সেসময় আমাদের মত নিম্নমধ্যবিত্ত মানুষদের বাড়ি বদলাতে ট্রাক-লরি লাগত না। রিকশা বা ট্রেন-বাসেই চলে যেত। বাবার চিঠি পেয়েই দর্শনা থেকে গিয়েছিলাম চুয়াডাঙ্গা। তখনো শীত পড়েনি। ভোরের দিকে একটু-আধটু ঠাণ্ডা লাগে। মাঝ হেমন্ত। বাক্সো পোটরা, বোঁচকা-পোটলা, হাড়ি-পাতিল, ঘটি-বাটি, বিছানা-বালিশ, লেপ-কাঁথা বাধাছাদা শেষ হলে রিকশায় চলে যাই ইস্টিশনে। ট্রেন যাবে উত্তরে। পাখা পড়ল। ঘণ্টা দিল। তারপর সকলেই দক্ষিণে চেয়ে রইল। ট্রেনটা বিন্দু দিয়ে শুরু হয়। তারপর ধীরে ধীরে পূর্ণ অবয়ব নেয়। দু’টি হাতের শেকহ্যান্ড করা ছবিআঁটা ডিজেল ইঞ্জিন। ঘড় ঘড় করে ইস্টিশনে ঢুকে পড়ে মেল ট্রেনটা।
মুহূর্তেই হুটোপুটি লেগে যায়। কুলির হাঁক ডাক, ঘড় ঘড় শব্দে লোহার চাকাঅলা মাল টানা ঠেলা, পোস্টাপিসের ব্যাগ বওয়া গাড়ির শব্দ। ধপাস করে ইলিশ মাছের কাঠের বাক্সো আছড়ে পড়া। আমাদের ঠিক করে রাখা কুলি পটাপট মালপত্তর তুলে ফেলে। বাবার কোলে একটি বোন আর মায়ের কালে ছোট ভাই। বাবা-মা বসার সিট পায়। আমি মাটিতেই বসে পড়ি। প্যান্টে ধুলো লাগার চেয়ে অজানা এক শহরে অজানা সব শহর চিরে যাবার অ্যাডভেঞ্চার আমার নিশ্বাস-প্রশ্বাস বাড়িয়ে দিয়েছে।
নীলমনিগঞ্জ… আলমডাঙ্গা… পোড়াদহ পার হয়ে আসি। তার পরপরই ভেড়ামারা। এপর্যন্ত নামধাম চেনা। ভেড়ামারা পার হয়ে এসে একটা তীব্র বাঁক নিয়ে ট্রেনটা ওপরে উঠতে শুরু করবে। মনে হবে পাহাড়ে চড়ছে! বাঁকটা শেষ হওয়ার আগেই খয়েরি কালো ইস্পাতের কাঠামোটা দৃশ্যমান হবে। হার্ডিঞ্জ রেল সেতু! যাকে আমি সেই ছোট্টবেলা থেকে ‘সাড়ার পুল’ বলে চিনে এসেছি। এর আগে কখনো চর্মচক্ষু দিয়ে দেখা হয়নি। উত্তেজনায় জানালার ফ্রেম শক্ত করে চেপে ধরেছি। ইতোমধ্যে বসার সিট পেয়ে গেছি। যখন আস্ত ট্রেনটা ব্রিজের ওপর উঠে পড়ল তখনকার শব্দের সাথে এ জীবনে শোনা আর কোনো শব্দের তুলনা হয় না। এক হতে পারে সেই বেতাই বাজার থেকে মেহেরপুরে আর্টিলারির গোলা নিক্ষেপের শব্দের।
