সম্প্রতি ভারতীয় হিন্দুদের একটি সামান্য অংশ অস্ত্র হাতে মিছিল করার কারণে অনেকের ল্যাজে আগুন ধরে গেছে। তাঁদের কথা শুনলে মনে হয় ধর্মনিরপেক্ষতা একেবারে শেষ হয়ে গেল। তাঁদের প্রথমেই মনে করিয়ে দেওয়া উচিত যে আমেরিকা একটা খ্রিস্টান দেশ যেখানে সকলেই অস্ত্র নিয়ে ঘুরতে পারে। তথাকথিত ধর্মনিরপেক্ষ দেশের চেয়ে সেখানে অন্য জাতের মানুষ বিপদে আছে এটা ছাগলেও বলবে না। বরং সংখ্যাগরিষ্ঠ খ্রিস্টান অস্ত্র নিয়ে ঘুরলেও জিহাদি মুসলমানের আক্রমণের কারণে সেদেশে সবচেয়ে বেশি মানুষ মারা পড়ে।
বস্তুত, ভারতীয় হিন্দুদের অস্ত্র ধরার প্রয়োজন রয়েছে। বাস্তবতা বিচার করতে গেলে তারা এখনও একটা পরাধীন জাতি। এতোদিন এই সত্যটি লুকিয়ে রাখা হয়েছিল মাত্র। যেহেতু কোনো পরাধীন জাতির স্বাধীনতা লাভের জন্য অস্ত্র ধরা আদৌ অন্যায় নয়, তাই আমি এখানে শুধু এটুকুই প্রমাণ করতে চেষ্টা করবো যে, ভারতীয় হিন্দুরা এখনও স্বাধীন নয়। পরাধীন জাতির সদস্যরা অস্ত্র ধরলে তাকে অন্যায় বলে না, বীরত্ব বলে। অধিকার আদায়ের লড়াই বলে।
১৯৪৭ সালে ক্ষমতায় আসার পর থেকেই ভারতীয় জাতীয় কংগ্রেস মিথ্যা ইতিহাস রচনা করে দেশবাসীকে শিখিয়েছে, ভারত দেশটা ১৭৫৭ সালে ইংরেজদের হাতেই স্বাধীনতা হারায় এবং ১৯৪৭ সালে ইংরেজদের বিদায় করে ভারতবাসী স্বাধীনতা লাভ করে। এই দাবী সম্পূর্ণ মিথ্যা।
প্রথমত, ভারতের সমস্ত মুসলমান শাসক মুসলিম জাহানের একমাত্র নেতা খলিফাকে নিয়মিত কর এবং অন্যান্য উপহার পাঠাতেন। বিদেশী প্রভুকে কর দিয়ে রাজত্ব করা এইসব সুলতানী ও মুঘল রাজাদের স্বাধীন বলাটা কীভাবে সম্ভব সেটা বোঝা সমস্যা। তবে কংগ্রেস নিয়ন্ত্রিত ইতিহাসকাররা স্কুলের বই লেখার সময় খলিফাকে কর পাঠানোর কথাটা পুরোপুরি গোপন করে গেছেন, যাতে ছাত্ররা মনে করে মুঘল-পাঠান বাদশাহদের রাজত্বে ভারত একটা স্বাধীন দেশ ছিল। প্রকৃত সত্য এই যে, ভারতের মুসলমান বাদশাহরা কেউ-ই স্বাধীন ছিলেন না। ইংরেজদের মতোই তারাও একইভাবে ভারতের সম্পদ তাদের বিদেশী রাজাকে পাঠিয়েছে। কয়েককোটি ভারতীয়কে আরবের বাজারে বিক্রি করে শাজাহানের তাজমহল তৈরি হয়েছিল।
