(সতর্কতাঃ নরনারীর যৌনাচার নিয়ে এই প্রবন্ধ। স্বাভাবিকভাবেই কাম সম্পর্কিত নানাবিধ টার্ম ব্যবহার করতে হয়েছে প্রবন্ধে। কিছু কিছু ক্ষেত্রে ব্যবহৃত ভাষার মধ্যেও তাই অশালীনতার গন্ধ পাওয়া যেতে পারে। কাম সম্পর্কে যাদের শুচিবাই আছে, এই প্রবন্ধ পাঠে আহত হতে পারেন তারা। এই শ্রেণীর পাঠকদের তাই প্রবন্ধটি পাঠ করা থেকে বিরত থাকতে অনুরোধ করা যাচ্ছে। পূর্ব সতর্কতা সত্বেও যদি কেউ এটি পাঠ করে আহত বোধ করেন, সেজন্যে কোনভাবেই লেখককে দায়ী করা চলবে না।)
পূর্বে প্রকাশিতের পর…
নারীদেহ ভোগের জন্যে, নিশ্চিন্তে চালিয়ে যান
ইসলামে সেক্স শব্দটির অর্থ হলো নারীদেহ ভোগ। সেক্স যে নর এবং নারী এই উভয় প্রজাতির জন্যেই চরম আনন্দদায়ক একটি অভিজ্ঞতা হতে পারে সে ধারণা ইসলামি কামশাস্ত্রে অনুপস্থিত। ইসলামি প্রথামতে পুরুষটিই এই খেলার একমেবাদ্বিতীয়ম খেলোয়াড়। খেলাটি কীভাবে চলবে তা স্থির করবে পুরুষটি, নারীর কোন ভুমিকা সেখানে নেই। ইসলামি রতিক্রিয়ায় নারীর সক্রিয় অংশগ্রহণের নিয়ম নেই। সে পুরুষের রতিখেলার একজন নিতান্ত সহযাত্রী মাত্র; পুরুষটিকে যৌনতৃপ্তি দেয়ার মামুলি যন্ত্রবিশেষ। ইসলামি আইনসমুহের ভিত্তি বলে পরিচিত কোরান এবং হাদিসশাস্ত্র নিবিড়ভাবে অধ্যয়ন করার পর আমার অন্ততপক্ষে তাই মনে হয়েছে।
ইসলামি অনুশাসন অনুযায়ী দৈহিক/জৈবিক আনন্দলাভের এই প্রক্রিয়া আর দশটা বাণিজ্যিক অথবা ব্যবসায়িক লেনদেন প্রক্রিয়ার মতোই। একজন প্রাপ্তবয়স্ক নারীরও নিজের পছন্দানুযায়ী বর নির্বাচনের অধিকার নাই ইসলামে, বর নির্বাচনে তাকে অভিভাবকের পছন্দের ওপর নির্ভর করতেই হবে। বিবাহ কিংবা যৌনসম্পর্কিত যে কোন কর্মকাণ্ডে নারীর অস্তিত্ব শুধুমাত্র একটি যৌনতৃপ্তি প্রদায়ী বস্তু হিসেবে বিবেচিত হয়। নারী একটি সেবা প্রদানকারী মেশিন (সার্ভিস প্রভাইডিং অবজেক্ট); সেবার বিনিময়ে সে কিছু অর্থমূল্য পাবে। ইসলামি পরিভাষায় এই বিনিময়মূল্যের নাম দেনমোহর, সংক্ষেপে মোহরানা। বিয়ের পূর্বে একজন মুসলমান পুরুষকে অবশ্যই একটি নির্দিষ্ট পরিমাণ অর্থ প্রদানে স্বীকৃতি জ্ঞাপন করতে হবে। এই অর্থ সে তাৎক্ষণিকভাবেও পরিশোধ করতে পারে, কিংবা পরবর্তীতে পরিশোধ করবে, এই প্রতিশ্রুতি দিয়ে বাকীতেও সার্ভিস ক্রয় করতে পারে। মোহরানা প্রদানের চুক্তি ছাড়া কোন বিয়েই ইসলামি আইনানুযায়ী বৈধ নয়। দেনমোহর আসলে যৌনসম্ভোগের জন্যে একটি নারীদেহের অধিকার লাভ করার বিনিময়মূল্য ছাড়া আর কিছু নয়। মোহরানার এই সংজ্ঞা আপনার কাছে অমার্জিত বলে মনে হতে পারে; তবে শরিয়া সম্পর্কিত যে কোন আইন বই ঘাটলেই আমার বক্তব্যের যথার্থতার প্রমাণ পেয়ে যাবেন আপনি। মনে রাখবেন শরিয়া আইন মুসলিম সমাজে অবশ্য প্রতিপাল্য, স্বয়ং আল্লাহপাক নিজ হাতে মুসলমানদের জন্যে এই আইন তৈরি করে দিয়েছেন। এই সিরিজের পরিশিষ্টে উল্লেখিত ৮নং রেফারেন্সটি ইসলামি সমাজে অত্যন্ত প্রামাণ্য শরিয়া গ্রন্থ হিসেবে বিবেচিত। আপনার তাৎক্ষণিক বিবেচনার জন্যে আমি সেখান থেকে একটিমাত্র রেফরেন্স উল্লেখ করছি (রেফারেন্স-৮, পৃষ্ঠা-৫২৬)।
স্ত্রীদেহের একচ্ছত্র মালিকানা পুরুষের, স্ত্রীদেহকে সে যেভাবে ইচ্ছে ভোগ করতে পারে, প্রয়োজন পড়লে প্রহারও করতে পারে।
স্বামীর অধিকার
স্ত্রীর শরীর (মাথা হতে পায়ের পাতা পর্যন্ত) ইচ্ছেমতো ভোগ করার পূর্ণ অধিকার রয়েছে স্বামীর, তবে কথা থাকে যে এরূপ ভোগপ্রক্রিয়ায় স্ত্রী যেন শারীরিকভাবে ক্ষতিগ্রস্থ না হয়। স্ত্রীর পায়ুপথ দিয়ে সঙ্গম করা সম্পূর্ণভাবে হারাম (… ৭৫.২০)। ভ্রমণকালে স্বামী ইচ্ছে করলে স্ত্রীকে সাথে বহন করতে পারে।
এবার আমরা ইসলামি আইনের (ইসলামিক জুরিসপ্রুডেন্স) ওপর আরেকটি প্রামাণ্য গ্রন্থের কিছু অংশ আলোচনা করবো। হানাফি আইনের টেক্সট বই হিসেবে ব্রিটিশ আমলে এটির বহুল ব্যবহার ছিল ভারতবর্ষে (রেফারেন্স-১১)। ইসলামি আইনের ব্যখ্যায় শরিয়াবিদগণ প্রায়শই এই বইয়ের সাহায্য নিয়ে থাকেন। বইটির ৪৪নং পৃষ্ঠায় লেখা আছে-
নারীদেহের ‘বোজা’ (Booza) প্রদানের পর পূর্ণ মোহরানা প্রদান করা আবশ্যিক। বোজা শব্দের ল্যাটিন প্রতিশব্দ Genetalia arvum Mulierist.
