১৮
৪০০০ বার পঠিত
গত ১৭ তারিখে আবুল কাশেম ভাই এর একটা লেখা পড়লাম এই ব্লগে “আমি কেন ইসলাম ছেড়েছি: প্রাসঙ্গিক বিবৃতি — খালেদ ওলীদ (সৌদি)” শিরোনামে লেখাটি পড়ার পর থেকে নিজের কথা গুলো ও জানাতে খুব ইচ্ছে হচ্ছে । নবযুগ ব্লগে আমার প্রথম লেখাটা তাই আজই লিখে ফেললাম।
আমি একজন মুসলিম পরিবারের সন্তান হিসেবে ছোটকাল থেকেই পাচ ওয়াক্ত নামাজ পড়তাম। তাবলীগ জামাতের সাথেও জড়িত ছিলাম। হুজুরেরা যা বলতো মূগ্ধ হয়ে শুনতাম। আর মনে মনে মুসলমান হয়ে জন্মানোর জন্য গর্ব অনুভব করতাম। প্রতিদিন সন্ধ্যার পরে জিকিরে বসতাম দল বেঁধে। শুধু আল্লাহ আল্লাহ করলেও মনে কেমন জানি এক নির্বোধ প্রশান্তি আসতো।
আমাদেরকে শেখানো হতো দুনিয়ার সমস্ত জ্ঞান-বিজ্ঞান কোরান থেকে আসছে, তাই বেশি বেশি কোরান এবং ইসলামী সাহিত্য পড়তে হবে। কাফের বেদ্বীনদের কোন লেখা পড়া যাবেনা। আমার মনে আছে আমাদের স্কুলের ধর্মশিক্ষক ক্লাসে এসে রবীন্দ্রনাথ কে কিছুক্ষণ গালাগালি করতো আর আমাদেরকে রবীন্দ্রনাথের কোন লেখা না পড়ার জন্য উত্সাহিত করতো। আমাদেরকে কবি ইকবালের ঊর্দু শায়েরী শোনাতো, আর বলতো এই না হলে মহাকবি।
তখনো সাহিত্যের হাতেখড়ি আমার হয় নাই। তাই স্যারের কথা নাক কান বুজে বিশ্বাস করতাম। আর রবীন্দ্রনাথ কে মালাউন কবি বলে কটাক্ষ করতাম।
একদিন শুক্রবারের নামাজের খুত্বায় হুজুর ইহুদি, নাসারা আর পশ্চিমা দুনিয়া পাপে ভরা, ওদের কোন ধর্ম নেই, ওরা পশু সমতূল্য ইত্যাদি বলে গালি দিচ্ছিল। এটা শুনে আমার কেমন জানি খটকা লাগা শুরু হলো, যে ওই পশুসমতূল্য মানুষগুলোর জন্যই আমরা প্রাসাদ-তূল্য এ,সি, মসজিদে বসে তাদেরকে গালি দিতে পারছি। নইলে আমাদের খেজুর পাতার মসজিদের উপরে যাওয়ার মত প্রযুক্তিগত ক্ষমতা ছিল না।
একদিন হুজুর বেহেশতের বর্ননা করতেছিল যে ওখানে ইমানদারের জন্য রয়েছে চিরস্থায়ী সুখ। সেখানে কিছু খাইতে মন চাইলেই সামনে এসে হাজির হবে। আমি চিন্তা করলাম যেখানে কোন পরিশ্রম নেই, কোন কষ্ট নেই, সেখানে ক্ষুধাই-বা লাগবে কেন? আর সে ক্ষুধা নিবৃত্তির তৃপ্তি টায় বা কি? আবার হুজুর যখন বললেন বেহেশতবাসীর জন্য ৭২টা করে হুর দেয়া হবে, তাদের যৌনবাসনা নিবৃত্তির জন্য, তখন আমার খুব লজ্জা লাগতো। ভাবতাম আমার বাবা বোন যখন বেহেশতে যাবে আর আমি তাদের সামনে ৭২ টা হুর নিয়ে ঘুরবো? আমার কোরানে বর্নিত বেহেশতটা কে খুব নোংরা মনে হতে লাগলো।