দ্বিতীয়ত, ইংরেজ প্রভুরা ভারতবাসীর সঙ্গে যে ব্যবহার করত তারচেয়ে বিজয়ী মুসলমানেরা হিন্দুদের ওপর কিছু কম খারাপ আচরণ করে নি। বৈষম্যমূলক আইন কানুনেও তারা একটুও কম ছিল না। ইংরেজের বিচার যেমন দেশী বিচারক করতে পারতো না, তেমনই মুসলমানদের বিচারও আলাদাভাবে হতো। সম্রাট দারাশিকো একজন নিরীহ হিন্দুকে হত্যার অপরাধে এক মুসলমান দরবেশ-বাবাকে মৃত্যুদণ্ড দেওয়াতে পুরো ভারতীয় আলেম সমাজ তাঁর পক্ষ ত্যাগ করে কট্টর আওরঙ্গজেবের দলে যোগ দেয়। ফলে সম্রাট দারাশিকো পালিয়ে যেতে বাধ্য হন। এই ছিল মুসলমান রাজত্বে নিরপেক্ষ বিচারের নমুনা। বাকি নমুনা দেখতে চাইলে শরিয়া আইন পড়তে হবে।
মুসলিম রাজত্বে হিন্দুদের ওপর অত্যাচার-অবিচারের কাহিনী এই লেখার বিষয়বস্তু নয়। শুধু এটুকুই প্রমাণ করার চেষ্টা যে, ইংরেজ রাজত্বে ভারতীয় নিগারেরা যে পরিমাণ বৈষম্যের শিকার হয়েছে তার চেয়ে অনেক বেশি অত্যাচার হিন্দুদের ওপর হয়েছে মুসলমান রাজত্বে। কিন্তু কংগ্রেস সরকারের লেখা ইতিহাস সেসব কাহিনী গোপন করে এটাই শেখায় যে, মুঘল রাজত্বে ভারতীয়রা অত্যন্ত সুখেশান্তিতে বাস করতো, ইংরেজরা এসে দেশটাকে শেষ করে দিয়েছে। ঠিক এই একই ধরনের ইতিহাস মুসলিম দেশগুলোতেও লেখা হয়। সেখানে ইতিহাসে লেখা হয় বিধর্মীদের যুগে দেশগুলো অত্যাচার আর অবিচারে শেষ হয়ে যাচ্ছিল, মুসলমানেরা দেশগুলো দখল করে শান্তি আর সুবিচার প্রতিষ্ঠা করেছে। স্বাধীন দেশের ধর্মনিরপেক্ষ দল কংগ্রেসের লেখা ইতিহাস আর মুসলিম দখলদারদের লেখা ইতিহাস হুবহু এক। বরং কংগ্রেসের লেখা ইতিহাস আরও বেশি করে মুসলমানদের ভাল সাজানোর চেষ্টা করে যেটা মুঘল লেখকেরাও করতে পারেন নি।
এ পর্যন্ত দেখা যাচ্ছে, মুসলমান যুগে ভারত ছিল মুসলিম খলিফার অধীন একটি দেশ যেখানে মুসলমানেরা ছাড়া বাকিরা ছিল পরাধীন এবং নির্যাতিত। এই বৈষম্য ইংরেজদের তুলনায় বেশিই ছিল। তাদের অতিরিক্ত কর আদায় এবং নারীহরণের হাত থেকে বাঁচতে বহু হিন্দু পাহাড়ে-জঙ্গলে আশ্রয় নিয়েছিল সে ইতিহাস মুসলিম লেখকরাই লিখে গেছেন।