স্ত্রী কর্তৃক পূর্ণ দেনমোহর প্রাপ্যতার শর্ত
যৌনমিলনের মাধ্যমে বিবাহ পূর্ণাঙ্গকরণ অথবা স্বামীর মৃত্যু। …কেউ দশ দিরহাম কিংবা তদূর্ধ্ব কোন অঙ্কের দেনমোহরের বিনিময়ে বিয়ে করল। অতঃপর সে যৌনমিলনের মাধ্যমে বিয়েকে পূর্ণাঙ্গ করল কিংবা মৃত্যুবরণ করল। এই উভয়ক্ষেত্রেই স্ত্রী পূর্ণ মোহরানা পাওয়ার অধিকারী। কারণ প্রথমক্ষেত্রে দেনমোহরের বিনিময় হিসেবে স্ত্রী তার ‘বোজা’ বা স্ত্রী-অঙ্গ প্রদান করার শর্ত প্রতিপালন করেছে, সুতরাং তার দেনমোহর পাওয়ার অধিকার প্রতিষ্ঠিত হয়েছে। দ্বিতীয়ক্ষেত্রে স্বামীর মৃত্যুতে বিবাহ পুর্ণাঙ্গ হয়ে গেছে বলে বিবেচ্য, সুতরাং বিবাহ সংক্রান্ত সমুদয় শর্তাদি পালনযোগ্য।
হ্যাঁ পাঠক, ‘বোজা’র ল্যাটিন প্রতিশব্দ Genetalia arvum Mulierist। বাংলায় স্ত্রীযোনি, ইংরেজীতে vagina । উপরের বাক্য ক’টি হতে স্পষ্ট বুঝা যায় যে ইসলামি বিয়ে মানে দেনমোহরের বিনিময়ে স্ত্রীযোনি বিক্রি করা। এতে সন্দেহের বিন্দুমাত্র অবকাশ আছে কী?
সেক্স বলতে এরকমটিই বুঝায় ইসলামে। দেনমোহর প্রদান করে স্ত্রী-অঙ্গ ক্রয় করা এবং তা ভোগ করা। যৌনমিলনে স্ত্রী যৌনসুখ পেলো কীনা, ইসলামি বিবেচনায় তা একেবারেই অবান্তর। নগদ অর্থে মোহরানা প্রদান করে (কিংবা পরবর্তীতে পরিশোধ করার প্রতিশ্রুতি দিয়ে) বিয়ের চুক্তির মাধ্যমে স্ত্রীকে ঘরে আনার পর পুরুষটির চরমতৃপ্তিই মূল বিবেচ্য বিষয়। যদি কেউ মনে করে থাকেন যে আমি বেশি বেশি বলছি কিংবা প্রসঙ্গহীন বক্তব্য রাখছি তাদের জন্যে আইনটি আরেকটু বিশদভাবে বিবৃত করা দরকার আছে বলে মনে করি। পাঠক, ‘পজেশন অব অবজেক্ট অব কন্ট্রাক্ট’ এই লিগাল টার্মটির নাম শুনেছেন কখনও? নিশ্চয়ই শোনেন নি। এর বাংলা প্রতিশব্দ হচ্ছে ‘চুক্তিকৃত বস্তুর ওপর অধিকার’। বিয়ের কন্ট্রাক্টও একটি চুক্তি এবং চুক্তিকৃত বস্তুটি আপনার স্ত্রী। দেনমোহর দিয়ে চুক্তিকৃত এই বস্তুটির ওপর আপনার অধিকার প্রতিষ্ঠিত হবে কীভাবে তা জানেন? ইসলামি আইনানুযায়ী রতিক্রিয়া বা উপভোগের মাধ্যমে এই অধিকার প্রতিষ্ঠিত হয়। নারী তার যোনিটি স্বামীর কাছে ডেলিভারি দিলে তবেই তার মোহরানা পাওয়ার অধিকার নিশ্চিত হয়, নচেৎ নয়! নীচের আইনটি লক্ষ করুন-
‘খাওলাত সহিহ্’ বা শয্যা–সংক্রান্ত উদাহরণ
একজন লোক স্ত্রীর সাথে শয্যায় গেল। রতিক্রিয়া করার পথে তাদের সামনে কোন আইনগত কিংবা প্রাকৃতিক বাধা নেই। এরপর স্বামী যদি স্ত্রীকে তালাক দেয়- সেক্ষেত্রে পূর্ণ মোহরানা পাওয়ার অধিকার রয়েছে স্ত্রীর। ইমাম শাফেয়ীর মতে- এক্ষেত্রে স্ত্রী ধার্যকৃত দেনমোহরের অর্ধেকের বেশি দাবি করতে পারে না। কারণ রতিক্রিয়া ব্যতিরেকে চুক্তিকৃত বস্তুর ওপর স্বামীর অধিকার পূর্ণভাবে প্রতিষ্ঠিত হয়েছে- এমত বলা যাবে না। স্ত্রীর দেহ উপভোগ না করা পর্যন্ত দেনমোহর পাওয়ার অধিকার সুনিশ্চিতভাবে প্রতিষ্ঠিত হয় না। এ প্রসঙ্গে আমাদের ডাক্তারদের যুক্তি- যেহেতু স্ত্রী তার দেহ নিবেদন করে এবং সাধ্যমতো সমুদয় বাধা অপসারিত করে তার তরফের চুক্তি পরিপূর্ণরূপে পালন করেছে; সুতরাং তার বিনিময়মূল্য পাওয়ার অধিকার নিশ্চিতভাবে প্রতিষ্ঠিত হয়ে গেছে; ঠিক সেইভাবে যেভাবে ক্রয়-বিক্রয়ের ক্ষেত্রে হয়ে থাকে। একজন বিক্রেতা একটি পণ্য বিক্রি করে ক্রেতার কাছে ডেলিভারি দিল, এবং ক্রেতা কতৃক পণ্যটি ভালভাবে যাচাই করে নেয়ার পথে কোন প্রতিবন্ধকতার সৃষ্টি করল না, এবং ক্রেতা অবহেলাবশত পণ্যটি সঠিকভাবে যাচাই করল না, এক্ষেত্রে আইনের দৃষ্টিতে ক্রেতা পণ্যটি যথাযথভাবে যাচাই করে নিয়েছে বলে গণ্য করা হবে, এবং ক্রেতার ওপর পণ্যের মূল্য পরিশোধ বাধ্যতামুলক। (রেফারেন্স-১১, পৃ-৪৫-৪৬)।