আমি কোরানের বাংলা অনুবাদ ও তাফসীর যোগাড় করে পড়া শুরু করলাম। কারন আমার তখন মনে হয়েছিল যে, নিজে কোরান বুঝে ধর্মকর্ম করাই সেরা। আর আমি কোরানের আগে একমাত্র ক্লাসের বই আর দুই চারটা গল্প উপন্যাস ছাড়া আর কিছু পড়িও নাই। যাইহোক যেদিন থেকে কোরান পড়া শুরু করলাম অর্থবুঝে, সেদিন থেকেই আল্লাহর অস্তিত্বের সন্দেহের বীজ আমার মনে রোপন হলো। আমি তাফসিরে মারেফুল কোরান নামক সৌদি সরকারের দেয়া তাফসীর গ্রন্থটা পড়ে শেষ করলাম; কয়েকবার করে পড়লাম ওইটা। পড়ার পর আমার মনে প্রশ্ন তৈরি হলো —
এটা যদি আল্লাহ লিখে থাকে, তাহলে উনি নিজেকে নিয়েই ব্যস্ত সবসময় খালি ভয় অথবা চরম সুখের লোভ দেখিয়ে খালি নিজের ইবাদত করাতে চান। এতে সৃষ্টিকর্তা হিসেবে তার লাভ টা কি?
এটা যদি আল্লাহর কিতাব হয়, তাহলে খালি সমসাময়িক ঘটনাবলীতে কোরান ভরা কেন?
কোরান নাকি আল্লাহ আগেই লিখে রাখছিলো তাহলে কোরানের বর্ননারীতি এইরকম কেন যে নবীর যখন যে কথাটা দরকার তখন সেই কথাটাই নাযিল হলো? আগে থেকে লিখে রাখা কোরানের তাহলে কি হলো?
দুনিয়ার সবকিছুই আল্লাহর নির্দেশে হয়, তাহলে একজন মানুষ হিন্দু খ্রিস্টান অথবা নাস্তিক এতো তার ইচ্ছায়-ই হয়েছে। তাহলে মানুষের দোষ টা কোথায়?
আমি এইসব প্রশ্ন দুই-একটা একজন হুজুর কে জিঞ্জাসা করছিলাম সে তো পুরো চোখমুখ গরম করে আমারে প্রায় মারার অবস্থা। তার কথা আল্লাহকে বিনাপ্রশ্নে মেনে নিতে হবে; কোন প্রশ্ন করা যাবেনা; যে প্রশ্ন করবে সে কাফের মূর্তাদ; তাকে পাথর মেরে হত্যা করতে হবে।
সেদিন-ই ধর্মের ওপর থেকে সমস্ত আস্থা আমার শেষ হয়ে গিয়েছিল। সেদিন থেকে নিজেকে মুক্ত লাগা শুরু হলো। ধর্ম বিষয়ের বাইরে আমি বিভিন্ন বই পড়া শুরু করলাম — জানলাম বিবর্তনবাদ ,জানলাম দর্শন, গ্রহণ করলাম বিশ্বসাহিত্যের আস্বাদ। আর এভাবেই ধর্মের নামে ছোটকাল থেকে আমার যে মস্তিষ্কধোলাই করা হচ্ছিল, তা থেকে ধিরে ধিরে বের হতে শিখলাম। এখন আমি গর্ব করেই বলি আমার কোন ধর্ম নেই; আমি একজন মানুষ — এইটাই আমার চূড়ান্ত পরিচয়।
ই-মেইলে যোগাযোগ করুন
আগস্ট ১৮, ২০১২; ৩:৫৬ অপরাহ্ন
অপূর্ব! অপূর্ব হয়েছে আপনার স্বীকারোক্তি।
এক নাগাড়ে পড়ে নিলাম।
ইসলাম ত্যাগের উপর আমার কাছে অনেক স্বীকারোক্তি আছে। কিন্ত আপনার মত এত গুছিয়া, সংক্ষিপ্ত ও প্রাঞ্জল ভাষায় লেখা জবানবন্দী আমি খুব কমই পড়েছি। আপনার লেখা জমা করে রাখলাম।
*phil_31**phil_32*
আগস্ট ১৮, ২০১২; ১১:১৫ অপরাহ্ন