লেখা বেশি লম্বা না করে চলে আসি ব্রিটিশ যুগে। মুসলমান অত্যাচারে ভারতীয় হিন্দুরা এতোটাই অতিষ্ঠ ছিল, তারা ব্রিটিশদের কোন বিরোধিতা করে নি। বস্তুত এটাই ভারতীয় হিন্দুদের সবচেয়ে বুদ্ধিমানের কাজ হয়েছে। মুসলমানদের মূল লক্ষ্যই ছিল হিন্দু জাতিকে বিলুপ্ত করে দেওয়া। বস্তুত ইসলাম ছাড়া আর সব ধর্মকে লুপ্ত করে দেওয়াটাই মুসলমানদের কাজ। কোরানে তেমনই নির্দেশ আছে। তাই সেযুগের সমস্ত হিন্দু পণ্ডিতরা মুসলমান রাজত্বের চেয়ে ইংরেজ রাজত্বকেই স্বীকার করতে বাধ্য হয়েছিলেন। লোকে ব্রিটিশদের সাহায্য করার জন্য মীরজাফরকে বিশ্বাসঘাতক বলে, কিন্তু ব্রিটিশদের বাংলায় বাণিজ্য করার অনুমতি কে দিয়েছিল? মুঘল বাদশাহ। তাদের বাংলার দেওয়ান কে বানিয়েছিল? মুঘল বাদশাহ। মীরজাফর তো ইংরেজদের পুতুল নবাব হয়ে গদিতে বসে ইস্ট ইন্ডিয়া কোম্পানিকে বিশেষ সুবিধায় বাণিজ্য করার ফরমান দিতে বাধ্য হয়েছিল। কিন্তু আপনারা কী জানেন যে, ১৯৪৭ সালে স্বাধীন হওয়া ভারত সরকার পাকিস্তানকে বিশেষ বাণিজ্যিক সুবিধা দিয়ে চুক্তি করেছিল? সেই চুক্তি কী এটাই প্রমাণ করেনা যে মীরজাফর যেমন ইংরেজদের হাতের পুতুল ছিল ভারতীয় কংগ্রেস সরকারও তেমনি মুসলমানদের হাতের পুতুল? তারা আদৌ স্বাধীন নয়।
ভারতের স্বাধীনতা সংগ্রামে মুসলমানদের ভূমিকা খুবই নগণ্য। ইংরেজরা হিন্দুদের ধর্মগ্রন্থ ভাগবত গীতাকে নিষিদ্ধ করেছিল। কারণ সশস্ত্র সংগ্রামীরা গীতা থেকে স্বাধীনতা যুদ্ধের অনুপ্রেরণা পেতেন। জানলে অবাক লাগবে, আজ সারা পৃথিবীতে মুসলমানদের জঙ্গী হামলা প্রতিদিন শোনা গেলেও ভারতে ব্রিটিশ শাসকদের বিরুদ্ধে তাদের কোনও সন্ত্রাসী কাজকর্ম ছিল না। এমনকী কংগ্রেস যখন ভারতীয়দের অধিকার আদায়ের জন্য অসহযোগ আন্দোলন করছিল তখন ভারতের মুসলমানেরা তুর্কি খলিফার অধিকার রক্ষার দাবীতে খিলাফত আন্দোলন করেছে। এ থেকে এটাই প্রমাণ হয় যে, ভারতের মুসলমানরা আদৌ ভারতকে একটা আলাদা দেশ মনে করতো না, বরং তারা ভারতকে ইসলামি খেলাফত সাম্রাজ্যেরই একটা অংশ ভাবতো।
অসহযোগ আন্দোলন থেকে আসে মোহনদাস গান্ধীর কথা। জাতে পার্সি এই মানুষটির লেখাপড়া ইংরেজিতে। বিলাতে গিয়ে আইন পড়ে চাকরি করেছেন এক মুসলমান কোম্পানিতে। আফ্রিকায় থাকাকালে সেখানকার আদিবাসীদের ওপর হামলাকারী ইংরেজদের প্রচুর সাহায্য করেছেন। সম্মান হিসাবে পেয়েছেন ‘কাইজার-ই-হিন্দ’ খেতাব। রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের নোবেল ত্যাগের মতো তিনি এই সম্মান ত্যাগ করেন নি। ইংরেজ প্রভুর দেওয়া মেডেল বলে কথা!
