ভারতবর্ষে নাস্তিকতা আস্তিকতার মতোই পুরাণো। আদিতে নাস্তিকতা শব্দটি একটু নিন্দনীয়ই ছিল। বর্ত্তমানে এই শব্দটি নিন্দনীয় নয়, যদিও কেউ কেউ এখনও নাস্তিকদের অপছন্দ করেন। আজকাল নাস্তিকদের সংখ্যা বাড়ছে এবং অনেকে নিজেকে নাস্তিক বলতে লজ্জা পান না। আমি বাংলা ব্যাকরণ ও নিরুক্তর আলোয় আস্তিকতা ও নাস্তিকতা সম্বন্ধে যেমন বুঝেছি তা এখানে তুলে ধরব এবং সম্ভব হলে আস্তিক ও নাস্তিকদের মধ্যে একটা যুক্তিপূর্ণ বোঝাপোড়া করা যায় কিনা সে বিষয়ে কিছু কথা বলব।
প্রথমেই ব্যাখ্যা করি আস্তিকতা ও নাস্তিকতা বলতে আমরা কী বুঝব। একজন উপরওয়ালা বা নিয়ন্তায় বা পরমেশ্বরে বিশ্বাস করাকে আস্তিকতা এবং সে বিশ্বাস না করাকে নাস্তিকতা বলা হয় বলে আজকাল কেউ কেউ মনে করেন। কিন্তু শব্দগুলির উৎসমূল আরও অনেক গভীরে, যা ধীরে ধীরে উদ্ঘাটন করার চেষ্টা করছি।
ভারতীয় দর্শনে মীমাংসক নামে দার্শনিকগণ পরমেশ্বর বা উপরওয়ালায় বিশ্বাস করতেন না। তবু ওরা আস্তিক বলেই গণ্য হন, নাস্তিক বলে গণ্য হন না। আবার গৌতম বুদ্ধকে নাস্তিক বলা হয়, তার কারণটা এমন নয় যে তিনি ঈশ্বর বিশ্বাস করতেন না (বুদ্ধ ঈশ্বর সম্বন্ধে নীরব ছিলেন, মৌনতা সম্মতির লক্ষণ বলে ধরার রেওয়াজ আছে)। আসলে বুদ্ধ বেদ মানতেন না বলেই তাঁকে নাস্তিক বলা হয়। বৈদিক কর্ম্মকাণ্ড তাঁর সময়ে মৌলবাদের নামান্তর হয়ে গিয়েছিল, তাই তিনি বৈদিক যাগযজ্ঞগুলি অপ্রয়োজনীয় বলে মনে করতেন। আশাকরি এর থেকে পরিষ্কার হল যে ঈশ্বর বিশ্বাসই আস্তিকতা এবং ঈশ্বর না মানাই নাস্তিকতা এমনটা বলা চলে না। জ্ঞানেন্দ্রমোহন দাসের বাঙ্গালা ভাষার অভিধানে স্পষ্ট করেই বলা হয়েছে ‘ঈশ্বর মানিয়াও বেদ না মানিলে নাস্তিক‘। অতএব বহু ঈশ্বরবিশ্বাসীরাও নাস্তিক হতে পারেন এবং ঈশ্বর অবিশ্বাসীরাও আস্তিক হতে পারেন (যথা মীমাংসকরা) তাতে কোনো সন্দেহ নাই।
তাহলে দেখা গেল মূলে রয়েছে বেদ। প্রশ্ন: বেদ কি জিনিষ? বেদ শব্দটি আসে বিদ্ ধাতু থেকে। বিদ মানে জানা, বেদ মানে আবিষ্কৃত বা উদ্ভাবিত জ্ঞানের আধার। প্রাতিষ্ঠানিক বেদ বলতে ঋক, সাম, যজু ও অথর্ব্ব বেদ ইত্যাদি গ্রন্থগুলিকে বোঝায়। বেদের সঙ্গে আছে ব্যাকরণ, নিরুক্ত, ছন্দ, জ্যোতিষ, গণিত, শিক্ষা ইত্যাদি ছয় বেদাঙ্গ যেগুলি খুবই