লেখার প্রয়োজনীয় সংশোধন করার জন্য এডমিন কে ধন্যবাদ ।আমি মোবাইল ব্যাবহার করে লেখাটা লিখছি তাই অনেক কিছুই ঠিকভাবে খেয়াল করতে পারি নাই। আবারো ধন্যবাদ ব্লগ এডমিন
আগস্ট ১৮, ২০১২; ৭:৪৪ অপরাহ্ন
ধন্যবাদ কাশেম ভাই এই লেখার অনুপ্রেরনা আপনার লেখা থেকেই পেয়েছি
আগস্ট ১৮, ২০১২; ৭:৪৬ অপরাহ্ন
যারা ওয়াজ করে তাদের দোষ দিবেন না। দোষ হচ্ছে কোরান, হাদিস এবং সুন্নাহ্র। কোরানের মর্মই তাই–অন্যান্য ধর্মকে গালি দেওয়া, অপমানজনিত ভাষা ব্যবহার, প্রয়োজন পড়লে অন্য ধর্মের অনুসারীদের কতল করা।
ইমাম গাযালির হাদিসে আছে—যে আল্লাহ্র ভালবাসার জন্য ইসলামে অবিশ্বাসীদের অপমান এবং লাঞ্ছিত করবে—ভাষা অথবা অস্ত্রের মাধ্যমে, তাদেরকেই আল্লাহ্ ভালবাসবেন–তাদের জন্যই নির্ধারিত রেখেছেন ইসলামি বেহেশ্ত।
এখন নিশ্চয় বুঝছেন কেন ওয়াজকারীরা বিধর্মীদের ধোলাই করে।
আগস্ট ১৮, ২০১২; ৮:০০ অপরাহ্ন
আবু কাশেম ভাই, আপনার কথা একদম ঠিক । আমি সমগ্র কোরান পড়ে গালাগাল দেয়া অজস্র আয়াত দেখেছি – কিছু নমুনা –
হে ঈমানদারগণ! মুশরিকরা তো অপবিত্র ( নাপাক –থানভী)। সুতরাং এ বছরের পর তারা যেন মসজিদুল-হারামের নিকট না আসে। ৯:২৮
আগস্ট ১৮, ২০১২; ৭:৪৮ অপরাহ্ন
বোধহয় বার্টান্ড রাসেলের কোন লেখায় পড়েছিলাম -‘তুমি যদি নাস্তিক হতে চাও বাইবেল পড় ।’ আমিও সবাইকে বলি যদি নাস্তিক হতে চাও তো কোরান পড় । ধর্ম এবং আল্লাহ সম্পর্কে আমার যা কিছু ভয়ডর ছিল তা কোরান পাঠের পর পরই চুকে যায় ।তারপর যতবার পড়ি তত দৃঢ হয় ইসলামের অধর্মতা ।
মামুন আব্দুল্লাহর মত আমারও দশা । তবে তার পরিবর্তন হওয়াটা ছিল বেশ কঠিন । কেননা তার ওয়াশ করা ব্রেইনকে পুনরায় স্বাভাবিক অবস্থায় ফিরিয়ে নিয়ে আসা অনেক কঠিন ।তুলনায় আমার ক্ষেত্রে আমাদের পরিবার আগে থেকেই কিছুটা উদাসীন ছিল ধর্মীয় ব্যপারে । -প্রগতিশীল ও সাংস্কৃতিক পরিবেশ ছিল বাড়িতে ।ধর্মীয় অনুষ্ঠান করা হত , তবে যতনা ছিল ধর্মের- তার চেয়ে বেশী সামাজিকতার । ফলে মুক্তমন নিয়েই ভাবতে শিখেছি সব কিছু ।
কিন্তু মামুন কঠিন পথ পেরিয়েই এসেছে-পুড়ে খাঁটি হয়ে । অনেক শুভেচ্ছা আপনাকে ।
আগস্ট ১৮, ২০১২; ৮:০৬ অপরাহ্ন
অনুগ্রহপূর্বক আপনার ইসলাম ত্যাগের ঘটনা লিখুন। আমার কাছে অনেকের কাহিনীই আছে। তবে বাঙালিদের ইসলাম ত্যাগের ঘটনা খুবই বিরল। সেই জন্য আমার ইচ্ছে আছে যেসব বাঙালি সাহস নিয়ে ইসলাম ত্যাগ করেছে তাদের স্বীকারোক্তি সংকলন করা।
