্থানীয় পল্লি চিকিৎসককে দেখান। কিন্তু সুস্থ না হওয়ায় স্থানীয় একজন হোমিওপ্যাথি চিকিৎসকের শরণাপন্ন হন। বুধবার (১ এপ্রিল) ভোরে কালীগঞ্জ উপজেলার বন্দকাটি গ্রামে বাবার বাড়িতে তাঁর মৃত্যু হয়। উপসর্গগুলো করোনাভাইরাসের মতো হওয়ায় সতর্কতামূলক ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে। স্থানীয় গ্রাম পুলিশ সদস্যের মাধ্যমে ওই বাড়ির সদস্যদের আপাতত বিচ্ছিন্ন করে রাখা হয়েছে। (সূত্রঃ প্রথম আলো, ১ এপ্রিল)
মৃত্যু ৬০_৬১
১ এপ্রিল। গত মঙ্গলবার (৩১ মার্চ) এই দুজন ব্যক্তি জ্বর, সর্দি ও কাশি নিয়ে ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের আইসোলেশন ওয়ার্ডে ভর্তি হন। বুধবার (১ এপ্রিল) বিকাল ৫ টায় ও রাত সাড়ে ১০ টায় তারা মারা যান। তাদের বয়স ছিল যথাক্রমে ৬৫ বছর ও ৩২ বছর। মৃত্যুর পরে তাদের নমুনা সংগ্রহ করে আইইডিসিআর-এ পাঠানো হয়েছে। (সূত্রঃ ডেইলীস্টার, ১ এপ্রিল)
মৃত্যু ৬২
১ এপ্রিল। বগুড়ার গাবতলী উপজেলার মহিষাবান এলাকার এই কিশোর ৭ দিন ধরে দুই পায়ে ব্যথা, তিনদিন ধরে জ্বর নিয়ে বগুড়া শহীদ জিয়াউর রহমান মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি ছিল। করোনার সব লক্ষণ থাকার কারণে এবং বুধবার (১ এপ্রিল) সকাল থেকে শ্বাসকষ্ট শুরু হওয়ায় ছেলেটিকে শহীদ জিয়াউর রহমান মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল থেকে বিকেলে মোহাম্মদ আলী হাসপাতালের আইসোলেশন ইউনিটে স্থানান্তর করা হয়। সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় রাত সাড়ে ৭টার দিকে মারা যায় সে। ছেলেটির করোনা নমুনাসহ ভর্তিকৃত সব রোগীর নমুনা পরীক্ষার জন্য বুধবারই নিজস্ব পরিবহনযোগে রাজশাহী মেডিকেল কলেজে পাঠানো হয়েছে। (সূত্রঃ সময়ের কন্ঠস্বর, ১ এপ্রিল)
মৃত্যু ৬৩
১ এপ্রিল। লক্ষ্মীপুর সদর উপজেলার এই বৃদ্ধ জ্বর, সর্দি ও ডায়রিয়ায় আক্রান্ত ছিলেন। বুধবার (১ এপ্রিল) বিকেলে তিনি মারা যান। রাতেই তাঁর দাফন হয়। তিনি করোনাভাইরাসে আক্রান্ত ছিলেন কিনা জানতে তাঁর নমুনা সংগ্রহ করা হয়েছে। এ ঘটনায় বৃহস্পতিবার (২ এপ্রিল) ওই বাড়ির নয়টি ঘর লকডাউন করেছে প্রশাসন। (সূত্রঃ প্রথম আলো, ২ এপ্রিল)
মৃত্যু ৬৪
১ এপ্রিল। কক্সবাজার সদরের এই কিশোরকে মঙ্গলবার (৩১ মার্চ) রাতে চট্টগ্রাম জেনারেল হাসপাতালে আনা হয়। সে কক্সবাজার সদর হাসপাতালে চিকিৎসাধীন ছিল। তার নিউমোনিয়ার উপসর্গ এবং শ্বাসকষ্ট ছিল বলে চিকিৎসকদের সূত্রে জানা গেছে। বুধবার (১ এপ্রিল) সকাল সাড়ে ৭টার দিকে ছেলেটি মারা যায়। তার মৃত্যুর পর তার বাবাকে একই হাসপাতালের আইসোলেশনে পাঠানো হয়েছিল। সীতাকুণ্ডের ফৌজদারহাটে অবস্থিত বাংলাদেশ ইনস্টিটিউট অব ট্রপিক্যাল অ্যান্ড ইনফেকশাস ডিজিজেস (বিআইটিআইডি) এ ছেলে ও তার বাবার নমুনা পাঠানো হয়। তাদের দুজনের ফলাফল নেগেটিভ এসেছে। তার বাবাকে আইসোলেশন থেকে ছেড়ে দেওয়া হয়েছে। (সূত্রঃ প্রথম আলো, ১ এপ্রিল)
মৃত্যু ৬৫
১ এপ্রিল। গত ৪/৫ দিন আগে ফেনী সদর উপজেলার পশ্চিম ছনুয়া গ্রামের এই যুবকের জ্বর ও শ্বাসকষ্ট দেখা দেয়। সোমবার তার স্বজনরা ফেনী জেনারেল হাসপাতালে নিয়ে আসলে চিকিৎসক প্রাথমিক চিকিৎসা দিয়ে বাড়িতে অবস্থানের পরামর্শ দেন। মঙ্গলবার (৩০ মার্চ) রাত থেকে যুবকের শ্বাসকষ্ট বেড়ে যায়। এরপর বুধবার (৩১ মার্চ) দুপুরের দিকে তার মৃত্যু হয়। ফেনী সেন্ট্রাল হাইস্কুল সংলগ্ন একটি গ্রিল ওয়ার্কশপে কাজ করতেন ওই যুবক। জেলা সিভিল সার্জন জানান, কী কারণে যুবকের মৃত্যু হয়েছে তা জানতে পরীক্ষা-নিরীক্ষার জন্য আইইডিসিআরকে অবহিত করা হয়েছে। (সূত্রঃ দেশ রূপান্তর, ১ এপ্রিল)
মৃত্যু ৬৬