উচ্চাঙ্গের জ্ঞানের আধার এবং সারা পৃথিবীর সকলের সম্পদ। ব্যাকরণের মধ্যে পাণিনির ব্যাকরণ তো মানব মনীষার একটি শ্রেষ্ঠতম অবদান রূপে পাশ্চাত্যেও স্বীকৃত হয়েছে। বৈদিক গণিতও যথেষ্ট উন্নত। নিরুক্ত (semantics) নামের বেদাঙ্গও বিদেশে বেশ চর্চ্চিত, যদিও সে চর্চ্চা এখনও যথেষ্ট নয় বলে বর্ত্তমান লেখক মনে করেন। এই সব বইয়ের টীকাটীপ্পনী সহ এক সুবিশাল বৈদিক সাহিত্য গড়ে উঠেছে যা দিয়ে একটি ছোটোখাটো লাইব্রেরী বানানো চলে। এই বিশাল জ্ঞান ভাণ্ডারের প্রকৃত মর্ম্ম উদ্ধারের কাজ এখনও ঢের বাকী আছে।
বেদের মধ্যে ঈশ্বরের স্থান কোথায় এবং কতটুকু? উত্তরে জানাই যে বেদের আদি অংশে ঈশ্বর শব্দটিই নাই। বেদের অন্তিমে উপনিষদে আছে ব্রহ্মের কথা। কেউ ব্রহ্মে বিশ্বাস করলে তিনি আস্তিক এবং যিনি ব্রহ্ম মানেন না তিনি নাস্তিক এমনটা বলা হয়।
এখন প্রশ্ন: ব্রহ্ম কী জিনিষ? ঈশ্বর বলতেই বা কী বোঝায়?
বাংলা ভাষার প্রামাণ্য অভিধান হরিচরণ বন্দ্যোপাধ্যায়ের ‘বঙ্গীয় শব্দকোষ‘ গ্রন্থে ব্রহ্ম মানে তত্ত্ব, জ্ঞান, আত্মা, সত্য, মোক্ষ, অতিমহত্, ব্রহ্মজ্ঞান, শব্দ ইত্যাদি। যেমন ধরুণ বৈয়াকরণ ভর্তৃহরির বিখ্যাত ‘বাক্যপদীয়‘ গ্রন্থের প্রথম ভাগটির নাম ‘ব্রহ্মকাণ্ড‘। এখানে ‘ব্রহ্মকাণ্ড’ মানে ‘theoretical part’ বা তাত্ত্বিক অংশ বলে বুঝতে হবে। এর থেকে ব্রহ্ম মানে theory বা তত্ত্ব বলে বোঝা যায়। শব্দকে ব্রহ্ম বলে কারণ শব্দ দিয়েই আমরা চিন্তা করি এবং শব্দে শব্দে সম্পর্ক বুঝলে বস্তু জগতকেও বোঝা যায়। সেদিক থেকে যিনি প্রকৃতির নিয়মে (তত্ত্বে বা theory-তে) বিশ্বাস করেন তাকে আস্তিক বলা যায়। বিশ্বব্রহ্মাণ্ডের সব কিছুই গভীর সম্পর্কে আবদ্ধ। সেই সম্পর্কজ্ঞানের উপলব্ধিই ব্রহ্মজ্ঞান। সুতরাং তথাকথিত নাস্তিকদের অনেকেই বিজ্ঞানমনস্ক এবং প্রকৃতির নিয়মে গভীরভাবে বিশ্বাসী হলে তাদেরকেও সসম্মানে আস্তিক বলা যেতে পারে। যুক্তির বিচারে আস্তিকদের দেওয়া ‘নাস্তিক‘ গালিটি সমস্ত তথাকথিত নাস্তিকের পক্ষে প্রযোজ্য নয়। ব্রহ্ম মানে সত্য বলে যিনি সত্যে বিশ্বাস করেন তিনিও আস্তিক। যিনি নিজেকে বিশ্বাস করেন তিনিই আস্তিক, গ্রামাঞ্চলে এমন কথাও অনেকে বলেন। এটিও আস্তিক শব্দের ভুল প্রয়োগ নয়। আস্তিক শব্দের অর্থ বেদে বিশ্বাসী, পরলোকে বিশ্বাসী, ঈশ্বরে বিশ্বাসী, ব্রহ্মে বিশ্বাসী, শ্রদ্ধাবান ইত্যাদি হয়। নানা প্রামাণ্য অভিধান ও বইয়ে এই অর্থগুলি পাওয়া যায় ।
