মুসলিমদের প্রার্থনা করা দেখলে কখনো মনে হবে তারা ইহুদিদের অনুসরণ করছে আবার কখনো প্যাগানদের। ইহুদিদের অনুকরণে নামাজ পড়ছে, উপবাস করছে আবার কখনো প্যাগানদের মত করে পাথরে চুমু খাচ্ছে বা সাতপাকে ঘুরছে। কুরআনে যেমন ঈসা, মুসা, ইব্রাহিমদের দেখা পাওয়া যায় তেমনি লাত, মানাত, উজ্জা, হুবালের। খোলা চোখে একটু দেখলেই বোঝা যায় ইসলাম আসলে জুডো-খ্রিস্টান ট্রেডিশন আর তৎকালীন সেমেটিক তথা আরবীয় প্যাগান ধর্মের জগাখিচুড়ি ছাড়া আর কিছুই নয়।
প্রশ্ন হচ্ছে আমরা যেই ইসলামকে জানি সেই ইসলাম কি আসলেই সম্পূর্ণই মুহাম্মাদের নিজ হাতে গড়া ইসলাম নাকি সেখানে আরো মানুষের অবদান আছে? ইসলামের প্রাথমিক ধর্ম চর্চা কি এখনকার মতোই না আলাদা? হলে সেটা কতদিনে হয়েছে?
এর আগের পর্বে বলেছি বাইজান্টাইন সম্রাটকে সিরিয়ার গভর্নর মুয়াবিয়ার পাঠানো চিঠির কথা। যেই চিঠিতে মুহাম্মদ বা ইসলামের নাম-গন্ধও নেই। শুধু আছে কোন এক আব্রাহামিক ধর্মের কথা যা থেকে আমরা কোনোভাবেই নিশ্চিত হতে পারি না সেটা বর্তমানের ইসলাম, শুধু হয়ত সংশয় নিয়ে ধারণা করতে পারি সেটা হয়ত প্রাথমিক ইসলামের কোন একটি রূপ। ৬৭৭ বা ৬৭৮ সালের দিকে মুয়াবিয়া, যে কীনা তখন উম্মায়েদ খলিফা, এর নাম তাইফ এর একটি বাঁধ উৎসর্গ করা হয়। অফিসিয়াল ইনস্ক্রিপশনের বাংলা অনুবাদ করলে পাওয়া যায়,
“এই বাঁধের মালিক ঈশ্বরের দাস মুয়াবিয়া, বিশ্বাসীদের নেতা। ঈশ্বরের অনুগ্রহে আবদুল্লা বিন স্যাক্সোর বাঁধটি তৈরী করেন হিজরী ৫৮ সালে।
আল্লাহ, ক্ষমা করো ঈশ্বরের দাস মুয়াবিয়াকে, তাকে বিশ্বাসী হয়ে সুখী হয়ে থাকতে দাও তার অবস্থানে।”
ট্রেডিশনাল ইসলামিক ইনস্ক্রিপশনে যেমন শুরুতে আউযুবিল্লা বিসমিল্লা থাকে এই ইনস্ক্রিপশনে সেরকম কিছুই নেই। নেই মুহাম্মাদের বা ইসলামের কথা। শুধু বলা হয়েছে কোন একটা ধর্মীয় বিশ্বাসের কথা কিন্তু কী ধরনের ধর্মীয় বিশ্বাস সে সম্পর্কে কোন তথ্যই সেখান থেকে পাওয়া যায় না।
মিশরে একটি ব্রিজে ৬৬৮ সালের এরকম আরেকটি ইনস্ক্রিপশন পাওয়া যায় যেখানে লেখা আছে,
“মিশরের আমির আব্দুল আজিজ বিন মারওয়ানের হুকুমে সেতুটি তৈরী হয়েছে। আল্লাহ, আশীর্বাদ করো তাকে (আমিরকে), সুখী করো জীবনে। আমিন।
সাদ আবু উসমান ব্রিজটি বানিয়েছেন এবং আব্দুর রহমান (ইনস্ক্রিপশনটি) লিখেছেন হিজরী ৬৯ সালে সফর মাসে।”