প্রবল শব্দ করে ট্রেনটা হার্ডিঞ্জ ব্রিজ পার হচ্ছে আর আমাদের মনে হচ্ছে এক্ষুণি ব্রিজ ভেঙ্গে নদীতে পড়লে আমাদের কী দশা হবে! এই বোধটা অদ্ভুতভাবে অনেকেরই হয়। ব্রীজ-কার্লভার্ট দিয়ে বাস ট্রেন যাওয়ার সময় ভেঙ্গে নদীতে পড়ে যাবার ভয়। লঞ্চ ডুবে যাবার ভয়। প্লেন গোত্তা খাবার ভয়। ভেবে পেলাম না প্রমত্তা গঙ্গার রূপ দেখবো নাকী হার্ডিঞ্জের নির্মাণশৈলী দেখবো? একসময় সেই প্রবল শব্দ কমে গেল। দেখলাম ট্রেন ব্রিজ পেরিয়ে এসেছে। থেমেছে পাকশী ইস্টিশনে। ওখান থেকে নিচে অনেকটা দূরে সারি সারি কড়ই গাছ। ঘন সবুজ ছায়া হয়ে নদীর ধার ঘেসে দাঁড়িয়েছে আছে। তার শ্যামলছায়া নদীতে পড়ে একে বেঁকে যাচ্ছে… দূরে একেবারে মোচার খোলার মত ডিঙ্গি নৌকা ভেসে আসছে… আবারও সেই অলুক্ষুণে কথা মনে এলো… এই উঁচু পাকশী থেকে যদি গড়িয়ে নীচে পড়ি? ভাবনায় ছেদ পড়ে। ট্রেন চলছে… পরের ইস্টিশন-ঈশ্বরদী জংশন। তিনটে চুয়াডাঙ্গা একসঙ্গে করলে যত বড় হবে ঈশ্বরদী তত বড়! সারি সারি রেল লাইন শুয়ে আছে। তারই একটি ধরে ট্রেন সশব্দে ইস্টিশনে ঢুকল। বাবা শশব্যস্ত হয়ে পড়লেন। আবারও সেই হুটোপুটি, কুলিদের হাঁকডাক, অগুণতি মানুষের অগুণতি রকমের কথামালা যা একসঙ্গে একটানা গম গম আওয়াজ হয়ে ভেসে বেড়াচ্ছে…। মালপত্তর নিয়ে আমরা নামলাম। প্ল্যাটফর্মের সিমেন্টের বেঞ্চিতে বসলাম সব্বাই। আমাদের পায়ের কাছে মালপত্তর লাট দিয়ে রাখা হলো।
কয়েকঘণ্টা পর এলো চাঁপাই নবাবগঞ্জের ট্রেন। আবারও পড়ি মরি করে মালপত্তরসমেত উঠে বসা। ট্রেনটি ঈশ্বরদী ছাড়ার পর থেকেই দুপুর গড়িয়ে বিকেল নামছে…। ধীরগতির ট্রেন দুপাশে বিভিন্ন শষ্যের ক্ষেত পেরিয়ে চলছে…। বিকেলও যখন প্রায় লাল আভা ছড়ানো শুরু করেছে তখন পৌঁছুলাম আমনুরা জংশনে। অলসভাবে ট্রেন থেমে গেল। ইস্টিশনে তেমন একটা হাঁকডাক নেই। কোলাহল নেই। হুড়োহুড়ি লুটোপুটি নেই। তীব্র চিৎকার নেই। বাবার কাছে জানা গেলো ট্রেনের ইঞ্জিন ঘুরবে। তখন বুঝিনি ইঞ্জিন ঘোরা বলতে কী বোঝায়? কী মনে করে আমি ইস্টিশনে নেমে দাঁড়ালাম।
নিজেকেই যদি নিজে প্রশ্ন করি; এই ইস্টিশনটিকে এত ভালো লেগে যাবার কারণ কী? উত্তর পাবো না। মনের মধ্যে কোথাও কোনো কিছু ঘটেনি। কেউ সবিস্তারে আখ্যান বর্ণনা করেনি। তারপরও কী কারণে যেন এই ইস্টিশনটি ভালো লেগে গেল! অদ্ভুত সেই ভালো লাগা। ইঞ্জিনটা যেদিকে ছিল সেই দিকটা যেন দিগন্তে মিশে গেছে! শেষ নেই! লম্বা টানা রেললাইন চলে গেছে অন্ধকারের দিকে। মনে হল ওপাশে কেউ নেই! কিছু নেই! মনে হল একটা বিরাট ‘হা’ অপেক্ষা করছে। ট্রেনটা সেই হা-মুখে হুড়মুড় করে ঢুকে যাবে। ভেবে গা শির শির করে ওঠে। ইস্টিশনের ওমাথায় কয়েকটি বড় বড় জারুল গাছ। এমাথায় এক অদ্ভুত ধরনের ছাল-চামড়া ওঠা রুগ্ন গাছ! অথচ সেই গাছে কী অপরূপ রঙের ফুল ফুটে রয়েছে! হালকা গোলাপী রঙের ফুল। গাছগুলোও আমগাছের মতো বড় নয়। সেই গাছের নিচে সারি বেঁধে রাখা আছে বড় বড় খয়ের বোঝাই চাড়ি বা নাদা। পান দোকানে দেখা তরল কাদাটে খয়ের যে এত বড় পাত্রে রাখা হয় সে আগে কখনো দেখিনি। অনেকগুলো খয়েরের নাদা।
বাবা বলেছেন ইঞ্জিন ঘুরিয়ে ওই পাশে লাগানোর পর আবার ট্রেন ছাড়তে অনেক সময় লাগবে। আমি সিমেন্টের বেঞ্চিতে বসে রইলাম। দূর থেকে কী এক ফুলের অদ্ভুত মোলায়েম গন্ধ ভেসে আসছিল। কাকে কী জিজ্ঞেস করে লজ্জা পাব ভেবে চুপ থাকলাম। গন্ধটা ধীরে ধীরে বাড়ছে…। আবারও দূরে উত্তরের দিকে ইস্টিশনের নামফলক। তাতে লেখা আমনুরা জংশন। তারপর আর নেই! ওই দিকটাতে কিসের যেন এক টান আছে! কেবলই টানছে। ধীরে ধীরে সন্ধ্যা আরও ঘনিয়ে এলো। ইস্টিশনের ওপর দিয়ে কয়েকঝাঁক বক অলসভাবে উড়ে গেল পূবে। কিচিরমিচির করে ছোট ছোট পাখিগুলো ইস্টিশনের গাছগুলোয় ভিড় করল। ইঞ্জিনটা ওপাশে লাগতেই ট্রেন সামান্য পিছিয়ে গেল। ভয় পেয়ে ভাবলাম ছেড়ে দেবে না তো? দৌড়ে উঠে পড়লাম।
ছোট ভাইটি মায়ের কোলে ঘুমিয়ে রয়েছে। তিন বোন লম্বা বেঞ্চটার পুরো দখল পেয়ে হাঁটু গেড়ে জানালায় মুখ দিয়ে রয়েছে। বাবা সিঙ্গেল সিটে বসে কার সাথে কলকল করে কথা বলে চলেছেন। ইস্টিশন তখন প্রায় ফাঁকা। ইস্টিশনমাস্টার, ঘণ্টাম্যান, লাইনম্যান বাদে যাত্রী কেউ নেই। কাটা রেলের পাতের ভেতর বড়সড় বোল্টটা এপাশ-ওপাশ ঘটাঘট ঘটাঘট ঘটাং করে বেজে তার পর ঢং ঢং ঢং করে বাজল। লম্বা হুইসেল দিয়ে ট্রেন ছেড়ে দিল। যেদিক থেকে এসেছিলাম সেদিকে কিছুদূরে যেতে তারপর অদ্ভুতভাবে ডান দিয়ে বাঁক খেয়ে এগুতে লাগল। তখনো সন্ধ্যে, আলো নেভেনি। কিছুদূর যেতেই দুপাশে ছোট ছোট টিলামত আর তারই মাঝখানে পদ্ম বিল! মাতাল করা