যাইহোক, ভারতের স্বাধীনতায় তাঁর কিছু অবদানের কথা এখানে উল্লেখ করা হচ্ছে। যা থেকে বোঝা যাবে এই লোকটি আসলে কী চাইতেন
১) যখনই তিনি অহিংস আন্দোলনের কথা বললেন, ইংরেজ সরকার দারুণ একটা সুযোগ পেয়ে গেল। মানুষ যাতে অস্ত্র ত্যাগ করে এই অহিংস পথে আসতে উৎসাহ পায় সেজন্য তারা গান্ধীর বেশকিছু দাবী মেনে নিয়ে মানুষকে দেখাতে চাইল যে এটাই সবচেয়ে ভাল পথ। এইভাবে গান্ধী ইংরেজদের মাথাব্যথা অনেকটাই দূর করতে পেরেছিলেন। যাতে ভারত শাসন করতে তাদের কোনো বিপদের আশঙ্কা না থাকে।
২) ভারতবাসীকে ইংরেজদের বিরুদ্ধে হিংসা ত্যাগ করতে বললেও ইংরেজ সৈন্যদলে যোগ দিতে তিনি ভারতীয়দের উৎসাহ দিতেন। অর্থাৎ ইংরেজদের পক্ষ নিয়ে অস্ত্র ধরে অন্যদের মারলে সমস্যা নেই, কিন্তু দেশের দখলদার ইংরেজদের ওপর অস্ত্র চালালে সেটা হিংসা।
৩) নেতাজী সুভাষ বসু যখন কংগ্রেসের সভাপতি নির্বাচিত হয়ে ইংরেজদের বিরুদ্ধে সশস্ত্র আন্দোলনের পক্ষে কথা বললেন, গান্ধী তাঁকে কংগ্রেস থেকে বহিস্কার করলেন। অথচ পাকিস্তান কায়েম করার জন্য হিন্দুদের বিরুদ্ধে সশস্ত্র সংগ্রামের ডাক দিয়ে লক্ষ লক্ষ হিন্দুর হত্যাকারী মুহাম্মদ আলি জিন্নাকে তিনি ভাই ডাকতেন। অর্থাৎ ইংরেজদের বিরুদ্ধে অস্ত্র ধরলে হিংসা, ভারতীয় হিন্দুর বিরুদ্ধে অস্ত্র ধরলে হিংসা নয়।
৪) জিন্নার পাকিস্তান কায়েমের ডাকে সাড়া দিয়ে বাংলার মুসলিম লীগের নেতা সোহরাওয়ার্দি কেবল কলকাতাতেই ১৫ হাজার হিন্দু হত্যা করেছিলেন। নির্বাচনে খ্বাজা নাজীমুদ্দীনের কাছে পরাজিত হয়ে এই সোহরাওয়ার্দি গণহত্যার মামলা থেকে বাঁচতে গান্ধীর সাহায্য নিয়ে কলকাতায় শান্তি মিছিল করেন। ততদিনে পাকিস্তান কায়েম হয়ে গেছে তাই পাকিস্তান থেকে যেভাবে হিন্দু তাড়ানো হয়েছে সেভাবে যেন পশ্চিমবাংলা থেকে মুসলমান তাড়ানো না হয় সেই উদ্দেশ্যে শান্তির বার্তা দেওয়াটাই সোরাহবর্দীর মিশন ছিল। আর তাতে সাহায্য করেছিলেন গান্ধী। একবারের জন্যও তিনি ক্যালকাটা কিলিং এর কারণে সোরাহবর্দীর বিরুদ্ধে একটি বাক্য উচ্চারণ করতে পারলেন না, উলটে তাকে শান্তির দূত হিসাবে জনগণের সামনে তুলে ধরলেন। অথচ দু‘জন ইংরাজ হত্যার অভিযোগে ভগৎ সিং এর ফাঁসি হওয়াতে তিনি বিন্দুমাত্র প্রতিবাদ করেন নি। অর্থাৎ দু‘জন ইংরাজের হত্যা হিংসা, ১৫ হাজার হিন্দু হত্যা হিংসা নয়।
হিন্দুদের সবচেয়ে বড় এই শত্রুকে আজ জাতির পিতা বলে, মহাত্মা বলে সম্মানিত করা হয়। সারা দুনিয়ায় এমন উদাহরণ আর দ্বিতীয়টি নেই। আর হিন্দুদের এই মহাশত্রুই ছিলেন কংগ্রেসের সবচেয়ে বড় নেতা। তাই মুসলমানরা অস্ত্র হাতে হাসতে হাসতে ভারত ভাগ করে নিজেদের আলাদা দেশ বানিয়ে নিয়েছে আর হিন্দুরা অহিংস সেজে তাতে বিন্দুমাত্র বাধা দিতে পারে নি। কংগ্রেস আজীবন একইভাবে মুসলমানদের সেবা করে আসছে।
প্রথম ভারত-পাকিস্তান যুদ্ধে ভারতীয় সেনারা যখন পাকিস্তানের অর্ধেক দখল করে ফেলেছে তখন নেহেরু তাদের আদেশ দিয়েছেন ফিরে আসতে। এমনকী কাশ্মীরের কিছু অংশ বিনা বাধায় পাকিস্তানের হাতে ছেড়ে রেখে ভারতীয় সেনাকে ফিরে আসতে বাধ্য করেছেন। এটা কী কোনো স্বাধীন সরকারের কাজ? নাকী মুসলমানদের হাতের পুতুল সরকার?