মুয়াবিয়ার ইনস্ক্রিপশনের মত এখানেও কোন আউযুবিল্লা বিসমিল্লা নেই, নেই ইসলাম বা মুহাম্মাদের নাম। শুধু আছে আল্লা শব্দটি, যা থেকে আবারো আমরা শতভাগ নিশ্চিত হতে পারি না মিশরের সেই আমি যে আসলেই আমাদের জানা ইসলামের অনুসারী ছিল কীনা। তার কারণ আরবি ভাষায় আল্লাহ শব্দটি ঈশ্বর শব্দটির সমার্থক এবং আরবের ইহুদি, খ্রিস্টান, প্যাগান সবাই ঈশ্বর বুঝতে আল্লাহ শব্দটি ব্যবহার করত ইনফ্যাক্ট এখনো অনেকেই করে।
সর্বপ্রথম বিসমিল্লা শব্দটি পাওয়া যায় একটি ৬৫০ থেকে ৬৭০ খ্রিস্টাব্দের একটি কয়েনে, যদিও সেখানে ইসলাম বা মুসলিম শব্দটির অনুপস্থিত। সমসাময়িক আরো কিছু মুদ্রায় পাওয়া যায় বিসমিল্লাহ রাব্বি, রাব্বি আল্লাহ, বিসমিল্লাহ আল মালিক। ৬৪৭ থেকে ৬৫৮ সালের মধ্যের প্যালেস্টাইনের এক মুদ্রায় মুহাম্মাদের নাম পাওয়া যায় কিন্তু পাওয়া গেলেও সেখানে আছে ক্রসসহ একজন মানুষের ছবি খোদাই করা যেখানে ইসলামে ছবি আঁকা নিষিদ্ধ। ৬৬৮ সালের সিরিয়ান এক কয়েনেও কাছাকাছি অবস্থা। হতে পারে প্রাথমিক ইসলামে ছবি আঁকার ওপর কোন নিষেধাজ্ঞা ছিল না অথবা প্যালেস্টাইনের কালচারাল যে পরিবর্তন হচ্ছিল তারই প্রমাণ সেই মুদ্রা যেখানে মুহাম্মদ, ক্রস এবং মানুষের ছবি সবই আছে।
ছবি আঁকার ওপর নিষেধাজ্ঞা না থাকার সন্দেহ করার আরেকটি কারণ উম্মায়েদ খলিফা আব্দুল মালিক ইবনে মারওয়ানের সময়ের মুদ্রাগুলো। তার একটি মুদ্রাতে কোন একজন মানুষের ছবি খোদাই করা যেখানে দেখা যাচ্ছে তলোয়ার হাতে কোন একজন যে কীনা হতে পারে মুহাম্মদ অথবা খলিফা নিজেই। ৬৯৫ খ্রিস্টাব্দের তার আরেক রৌপ্য মুদ্রাতেই প্রথম পাওয়া যায় সর্বপ্রথম লাইলাহা ইল্লাল্লাহ, মুহাম্মাদুর রাসূলুল্লা। মূলত খলিফা আব্দুল মালেকের সময় থেকেই নানা ইনস্ক্রিপশনে মুহাম্মাদের নাম উঠে আসতে থাকে। তার আগে পর্যন্ত অদ্ভুতভাবেই ইসলামের বা মুসলিমদের নাম অনুপস্থিত মুসলিম অমুসলিম সব সোর্স থেকেই।
খলিফা আব্দুল মালিকের পূর্ববর্তী খলিফা মুয়াবিয়ার সম্পর্কে প্যালেস্টাইনের এক পাবলিক গোছলখানায় এক ইনক্রিপশনে বলা হয় যশোরের দাস, রক্ষাকারীদের নেতা এবং এই ইনক্রিপশনের শুরুতে ছিল একটা খ্রিস্টান ক্রস। মুসলিম সোর্সগুলো উম্মায়েদদের সম্পর্কে খুব ভাল কথা বলে না বিশেষত মুয়াবিয়ার সম্পর্কে। ইসলামি হুকুম মানতে তার অপরাগতার গল্প কম বেশি আমরা সবাই জানি সাথে এও জানি ইসলামিক সোর্সগুলার ঐতিহাসিক ভ্যালিডিটি যে কতো কম। কিন্তু সেসময় যদি আসলেই বর্তমান ইসলাম বা মুসলিমেরা থেকে নাই থাকে তার বদলে যদি থাকে ইসলামের এক প্রাথমিক রূপ যার অনেকটাই খ্রিস্টিয়ানিটি ঘেঁষা, সেক্ষেত্রে মুয়াবিয়া সংক্রান্ত অনেক ধোয়াই পরিষ্কার হয়ে যায়।