প্লিজ, আমাদের নিরাশ করবেন না।
আগস্ট ১৮, ২০১২; ৮:৪৪ অপরাহ্ন
আবুল কাশেম -আমার ইসলাম ত্যাগ কোন বিশেষ ঘটনায় কোন নাটকীয় ভাবে আসেনি । মাঝে মাঝে মনে হয় আমি মুসলমান হলাম কবে? -যেদিন পান পাতা দিয়ে প্রবল ভয়ের মধ্যে আমরা লিঙ্গত্বকছ্বেদ করা হল-নাকি ‘জোকার নায়েকে’র মত আমি জন্মেই মুসলমান । আমি জ্ঞানত: কখনও মুসলমান ছিলাম না- যেমন পাকিস্তানে থেকেও পাকিস্তানি ছিলাম না কোনদিন । পাকিস্তান বাদকে ত্যাগ করার সাথে ২ আমি ইসলামকেও তার জুড়ি হিসাবে ত্যাগ করি । তাই সে ইতিহাস দীর্ঘ ও প্রায় আত্মকাহিনির মত । আমার খুব একটা ভাল লেখার অভ্যাস নাই -তবু আপনার অনুরোধ রাখার চেষ্টা করবো । তবে বেসিক্যালি আমি অলস , লেখার চাইতে পড়তেই বেশী ভালবাসি । আর বেশী পড়লে যা হয় -লেখাভীতি প্রবল হয় ।
প্রসঙ্গত উল্লেখ করি- আমি আপনার প্রায় সমস্ত লেখা আমি পড়েছি । আমার চিন্তাভাবনায় যা অশেষ অবদান রেখেছে ।
আগস্ট ১৮, ২০১২; ৭:৫১ অপরাহ্ন
ধন্যবাদ রাজেশ ভাইকে লেখা পড়ার জন্য গত দুইরাত ঘুম না আসার কারনে বসে বসে ভাবছিলাম কি করা যায় তো ওয়াজ হচ্ছিল এক চ্যানেলে খুব মনোযোগ দিয়ে শুনতে বসলাম আর হাসতে হাসতে আমার মন ভালো হয়ে গেলো কি উদ্ভট আর যুক্তিহীন কথা যে বয়স্ক দাড়িওয়ালা লোকগুলো বলতে পারে আবার নামের শেষে লাগানো যুক্তিবাদী হাসুম না কান্দুম
আগস্ট ১৮, ২০১২; ৭:৫৪ অপরাহ্ন
আশরাফি ভাই আপনাকেও ধন্যবাদ লেখাটা পড়ার জন্য
আগস্ট ১৯, ২০১২; ৬:২৫ পূর্বাহ্ন
প্রত্যেক মানুষের সেই পরিচয়ে পরিচিত হওয়া উচিত।
জন্ম সূত্রে ইসলামের অনুসারী না হলেও বন্ধু বান্ধব, সহকর্মী বা আশে পাশের লোকজনের কৃপায় মেঘ না চাইতে জলের মত বহু নামজাদা জাঁদরেল ইসলামী পন্ডিতদের মূল্যবান ওয়াজ শুনার দূর্লভ সৌভাগ্য আমার হয়েছে, অপ্রত্যাশিত ভাবে ইসলাম কবুলের দাওয়াত লাভের সুযোগ ঘটেছে জীবনে বেশ কয়েকবার। বোধকরি স্নেহ ভালোবাসার বহিঃপ্রকাশের অতিশয্যা থেকেই তা সে আহ্বান তারা করেছে। যাক সে ইতিহাস মূল কথায় আসি, আমার দৃঢ় উপলব্ধি ওয়াজ শুনার ভাগ্যটা আমার বরাবরি খুব খারাপ, যতবারই আগ্রহ নিয়ে ওয়াজ শুনতে বসেছি প্রতিটি ওয়াজেই লক্ষ্য করেছি অন্যান্য ধর্মের লোকজন কে চরম গালাগাল, বিষেদাগার বা হেয় প্রতিপন্ন করা ছাড়া কোন বক্তার ওয়াজ আজ পর্যন্ত শোনার সৌভাগ্য আমার হয়নি। কেনো হয়নি তাও অজানা! নিজের ভাগ্যকে দুষেছি বারবার।আপনাদের কারো সেই সৌভাগ্য কি কখনো হয়েছে?