এবার আসি ঈশ্বর শব্দের অর্থে। বঙ্গীয় শব্দকোষে ঈশ্বর শব্দের অর্থগুলি হল প্রভু, আঢ্য, ঈশনশীল, রাজা, পতি, পরমেশ্বর ইত্যাদি। তাই শব্দার্থকে সঙ্কুচিত না করলে বলা যায় যে আমরা প্রতিনিয়ত নানা রকমের ঈশ্বরের দেখা পাই। তবে পরমেশ্বরের ধারণাটা সবাই করতে পারেন না, কিন্তু কেউ কেউ পারেন। এই ধারণা খুবই শক্ত হলেও সেটা যে বিজ্ঞানের সঙ্গে অসঙ্গতিপূর্ণ হবেই এমনটা নয় বলে রিচার্ড ফিনম্যানের মতো দিকপাল পদার্থবিজ্ঞানী এবং আরও বহু চিন্তাশীল মানুষ মনে করতেন /করেন। আইনস্টাইন ও রবীন্দ্রনাথ এক ধরণের ঈশ্বরে বিশ্বাসী ছিলেন। ওরা ঈশ্বর শব্দের যেরকম অর্থ করেছেন সেগুলিকে ভুল বলা চলে না। আইনস্টাইন রবীন্দ্রনাথ প্রমুখ নাস্তিক নন, ওরা আস্তিক। কেউ কেউ বলতে পারেন যে আইনস্টাইন যে অর্থে ঈশ্বর কথাটা ব্যবহার করতেন তা প্রায় নাস্তিকতার নামান্তর। সেক্ষেত্রে আমি বলব যে তার কথাটা ঠিকই এবং গভীর বিচারে নাস্তিকতা আস্তিকতা থেকে খুব একটা দূরে নয়।
বাহ্যজগতে দৃশ্যমান ঈশ্বর যে নাই তাতে কোনো ভুল নাই। কিন্তু শুধু বাহ্যদৃশ্য জগতটাই নয়, মনোজগতের অদৃশ্য সত্তাগুলিকে নিয়েও আমাদের ভাষার কারবার। ঈশ্বরের ধারণাটি এসেছে মানুষ আসার পরে এবং বেদের আদি অংশে নানা দেবদেবীর কথা থাকলেও জগতস্রষ্টা ঈশ্বরের কথা নাই একথা আমরা আগেই বলেছি। প্রাচীন কালের মানুষ প্রশ্ন করত এই জগৎ কীভাবে সৃষ্টি হল, দিন দুনিয়ার মালিক কে সেই প্রশ্ন তারা করত না। জগতের মালিকের ধারণাটা এল সমাজে ব্যক্তিমালিকানার উদ্ভবের পর (‘দিশা থেকে বিদিশায়‘, কলিম খান)। কাজেই বেদ মানা মানেই কিন্তু ঈশ্বর মানা নয়।
তাহলে নাস্তিক কে? প্রকৃত অর্থে এই পৃথিবীর কেউই কি নাস্তিক নয়? কেউ কেউ এমনটাই মনে করেন। অনেকে এমন কথাও বলে থাকেন যে যারা নিজেদের নাস্তিক বলে ঘোষণা করেন তারাই নাকি আজকের দিনে সবচেয়ে বড় আস্তিক! আমার মতে ‘পৃথিবীর কেউই নাস্তিক নয়‘ না বলে নাস্তিকদের জন্য যথেষ্ট জায়গা ছেড়ে দেওয়া দরকার এবং শব্দার্থের নিয়মে তাতে অসঙ্গতি হয় না। যারা ব্রহ্ম, ঈশ্বর প্রভৃতি শব্দগুলির