পুরুষের যৌনতৃপ্তি বিষয়ক এই আইনি পদ্ধতিগুলোর দৃষ্টিতে স্ত্রী-প্রজাতিটির (হোক সে বউ, যৌনদাসী কিংবা যুদ্ধবন্দিনী) ভূমিকা একেবারেই নৈর্ব্যক্তিক। সে একজন চাকরানীর চেয়ে বেশি কিছু নয়, যার একমাত্র কাজ স্বামীকে যৌনতৃপ্তি দেয়া। আপনি হয়তো বলবেন ‘এরকম হতেই পারে না’। ইসলাম চিরদিনই নারীজাতিকে তার যোগ্য সম্মান দিয়ে আসছে। সেই যোগ্য সম্মান কী এবং ইসলামি আইনে আপনার যৌন-সহচরিটির লিগাল স্ট্যাটাস কী তার স্বরূপ আরেকটু ভালভাবে জেনে নিন।
‘স্ত্রী সেবিকা, স্বামী সেবা গ্রহণকারী পাত্র’
(প্রাগুক্ত পৃ-৪৭)
বৈবাহিক সম্পর্কিত বিষয়াদিতে স্বামী কর্তৃক সেবা প্রদানের শর্ত। … স্বামী যদি একজন স্বাধীন পুরুষ হয় (যদি ক্রীতদাস না হয়), তবে তার নিকট হতে সেবা (সার্ভিস) গ্রহণ করা স্ত্রীর জন্যে অবৈধ, কারণ তা পরস্পরের নির্ধারিত অবস্থানের বরখেলাফ, এই জন্যে যে বিয়ের অন্যতম পূর্বশর্ত হলো স্ত্রী সেবিকা (servant) এবং স্বামী সেবা গ্রহণকারী পাত্র (person served); কিন্তু যদি এরূপ হয় যে, দেনমোহর বাবদ প্রাপ্য অর্থ পরিশোধের বিনিময়ে স্বামী স্ত্রীকে সেবা করে, এর অর্থ এই দাঁড়ায় যে স্বামী সেবক এবং স্ত্রী সেবা গ্রহণকারী পাত্র, যা বিয়ের মৌলিক শর্তের বরখেলাফ সুতরাং অবৈধ; তবে যদি স্বামী তদ্পরিবর্তে অপর কোন স্বাধীন পুরুষ দ্বারা উক্ত সেবা প্রদান করে তবে তা বৈধ বলে বিবেচ্য কারণ তা চুক্তির শর্তের পরিপন্থী নয়; এবং ক্রীতদাস দ্বারা প্রদত্ত সেবাও বৈধ, কারণ ক্রীতদাস কর্তৃক তার স্ত্রীকে প্রদত্ত সেবা প্রকৃতপক্ষে মনিবের সেবা করার নামান্তর এবং মনিবের সম্মতিক্রমেই সে এই সেবা প্রদান করছে; এবং মেষ পালন দ্বারা সেবা প্রদান গ্রহণীয়, কারণ মেষ পালন এমন একটি সার্ভিস যা চিরস্থায়ী প্রকৃতির, সুতরাং স্ত্রীর জন্যে এই সার্ভিস প্রদান করা বিয়ের শর্ত লঙ্ঘন করে না; কারণ দেনমোহর পরিশোধের জন্যে স্বামী কতৃক স্ত্রীকে সেবা করা নিষিদ্ধ যেহেতু তা স্বামীর মর্যাদার পরিপন্থী; কিন্তু মেষ পালন কোন অসম্মানজনক পেশা নয় বিধায় তা স্বামীর মর্যাদার পরিপন্থী নয়। এবার পরিষ্কার হয়েছে তো পাঠক? ইসলামি বিয়ের মর্মবাণী হৃদয়ঙ্গম হয়েছে আপনার? প্রকৃতপক্ষে ইসলামের দৃষ্টিতে সেক্স হচ্ছে প্রভু-ভৃত্যের সম্পর্কমাত্র, এ এমন এক সম্পর্ক যার মাধ্যমে একজন পুরুষ দেনমোহরের বিনিময়ে নারীদেহ ক্রয় করে।
এরপরেও যদি কেউ আপত্তি তোলেন যে উপরোক্ত শরিয়া আইন বিশ্বাসযোগ্য নয়, তাদেরকে আমি নিম্নবর্ণিত হাদিসগুলি পড়ে দেখতে অনুরোধ করছি। এখানে স্পষ্টভাবে বলা হয়েছে যে স্ত্রীর সাথে যৌনসঙ্গম করতে হলে পুরুষকে অবশ্যই মোহরানা প্রদান করতে হবে। অমুসলিম দেশগুলিতে প্রচলিত পতিতাবৃত্তি ও নির্বিচার যৌনাচার সম্পর্কে ইসলামপন্থীরা খুবই উচ্চকণ্ঠ। এই হাদিসগুলি সম্পর্কে তারা কী বলবেন? এগুলি পড়লে স্পষ্ট বুঝা যায় যে দেনমোহর আর কিছুই নয়, একটি মেয়ের সাথে যৌনসঙ্গমের বিনিময়মূল্য মাত্র।
সুনান আবু দাউদ, বুক নং–১১, হাদিস নং–২০৭৮:
“উম্মুল মোমেনীন আয়েশা হতে বর্ণিতঃ আল্লাহর রাসুল (দঃ) বলেছেন- কোন মেয়ে যদি অভিভাবকের সম্মতি ছাড়া বিয়ে করে, তবে সে বিয়ে বাতিল। তিন বার (এই কথাটি উচ্চারণ করেন তিনি)। যদি তাদের মধ্যে সহবাস হয়ে গিয়ে থাকে, তা’হলে স্বামী যেহেতু মেয়েটির সাথে সহবাসে লিপ্ত হয়েছে সুতরাং মেয়েটি দেনমোহর পাবে। এক্ষেত্রে যদি কোন সমস্যা দেখা দেয়, সুলতান (কর্তৃপক্ষ বা ক্ষমতাপ্রাপ্ত ব্যক্তি) হবেন তার অভিভাবক যার কোন অভিভাবক নেই।”
সুনান আবু দাউদ, বুক নং–১১, হাদিস নং–২০৪৪:
“আব্দুল্লাহ বিন আব্বাস হতে বর্ণিতঃ একজন লোক রাসুলুল্লাহর (দঃ) কাছে আসল এবং বলল- এক ব্যক্তি আমার স্ত্রীর কাছে আসে এবং তাকে স্পর্শ করে, কিন্তু আমার স্ত্রী তাকে বাধা দেয় না। তিনি (নবী) বললেন- তাকে তালাক দাও। সে তখন বলল- আমার অন্তরাত্মা তাকে প্রবলভাবে কামনা করে বলে ভয় করি। তিনি বললেন- তা’হলে তাকে ভোগ কর।”
সেক্স সম্পর্কে ইসলামের ধারণা কী, উপরোক্ত প্রামাণ্য সূত্রগুলো অধ্যয়ন করলে তার পুর্ণাঙ্গ চিত্র মেলে। সেক্স নর এবং নারী এই উভয় প্রজাতির দৈহিক তৃপ্তির চরমতম উপায়, এই ধারণা ইসলামে সম্পূর্ণ অনুপস্থিত। এখানে সেক্সকে শুধুমাত্র পুরুষ জাতির দৃষ্টিভঙ্গী হতে বিচার করা হয়, সেক্স যেন শুধুমাত্র একটি সেবা বা পণ্য। এই সেবা আহরণ করতে কিংবা পণ্যটি (স্ত্রীর যৌনাঙ্গ) হতে ফায়দা লুটতে পুরুষ মেয়েটিকে দেনমোহর প্রদান করে। এ যেন একটি ব্যবসায়িক চুক্তি, যে চুক্তির শর্ত মোতাবেক এককালীন কিছু অর্থমুল্য (মোহরানা) ও পরবর্তীতে প্রদেয় ভরণপোষণের (নাফাক্ক) বিনিময়ে মেয়েটি তার যোনি এবং অন্যান্য প্রজননযন্ত্র পুরুষটির কাছে বন্ধক রাখে।
পবিত্র কোরানের বিধান মোতাবেক একজন মেয়েকে যে কোন মূল্যে তার পবিত্রতা বজায় রাখতে হয় এবং জরুরী প্রয়োজন ব্যতীত সবসময় নিজেকে গৃহভ্যন্তরে গুটিয়ে রাখতে হয়। মেয়েদেরকে গৃহভ্যন্তরে অবরুদ্ধ করে রাখার পেছনে কী কারণ তা কখনও ভেবে দেখেছেন কী? যদি কোন ইসলামপন্থীকে এ ব্যপারে প্রশ্ন করেন সে আপনাকে অনেক চোখা চোখা যুক্তি দেখাবে। বলবে এতে সমাজে ধর্ষণজাতীয় অপরাধ কমে, যৌন নির্যাতনের সম্ভাবনা কমে, ব্যভিচারের আশঙ্কা থাকে না…ইত্যাদি ইত্যাদি।
আত্মপক্ষ সমর্থনবাদীদের মনগড়া যুক্তির প্রতি কান না দিয়ে শরিয়া আইন হতে এর আসল কারণটি খুঁজে বের করার চেষ্টা করুন। দেখবেন মেয়েদেরকে গৃহভ্যন্তরে বন্দী করে রাখার পেছনের কারণ একটাই- চাহিবামাত্র পুরুষটিকে (স্বামী, মনিব কিংবা বন্দীকর্তা) সেক্সসার্ভিস প্রদান করা। যদি আপনার বিশ্বাস না হয়, নীচের ইসলামি আইনটি পড়ে দেখুন-
“মেয়েদের গৃহভ্যন্তরে থাকার একমাত্র কারণ সেক্স (রেফারেন্স-১১, পৃ-৫৪)পক্ষান্তরে, ‘মিহ্র মোয়াজিল’ (তরিৎ মোহরানা) সম্পূর্ণভাবে আদায় না করা পর্যন্ত স্বামীর কোন অধিকার নাই স্ত্রীকে ভ্রমণ হতে বিরত রাখা কিংবা বিদেশ গমন হতে বিরত রাখা কিংবা বান্ধবীর সঙ্গে দেখা করা থেকে বিরত রাখা; কারণ স্ত্রীর দেহভোগ নিশ্চিত করার জন্যেই স্ত্রীকে গৃহভ্যন্তরে অবরুদ্ধ করে রাখার অধিকার স্বামীকে দেয়া হয়েছে, এবং বিনিময়মূল্য পুরোপুরি পরিশোধ না করা পর্যন্ত ভোগ করার এই অধিকার প্রতিষ্ঠিত হয় না।”
পাঠকদের জন্যে আরও কিছু চমক
হাদিস শরিফে বর্ণিত নবীজির শিক্ষা (মিশকাত, আরবী সঙ্কলন; বাব-উন-নিকাহ): (রেফারেন্স-৬, পৃ-৬৭১)
“স্বামী স্ত্রীকে ডাকলে সে তৎক্ষণাৎ হাজির হবে যদি সে চুল্লীর মধ্যেও থাকে”।
সর্বযুগের সর্বশ্রেষ্ঠ ইসলামিক স্কলার ইমাম গাজ্জালি (রঃ) বিখ্যাত ‘ইয়াহ্ইয়া উলুমেদ্দিন’ গ্রন্থে লিখেছেন (রেফারেন্স-৭, পৃ-২৩৫):
“স্ত্রীর উচিত স্বামীকে তার নিজ সত্ত্বার চেয়েও ওপরে স্থান দেয়া, এমনকী তার সকল আত্মীয়স্বজনের ওপরে স্থান দেয়া। সে স্বামীর জন্যে নিজেকে সদা-সর্বদা পরিস্কার পরিচ্ছন্ন (রেডি) করে রাখবে যেন স্বামী যখন ইচ্ছা তাকে ভোগ করতে পারে…।”
এই হলো ইসলামের দৃষ্টিতে সেক্সের নমুনা। পুরুষের যৌনতৃপ্তিই (Orgasm) এর প্রাথমিক লক্ষ্য। এক্ষেত্রে মেয়েটি একটি যৌন মেশিনের অতিরিক্ত কিছু নয়। মেশিনটি সবসময় রানিং কন্ডিশনে থাকবে যেন তার মালিক ইচ্ছে হলেই মেশিনের ওপর সওয়ার হতে পারে। যে জগতে পুরুষের যৌনতৃপ্তি লাভই একমাত্র বিবেচ্য, সেখানে মেয়েদের স্পর্শকাতরতা বা তাদের পছন্দ-অপছন্দের মূল্যায়ন একেবারেই অবান্তর।