১ এপ্রিল। রাজধানীর শেরেবাংলা নগরের জাতীয় অর্থোপেডিক হাসপাতাল ও পুনর্বাসন প্রতিষ্ঠানের (পঙ্গু হাসপাতাল) ডরমিটরিতে বাসরত এক নার্সের স্বামী চার-পাঁচ দিন ধরে জ্বর ও কাশিতে ভুগছিলেন। গত বৃহস্পতিবার ডরমিটরির ওয়াশরুমে গিয়ে জ্বরে আক্রান্ত তিনি পড়ে অচেতন হয়ে যান। সেখান থেকে উদ্ধার করে প্রথমে তাঁকে ন্যাশনাল ইনস্টিটিউট অব নিউরোসায়েন্সেস অ্যান্ড হসপিটালে নেওয়া হয়। সেখান থেকে তাঁকে শহীদ সোহরাওয়ার্দী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে স্থানান্তর করা হয়। বুধবার রাতে (১ এপ্রিল) ওই ব্যক্তি শহীদ সোহরাওয়ার্দী হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান। মৃত ব্যক্তির করোনাভাইরাসে আক্রান্তের লক্ষণ থাকায় বৃহস্পতিবার (২ এপ্রিল) ওই ডরমিটরির ৩৫ চিকিৎসক ও নার্স পরিবারকে হোম কোয়ারেন্টিনে থাকার নির্দেশ দিয়েছে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ। মৃতদেহের মুখ ও গলার সোয়াব (নাকের না?) সংগ্রহ করে পরীক্ষার জন্য পাঠানো হয়েছে। (সূত্রঃ প্রথম আলো, ১ এপ্রিল)
মৃত্যু ৬৭
২ এপ্রিল। সুনামগঞ্জের দোয়ারাবাজারে ১৭ মার্চ ওমান থেকে আসেন এই প্রবাসী। নিয়ম মেনেই তিনি হোম কোয়ারেন্টাইনে ছিলেন । বৃহস্পতিবার সকালে পেট ব্যথার সঙ্গে কয়েকবার বমি হয় তার। একপর্যায়ে মারা যান তিনি। এ ঘটনায় পুরো গ্রাম লকডাউন করা হয়েছে। মৃতদেহ থেকে নমুনা সংগ্রহ করা হয়েছে। (সূত্রঃ ইন্ডিপেন্ডেন্ট২৪ ডট কম, ২ এপ্রিল)
মৃত্যু ৬৮
৩ এপ্রিল। মাগুরার মহম্মদপুরের এই ব্যক্তি জ্বর, কাশি ও শ্বাসকষ্ট নিয়ে বৃহস্পতিবার (২ এপ্রিল) সকালে মহম্মদপুর স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি হন। এ সময় করোনা সন্দেহে চিকিৎসকরা তাকে কোভিড-১৯ আইসোলেশন ওয়ার্ডে রাখেন। পরে অবস্থার অবনতি হলে শুক্রবার (৩ এপ্রিল) সকালে ফরিদপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়। সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তার মৃত্যু হয়। উদ্ভূত পরিস্থিতিতে স্থানীয় প্রশাসন মৃতের বাড়ি, সংস্পর্শে আসা নিকট আত্মীয়সহ প্রতিবেশিদের কয়েকটা বাড়ি লকডাউন করেছে। করোনার বিষয়টি নিশ্চিত হতে নমুনা ঢাকায় পাঠানো হয়েছে। (সূত্রঃ দ্য ডেইলি ক্যাম্পাস, ৩ এপ্রিল)
মৃত্যু ৬৯
৩ এপ্রিল। লক্ষীপুরের কমলনগর উপজেলার তোরাবগঞ্জ ইউনিয়নের ২ নম্বর ওয়ার্ডের দুই বছর দুই মাস বয়সের এই শিশুর শ্বাসকষ্ট ও কাশি ছিল। দুদিন আগে শিশুটির শ্বাসকষ্ট ও কাশি বেড়ে যায়। পরে খিঁচুনি শুরু হওয়ায় ও শ্বাসকষ্টে শুক্রবার (৩ এপ্রিল) সন্ধ্যায় সে মারা যায়। এ ঘটনায় রাতেই প্রশাসন তিনটি পরিবারকে লকডাউন করে দেয়। করোনাভাইরাসের শনাক্তকরণের পরীক্ষার জন্য মৃতদেহ থেকে নমুনা সংগ্রহ করে ঢাকায় সরকারের রোগতত্ত্ব, রোগনিয়ন্ত্রণ ও গবেষণা প্রতিষ্ঠানে (আইইসিডিআর) পাঠানো হয়েছে। (সূত্রঃ প্রথম আলো, ৪ এপ্রিল)
মৃত্যু ৭০
৩ এপ্রিল। নারায়ণগঞ্জের এই ব্যক্তি এক সপ্তাহ ধরে অসুস্থ ছিলেন। তাঁর ঠান্ডা-জ্বর ও শ্বাসকষ্ট ছিল। মাঝে একদিন তিনি ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে গিয়ে চিকিৎসা নেন। এরপর থেকে বাড়িতেই ছিলেন। শুক্রবার (৩ এপ্রিল) রাতে হঠাৎ অসুস্থ হয়ে পড়েন। এরপর তাঁকে খানপুর ৩০০ শয্যা হাসপাতালে নেওয়া হয়। সেখানে চিকিৎসকেরা তাঁকে মৃত ঘোষণা করেন। উপসর্গ দেখে চিকিৎসকেরা বলেন, তিনি হৃদ্রোগে আক্রান্ত হয়ে মারা গেছেন। ওই পরিবারের লোকজন ও ভাড়াটিয়াসহ ১৩ জনকে হোম কোয়ারেন্টিনে থাকতে বলা হয়েছে। (সূত্রঃ প্রথম আলো, ৪ এপ্রিল)
মৃত্যু ৭১
৩ এপ্রিল। জ্বর-সর্দি ও শ্বাসকষ্টে শুক্রবার (৩ এপ্রিল) নারায়ণগঞ্জের দেওভোগ গাঙ্গুলীবাড়ি এলাকার হোসিয়ারির মালিক এই ব্যবসায়ী মারা গেছেন। তিনি ঢাকার একটি ক্লিনিকে মারা যান। (সূত্রঃ যুগান্তর, ৫ এপ্রিল)
মৃত্যু ৭২