অর্থ ভাল করে না বুঝে (বুঝাটা সহজ নয়) অথবা অর্থকে সঙ্কুচিত করে নিজেদের নাস্তিক বলে থাকেন তাদের আমরা তথাকথিত অর্থে নাস্তিক বলতেই পারি। যারা যাগযজ্ঞ, পূজা, পরলোক ইত্যাদিতে বিশ্বাস করেন না তাদেরও নাস্তিক বলা চলে (আমি এই শ্রেণীর নাস্তিক)। ঈশ্বর না মানলেও এদের অনেকেই মানুষের জন্য অনেক ভাল কাজ করেন। বিবেকানন্দ, রবীন্দ্রনাথ প্রভৃতি আস্তিকরা এদের গুণগানই করেছেন। যারা নাস্তিকদের অধার্ম্মিক বলে মনে করেন তারা ধর্ম্ম শব্দটির অর্থই জানেন না।
আমার মতে নাস্তিকতা অবশ্যই একটি ধর্ম্ম বলে গণ্য হতে পারে। এখানে বলে রাখি যে কেউ কেউ নাস্তিকতাকে একটি ধর্ম্ম বলে মানতে চান না, কেউ কেউ হিন্দুধর্ম্মকেও ধর্ম্ম বলে মানেন না। প্রকৃতপক্ষে ধর্ম্ম শব্দের যা অর্থ তাতে করে হিন্দুধর্ম্ম এবং নাস্তিকতা উভয়কেই ধর্ম্ম বলা যায়। ধৃ ধাতু থেকে নিষ্পন্ন ধর্ম্ম শব্দের অর্থ ‘লোকধারক‘ অথবা ‘শরীরসাধন যে কর্ম্মের অপেক্ষা করে‘। তাহলে যেসব কর্ম্ম নাস্তিকদের ধরে রাখে তাকে ‘নাস্তিকতা ধর্ম্ম‘ বললে ভুল হয় না। বাংলা ও সংস্কৃতে ধর্ম্ম শব্দের অর্থ এতই ব্য়াপক যে তা অক্সিজেনের ধর্ম্ম, মানুষের ধর্ম্ম, সমাজের ধর্ম্ম থেকে শুরু করে নাস্তিকদের ধর্ম্মকেও বোঝাতে পারে। নৃসিংহপ্রসাদ ভাদুড়ী মহাশয় বলেন, ‘ভারতে আর দশটা ধর্ম্মের মতো নাস্তিক্যও একটি ধর্ম্ম এবং তার জন্ম হয়েছে আস্তিক্যর প্রায় সমবয়স্কতায়‘। ব্যাকরণ এবং ইতিহাসের বিচারে তাঁর এই কথা একদম ঠিক। তবে নাস্তিকতাকে আলাদা ধর্ম্মমত না বলে হিন্দুধর্ম্মেরই একটি শাখা রূপে বিবেচনা করা হয়। এরা চার্ব্বাক দর্শনে বিশ্বাস করেন। ঈশ্বর, পরলোক ইত্যাদি সম্বন্ধে এরা নানা প্রশ্ন তুলেন। দার্শনিক জিজ্ঞাসা হিসাবে এদের প্রশ্নগুলির মূল্য আছে। কিন্তু শুধুমাত্র চার্ব্বাক দর্শনে মজে গিয়ে ভারতীয় দর্শনের অন্যান্য শাখাগুলিকে অবহেলা করলে মোহগর্ত্তে পতিত হওয়ার সম্ভাবনা থেকে যায়। আমরা নাস্তিকতা সহ সব ধর্ম্মের ভালোটা নিতে পারি এবং সবকিছু নিয়ে সুন্দর জীবন ও মন গড়ে তুলতে পারি। ভারতীয় ঐতিহ্য মানে শুধু আস্তিকতা বা শুধু নাস্তিকতরা নয়। ভারতবর্ষ সমন্বয়ের সাধনা করেছে। এই ভারতবর্ষকে ভাল বুঝেছিলেন রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর।