ব্যক্তিগতভাবে আমি মনে করি, এই দৃষ্টিভঙ্গি শুধু মেয়েদের জন্যে নয়, পুরুষদের জন্যেও চরম অবমাননাকর। এতে পুরুষজাতি সেক্স-ম্যানিয়াক (যৌনোন্মাদ) হিসেবে চিত্রায়িত হয়, যেন সে যখন তখন সঙ্গম করার জন্যে মুখিয়ে আছে। পুরুষের এই কামচিত্র একেবারেই বাজে।
এই প্রথার শেষ পরিণাম কী? অবশ্যই স্ত্রী প্রজাতিটির অবধারিত গর্ভসঞ্চার এবং ইসলামি পুরুষটির বিবেচনাহীন যৌনাচারের প্রায়শ্চিত্ত করা।
স্বামী ভরণপোষণ দিচ্ছে, এমতবস্থায় স্বামী যদি সেক্স করতে চায় এবং স্ত্রীর তাতে সম্মতি না থাকে তা’হলে অবস্থাটা কী দাঁড়াবে? আপনার হয়তো বিশ্বাস নাও হতে পারে, তবে ইসলামি আইন এমনক্ষেত্রে স্ত্রীর ওপর বলপ্রয়োগের অধিকার দিয়েছে পুরুষকে। একে কী আপনি ‘ইসলামি স্টাইলে ধর্ষণ’ বলবেন না পাঠক?
এ সম্পর্কিত একটি হেদাইয়া (রেফারেন্স-১১, পৃ-১৪১)
স্ত্রীকে বলপ্রয়োগে ভোগ করা যায় যদি না সে একগুয়ে হয়
“যদি স্ত্রী অবাধ্য ও একগুয়ে হয় এবং স্বামীর সম্মতি ব্যতিরেকে বিদেশ ভ্রমণে যায়, এক্ষেত্রে স্ত্রী স্বামীর নিকট হতে ভরণপোষণ পাওয়ার অধিকার হারায় যে পর্যন্ত না সে ফিরে আসে এবং স্বামীর নিকট নিজেকে সমর্পণ করে, কারণ এক্ষেত্রে বৈবাহিক সম্পর্ক সংক্রান্ত বাধা স্ত্রীর তরফ হতে উদ্ভূত হয়েছে; তবে যখন সে গৃহে প্রত্যাবর্তন করে, তখন পূনরায় পূর্বের ন্যায় ভরণপোষণ পাওয়ার অধিকারী হবে সে। যখন কোন স্ত্রী স্বামীগৃহে অবস্থান করেও স্বামীর দাম্পত্য আলিঙ্গন অস্বীকার করে, সে যেহেতু ভরণপোষণ ভোগ করছে এবং স্বামীর অধিকারে আছে, সুতরাং স্ত্রীর অসম্মতি সত্ত্বেও স্বামী ইচ্ছে করলে তাকে বলপ্রয়োগের মাধ্যমে উপভোগ করতে পারে।”
এ বিষয়ে আর আলোচনা নয়, একটি ছোট্ট মন্তব্য রেখেই এ চ্যাপ্টার শেষ করবো। ইসলামের দৃষ্টিতে বিবাহযোগ্য একটি মেয়ে পুরুষের (হোক সে স্বামী, অথবা মনিব অথবা বন্দীকর্তা) আনন্দ উপভোগের উপকরণ ছাড়া অতিরিক্ত কিছু নয়। যৌনজীবন সম্পর্কে মেয়েদের স্পর্শকাতরতা, তাদের চাওয়া, তাদের আকাঙ্ক্ষা, তাদের পছন্দ-অপছন্দ, তাদের প্রেম, তাদের ভালবাসা, তাদের অনুভূতি – এ বিষয়গুলি ইসলাম একেবারেই অস্বীকার করে। ইসলামে সেক্সের জগতটি একচ্ছত্রভাবে পুরুষের করায়ত্ত। পুরুষ সৃষ্টি হয়েছে যৌনসুখ উপভোগ করার জন্যে, মেয়েরা সেই আনন্দ যোগান দেয়ার যন্ত্রমাত্র। পাশ্চাত্যের সেক্যুলার সমাজগুলিতে মেয়েদের অবাধ যৌন স্বাধীনতার সমালোচনায় মুখর ইসলামি পণ্ডিতবর্গ। তাদের মতে একেবারেই পঁচা-গন্ধা সমাজ এটি। ডাবল স্ট্যান্ডার্ড আর কাকে বলে! উপরে বর্ণিত ওইসব আইনসম্মত যৌন কদাচার সম্পর্কে এইসব ইসলামি পণ্ডিতগণ কী বলেন তা শুনতে বড়ো ইচ্ছে হয়।
গর্ভবতীর সাথে সেক্স
বিয়ের পর যদি দেখা যায় যে নববধুটি গর্ভবতী তা’হলে উপায় কী? অতীব বিব্রতকর একটি অবস্থা! আধুনিক সমাজে এ ধরনের সিচুয়েশন প্রায় হয় না বললেই চলে। কারণ ছেলেমেয়েরা বহুদিন মেলামেশা, পরস্পর পরস্পরের সঙ্গলাভ করার পরই কেবল বিবাহবন্ধনে আবদ্ধ হয়। তবে ধারণা করা যায় যে নবীজির আমলে আনকালচার্ড বেদুঈনদের মধ্যে এ ধরনের পরিস্থিতির উদ্ভব হলে হতেও পারে। একজন পূর্ব-গর্ভিনী মেয়ের সাথে সেক্স করার কথা চিন্তাও করা যায় না, এরূপ অবস্থায় অধিকাংশ লোকই হয়তো বিয়েটি বাতিল করে পারস্পরিক গ্রহণযোগ্য সমাধানে পৌঁছুতে চেষ্টা করবে। তবে ইসলামি দর্শন মোতাবেক এর সমাধান ভিন্নতর। যেহেতু লোকটি অলরেডি মোহরানার টাকা পরিশোধ করে ফেলেছে (কিংবা পরবর্তীতে করবে