গন্ধে মনটা কেমন আনচান করে ওঠে। এই গন্ধটাই ইস্টিশনে বসে পেয়েছিলাম। তখন ছিল হালকা। এখন তীব্র গন্ধ যেন গায়ে এসে লাগছে। হাজার হাজার লাল পদ্ম ফুটে থাকা এমন দৃশ্য আগে কখনো দেখিনি। অপরূপ সেই দৃশ্য দেখতে দেখতে আঁধার ঘনিয়ে এলো। দূরে আবছা বাতি জ্বলছে। তা বাদে বিশ্ব চরাচর যেন এই মাত্র অন্ধকারে ডুব দিয়েছে। অন্ধকারে সারি সারি আমবাগান দেখতে দেখতে এগুচ্ছি। একসময় ট্রেন থেমে গেল।
এখানে আরও নিঝুম। একবারেই কোনো কোলাহল নেই। আমরাও ধীরে সুস্থে নেমে এলাম। চার-পাঁচটি রিকশাযোগে আমাদের মালপত্তর নেয়া হচ্ছে। একেবারে অচেনা এই শহরে আমরা একটি পুরোনো ইট-সুরকির মোটা দেয়ালের বাড়ি অভিমুখে যাচ্ছি। একসময় সেই পুরোনো বাড়িটিতে পৌঁছানো গেল। মালপত্তর সব নামানো হলো। কোনোকিছু গোছগাছ করার ইচ্ছে সামর্থ কোনোটিই আর নেই আমাদের কারো। পেটে তখন ছুঁচোয় গোত্তা মারছে। সারাদিন ট্রেনে চানাচুর-বিস্কুট ছাড়া আর কিছু জোটেনি। অনেকরাতে বাড়িঅলার একজন কে যেন খাবার নিয়ে আসল। ‘ভাত আইছে’ বলেই আমরা সবাই হুড়মুড় করে বেছানো পাটিতে বসে পড়লাম। গরম ভাতে ইলিশ মাছ ভাজা, ইলিশ মাছের ঝোল আর আলু ভাজি, সাথে মাশকলাইয়ের ডাল।
কয়েকটি দিন কেটে গেল ছোট্ট শহরটি ঘুরে ঘুরে। মহানন্দা নদী দেখে মনটা ভরে গেল। মাইলের পর মাইল আমবাগানের ভেতর দিয়ে হারিয়ে যাওয়া যায়। কী নামের একটা সিনেমা হল ছিল একেবারে আমবাগানের মদ্দিখানে। সেটাও এক দেখার মত জিনিশ! চারিদিকে বিরাট-বিরাট আম গাছ আর তার ঠিক মাঝখানে শাদা রঙের একটা দোতলা বিল্ডিং। সেটাই সিনেমা হল। একা দাঁড়িয়ে আছে। মহানন্দার ধারে মেইন রোডে বিশাল এক কালী মন্দির। অতোবড় কালী প্রতিমা এর আগে কখনো দেখিনি। এখানেও সেই মাতালগন্ধি পদ্ম ফুল।
একসময় আমার ফেরার দিন এসে গেল। ‘স্কুল কামাই হচ্ছে’ বলে বাবা-মা আমাকে ফেরত পাঠাতে চাইলেন। আমার কিছু করার ছিল না। শুধু বুকের মধ্যে এক ধরনের শূণ্যতা হচ্ছিল। ভাই-বোনদের ছেড়ে চলে যাব? আগে তো ওরা আর আমি মাত্র ১০ মাইল দূরে থাকতাম। রোববার হলেই রায়টা ট্রেনে চেপে বসতাম। স্টুডেন্টদের ভাড়া লাগতো না লোকাল ট্রেনে। চুয়াডাঙ্গা নেমে রিকশাও লাগতো না, হেঁটেই বাড়ি পৌঁছে