খলিফা উমরের প্যালেস্টাইন জয়ের পর সেখানে ছোট একটা মসজিদ বানালেও আলাদা করে খুব গুরুত্ব দেয়নি যতটা গুরুত্ব বর্তমানের ইসলাম দিয়েছে। সেখানকার মুসলমানদের জন্য ছোট একটা মসজিদ বানানো ছাড়া তেমন কিছুই আর উমর করেনি। খলিফাদের মধ্যে আব্দুল মালেকই প্রথম আলাদা করে প্যালেস্টাইনকে গুরুত্ব দেন এবং বড় স্কেলে সেখানে মসজিদ এবং ডোম অব দ্যা রকের কাজ করে এবং ডোম অব দ্যা রকেই সর্বপ্রথম কুরআনের আয়াতের ইনস্ক্রিপশন পাওয়া যায় যা বর্তমান কুরআনের থেকে কিছুটা ভিন্ন এবং কিছু অংশ বর্তমান কুরআনে নেই। ডোম অব দ্যা রকের দক্ষিণ পূর্ব অংশে পাওয়া কুরআনের আয়াতের (এস্টেলে হুইলানের অনুবাদের) বঙ্গানুবাদ :
“পরম করুনাময়, দয়াময় আল্লাহর নামে, আল্লাহ ব্যাতিত কোন উপাস্য নাই, তিনি এক এবং তার কোন শরিক নাই। (শাহাদা)
নভোমন্ডল ও ভূমন্ডলের রাজত্ব তাঁরই। তিনি জীবন দান করেন ও মৃত্যু ঘটান। তিনি সবকিছু করতে সক্ষম। (৬৫:১, ৫৭:২)
মুহাম্মদ আল্লাহর দাস এবং রাসূল। (শাহাদা)
আল্লাহ ও তাঁর ফেরেশতাগণ নবীর প্রতি রহমত প্রেরণ করেন। হে মুমিনগণ! তোমরা নবীর জন্যে রহমতের তরে দোয়া কর এবং তাঁর প্রতি সালাম প্রেরণ কর।(৩৩:৫৬) আল্লাহর রহমত এবং শান্তি বর্ষিত হোক তার উপর এবং আল্লাহ তাকে ক্ষমা করুন। (এই অংশটি কুরআনে নেই)
হে আহলে-কিতাবগণ! তোমরা দ্বীনের ব্যাপারে বাড়াবাড়ি করো না এবং আল্লাহর শানে নিতান্ত সঙ্গত বিষয় ছাড়া কোন কথা বলো না। নিঃসন্দেহে মরিয়ম পুত্র মসীহ ঈসা আল্লাহর রসূল এবং তাঁর বাণী যা তিনি প্রেরণ করেছেন মরিয়মের নিকট এবং রূহ-তাঁরই কাছ থেকে আগত। অতএব, তোমরা আল্লাহকে এবং তার রসূলগণকে মান্য কর। আর একথা বলো না যে, আল্লাহ তিনের এক, একথা পরিহার কর; তোমাদের মঙ্গল হবে। নিঃসন্দেহে আল্লাহ একক উপাস্য। সন্তান-সন্ততি হওয়াটা তাঁর যোগ্য বিষয় নয়। যা কিছু আসমান সমূহ ও যমীনে রয়েছে সবই তার। আর কর্মবিধানে আল্লাহই যথেষ্ট। মসীহ আল্লাহর বান্দা হবেন, তাতে তার কোন লজ্জাবোধ নেই এবং ঘনিষ্ঠ ফেরেশতাদেরও না। বস্তুতঃ যারা আল্লাহর দাসত্বে লজ্জাবোধ করবে এবং অহংকার করবে, তিনি তাদের সবাইকে নিজের কাছে সমবেত করবেন। (৪:৭১-৭২)