কাশ্মীর জবরদখল করার দায়ে যেখানে পাকিস্তানের বিরুদ্ধে জাতিসঙ্ঘে ফৌজদারি মামলা করা যেতো, সেখানে নেহেরু করেছেন দেওয়ানি মামলা যাতে জাতিসঙ্ঘ পাকিস্তানের বিরুদ্ধে কোনো শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নিতে না পারে। মুসলমানদের হাতের পুতুল না হলে এটা হতেই পারতো না।
মুসলমানদের দাবি ছিল পুরো বাংলা পাকিস্তানে পাঠানো। একমাত্র বিজেপি (জনসঙ্ঘ) নেতা শ্যামাপ্রসাদ মুখার্জীর কারণে সেটা হতে পারে নি। মুসলমানদের পরিকল্পনায় বাধা দেওয়ায় নেহেরু এই শ্যামাপ্রসাদ মুখার্জীকে প্ল্যান করে হত্যা করেছিল। মুখার্জীকে কাশ্মীরের জেলে বন্দী করে রাখা হয় এবং সেখানেই তিনি নিউমোনিয়ায় মারা পড়েন। নেহেরু জানতেন বাংলার ছেলে কাশ্মীরের ঠাণ্ডায় অসুস্থ হবেনই। আর নিউমোনিয়ার ঔষধ স্ট্রেপ্টোমাইসিনে যে মুখার্জীর এলার্জি আছে সেটাও তিনি জানতেন। কোনো স্বাধীন সরকারের পক্ষে কী এটা করা সম্ভব? যদি না তারা মুসলমানের হাতের পুতুল হয়? যে বিজেপি বাঙালি হিন্দুকে পাকিস্তানে যাওয়া থেকে বাঁচিয়েছে আর বেইমান পশ্চিমবাঙালি সেই বিজেপিকে বাদ দিয়ে বাকি সকলকেই ভোট দেয়। যারা পুরো বাংলাকে পাকিস্তানে দিতে চেয়েছিল তাদেরই গলায় মালা দেয়।
ভারতের বিজেপি ছাড়া সমস্ত রাজনৈতিক দলগুলোই বস্তুত মুসলমানের হাতের পুতুল। সমস্ত ইতিহাস লিখতে গেলে একটা ইতিহাসের বই হয়ে উঠবে। প্রধান-প্রধান ঘটনাগুলোর মধ্যে অন্যতম হল শাহবানু মামলা। শাহবানু একজন মুসলিম মহিলা, যাকে তিনবার তালাক বলে স্বামী পরিত্যাগ করে। এরপর তিনি আদালতে এই তিন তালাক প্রথার বিরুদ্ধে মামলা করেন এবং ১৯৮৬ সালে সুপ্রিম কোর্টের রায়ে জিতেও আসেন। তিন তালাক বাতিল হচ্ছে দেখে কিছু মুসলমান এমন প্রতিবাদ শুরু করে যে, প্রধানমন্ত্রী রাজীব গান্ধী সংসদে একটি আইন পাশ করে মুসলমানদের বহুবিবাহ ও তিন তালাকের অধিকার বহাল রাখেন। এ থেকেই প্রমাণ হয় দেশটা কারা চালায়। মুসলমানদের একটা অন্যায্য দাবী গণতন্ত্রের চেয়ে, সুপ্রিম কোর্টের চেয়েও বড় হয়ে গেল! দেখা গেল ভারতীয় পার্লামেন্ট পর্যন্ত তাদের ভয়ে কাঁপে। তারা যা চাইবে, সেটাই হবে। তা যতোবড় অন্যায্য দাবিই হোক না কেন।