বলে প্রতিশ্রুতি দিয়েছে), সুতরাং মেয়েটির যৌনাঙ্গ তার জন্যে হালাল হয়ে গেছে, কিংবা বলা যায় গর্ভবতীর দেহটি ভোগ করা তার ওপর ফরজ হয়ে দাঁড়িয়েছে। ভোগপর্বের পর মেয়েটির কপালে কী ঘটবে? প্রাক-বৈবাহিক যৌনকর্মের শাস্তিবাবদ তার জন্যে জমা আছে এক শ’টি ইসলামিক দোররা। ভাবুন তো একবার, একটু আগে যার সাথে আপনি জীবনের শ্রেষ্ঠতম সুখের মুহুর্তগুলি কাটালেন, তার কুসুম-কোমল পৃষ্ঠদেশ চাবুকের আঘাতে রক্তাক্ত হচ্ছে! নতুন আগন্তুকটির জন্যেই বা কোন্ ভবিষ্যৎ অপেক্ষা করছে? নির্দোষ একটি শিশু, সে হয়ে যাবে আপনার স্লেভ, ক্রীতদাস! হ্যাঁ, এই হচ্ছে ইসলামি বিচার। সহজ এবং সরল। এই প্রথার সমর্থনে দু’টি হাদিস-
সুনান আবু দাউদ, বুক নং–১১, হাদিস নং–২১২৬:
“বাসরা হতে বর্ণিতঃ
বাসরা নামক জনৈক আনসার বলেন- আমি বোরখাধারী একজন কুমারীকে বিয়ে করি। তার সাথে মিলিত হওয়ার পর আমি দেখতে পাই যে মেয়েটি গর্ভবতী। (বিষয়টি নবীকে জানানোর পর) নবী (দঃ) বললেন- যেহেতেু তুমি তার যোনিদেশ তোমার জন্যে হালাল করে নিয়েছ, সুতরাং সে (নির্ধারিত) মোহরানা পাওয়ার অধিকারী। শিশুটি হবে তোমার ক্রীতদাস। (বাচ্চা) প্রসব করার পর তাকে দোররা মার। (আল হাসানের ভার্সন)”
সুনান আবু দাউদ, বুক নং–১১, হাদিস নং–২১৫৩:
“রুয়াইফি ইবনে তাবিত আল আনসারি হতে বর্ণিতঃ
হুনায়েনের দিন আল্লাহর রাসুলের (দঃ) মুখ থেকে আমি কী শুনেছি তা তোমাদের বলব কী? (তিনি বলেছেন) যে আল্লাহ ও শেষ দিবসের ওপর বিশ্বাস করে তার ওপর বৈধ নয় জল সিঞ্চন করা সেখানে যেখানে অন্য লোক (পূর্বেই) জল সিঞ্চন করেছে (অর্থাৎ গর্ভিনীর সাথে সঙ্গম); যে আল্লাহ ও শেষ দিবসের ওপর বিশ্বাস রাখে তার ওপর বৈধ নয় বণ্টনের পূর্বেই যুদ্ধলব্ধ মাল বিক্রয় করা।”
ঋতুমতি মেয়েদের সাথে রতিক্রিয়ার বিধান আছে কী?
বিবি আয়েশার ঋতুকালীন অবস্থায় মুহাম্মদ (দঃ) তাঁর সঙ্গে কী আচরণ করেছেন নিম্নে হাদিসগুলি হতে সে বিবরণ পাওয় যায়।
সুনান আবু দাউদ, বুক নং–১, হাদিস নং–০২৭০:
“উম্মুল মোমেনিন আয়েশা হতে বর্ণিতঃ
উমারাহ ইবনে ঘোরাব বলেন যে তিনি তার খুড়ির (paternal aunt) নিকট শুনেছেন যে তিনি (খুড়ি) আয়েশাকে জিজ্ঞেস করেছিলেন- যদি আমাদের মধ্যে কেউ ঋতুস্রাব অবস্থায় থাকে এবং স্বামী-স্ত্রীর একটার বেশি বিছানা না থাকে, সে অবস্থায় তারা কী করবে? উত্তরে তিনি (আয়েশা) বলেছিলেন- এই অবস্থায় আল্লাহর রাসুল (দঃ) কী করেছেন আমি তোমাকে তা বলছি। আমার ঋতুকালীন সময়ে এক রাত্রে তিনি আমার ঘরে আসলেন। তিনি নামাজের জায়গায় গেলেন, অর্থাৎ সেই ঘরে নামাজের জন্যে সংরক্ষিত যে জায়গা ছিল সেই জায়গায়। তিনি যখন ফিরে আসেন তখন আমি গভীর ঘুমে আচ্ছন্ন; ঠাণ্ডায় তিনি ব্যথাবোধ করছিলেন। এবং তিনি বললেন- আমার কাছে আস। আমি বললাম- আমার ঋতুস্রাব শুরু হয়েছে। তিনি বললেন- তোমার উরুদ্বয় উন্মুক্ত কর। সুতরাং আমি আমার উরুদ্বয় আবরণমুক্ত করলে তিনি তখন তার চিবুক ও বক্ষ তার মাঝে রাখলেন। আমি তার ওপর ঝুকে বসে রইলাম যে পর্যন্ত না তিনি উষ্ণ হলেন এবং ঘুমিয়ে পড়লেন।”
উপরের কাহিনীটির অনেক ধরনের ব্যখ্যা সম্ভব। নিরপেক্ষভাবে বলতে গেলে বলতে হয় যে ঘটনাটি বরং মুহাম্মদের (দঃ) মহত্বই প্রতিষ্ঠিত করে। কারণ অন্ততপক্ষে তিনি স্ত্রীলোকের ঋতুস্রাবকে কোন রোগ বলে বিধান দেননি, উপরন্তু ঋতুকালেও আয়েশার সাথে প্রীতি ও ভালবাসাযুক্ত আচরণ করেছেন। প্রাণবন্ত একজন তরুণী আয়েশা, তার ঋতুকালীন অবস্থায় মুহাম্মদের (দঃ) এই আচরণ নিঃসন্দেহে প্রশংসার দাবীদার।
