আমার হতাশাগুলো ৭: অন্তিমকালের হুমায়ুন আহমদ

6 মতামত পাওয়া গেছে

আমি আগের এক লেখায়ই মন্তব্য করেছি আমার মায়ের অয়োময় প্রীতির কথা। এমনকি আমার পরলোকগত পিতা তার বন্ধুর কাছে ছুটে গেছিলেন অয়োময়ের শাব্দিক অর্থ জানার জন্য। হুমায়ুন প্রথমে শব্দ চয়নের ক্ষেত্রে মুনশিয়ানা দেখিয়েছেন। যেমন বৃহণ্নলা, দেবী, কূহক, অয়োময় । শব্দগুলোর আলাদা আবেদন আছে।

ঞুমায়ুন শরৎচন্দ্রের জনপ্রিয়তা ছাড়িয়ে গেছেন কিনা, এই প্রশ্নের জবাবে বলব সুনীলের কথা সিরিয়াসলি না নিতে। তিনি সর্বদাই হুমায়ুনের প্রশংসাআয় পঞ্চমুখ । কিন্তু আসল সত্যিটা হলো পশ্চিমবঙ্গের সাহত্য মহলে হুমায়ুন জায়গা পেতে ব্যর্থ হয়েছেন। সেখানকার পাঠক সমাজ তাকে তেমনভাবে নেয়নি। কলেজস্ট্রীট ঘুরলেই এথার যৌক্তিকতা বোঝা যাবে।

ব্যক্তি হুমায়ুন মধ্যপন্থায় বিশ্বাসী বলেই প্রতীয়মান হয়। তিনি শেষদিকে অতিমাত্রায় মুসরমান হওয়ার চেষ্টা করলেন লেখালেখি দিয়ে, যার ফলে অনেকেই তাকে নিয়ে সমালোচনা করার শক্ত জায়গা পেয়ে যায়। এই হুমায়ুনের কুকুর নিযে লেখা একটি ভৌতিক গল্পে এক প্রফেসরের মুক দিযে শুনছিলাম বিমানে থাকলে কেবলা কোন দিকে হবে সেই সংক্রান্ত রসিকতা।

সবকিছু মিলিয়েই হুমায়ুন, তাকে নিয়ে কাহিনী আরও হবে। আজ শুনলাম কে যেন শাওন আর মাজহার এর নামে কেস করেছে তারা ইচ্ছাকৃতভাবে হুমায়ুনকে হত্যা করেছেন এই অভিযোগে। তাকে নিয়ে এই তিক্ততা কতদুর যায় একন বসে বসে দেখতে হবে। সবথেকে ভাল হতো যদি আমরা ব্যক্তি হুমায়ুনকে নিয়ে কোনো উৎসাহ না দেখাতাম। তার লেখা আর সৃষ্টিগুলো নিয়েই থাকতাম। কিন্তু আমরা তা পারলাম না।sad

    রুশদী, “সবথেকে ভাল হতো যদি আমরা ব্যক্তি হুমায়ুনকে নিয়ে কোনো উৎসাহ না দেখাতাম। তার লেখা আর সৃষ্টিগুলো নিয়েই থাকতাম। কিন্তু আমরা তা পারলাম না।sad

    তাঁর সৃষ্টিগুলো নিয়েই আমাদের গর্বিত থাকা উচিৎ। এখন ঘুর্নিঝড় চলছে।  মিডিয়া হুমায়ূনকে জিম্মি রেখে টাকা বানাচ্ছে।

    ঝড়টা কেটে গেলেই মিডিয়া নতুন অন্য কিছু নিয়ে ব্যস্ত হবে। মানুষ হুমায়ূনের সৃষ্টিগুলোরই গান গাইবে।

ইউটিউব ভিডিও বা আপনার নিজের ভিডিও দিতে গেলে স্মাইলী এর আগের বাটন, যেটায় মাউস রাখলে Add Media দেখাবে, ওখানে ক্লিক করে এম্বেড করে দিতে পারবেন। ইমেজও একইভাবে আপলোড করতে পারবেন।

@ এন সরকার-
এমন এক লেখার আশায় ছিলাম। আমার এক লেখা যেটার নাম কোথাও কেউ নেই– তেমন গুছিয়ে লিখতে পারিনি। তখন ছিলাম শোকে মুহ্যমান। এক দিকে চোখ টেলিভিশনে তখন তার দেহ সমাধী দেয়া হবে, কোথায় হবে- কখন হবে এই উতকন্ঠায় রাত পেরুল। অবশেষে সকালে দেখি নুহাশপল্লী, অপর দিকে এক-কলম লেখার প্রত্যাশা। শেষ পর্যন্ত আর দেখতে পারিনি, এতোটা বেদনায় ভারাক্রান্ত ছিল আর দেখা সম্ভব হয়নি।
দুই মিলে যতটুকু কলম দিয়ে বের হয়েছিল। আপনার বলিষ্ঠ লেখায় অয়োময় এর বর্ণনায় চোখ আবার অশ্রুসজল হল। ধন্য আপনার লেখা-আর অনুভূতি–

ভাল লাগল


আপনার মতামত দিন

আপনার ই-মেইল অ্যাড্রেস প্রকাশিত হবে না।