প্রকৃতপক্ষে মহম্মদ আলি জিন্না যেভাবে পাকিস্তানের দাবিতে দাঙ্গা বাধিয়ে হিন্দু হত্যা করেছিলেন আর ভারতের সমস্ত রাজনৈতিক দল (বিজেপি বাদে) সেটা মেনে নিয়েছিল তারপর থেকেই সন্ত্রাসবাদের মাধ্যমে অন্যায্য দাবী আদায়ের পদ্ধতিটা মুসলমানদের মধ্যে জনপ্রিয়তা লাভ করে। আজ যে আমরা বিশ্বজুড়ে ইসলামি জঙ্গীদের বাড়াবাড়ি দেখি তার মূল নিহিত আছে জিন্নার এই দাঙ্গাকে অহিংসভাবে মেনে নিয়ে তাদের দাবি স্বীকার করে নেওয়া। এখনও ভারত সরকার একইভাবে সামান্য হাঙ্গামাতেই তাদের যেকোনো দাবি মেনে নিয়ে ঐসব সন্ত্রাসী মানসিকতাকেই বাড়িয়ে তুলছে। এর প্রতিকার করতে হবে আমাদেরই, সেটা হল মারের বদলে মার। কুকুরের উপযুক্ত মুগুর।
মীরজাফর যেমন ইংরেজ কোম্পানিকে বিশেষ বাণিজ্য অধিকার দিয়েছিল একইভাবে ভারত সরকার যে পাকিস্তানকে বিশেষ বাণিজ্যিক সুবিধা দিয়ে রাখে তা আগেই বলেছি। এর বিরুদ্ধেও কোনো রাজনৈতিক দল প্রতিবাদ করে নি। এই সুবিধা বর্তমানেও চালু আছে। তবে এ ছাড়াও ভারত সরকার যে আরবের মক্কায় জিজিয়া কর পাঠিয়েছে সেটা শুনলে হয়তো অনেকে বিশ্বাসই করতে পারবেন না। মক্কায় হজ্ব করতে যাওয়া মুসলমানদের সরকার থেকে ভর্তুকি দেওয়া হয়। পরিমাণটা বছরে ১২০০ কোটি ছিল। একজন মুসলমান যতবার হজ করতে যেত এইভাবে ভরতুকি পেত। সম্প্রতি সুপ্রীম কোর্টের হুকুমে একজনকে একবারের বেশি ভরতুকি দেওয়া বন্ধ হয়েছে তাই এখন খরচ হয় বছরে ৭০০ কোটি, এই টাকাটা ভারতীয়দের এবং তা যায় তার সবটাই আরবের মসজিদ ফান্ডে। অন্যদিকে হিন্দু তীর্থযাত্রীদের টাকা দেওয়া হয় না, বরং তাদের কাছে ট্যাক্স নেওয়া হয়। এছাড়াও ভারতবাসীর করের টাকায় মাদ্রাসায় ইসলাম ধর্ম শেখানো হয়, কিন্তু হিন্দুধর্ম শেখাতে সরকার কোনো টাকা দেয় না। বিশেষ বাণিজ্য সুবিধা আর হজ্জ্বের মাধ্যমে কতো টাকা যে মুসলমানদের কাছে পাচার হয় তার হিসাবও সরকার দেয় না। হিন্দুদের কাছে কর আদায় করে মুসলমানদের দেওয়া এবং ইসলাম প্রচারে ফান্ডিং করার এই আইন মুসলিম বাদশাহদের সময়ে চালু ছিল। এখন কী আমরা ভারতে কোনো স্বাধীন গণতান্ত্রিক সরকার পেয়েছি, নাকী সেই মুসলিম বাদশাহী যুগেই পড়ে রয়েছি?