৩ এপ্রিল। নাটোরে সদর উপজেলার কাফুরিয়া গ্রামের এই ব্যক্তি জ্বর, সর্দি ও কাশিতে ভুগছিলেন। তিনি শুক্রবার (৩ এপ্রিল) রাতে মারা যান। তিনি করোনায় আক্রান্ত ছিলেন কিনা, তা পরীক্ষার জন্য নমুনা সংগ্রহ করেছে স্বাস্থ্য বিভাগ। (সূত্রঃ যুগান্তর, ৫ এপ্রিল)
মৃত্যু ৭৩
৪ এপ্রিল। গাইবান্ধার সুন্দরগঞ্জের এই বৃদ্ধ গত ২৪ মার্চ তারিখে বগুড়া শহরের পুরান বগুড়ায় ছেলের ভাড়া বাসায় বেড়াতে আসেন। শনিবার (৪ এপ্রিল) শ্বাসকষ্টে তিনি মারা গেছেন। মৃত ব্যক্তির নমুনা সংগ্রহ করা হবে বলে জানান সিভিল সার্জন। (সূত্রঃ যুগান্তর, ৫ এপ্রিল)
মৃত্যু ৭৪
৪ এপ্রিল। শরীয়তপুরের সদর উপজেলার চন্দ্রপুরের রায়পুরের এই তরুনী সর্দি ও জ্বরে ভুগছিলেন। শনিবার (৪ এপ্রিল) সকালে তাকে হাসপাতালে আনার পরপরই মারা যান। তার নমুনা সংগ্রহ করা হয়েছে। এ ঘটনায় চারটি পরিবারের সাতজনকে কোয়ারেন্টাইনে থাকতে বলা হয়েছে। (সূত্রঃ যুগান্তর, ৫ এপ্রিল)
মৃত্যু ৭৫
৪ এপ্রিল। নেত্রকোনার খালিয়াজুরী উপজেলা সদরের বড়হাটি গ্রামে সর্দি-জ্বর ও শ্বাসকষ্টে শনিবার (৪ এপ্রিল) এই দিনমজুরের মৃত্যু হয়েছে। এরপর তার নমুনা সংগ্রহ করা হয়। (সূত্রঃ যুগান্তর, ৫ এপ্রিল)
মৃত্যু ৭৬
৪ এপ্রিল। লক্ষীপুরের চরমার্টিন ইউনিয়নের ৯ নম্বর ওয়ার্ডের চার বছর বয়সের এই শিশু জ্বরে আক্রান্ত ছিল। শনিবার (৪ এপ্রিল) সকালে তাকে নোয়াখালী সদর হাসপাতাল নেওয়ার পথে সে মারা যায়। করোনাভাইরাসের শনাক্তকরণের পরীক্ষার জন্য মৃতদেহ থেকে নমুনা সংগ্রহ করে ঢাকায় সরকারের রোগতত্ত্ব, রোগনিয়ন্ত্রণ ও গবেষণা প্রতিষ্ঠানে (আইইসিডিআর) পাঠানো হয়েছে। (সূত্রঃ প্রথম আলো, ৪ এপ্রিল)
মৃত্যু ৭৭
৪ এপ্রিল। চাঁদপুরের মতলব উত্তর উপজেলার দুর্গাপুর ইউনিয়নের মুন্সিরকান্দি গ্রামের এই নারী তিন দিন আগে নারায়ণগঞ্জ থেকে বাড়িতে আসেন। তিনি জ্বর, সর্দি, কাশি ও শ্বাসকষ্টে ভুগছিলেন। অসুস্থ হলেও আগের দিন এলাকায় ঘোরাফেরা করেন। কিন্তু শুক্রবার (৩ এপ্রিল) রাতের কোনো এক সময় ঘরের ভেতরে তাঁর মৃত্যু হয়। আশপাশের লোকজন আজ ভোরে বিষয়টি টের পান। এ ঘটনায় শনিবার (৪ এপ্রিল) সকাল থেকে চারটি বাড়ি লকডাউন করেছে প্রশাসন। সিভিল সার্জনের নির্দেশে ওই নারীর নমুনা সংগ্রহ করে করোনা পরীক্ষার জন্য পাঠানো হয়েছে। (সূত্রঃ প্রথম আলো, ৪ এপ্রিল)
মৃত্যু ৭৮
৫ এপ্রিল। ঢাকার এই দিনমজুরের বাড়ি ব্রাহ্মণবাড়িয়ার কসবায়। শনিবার (৪ এপ্রিল) হঠাৎ মাথাঘুরে পড়ে গেলে রাত সাড়ে ১২টার দিকে ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের মেডিসিন ইউনিটের ৬০১নং ওয়ার্ডে তাকে ভর্তি করা হয়। পরে শ্বাসকষ্ট হলে তাকে হাসপাতালের নতুন ভবনের নিচতলায় আইসোলেশনে নেয়া হয়। সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় রোববার (৫ এপ্রিল) বেলা সোয়া ১২টার দিকে তিনি মারা যান। মৃত ব্যক্তির রক্তের নমুনা পরীক্ষাগারে পাঠানো হয়েছে। (সূত্রঃ যুগান্তর, ৬ এপ্রিল)
মৃত্যু ৭৯
৫ এপ্রিল। নেত্রকোনার পূর্বধলা উপজেলার হোগলা ইউনিয়নের কালীহর জোয়াদ্দারপাড়ার এই নারীর চার দিন ধরে হালকা জ্বর ও কাশি ছিল। হঠাৎ করে শনিবার থেকে শ্বাসকষ্টসহ পাতলা পায়খানা শুরু হয়। এ অবস্থায় রোববার ভোরে তিনি তার নিজ বাড়িতে মারা যান। ওই নারীর করোনার উপসর্গ সন্দেহে নমুনা সংগ্রহ করা হচ্ছে। ওই বাড়ির আশপাশের আটটি পরিবারকে কোয়ারেন্টিনে রাখা হয়েছে। (সূত্রঃ যুগান্তর, ৬ এপ্রিল)
মৃত্যু ৮০
৫ এপ্রিল। বাগেরহাটের রামপালের এই ব্যক্তি কয়েকদিন ধরে অসুস্থ ছিলেন। তিনি জ্বর, সর্দি ও কাশিতে ভুগছিলেন। রোববার (৫ এপ্রিল) ভোরে অসুস্থ হয়ে পড়লে খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেয়া হলে হাসপাতালের সামনেই তিনি মারা যান। যেহেতু ওই লাশ থেকে নমুনা সংগ্রহ করতে যায়নি সেহেতু ওই ব্যক্তি করোনাভাইরাসে মারা গেছে কিনা সেটা জানা সম্ভব হয়নি। তার পরিবারের সদস্যসহ ১০ দিন ধরে তিনি কোথায় কোথায় ঘোরাফেরা করেছেন তাদেরও চিহ্নিত করে হোম কোয়ারেন্টিনে রাখা হবে। (সূত্রঃ যুগান্তর, ৬ এপ্রিল)