আগস্ট ১৯, ২০১২; ১২:৫২ পূর্বাহ্ন
ধর্ম নামক বালছাল নিয়ে সময় নষ্ট করেননি সেটাই ভাল। ধর্ম জানার জন্য স্টাডি করা যায়। কিন্তু আস্তিকদের প্রশ্নের কড়া জবাব দিতে হবে, নাহলে আমি নাস্তিক নই- এই মন মানসিকতা ধরে রাখার প্রয়োজন নেই। পৃথিবীতে জানার অনেক কিছু আছে। ধর্মীয় শিক্ষা উঠিয়ে আধুনিক জ্ঞান-বিজ্ঞান চর্চা করাই আমাদের এগিয়ে নিয়ে যেতে পারে। আপনার উপলব্ধিকে শ্রদ্ধা…
আগস্ট ১৯, ২০১২; ৯:২৩ পূর্বাহ্ন
ক্ষুদ্র সত্তা ভাই আপনাকে ধন্যবাদ
এপ্রিল ৬, ২০১৩; ১০:৪১ পূর্বাহ্ন
ধার্মিকেরা সত্যের মুখোমুখি হতে ভয় পায়। কারণ ধার্মিকেরা ধর্ম এবং ধর্মশাস্ত্র মিথ্যাচারের এনসাইক্লোপিডিয়া। যে আল্লাকে প্রশ্ন করা যায় না সে তো অগণতান্ত্রিকে বিশ্বাসী। আমাদের তো গণতন্ত্রের উপর সম্পূর্ণ আস্থা আছে। আর আস্থা আছে বলেই আমাদের বাক্-স্বাধীনতা কেড়ে নেবার চেষ্টা করলে আমরা কতদিন আর সহিষ্ণু হয়ে থাকতে পারব। ধার্মিকদের একটা বলতে চাই : আপনারা আপনাদের বিশ্বাসের কথা বলুন। এটা আপনাদের অধিকার। আমরা আমাদের অবিশ্বাসের বলব। এটা আমাদের বিশ্বাস। আপনাদের বিশ্বাসে আঘাত দিলে যদি গুনাহ হয়, আমাদের বিশ্বাসে আঘাত দিলেও একই গুনাহ হয়। আপনারা ধার্মিক মানুষ হয়ে এই গুনাহ করবেন কেন!!! একটা প্রশ্ন করব? আল্লাহ যদি সর্বশক্তিমান হয় তাহলে ১৪০০ বছর পরেও দুনিয়ার ৮০০ কোটি মানুষকে মুসলমান করাতে পারল না কেন? তাহলে তো সারা কোনো ধর্মীয় সংকট থাকত না, তাই নয় কি? সব ধর্মের ক্ষেত্রেই প্রযোজ্য। এক মানুষ এক ধর্ম — এই ব্যবস্থা যদি কোনো আল্লাহ কোনো ভগবান কোনো গড সৃষ্টি করতে পারে তাহলে আমি একজন বস্তুবাদী হয়ে বলছি দুনিয়ার ৮০০ কোটি মানুষের জন্য মাথাপিছু ১টি করে মোট ৮০০ উপাসনালয় গড়ে দেব। কে আমার চ্যালেঞ্জ গ্রহণ করবে — আল্লাহ? ভগবান? গড?