কোনো কোনো নাস্তিক বন্ধু বলতে পারেন যে আমি শুধু কথার কচকচি করছি। তারা মনে করতে পারেন যে শব্দের আদিম অর্থ কি ছিল বা শব্দার্থের নিয়ম কি সেসব জেনে পোষাবে না, শব্দের ফিলহাল মানেগুলি জানলেই চলে যাবে । তাছাড়া আমার কথা মানতে গেলে সমাজের জ্বলন্ত সমস্যাগুলির সমাধান করা যাবে কি করে? এ ব্যাপারে আমার উত্তর হল খেয়ালখুশী মতো শব্দের অর্থ না করে ব্যাকরণ ও নিরুক্ত মেনে শব্দের অর্থ করলে বেদপুরাণাদির প্রকৃত অর্থ বুঝতে পারা যাবে আর সেখান থেকেই পাওয়া যাবে ভারতের প্রকৃত ইতিহাস এবং আমাদের সমস্যাগুলির সমাধানের পথ। ইতিহাস বিছিন্নতাই ভারতের দুর্গতির কারণ। বেদপুরাণরামায়ণমহাভারত আমারা আমাদের প্রকৃত ইতিহাস খুঁজে পেতে পারি। ভাষাবিদ রবি চক্রবর্তী ও কলিম খান তাদের ক্রিয়াভিত্তিক শব্দার্থবিধির সাহায্যে সে ইতিহাস উন্মোচনের রাস্তা দেখিয়ে আমাদের পথটা অনেক সুগম করে দিয়েছেন।
আস্তিকতা ও নাস্তিকতার ফারাকটাকে খুব বড় করে না দেখাই ভালো। এই ফারাকের অনেকটাই শব্দার্থ ভাল করে না বোঝার ফল। সুকুমার রায় তাঁর ‘ভাষার অত্যাচার‘ প্রবন্ধে বলেছিলেন যে আমাদের অর্ধেক লড়াই আসলে ভাষার লড়াই। আমি বলব আস্তিক ও নাস্তিকদের লড়াইয়ের শতকরা ৯৯ ভাগই শব্দার্থের দর্শন না বোঝার ফল। আস্তিক ও নাস্তিক শব্দের ক্রিয়ামূল বিচার করে এই বিষয়ের আরও গভীরে যাওয়ার অবকাশ এখন আমার হাতে নাই। শুধু বলি যে শব্দের সঙ্গে, ভাষার সঙ্গে সমাজের সম্পর্ক অত্যন্ত নিবিড়। এটা ভাল করে বুঝলে আমরা বাংলার ভাষা ও সংস্কৃতিকে বাঁচাতে পারব এবং নিজেদের নানা সমস্যার সমাধান করতে পারব। কাউকে নাস্তিক বলে গালি দেওয়া ভাল নয়, নাস্তিকরা আস্তিকদের মূর্খ বলবেন তাও কাম্য নয়। যদি সম্ভব হয় তো আস্তিক ও নাস্তিকরা পরস্পরের সঙ্গে মেলবন্ধনে আবদ্ধ হোন, এই কামনা করি।
সেপ্টেম্বর ২৪, ২০১৭; ৯:৪৫ অপরাহ্ন
শব্দ এবং ঐতিহ্যের মূল ধরে আলোচনার জন্য আপনাকে অনেক ধন্যবাদ। আ্মি আপনার সাথে একমত, জানার সীমাবদ্ধতা এ সম্পর্কিত বিতর্কে বিভ্রান্তির কারণ। বিশেষ করে ভারতবর্ষের প্রেক্ষিতে এসব আলোচনা খুব সহজ নয়। অনলাইন নাস্তিক্যবাদ এখন দার্শনিক আলোচনা ছাড়িয়ে বিভিন্ন ধর্মের মহাপুরুষদের নিয়ে কুৎসা ছড়ানোয় ব্যস্ত।