মৃত্যু ৮১
৫ এপ্রিল। মুন্সিগঞ্জের টঙ্গীবাড়ী উপজেলার এই নারীর হঠাৎ শ্বাসকষ্ট দেখা দিলে তাকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। রোববার (৫ এপ্রিল) ভোররাতে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তার মৃত্যু হয়। ডাক্তার বলেছেন, ওই গৃহবধূর শ্বাসকষ্ট, জন্ডিস ও লিভারে পানি এসে মারা গেছেন। (সূত্রঃ যুগান্তর, ৬ এপ্রিল)
মৃত্যু ৮২
৫ এপ্রিল। জ্বর ও শ্বাসকষ্টে আক্রান্ত হয়ে মাদারীপুরের কালকিনি উপজেলার এই ড্রেজার ব্যবসায়ী শনিবার (৪ এপ্রিল) দুপুরের পর জ্বর–সর্দিতে আক্রান্ত হন। রাতে শ্বাসকষ্ট শুরু হলে তিনি মারা যান।। শনিবার মধ্যরাতে নিজের বাড়িতে মারা যান তিনি। তিনি করোনাভাইরাসে আক্রান্ত ছিলেন কি না, তা নিশ্চিত হওয়ার জন্য আজ রোববার নমুনা সংগ্রহ করা হয়েছে। তিনি বিদেশফেরত কোনো ব্যক্তি নন। ১ মার্চ থেকে মাদারীপুরে আসেন ৩ হাজার ৫৩২ জন প্রবাসী। তাঁদের মধ্যে হোম কোয়ারেন্টিনে ছিলেন ১ হাজার ৩৮৮ জন। ইতিমধ্যে হোম কোয়ারেন্টিন শেষ হয়েছে ১ হাজার ১৯১ জনের। বর্তমানে হোম কোয়ারেন্টিনে আছেন ২১৭ জন। (সূত্রঃ প্রথম আলো, ৫ এপ্রিল)
মৃত্যু ৮৩
৫ এপ্রিল। গাইবান্ধার গোবিন্দগঞ্জের এই ব্যক্তি কয়েক দিন ধরে সর্দি, জ্বর ও কাশি নিয়ে ভুগছিলেন ওই ব্যক্তি। তিনি কয়েক দিন আগে গলাব্যথা নিয়ে পল্লি চিকিৎসকের শরণাপন্ন হন। কিন্তু তাতেও সুস্থ না হওয়ায় গত বৃহস্পতিবার (২ এপ্রিল) পরিবারের লোকজন জ্বর ও সর্দির ওষুধ নিতে ওই পল্লি চিকিৎসকের বাড়িতে যান। তখন ওই চিকিৎসক তাঁদের উন্নত চিকিৎসা নেওয়ার পরামর্শ দেন। রোববার (৫ এপ্রিল) বেলা ১১টার দিকে তিনি নিজ বাড়িতে মারা যান। করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে তাঁর মৃত্যু হয়েছে কি না, তা জানতে নমুনা সংগ্রহ করা হয়েছে।(সূত্রঃ প্রথম আলো, ৫ এপ্রিল)
মৃত্যু ৮৪
৫ এপ্রিল। কুমিল্লার দাউদকান্দি উপজেলার এই বৃদ্ধ দীর্ঘদিন অ্যাজমায় ভুগছিলেন। কয়েকদিন আগে স্বর্দি, জ্বর ও মাথাব্যথায় আক্রান্ত হয়ে চিকিৎসার জন্য গৌরীপুরে চিকৎিসার জন্য গিয়েছিলেন। তাকে রোবাবার (৫ এপ্রিল) আইসোলেশন সেন্টারে নিয়ে আসার কথা ছিল। তার আগেই রবিবার (০৫ এপ্রিল) ভোরে তিনি মারা যান। পরীক্ষার জন্য নমুনা ঢাকায় পাঠানো হইয়েছে। (সূত্রঃ কালের কন্ঠ, ৫ এপ্রিল)
মৃত্যু ৮৫
৬ এপ্রিল। ফরিদপুর জেলার মধুখালী উপজেলার চর মুরাদিয়া গ্রামের এই ব্যক্তি গত ৪ এপ্রিল শ্বাসকষ্ট ও জ্বর নিয়ে তিনি মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি হন। তিনি কিডনী সমস্যায়ও ভুগছিলেন। অবস্থা সংকটাপন্ন হওয়ায় তাকে রোববার আইসোলেশনে রাখা হয়েছিল। সোমবার সকাল ৮টার দিকে তিনি মারা যান। তিনি করোনায় আক্রান্ত ছিলেন কিনা তা পরীক্ষা করার জন্য নমুনা সংগ্রহ করে ঢাকায় পাঠানো হয়েছে। (সূত্রঃ নিউজ২৪বিডি ডট টিভি, ৬ এপ্রিল)
মৃত্যু ৮৬
৬ এপ্রিল। নেত্রকোনার পূর্বধলার এই ব্যক্তি গত বুধবার (১ এপ্রিল) থেকে হঠাৎ করে হালকা জ্বর ও কাশি সমস্যায় ভুগছিলেন। রোববার (৫ এপ্রিল) থেকে তাঁর শ্বাসকষ্ট শুরু হয়। খবর পেয়ে স্বাস্থ্য বিভাগের চিকিৎসকেরা সোমবার (৬ এপ্রিল) সকালে তাঁর শরীর থেকে নমুনা সংগ্রহ করে করোনা পরীক্ষার জন্য নিয়ে যান এবং প্রয়োজনীয় ওষুধ সরবরাহ করেন। কিন্তু, সোমবার (৬ এপ্রিল) রাত পৌনে নয়টায় নিজ বাড়িতে তিনি মারা যান। কিন্তু রাত পৌনে নয়টায় দিকে তিনি মারা যান। জেলা প্রশাসক ও পুলিশ সুপারের নির্দেশে আটটি বাড়ি লকডাউন করে দেওয়া হয়েছে। (সূত্রঃ প্রথম আলো, ৭ এপ্রিল)
মৃত্যু ৮৭