সেপ্টেম্বর ১৭, ২০১৩; ৯:০৩ পূর্বাহ্ন
এই পোস্টটা পড়ে দেখুন দয়া করে – মানুষ কেন নাস্তিক হয়? – http://shahi.blog.com/?p=79
নভেম্বর ১৭, ২০১৩; ১০:২৪ অপরাহ্ন
If Allah exist and he recreate the human.According to the holy Quran,disbeliever will be thrown to the hell.Then what will do those disbeliever? Please do not underestimate the any religion. আর সে ক্ষুধা নিবৃত্তির তৃপ্তি টায় বা কি? আবার হুজুর যখন বললেন বেহেশতবাসীর জন্য ৭২টা করে হুর দেয়া হবে, তাদের যৌনবাসনা নিবৃত্তির জন্য, তখন আমার খুব লজ্জা লাগতো। ভাবতাম আমার বাবা বোন যখন বেহেশতে যাবে আর আমি তাদের সামনে ৭২ টা হুর নিয়ে ঘুরবো? আমার কোরানে বর্নিত বেহেশতটা কে খুব নোংরা মনে হতে লাগলো।This statement is wrong.I know that every jannati can have only two hoor who are the wives of the jannati.when the jannati will live with a hoor,no other human or no another hoor can see them.All students never be teacher,All teacher never be good teacher.So,All hozor may not have good strong knowledge on ISLAM.If you want to know about ISLAM for proper justification.Please read the Quran(Expalanation:Tafsir Ibne Kasir),Hadith (Bukhari,Muslim,Ibne Mazah,Tirmidhi,Nasai Shareef,Abu daud,daremi,Shoaibul Iman,Musnade Ahmed,Muwatta Malik,Ibne khuzaimah,Riazus Salehen,Bulgul Maram etc). When I had a little knowledge on Islam,that time
I was just muslim.When I started learning the root books of the ISLAM,I am understanding the proper Islam.Some people do not try to learn the Islam,Their main aim is hit to ISLAM.They will never try to get the deep
knowledge about ISLAM.
ডিসেম্বর ২৪, ২০১৫; ১০:৫২ অপরাহ্ন
শুনেছিলাম শয়তান মানুষ্কে পথ ভ্রষ্ট করে । আর আল্লাহ শয়তান দিয়ে মানুষকে কূপথে পরিচালনা করে ধর্মের পরীক্ষা নেন । তারমানে শয়তান না থাকলে মানূষ পাপ করতো না । তাহলে শয়তান তৈরীর আগে আল্লাহ জ্বীন জাতি তৈরী করেছিল , তো তারা কেন অবাধ্য হয়েছিল ? তখন তো শয়তানই ছিলনা । শয়তান তো আদম (আ) কে সেজদা না করায় ইব্লিশে পরিনত হয়েছে যে কিনা আল্লাহর খুব প্রখর ইবাদাতকারী ছিল ।
মার্চ ৪, ২০১৬; ৯:৩৭ পূর্বাহ্ন
আল্লাহ বলেন,,
আমি যা জানি তোমরা তা জাননা।
আল-কোরআন
আপনাকে আমাকে ত বিশাল বড় সমুদ্র থেকে সূইয়ের মাথা পরিমান জ্ঞান দেওয়া হয়েছে।এই মাথা নিয়ে এত কিছু জানতে চান?সৃষ্টিকর্তা কেন?আগে তার সৃষ্টিকে নিয়ে ভাবেন।
আপনি ত অনেক কিছু নিয়েই ভাবেন একবার কি ভেবেছেন আপনি কেন এই পৃথিবী?আমি কি করে হলেম?পৃথিবী কি করে হল?
আপনার আশেপাশের জিনিসগুলা ভাবলেই আপনার মাথা ০০ হয়ে যাবে।
ত আপনি সৃষ্টিকর্তাকে নিয়ে এত ভাবেন কেন?
আগে সৃষ্টিকে নিয়ে ভাবেন তখনই আপনার মন সাড়া দিবে নিশ্চই সৃষ্টিকর্তা একজন আছেন।