আল্লাহ, রহমত করো তোমার রাসূল এবং দাস ঈসা ইবনে মরিয়মকে, তার উপর শান্তি বর্ষিত হোক যেদিন তিনি জন্ম গ্রহণ করেছেন, যেদিন তিনি মৃত্যু বরন করবেন এবং যেদিন তিনি পুনুরুত্থিত হবেন (কুরআনের আয়াতে আছে, আমার প্রতি সালাম যেদিন আমি জন্মগ্রহণ করেছি, যেদিন মৃত্যুবরণ করব এবং যেদিন পুনরুজ্জীবিত হয়ে উত্থিত হব। ১৯:৩৩)
এই মারইয়ামের পুত্র ঈসা। সত্যকথা, যে সম্পর্কে লোকেরা বিতর্ক করে। আল্লাহ এমন নন যে, সন্তান গ্রহণ করবেন, তিনি পবিত্র ও মহিমাময় সত্তা, তিনি যখন কোন কাজ করা সিদ্ধান্ত করেন, তখন একথাই বলেনঃ হও এবং তা হয়ে যায়। তিনি আরও বললেনঃ নিশ্চয় আল্লাহ আমার পালনকর্তা ও তোমাদের পালনকর্তা। অতএব, তোমরা তার এবাদত কর। এটা সরল পথ। (১৯:৩৪-৩৬)”
ট্রেডিশনালি যেকোন পবিত্র ইসলামিক স্থানেই কমবেশি এখন ওখান থেকে নেয়া কুরআনের আয়াতের ক্যালিগ্রাফি বা ইনস্ক্রিপ্যাশন পাওয়া যায় তাই বিভিন্ন অংশ থেকে নেয়া কুরআনের আয়াতে অবাক না হলেও অবাক হয়েছি কুরআনের আয়াতের মধ্যে নন কুরআনিক টেক্সট ঢুকানো এবং আয়াতের কিঞ্চিৎ পরিবর্তন করা দেখে। জানা মতে সবসময়েই মুসলিমেরা গর্ব করে কুরআনের আয়াতের পরিবর্তন সম্ভব না কিন্তু তারপরেও মুসলিমদের তৃতীয় পবিত্র স্থানের ইনস্ক্রিপশনেই কুরআনের আয়াতের পরিবর্তন। দ্রষ্টব্যঃ থিয়োলোজির স্কলার ক্রিস্টোফ লুক্সেনবার্গের মতে এই ভিন্নতার কারণ হল কুরআন থেকে এই আয়াতগুলো নেয়া হয়নি বরং কুরআনে এই আয়াতগুলো সুবিধামত পরবর্তীতে বসানো হয়েছে।
কুরআনের আয়াতের ভিন্নতা ছাড়াও জেরুজালেম অঞ্চলেই আরেকটি জিনিস পাওয়া যায় যা বর্তমান ইসলামের সাথে মেলে না, তা হল খুব প্রাচীন একটি মসজিদ যা কাবা মুখী নয়, বরং সূর্য ওঠার দিক পূর্ব দিকে মুখ করে বানানো। ইসরায়েলি এন্টিকুইটি অথরিটির আর্কিওলজিস্ট ড: টালি এরিকসনের মতে মসজিদটি বানানো হয়েছে মুহাম্মাদের মৃত্যুর পর একশ বছরের মধ্যে যা কিনা উম্মায়েদ খিলাফতের শাসনামলেই পরে। ইসলামি তথ্যমতে প্রথম কিবলা ছিল জেরুজালেম এবং তার পরবর্তীতে কাবায় নেয়া হয় মুহাম্মাদের জীবনামলেই যদিও মুহাম্মাদের আর্কিওলজিকাল এভিডেন্স বলছে মুহাম্মাদের মৃত্যুর পরেও তা হয়নি বরং তা জেরুজালেম বা কাবা কোন কিছুর দিকেই মুখ ফেরানো না। কিবলা প্রসংগে কুরআনে স্পষ্টভাবে তেমন কিছু বলাও নেই শুধু সূরা বাকারার ১৪২,১৪৩,১৪৪ আর ১৪৯ নাম্বার আয়াত ছাড়া। সেখানে বলা হয়েছে কিবলা ঘুরিয়ে মসজিদুল হারাম বা কোন পবিত্র স্থানের দিকে নেয়ার কথা কিন্তু সেই পবিত্র স্থানটি কোথায় তা বলা হয়নি, বলা হয়নি মসজিদুল হারাম বলতে আমরা যা জানি তাই কি সেই পবিত্র স্থানটি কিনা, বলা হয়নি জেরুজালেমই যে প্রথম কিবলা ছিল।
ডোম অব দ্যা রকের ইনস্ক্রিপশন ছাড়াও উম্মায়েদ খলিফা আব্দুল মালেকের সময়ের আরেকটি ইনস্ক্রিপশনেও (৬৯৭ অথবা ৭০৩ সালের) পাওয়া যায় মুহাম্মাদের নাম। শুধু মুহাম্মদ না, ডোম অব রকে যেমন আল্লাহর সাথে শিরক বা অংশীদারিত্ব করতে মানা করা হয়েছে এখানেও তাই। ইনস্ক্রিপশনে আউযুবিল্লা না থাকলেও বিসমিল্লা, লালিলাহ ইল্লালা থেকে মুহামাদুর রাসূলুল্লা সবই আছে ঠিক যেমন আছে বর্তমানের ইসলামে। শুধু এই না, খলিফা আব্দুল মালেকের সময় থেকেই মুসলিম শব্দটির ব্যবহার শুরু হয় হাগারিয়ান, ইসমায়েলাইট বা সারাসিন শব্দের বদলে। তার সময়েই পুরো কলেমা বা মুসলিম শাহাদার দেখা পাওয়া যায় মুদ্রায়, দেখা পাওয়া যায় পুরো কুরআনের।
উল্লেখ্য, হাজ্জাজ বিন ইউসুফ, তৎকালীন ইরাকের গভর্নর, খলিফা আব্দুল মালেকের হুকুমে নতুন কয়েন ইস্যু করে যাতে মোটামুটি পুরো ইসলামিক শাহাদা পাওয়া যায়। এমনকী ইবনে হাজারের হাদিস আর সীরাত ভিত্তিক বই আল কামাল ফি আসমা আল রিয়াজাল থেকে পাওয়া যায় মসজিদে কুরআন থেকে তেলাওয়াতের শুরুটা করেন হাজ্জাজ বিন ইউসুফ। অন্য বেশ কিছু ট্রেডিশন থেকে জানা যায় হাজ্জাযে বিন ইউসুফ প্রথম কুরআনকে সহজ ভাষায় উপস্থাপন করা শুরু করেন যাতে সবাই সহজে বুঝতে পারে যাকে অন্য ভাষায় বলা যেতে পারে কুরআনের পরিবর্তন, পরিমার্জন অথবা পরিবর্ধন।
এর মানে কি মূলত খলিফা আব্দুল মালেকই ইসলাম ধর্মের মূল প্রবক্তা নাকি এক সময় মুহাম্মদ নামে যে ধর্মগুরু ছিল তার শিক্ষাকে হাজ্জাজ বিন ইউসুফের সহায়তায় নিজের মত করে পরিবর্তন পরিবর্ধন করেছে আব্দুল মালিক? হয়ত খলিফা মালেক হোলি রোমান সাম্রাজ্যের দেখা দেখি তার নিজের একটি রাষ্ট্রধর্মের প্রয়োজনীয়তা অনুভব করেছে রাষ্ট্রক্ষমতা এবং রাষ্ট্রের একতা বজায় রাখার তাগিদে? নাকি মোহাম্মদ নাম আসলেই কেউ ছিলই না, প্রয়োজনের তাগিদেই তাকে উম্মায়েদ খলিফারা তৈরী করেছে?
চলবে…