৬ এপ্রিল। ফরিদপুরের ভাঙ্গা উপজেলার চুমুরদী ইউনিয়নে এই বৃদ্ধ নিজের বাড়িতে দীর্ঘদিন ধরে জ্বর ও শ্বাসকষ্টসহ লিভার ক্যান্সারে আক্রান্ত ছিলেন। জ্বর ও শ্বাসকষ্টে ভোগে গত সোমবার (৬ এপ্রিল) ভোরে তার মৃত্যু হয়েছে। স্বজনরা তার মৃত্যুর খবর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে জানানোর পর শরীর থেকে নমুনা সংগ্রহ করা হয়েছে। এছাড়া পরিবারের সদস্যদের কোয়ারেন্টিনে থাকার নির্দেশ দেয়া হয়েছে। (সূত্রঃ বণিক বার্তা, ৭ এপ্রিল)
মৃত্যু ৮৮
৬ এপ্রিল। সিরাজগঞ্জ জেলার তাড়াশের এই যুবক গত ১ এপ্রিল ঢাকা থেকে বাড়িতে ফিরেন। তখন থেকেই তার হাঁচি-কাশির উপসর্গ ছিল। ধীরে ধীরে গলাব্যথা ও ডায়রিয়া শুরু হয়। গত সোমবার (৬ এপ্রিল) দুপুরে অবস্থার অবনতি হলে তাকে বগুড়ার শহীদ জিয়াউর রহমান মেডিকেল কলেজ (শজিমেক) হাসপাতালে নেয়ার পথে তিনি মারা যান। জ্বর, সর্দি-কাশি, গলাব্যথা, বমি ও ডায়রিয়ায় আক্রান্ত হয়ে এক যুবকের মৃত্যু হয়েছে। গতকাল দুপুরে হাসপাতালে নেয়ার পথে তিনি মারা যান। তার মৃত্যুর পর বাড়িটি লকডাউন করেছে প্রশাসন। খবর পেয়ে তার বাড়িতে মেডিকেল টিম পাঠিয়ে নমুনা সংগ্রহ করা হয়েছে। (সূত্রঃ বণিক বার্তা, ৭ এপ্রিল)
মৃত্যু ৮৯
৫ এপ্রিল। ময়মনসিংহের হালুয়াঘাটে জ্বর, সর্দি ও শ্বাসকষ্ট নিয়ে এই বৃদ্ধের মৃত্যু হয়েছে। গত রোববার (৫ এপ্রিল) বিকালে হাসপাতালে নেয়ার পথে তিনি মারা যান। রোববার বিকেলে এই বৃদ্ধ মারা গেলেও সোমবার (৬ এপ্রিল) সকালে মৃতদেহ থেকে নমুনা সংগ্রহ করে ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। মৃত ব্যক্তির বাড়িসহ আশপাশের বাড়িগুলো লকডাউন করা হয়েছে। (সূত্রঃ বণিক বার্তা, ৭ এপ্রিল)
মৃত্যু ৯০
৬ এপ্রিল। রাজবাড়ীর পাংশা উপজেলার বাহাদুরপুর ইউনিয়নের এই যুবক ঢাকা থেকে গত শনিবার (৪ এপ্রিল) ঢাকা থেকে পাবনায় তার শ্বশুরবাড়ি যান। সেখান থেকে গত রোববার (৫ এপ্রিল) সকালে পাংশা উপজেলায় নিজের বাড়ি আসেন।। তিনি জ্বর, সদি-কাশি ও গলাব্যথা নিয়ে স্থানীয় পল্লী চিকিৎসকের পরামর্শে ওষুধ সেবন করছিলেন। গত সোমবার বেলা ৩টার দিকে তিনি নিজ বাড়িতেই মারা যান তিনি। তার মৃত্যুর পর তার বাড়িসহ আশেপাশের কয়েকটি বাড়ি লকডাউন করা হয়েছে। এছাড়া নমুনা সংগ্রহ করে পরীক্ষার জন্য ঢাকায় পাঠানো হয়েছে। একই সঙ্গে মৃত ব্যক্তিকে চিকিৎসাদানকারী চিকিৎসক ও তার পরিবারের লোকজনকে কোয়ারেন্টিনে রাখা হয়েছে। (সূত্রঃ বণিক বার্তা, ৭ এপ্রিল)
মৃত্যু ৯১
৬ এপ্রিল। ময়মনসিংহের ঈশ্বরগঞ্জ উপজেলার এই ব্যক্তি তিন দিন ধরে জ্বরে আক্রান্ত ছিলেন তিনি। সঙ্গে গলাব্যথা ও শ্বাসকষ্ট ছিল। শ্বাসকষ্ট দেখা দিলে গত রোববার (৫ এপ্রিল) তাকে ঈশ্বরগঞ্জ হাসপাতালে নেওয়া হয়। সেখানে তার কাছে কোনো চিকিৎসক আসেননি। পরে তাকে ময়মনসিংহের সূর্যকান্ত হাসপাতালে (এস কে হাসপাতাল) স্থাপিত আইসোলেশন ইউনিটে নেওয়া হয়। সেখানকার চিকিৎসকেরা তাঁর ভাইকে চিকিৎসা দিলে তাঁর শ্বাসকষ্ট ভালো হয়। হাঁপানি নিয়ন্ত্রণে রয়েছে জানালে তাঁকে ওই দিনই বাড়ি নিয়ে যাওয়া হয়। ওই দিন রাতে ঘুমানোর আগে তাঁর ভাইয়ের মাথায় যন্ত্রণা শুরু হয়। পরদিন সোমবার (৬ এপ্রিল) সকাল আটটার দিকে ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। সেখানে তিনি শ্বাসকষ্টে ছটফট করলেও হাসপাতালের কেউ অক্সিজেন দিতে এগিয়ে আসেননি। শেষ পর্যন্ত সোমবার (৬ এপ্রিল) রাতে তিনি মারা যান। মৃত্যুর পর তাঁর শরীর থেকে নমুনা সংগ্রহ করা হয়েছে। (সূত্রঃ প্রথম আলো, ৭ এপ্রিল)
মৃত্যু ৯২
৭ এপ্রিল। খুলনার রূপসা উপজেলার দেবীপুরের ৬০ বছর বয়সী ওই বৃদ্ধা এক সপ্তাহ আগে ঢাকা থেকে খুলনায় আসেন। তিনি মঙ্গলবার (৭ এপ্রিল) সকালে নিজ বাড়িতে মারা যান। ওই বাড়িতে থাকা তার নাতিও (২৫) অসুস্থ। তাকে উপজেলা হাসপাতালের আইসোলেশনে রাখা হয়েছে। মৃত ব্যক্তিসহ তার সেবায় নিয়োজিত ও সংস্পর্শে যারা ছিলেন তাদের সকলের স্যাম্পল সংগ্রহ করাহয়েছে। দেবীপুরের ওই বাড়িটি লক ডাউন করা হয়েছে। (সূত্রঃ বনিকবার্তা, ৭ এপ্রিল)