এস্থলে সহি বুখারি থেকে আরও একটি হাদিস উদ্ধৃত করা হলো যা থেকে প্রমাণিত হয় যে মুহাম্মদ (দঃ) তার প্রিয় স্ত্রী আয়েশার সাথে ঋতুকালেও অত্যন্ত প্রীতিময় আচরণ করতেন। মুহাম্মদ আয়েশাকে তার ঋতুকালেও আলিঙ্গন করতেন… ৩.৩৩.২৪৭।
সহি বুখারি, ভলিউম–৩, হাদিস নং–২৪৭:
“আয়েশা হতে বর্ণিতঃ
আমার ঋতুকালেও নবী আমাকে আলিঙ্গন করতেন। তিনি যখন ইতিকাফে বসতেন, তখনও তিনি মসজিদ হতে মাথা বাড়িয়ে দিতেন। আমি ঋতুমতী অবস্থায়ই তার মাথা ধুইয়ে দিতাম।”
এখন প্রশ্ন, ঋতুমতী অবস্থায় স্ত্রী কতটুকু পর্যন্ত হালাল? নিম্নের হাদিস হতে এর ইসলামি সমাধান জেনে নিন।
সুনান আবু দাউদ, বুক নং–১, হাদিস নং–০২১২:
“আব্দুল্লাহ ইবনে সা’দ আল আনসারি হতে বর্ণিতঃ
আব্দুল্লাহ আল্লাহর রাসুলকে (দঃ) প্রশ্ন করলেন- যখন আমার স্ত্রী হায়েজ অবস্থায়, তার সাথে কতটুকু পর্যন্ত বৈধ? তিনি উত্তর দিলেন- তার কোমরবন্ধনীর ওপরের অংশ তোমার জন্যে হালাল।”
উক্ত বর্ণনাকারীর পুর্ণাঙ্গ বর্ণনা হতে জানা যায় যে ঋতুকালীন অবস্থায় স্ত্রীর সাথে একসঙ্গে খাওয়া-দাওয়া করাও বৈধ।
যদি কেউ দৈবক্রমে ঋতুমতী স্ত্রীর সাথে সঙ্গম করেই ফেলে, সেক্ষেত্রেও ডিভাইন সলিউশন রেডি হয়ে আছে-
সুনান আবু দাউদ, বুক নং-১১, হাদিস নং-২১৬৪:
“আব্দুল্লাহ ইবনে আব্বাস হতে বর্ণিতঃ
রক্ত যাওয়ার সময় যদি কেউ (ঋতুমতি স্ত্রীর সাথে) সঙ্গম করে ফেলে, তবে তাকে সদকা বাবদ এক দিনার দান করতে হবে। যদি রক্ত বন্ধ হওয়ার পরপরই সে এ কাজ করে, তবে তাকে দিতে হবে অর্ধেক দিনার।”
সুনান আবু দাউদের ১নং ভলিউমের ০২৬৪ নং হাদিসেও ঋতুকালীন সঙ্গমের কাফফারা হিসেবে এই একই বিধান দেয়া আছে।
যদি ঋতুস্রাব অত্যন্ত বেশি হয়, সেক্ষেত্রেও চমৎকার বিধান আছে ইসলামে। সাইয়েদেনা আলী এবং মুহাম্মদ (দঃ) উক্ত সমস্যার যে প্রতিবিধানের কথা বলেছেন, আবু দাউদ ও মুসলিম শরীফের হাদিসে তার তথ্যভিত্তিক বর্ণনা রয়েছে। এতো অত্যন্ত সহজ ইসলামি বিধান অনুসরণ না করে আজকালকার মেয়েরা কেন যে গাইনোকোলজিস্টের চেম্বারে ছুটে মরে ভেবে দেখা দরকার!
সুনান আবু দাউদ, বুক-১, হাদিস-০৩০২:
“আলী ইবনে আবি তালেব হতে বর্ণিতঃ
যদি কোন স্ত্রীলোকের দীর্ঘসময়ব্যাপী রক্ত যায়, তার উচিত প্রতিদিন নিজেকে পরিস্কার করা এবং অতঃপর চর্বি অথবা তেলমিশ্রিত উলের কাপড়ের টুকরা ব্যবহার করা (অর্থাৎ উক্ত কাপড় দিয়ে যৌনাঙ্গটি বেঁধে রাখা)।”
সহি মুসলিম, বুক-৩, হাদিস-০৬৪৭ এবং সহি মুসলিম, বুক-৩, হাদিস-০৬৫৮:
উম্মুল মোমেনিন আয়েশার বরাত দিয়ে এই হাদিসদ্বয় ঋতুকালে কীভাবে নিজেকে পরিষ্কার রাখতে হয়, কীভাবে রক্তের দাগ মুছতে হয়, কীভাবে মোমের প্রলেপ দেয়া বস্ত্রখণ্ড বাঁধতে হয়, কতোদিন নামাজ-কালাম বন্ধ রাখতে হয় এসবের বিস্তারিত বর্ণনা আছে এই হাদিস দু’টিতে।
সঙ্গমের পূর্বে যৌনসঙ্গীর সাথে কামকেলি করা বা শৃঙ্গারে রত হওয়া মানব প্রজাতির একটি স্বাভাবিক প্রবৃত্তি (এমনকী চতুষ্পদ জন্তুরাও সঙ্গমের পূর্বে কিছুক্ষণ শৃঙ্গার করে)। এটি খুবই আনন্দের বিষয় যে মুহাম্মদও (দঃ) তার অনুসারীদের সঙ্গমের পুর্বে কিছুক্ষণ শৃঙ্গার করার জন্যে অনুপ্রাণিত করেছেন। কোনপ্রকার শৃঙ্গার ছাড়া পশুর মতো সরাসরি স্ত্রীলোকের ওপর ঝাপিয়ে পড়ার জন্যে তিনি অনুসারীদের তিরস্কার করেছেন। মুহাম্মদ (দঃ) এ ব্যাপারে যেসব সুপারিশ করে গেছেন, তার কিছু নমুনা পাওয়া যায় ইমাম গাজ্জালির রচনায় (রেফারেন্স-৭, পৃ-২৩৩)।