যেতাম। আর সেখানে এখন কতদূর তা অনুমানও করতে পারি না। খালি এতটুকু মনে হয় অনেকটা দূর। আমনূরা জংশনের সেই উত্তরদিকের রেললাইনের মতোই সীমাহীন দূর। তারপরও ফিরতে হবে। এটাই ‘নিয়ম’। সারারাত বোনদের সাথে শুয়ে শুয়ে কাঁদলাম। ওরা কেউই আমার কান্নার সাথী হলোনা, কারণ বড়টির বয়স ৯ তার পরের দুজন ৭ আর ৫ এবং ভাই মাত্র ২! শুধু একেবারে ছোট বোনটি আমাকে জড়িয়ে ধরে রাখতে চাইল। কিছুতেই আসতে দেবে না। অনেকরাতে একসময় ওরা সকলেই ঘুমিয়েছে। আমার ঘুম আসছে না। উঠে বাইরে এলাম। গা ছমছম করছে। ভাঙ্গাচোরা পুরোনো দেয়াল কিছুটা বাঁকা হয়ে যেন হেলান দিয়েছে। পুরোনো তোলা ল্যাট্রিন থেকে কটু গন্ধ আসছে। এরইমাঝে কোথা থেকে ভেসে আসছে ছাতিমের গন্ধ। চকচকে আকাশে কালপুরুষ নেই। আছে অজস্র তারা। সেই তারার আলোয় অনেক দূরে আবছা কালো কালো আমবাগান। ঝিঝিগুলো একটানা ডেকে চলেছে। রাত আরও গভীর হলে ভয়টা আরও জেঁকে বসল। ঘরের ভেতর চলে এলাম।
সকালে বাকি কাজগুলো যন্ত্রের মতো হয়ে গেল। বাবা-মাকে, বোনদেরকে জড়িয়ে ধরে কেঁদে কেটে অবুঝ ছোট ভাইটাকে কোলে তুলে আদর করে একসময় বিদায় নিলাম। একা। একেবারেই একা। বুকের ভেতরটা হাহাকার করছে। চিৎকার করে কাঁদতে ইচ্ছে করছে কিন্তু পারছি না। কী অনাড়ম্বর সেই বিদায়! কেউ আমার সাথে রাস্তা পর্যন্ত আসলো না। ইস্টিশনে এসে টিকিট কাটলাম। ট্রেনে চেপে বসলাম। ঈশ্বরদী এসে ট্রেন বদলালাম। পার্বতীপুর থেকে খুলনা যাওয়ার ট্রেনে উঠে বসলাম। একসময় দর্শনা হল্ট স্টেশনে নেমেও গেলাম। এই ফিরতি সারাটা পথে বাবা-মা ভাই-বোন ছেড়ে আসার কষ্টটা খামচি দিয়ে কলজে ছিঁড়ে নেয়ার ভেতরই ওই আমনূরা ইস্টিশনটাকে আরেকবার দেখতে পাব ভেবেই যেটুকু সুখ ছিল।
তখন কত হবে? ১৪ ! এরপর পৃথিবী সূর্যকে কতো-শতোবার প্রদক্ষিণ করল, সমুদ্রের জল বাষ্প হয়ে পাহাড়ে গিয়ে বরফ হয়ে ফের গলে গলে নদীতে পড়ল, কতো হাজার-হাজার লালপদ্ম ফুটে আবার শুকিয়ে গেল, কতোশত বকপাখি হালকা চালে উড়ে গেল আরও পূবে, হাজার হাজার খয়ের বোঝাই নাদা ইস্টিশনে এসে মালগাড়ি চেপে দূর দূরান্তে চলে গেল… কিন্তু আমার আর কখনোই আমনূরা যাওয়া হলো না। কখনোই না।
ঢাকা। ২১ অক্টোবর, ২০১৭