মৃত্যু ৯৩
৭ এপ্রিল। কিশোরগঞ্জের বাজিতপুরের এই রিকশা চালক দশ বছর ধরে শ্বাসকষ্টের রোগী ছিলেন। বিভিন্ন হাসপাতাল থেকে এই রোগের চিকিৎসা নিতেন। শ্বাসকষ্ট সমস্যা নিয়ে রিকশা চালিয়ে আসছিলেন। সোমবার (৬ এপ্রিল) সকাল দশটার দিকে পরিবারের সদস্যদের নিয়ে তিনি হাসপাতালে এসে শ্বাসকষ্টের কথা জানালে তাকে আইসোলেশন ইউনিটে নেওয়া হয়। মঙ্গলবার (৭ এপ্রিল) সকালে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের আইসোলেশন ইউনিটে তার মৃত্যু হয়। সোমবার (৬ এপ্রিল) তার শরীর থেকে নমুনা সংগ্রহ করা হলেও পরদিন (৭ এপ্রিল) কিশোরগঞ্জ সিভিল সার্জন কার্যালয়ে পাঠানো হয়। (সূত্রঃ প্রথম আলো, ৭ এপ্রিল)
মৃত্যু ৯৪
৭ এপ্রিল। কিশোরগঞ্জের ভৈরব উপজেলার এই তরুণীকে তাঁর পরিবারের সদস্যরা হাসপাতালে নিয়ে আসেন। তখন তার শরীরে জ্বর, সর্দি ও কাশি ছিল। গত ১৮ ফেব্রুয়ারি ঢাকার বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয় হাসপাতালে মেয়েটিকে চিকিৎসা দেওয়া হয়। কিছুদিন আগে জহুরুল ইসলাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল থেকে চিকিৎসা করানো হয়। শেষ পর্যন্ত জ্বর ও সর্দি-কাশি নিয়ে মঙ্গলবার (৭ এপ্রিল) সন্ধ্যায় পৌর শহরের একটি বেসরকারি হাসপাতালে ভর্তি হওয়ার পাঁচ ঘণ্টা পর এই তরুণীর মৃত্যু হয়েছে। পরে ভৈরবের হাসপাতালটি লকডাউন ঘোষণা করে তারা। আশপাশের বসতির লোকজনের চলাচলও সীমিত করা হয়। নমুনা সংগ্রহ করা হয়েছে। (সূত্রঃ প্রথম আলো, ৭ এপ্রিল)
মৃত্যু ৯৫
৭ এপ্রিল। পঞ্চগড়ের দেবীগঞ্জ উপজেলার ১৩ বছর বয়সী এই কিশোরী কয়েক দিন ধরে জ্বর, কাশি ও শ্বাসকষ্টে ভুগছিল। মঙ্গলবার (৭ এপ্রিল) বেলা দুইটায় সে মারা যায়। সে করোনাভাইরাসে আক্রান্ত ছিল কি না, তা জানতে তার নমুনা সংগ্রহ করা হয়েছে। একদিন পরে, বুধবারে (৮ এপ্রিল) তা রংপুরে পাঠানো হয়। (সূত্রঃ প্রথম আলো, ৭ এপ্রিল)
মৃত্যু ৯৬
৭ এপ্রিল। সুনামগঞ্জের দোয়ারাবাজার উপজেলার এই ২৪ বছর বয়সী শ্রমিক নরসিংদীতে একটি ইটভাটার শ্রমিক হিসেবে কাজ করতেন। সেখান থেকেই সর্দি-জ্বর নিয়ে গত ২৬ মার্চ বাড়ি আসেন। মঙ্গলবার (৭ এপ্রিল) সন্ধ্যায় তার শ্বাসকষ্ট বেড়ে যায়। রাত নয়টার দিকে নিজ বাড়িতে তার মৃত্যু হয়। এ ঘটনায় ওই তরুণের বাড়ি লকডাউন ঘোষণা করেছে উপজেলা প্রশাসন। তার নমুনা সংগ্রহ করা হয়েছে। । (সূত্রঃ প্রথম আলো, ৮ এপ্রিল)
মৃত্যু ৯৭
৭ এপ্রিল। কিশোরগঞ্জের পাকুন্দিয়ার এই যুবককে জ্বর, সর্দি, কাশি ও শ্বাসকষ্ট থাকায় এক সপ্তাহ আগে হোম কোয়ারেন্টিনে থাকার পরামর্শ দেওয়া হয়। কিন্তু তিনি তা না মেনে বাইরে ঘোরাফেরা করতে থাকেন। মঙ্গলবার (৭ এপ্রিল) দুপুরে পার্শ্ববর্তী এলাকা থেকে ফেরার পথে বাড়ির সামনে এসে মারা যান তিনি। তিনি একটি ওষুধ কোম্পানির বিক্রয় প্রতিনিধি ছিলেন। মারা যাওয়ার পর করোনা পরীক্ষার জন্য তাঁর নমুনা সংগ্রহ করে আইইডিসিআরে পাঠানো হয়েছে। এদিকে এ ঘটনায় ওই পরিবারের সবাইকে হোম কোয়ারেন্টিনে রাখা হয়েছে এবং পুরো গ্রাম লকডাউন ঘোষণা করা হয়েছে। (সূত্রঃ প্রথম আলো, ৭ এপ্রিল)
মৃত্যু ৯৮
৭ এপ্রিল। ময়মনসিংহের নান্দাইল উপজেলার সদর ইউনিয়নের এই বক্তি ঢাকায় রিকশা চালাতেন। এক সপ্তাহ আগে তিনি জ্বর ও সর্দি-কাশি নিয়ে ঢাকা থেকে গ্রামের বাড়ি আসেন। মঙ্গলবার (৭ এপ্রিল) দুপুরের দিকে তাঁর মৃত্যু হয়। (সূত্রঃ প্রথম আলো, ৭ এপ্রিল)
মৃত্যু ৯৯