এরকম অজস্র উদাহরণ আছে যা নিশ্চিতভাবে প্রমাণ করে যে ব্রিটিশরা চলে যাওয়ার পরে ভারত আবারও মুসলমানদের অধীনে চলে গেছে। সংখ্যায় কম হওয়ার কারণে তারা এখনও প্রকাশ্যে সেটা বলতে চায় না। কিন্তু তারা আবার ভারতে ইসলামি সাম্রাজ্য গড়ার স্বপ্ন দেখে। সংখ্যায় বেড়ে উঠে মুসলমানেরা যাতে আবার ভারত পুরোপুরি দখল করতে পারে সেজন্য দালাল রাজনৈতিক দলগুলো মুসলিম জনসংখ্যা বাড়ানোর এবং হিন্দু জনসংখ্যা কমানোর আইন অবধি বানিয়ে ফেলেছে। এর মধ্যেই তারা এতোটা শক্তি পেয়ে গেছে যে লাদেন কিম্বা আফজল এর মত সন্ত্রাসীদের হয়ে প্রকাশ্যে মিছিলও বের করতে পারে।
স্বাধীনতা আন্দোলন বেশিরভাগ হিন্দুদের দ্বারা পরিচালিত হলেও এবং জনসংখ্যার শতকরা আশিভাগ হয়েও হিন্দুরা আজ ইসলামি ঔপনিবেশের গোলাম কেন? কারণ একটাই, স্বাধীনতা লাভের সময় মুসলমানরা হাতে অস্ত্র তুলে নিয়েছিল আর হিন্দুরা মোহনদাস গান্ধীর চক্রান্তে অস্ত্রত্যাগ করে বসেছিল। ন্যায্য অধিকার রক্ষা করতে গেলে অস্ত্র ছাড়া চলে না, পৃথিবীর কোথাও চলে নি। তার প্রত্যক্ষ প্রমাণ অতিসম্প্রতি রামনবমীর সশস্ত্র হিন্দু মিছিলে পাওয়া গেছে। অস্ত্র নিয়ে চলা এই মিছিলে কেউ বাধা না দিলেও তার মাত্র কয়েকদিন পরেই হনুমান জয়ন্তীতে নিরস্ত্র মিছিলে পশ্চিমবাংলার পুলিশ বর্বরভাবে লাঠি চালিয়েছে। অস্ত্র ছাড়া অধিকার আদায় হয় না এটাই তার প্রমাণ। আশা করছি আগামী দিনে তারা অস্ত্র ছাড়া মিছিল করার মতো ভুল করবে না।
ভারতীয় হিন্দুদের এই দশার একমাত্র কারণ মোহনদাস গান্ধী আর তার কথিত অহিংসা নীতি। এই নীতি মানতে গিয়ে হিন্দুরা আজ নিজদেশে পরাধীন হয়ে আছে। স্বাধীনতা লাভ করতে এবং রক্ষা করতে গেলে অস্ত্রের কোনো বিকল্প নেই। পৃথিবীর কোনো দেশে কখনও বিনা যুদ্ধে, বিনা রক্তপাতে স্বাধীনতা পাওয়া যায় নি। তাই হিন্দুদের এবার অস্ত্র নিয়ে পথে নামতেই হবে। পরাধীন জাতি যদি স্বাধীনতার জন্য অস্ত্র তোলে তাতে অন্যায় কিছু নেই। স্বামী বিবেকানন্দ বলেছেন, দুর্বলতা ত্যাগ করো। ওঠো, জাগো, নিজের অধিকার আদায় করে নাও।
লেনিন বলেছেন, Turn to the right and attack, মাও বলেছেন, বন্দুকের নলই ক্ষমতার উৎস। জগতে কেউ কোনোদিন কি অহিংসা দিয়ে অন্যায়ের প্রতিকারের কথা বলেছে? অন্যদের কথা ছেড়েই দিন, মোহনদাস গান্ধী যে শ্রীরামের ভক্ত, সেই রাম কি অহিংস? রামের বৌ চুরি করাতে কি তিনি লঙ্কায় ঢুকে রাবণের মুণ্ডু কেটে আসেননি?
আমি গোয়ালার পুত জগত ঘোষ, ভারতীয়সহ সমস্ত পরাধীন হিন্দুকে বৈষম্য আর শোষণের বিরুদ্ধে যুদ্ধের আহ্বান করছি। সাম্রাজ্যবাদী শক্তি আর তার দালাল সরকারেরা বিনাযুদ্ধে কখনোই হিন্দুদের অধিকার দেবে না। তাই নিজেকে যুদ্ধের জন্য প্রস্তুত করুন।
জয় হিন্দ।