৭ এপ্রিল। ব্রাহ্মণবাড়িয়ার নাসিরনগরের এই ব্যক্তি গত ১৮ মার্চ মালয়েশিয়া থেকে দেশে আসেন। ১ এপ্রিল তাঁর হোম কোয়ারেন্টিন শেষ হয়। ৪ এপ্রিল শরীরে জ্বর নিয়ে চিকিৎসার জন্য উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে যান। রক্তের পরীক্ষায় তার শরীরে টাইফয়েডের জীবাণু ধরা পতলে তাকে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তির পরামর্শ দেওয়া হলেও তিনি বাড়িতে থেকেই চিকিৎসা চালাবেন বলে শ্বশুরবাড়িতে চলে যান। সোমবার (৬ এপ্রিল) রাতে তিনি অতিমাত্রায় জ্বর ও শ্বাসকষ্ট ভুগছেন বলে পরিবারের লোকজন চিকিৎসককে জানালে আবাসিক চিকিৎসা কর্মকর্তা দ্রুত তাকে স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে আসার জন্য বললেও তারা তা শোনেননি। মঙ্গলবার রাতে তাঁকে অটোরিকশায় করে স্ত্রী, বাবা ও শ্বশুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে যান। কিন্তু পথেই তাঁর মৃত্যু হয়। মৃতদেহ থেকে নমুনা সংগ্রহ করা হয়েছে। (সূত্রঃ প্রথম আলো, ৮ এপ্রিল)
মৃত্যু ১০০
৮ এপ্রিল। শরীয়তপুর জেলার নড়িয়া উপজেলার এই যুবক তিন দিন ধরে শ্বাসকষ্টে ভুগছিলেন। নড়িয়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে প্রাথমিক চিকিৎসার পর মঙ্গলবার (৭ এপ্রিল) দুপুরে তাকে শরীয়তপুর সদর হাসপাতালে আনা হয়। করোনা সংক্রমণ সন্দেহে তাঁকে আইসোলেশন ওয়ার্ডে রাখা হয়েছিল। এরপর নমুনা সংগ্রহ করে ঢাকায় আইইডিসিআরে পাঠানো হয়। এরই মধ্যে বুধবার (৮ এপ্রিল) বিকেল পৌনে চারটার দিকে তাঁর মৃত্যু হয়। (সূত্রঃ প্রথম আলো, ৮ এপ্রিল)
মৃত্যু ১০১
৮ এপ্রিল। গাজীপুরের কাপাসিয়া উপজেলার ২৭ বছর বয়সী এই চিকিৎসাকর্মী ২১ দিন আগে নারায়ণগঞ্জ থেকে বাড়িতে এসেছেন। তিনি সেখানে একটি বেসরকারি মেডিকেলে কাজ করতেন। কিছুদিন ধরে জ্বর, সর্দি, কাশি, গলাব্যথা নিয়ে বাড়িতে অবস্থান করছিলেন। হাসপাতালে চিকিৎসা নেননি। এরপর মঙ্গলবার (৮ এপ্রিল) রাত একটার দিকে তাঁর মৃত্যু হয়। তার ও পরিবারের অন্য সদস্যের নমুনা সংগ্রহ করা হয়েছে। (সূত্রঃ প্রথম আলো, ৮ এপ্রিল)
মৃত্যু ১০২
৯ এপ্রিল। বরগুনার পাথরঘাটা উপজেলার এই ব্যক্তি বৃহস্পতিবার (৯ এপ্রিল) সকাল নয়টার দিকে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি হন তিনি। বেলা ১১টার দিকে সেখানে মারা যান। তিনি দীর্ঘদিন ধরে নিউমোনিয়ায় ভুগছিলেন। গত কয়েক দিনে তার শ্বাসকষ্ট বেড়ে যায়। পাশাপাশি জ্বর শুরু হয়। তার নমুনা সংগ্রহ করা হয়েছে। (সূত্রঃ প্রথম আলো, ৯ এপ্রিল)
মৃত্যু ১০৩
৯ এপ্রিল। পাবনার সাঁথিয়া উপজেলাএই নারী গত ৭ মার্চ ওই নারী জ্বর, কাশি ও শ্বাসকষ্ট নিয়ে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে গেলে চিকিৎসক তাকে হোম কোয়ারেন্টিনে থাকার পরামর্শ দেন। এরপর থেকে তিনি বাড়িতে অবস্থান করে আসছিলেন। বুধবার তাঁর নমুনা সংগ্রহ করে করোনা পরীক্ষার জন্য রাজশাহীতে পাঠানো হয়। এর মধ্যেই তিনি বৃহস্পতিবার (৯ এপ্রিল) মারা যান। তিনি দীর্ঘদিন ধরে শ্বাসকষ্ট ও অ্যাজমা রোগে ভুগছিলেন। ওই বাড়িটি লকডাউন করে দেওয়া হয়েছে। (সূত্রঃ প্রথম আলো, ৯ এপ্রিল)
ফেসবুকে পাওয়া মৃত্যুর খবরঃ
মৃত্যু ১-৩
১৯ মার্চ। ১৯ মার্চ। ২৮ মার্চ। লোকমান হাকিম নামের একজনের ফেসবুক পোস্ট থেকে জানা যাচ্ছে, তার বড় চাচা (বড় জ্যাঠা) রাত সোয়া দশটার দিকে গ্রামে তাঁর নিজ বাড়িতে মারা গিয়েছেন তিনি দুইদিন ধরে জ্বর ও শ্বাসকষ্টে ভুগছিলেন। এর ৯ দিন আগে এই মৃত ব্যক্তির পুত্রবধুও (পোস্টদাতার ভাবী) ১০ বছর বয়সী এক মেয়ে রেখে মারা যান। সেই নারীর কিডনিজনিত জটিলতা থাকলেও কিছুদিন ধরে জ্বর ও অন্যান্য সমস্যায় ভুগছিলেন। এছাড়াও, একই গ্রামের আরেক ব্যক্তি, পোস্টদাতার বন্ধুর পিতা, প্রায় একই উপসর্গ (জ্বর, কাশি ও শ্বাসকষ্ট) নিয়ে মৃত্যুবরণ করেন। (সূত্রঃ লোকমান হাকিমের ফেসবুক পোস্ট)
মৃত্যু ৪
২৬ মার্চ। জিয়া হাসান নামে একজনের ফেসবুক পোস্ট থেকে জানা যাচ্ছে, পূর্ব বাসাবোর কমিশনার গলিতে একটি বিল্ডিং এর ফ্ল্যাট এ বসবাসরত এক ৬৫ বছর উর্ধ্ব নারী মারা গেছেন। তার ছেলে একটি বেসরকারী টিভি চ্যানেলে গাড়িচালকের চাকরি করেন। ভদ্রমহিলার জ্বর, কাশি এবং শ্বাসকষ্ট ছিলো। তাকে হাসপাতালে ভর্তি করাতে না পারে বা হ্যারাজমেন্ট হতে পারে এই আশংকায় হাসপাতালে নেয়া হয়নি। অনেক অনেকবার আই.ই.ডি.সি.আর-এ কল করেও পাওয়া যায়নি। মহিলা হঠাৎ মারা গেলে পুরো বিল্ডিং এর সবাই আতংকিত হয়ে পড়ে। লাশের কী হবে এই আশংকায় সবুজবাগ থানায় ফোন করেন। পুলিশ ছাদে লাশ গোসল দিয়ে দাফন করে ফেলতে বলেন। এরপর সেই লাশ প্রতিবেশীদের সহযোগীতা ছাড়া সেই বাড়ির লোক এবং দু’জন আত্মীয় বাড়ির গলির পাশে ফাঁকা জায়গায় গোসল দেয়। (সূত্রঃ জিয়া হাসানের ফেসবুক পোস্ট)
মৃত্যু ৫
২৭ মার্চ। নোয়াখালী জেলার চৌমুহনীর এই তরুণ দন্ত চিকিৎসক সর্দি-কাশিসহ জ্বরে ভুগছিলেন। শুক্রবার (২৭ মার্চ) তিনি মারা যান। করোনা ভাইরাসে মৃত্যু হয়েছিল কিনা তা পরীক্ষা করার জন্যে নমুনা নিয়ে ঢাকায় পাঠানো হয়েছে। বর্তমানে পুলিশ প্রশাসন তার বাসভবন হোম কোয়ারেন্টাইন ঘোষণা করে ঘিরে রেখেছে। (সূত্রঃ বাপ্পী সরকারের ফেসবুক পোস্ট)
মৃত্যু ৬
৩০ মার্চ। সামিরা আফরিন নামের একজনের ফেসবুক পোস্ট থেকে জানা যাচ্ছে, ঢাকার কামরঙ্গিচরে এক ব্যক্তি (পোস্টদাতার চাচা) গত ১২/১৫ দিন যাবৎ ঠান্ডা-জ্বরে ভুগছিলেন। সোমবার (৩০ মার্চ) তিনি মারা যান। তার কোনো মেডিকেল টেস্ট করা হয় নাই। এমতাবস্থায়, প্রতিবেশীরা সবাই আতংকিত হয়ে আছেন। (সূত্রঃ সামিরা আফরিনের ফেসবুক পোস্ট)
======================
মৃত্যুর অসরকারি সংখ্যা আপডেট করা সম্ভব হলেও আক্রান্তের অসরকারি সংখ্যা আপডেট করার উপায় কী?
১৭ মার্চ ২০২০ তারিখে দৈনিক প্রথম আলোয় প্রকাশিত এই প্রতিবেদন থেকে একটা ধারণা পাওয়া যেতে পারে
“গতবছরের তুলনায় এ বছর ফেব্রুয়ারি ও মার্চে শ্বাসতন্ত্রের সংক্রমণ বেশি দেখা গেছে। স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের হেলথ ইমার্জেন্সি অপারেশনস সেন্টার ও নিয়ন্ত্রণকক্ষ এর তথ্য অনুযায়ি, এ বছরের মার্চে গত বছরের মার্চের তুলনায় এআরআইতে আক্রান্ত রোগীর সংখ্যা ১৪ গুণ পর্যন্ত বেড়েছে। ১৫ মার্চ পর্যন্ত আক্রান্ত রোগীর সংখ্যা ছিল ১১ হাজার ৯৩০। এর আগের বছর অর্থাৎ ২০১৯ সালের ১৫ মার্চ এই সংখ্যা ছিল ৮২০। ২০১৮ সালের মার্চ মাসে ১০১০ এবং ২০১৭ সালে ১৪১ জন। একইভাবে দেখা যাচ্ছে এ বছরের ফেব্রুয়ারি মাসে এআরআইতে আক্রান্ত রোগীর সংখ্যা ছিল ২৪ হাজার ৯৫০, গত বছর এই সংখ্যা ছিল ৪ হাজার ৪৬০। এর এক মাস আগে অর্থাৎ জানুয়ারিতে রোগীর সংখ্যা ছিল ২৬ হাজার ৬৪১। গত বছরের জানুয়ারিতে আক্রান্তের সংখ্যা ছিল ৭ হাজার ৫২০। অর্থাৎ, জানুয়ারির ১ থেকে মার্চের ১৫ তারিখ পর্যন্ত শ্বাসতন্ত্রের সংক্রমণ নিয়ে প্রায় ৬৩ হাজার ৫২১ রোগী সরকারি হাসপাতালে ভর্তি হলেও (যা ২০১৯ সালের একই সময়ে ভর্তি হওয়া রোগীর তুলনায় ৫০ হাজার ৭২১ বেশি), সারাদেশে আজ পর্যন্ত সাকুল্যে ১৪৭৮ জনের করোনা টেস্ট করা হয়েছে, আক্রান্তের সংখ্যাও মিলেছে মাত্র ৫১ জন।
=================
মূল ডেটাবেস:
কোভিড-১৯ এর লক্ষণে বেসরকারি মৃত্যুসমূহ
=============
এ সম্পর্কিত অন্যান্য গুরুত্বপূর্ণ সংবাদসমূহ:
১) [প্রথম আলো] সমালোচকদের মুখ বন্ধ না করে প্রকৃত তথ্য দেওয়ার আহ্বান এইচআরডব্লিউ
২)
মার্চ ৩১, ২০২০; ৬:১৯ পূর্বাহ্ন
খুব প্রয়োজনীয়, দরদের একটা কাজ। ইতিহাসে থেকে যাবে এই সমস্তই একদিন। অনেক শ্রদ্ধা, অনেক ভালোবাসা।
এপ্রিল ২, ২০২০; ৩:০৪ পূর্বাহ্ন
ধন্যবাদ আপনাকে। আপনিও সাথে থাকুন।
মে ৯, ২০২০; ৮:০৪ পূর্বাহ্ন
Roja topic e search kore very interesting some article pelam but not opening. Please check. Many other article’s links are also not opening.
https://nobojug.blog/?s=%E0%A6%B0%E0%A7%8B%E0%A6%9C%E0%A6%BE