“পরস্পরের কাছে যাওয়ার আগে তাদের কিছুক্ষণ শৃঙ্গার করে নেয়া উচিত; দু’চারটি প্রীতিপ্রদ বাক্য বিনিময়, একটু চুমো দেয়া। নবী বলেছেন- “পশুরা যেভাবে একে অন্যের ওপরে লাফিয়ে পড়ে, স্ত্রীদের ওপর তোমরা কেউ সেভাবে ঝাঁপিয়ে পড়ো না। বরং (তার আগে) তাদের মধ্যে একজন বার্তাবাহক আসতে দাও”। তারা জিজ্ঞেস করল- “হে আল্লাহর রাসুল, এই বার্তাবাহকটি কে”। তিনি বললেন – “চুম্বন এবং প্রীতিময় বাক্য বিনিময়”। অতঃপর যদি তার আগে শেষ হয়ে যায়, তার উচিত অপেক্ষা করা, যে পর্যন্ত না তার স্ত্রীর শেষ হয়।”
এটি অত্যন্ত আনন্দের বিষয় যে, মুহাম্মদ (দঃ) সঙ্গমের পুর্বে শৃঙ্গারের বিধান দিয়েছেন এবং পরস্পরের তৃপ্তিদায়ক যৌনকর্মের পক্ষে সুপারিশ করেছেন।
উপবাসের (রোজা) সময় চুমো দেয়া এবং পরস্পরের জিহ্বালেহন করা
সুনান আবু দাউদ, বুক নং-১৩, হাদিস নং-২৩৮০:
“বিবি আয়েশার নিকট হতে আমরা জানতে পারি যে উপবাসরত অবস্থায়ও নবী তাকে চুমো দিতেন এবং জিহ্বা লেহন করতেন।”
মধুর মিষ্টতা বনাম যৌনসঙ্গমের মিষ্টতা
হিলা বিবাহ; সেক্স ম্যানিয়াকদের জন্যে আশীর্বাদ
যদি কোন স্বামী মৌখিকভাবে তিনবার তালাক শব্দটি উচ্চারণ করে, তবে ইসলামধর্মের বিধান অনুযায়ী স্ত্রীর ওপর অফেরৎযোগ্য তালাক (তালাকে বাইন) পতিত হয়। স্ত্রী তখন ওই স্বামীর জন্যে সম্পূর্ণরূপে নিষিদ্ধ বা হারাম হয়ে যায়। সে উক্ত স্ত্রীকে পূনর্বিবাহ করতে পারবে না, যতোক্ষণ না স্ত্রী অপর কোন ব্যক্তিকে বিয়ে করে, তার সঙ্গে যৌনসঙ্গম করে, অতঃপর উক্ত টেম্পোরারি স্বামী তাকে তালাক দেয়। দ্বিতীয় তালাকের পর স্ত্রী তার ইদ্দতকাল (তিনটি স্রাব, প্রায় তিন মাস) শেষ করলে তবেই কেবল প্রথম স্বামী তাকে বিয়ে করতে পারে। এই লজ্জাজনক প্রথার পক্ষে ইসলামপন্থীরা এই বলে সাফাই গায় যে, এটা নাকী স্বামীদের জন্যে সতর্কবার্তা, এর ফলে তালাকে বাইন উচ্চারণ করার পূর্বে স্বামীকে একশো’বার ভাবতে হবে। ইসলামি পরিভাষায় এই ধরনের বিবাহকে হিলা বিবাহ বলা হয়; পবিত্র কোরানের ২:২৩০ আয়াতে (সুরা বাকারা) এই প্রকারের বিয়ের অনুমতি দেয়া হয়েছে।
কোরান, ০০২–২৩০:
“অনন্তর যদি সে তালাক প্রদান করে তবে এরপরে অন্য স্বামীর সাথে বিবাহিতা না হওয়া পর্যন্ত সে তার জন্য বৈধ হবে না, তৎপর সে তাকে তালাক প্রদান করলে যদি উভয়ে মনে করে যে তারা আল্লাহর সীমাসমূহ স্থির রাখতে পারবে, তখন যদি তারা পরস্পর প্রত্যাবর্তিত হয় তবে উভয়ের পক্ষে কোনই দোষ নেই এবং এগুলিই আল্লাহর সীমাসমূহ, তিনি অভিজ্ঞ সম্প্রদায়ের জন্যে এগুলি ব্যক্ত করে থাকেন।”
এই উদ্ভট নিয়ম সমাজের কিছু চতুর লোকের সামনে প্রায় বিনে পয়সায় অবাধ সেক্স উপভোগ করার দ্বার অবারিত করে দিয়েছে। কোন কারণে একটি মেয়ে তালাকপ্রাপ্তা হলো। ব্যাস্, মধুর ভাণ্ড যেন উপচে পড়লো। তাকে টেম্পোরারিভাবে বিয়ে করার জন্যে তথাকথিত সম্ভ্রান্ত এবং ভাল লোকের অভাব নেই সমাজে। বিয়ের নামে মেয়েটিকে দু’চার রাত উপভোগ করার পর তালাক দিলে তবেই কেবল সে তার পূর্বস্বামীর সঙ্গে ঘর করার লাইসেন্স পাবে, সেই উদ্দেশ্যেই এই বিয়ের প্রহসন। সুতরাং সেক্স ম্যানিয়াকদের পোয়াবারো, প্রফেশনাল স্বামীর অভিনয় করে মুফতে একটি নারীদেহ ভোগ করা গেল। এই হলো ফ্রি সেক্স করার ইসলামি পথ। ফ্রি বললাম এই কারণে যে এসব বিয়ের বলি মেয়েটি প্রায়শই অসহায়া হয়ে তাকে এবং বিয়েটি হয় খুবই স্বল্প সময়ের জন্যে। সুতরাং এরূপ বিয়ের দেনমোহরের পরিমাণ দু’চার শ’ টাকার বেশি হওয়ার কথা নয়। কয়েকটিমাত্র পবিত্র বাক্য উচ্চারণ আর সামান্য কিছু অর্থ, বাস তরতাজা একটি নারীদেহ ভোগ!
এখানে আরেকটি ব্যাপার ভালভাবে পরিষ্কার হওয়া দরকার। কেউ আবার ভেবে বসতে পারেন যে হিলা শুধু নামকাওয়াস্তে একটি বিয়ে। বিয়েটি নামকাওয়াস্তে ঠিকই, তবে টেম্পোরারি স্বামীটি যতোক্ষণ না নববধুর সাথে যৌনসঙ্গম করছে, ততোক্ষণ পর্যন্ত মেয়েটি তার পূর্ব স্বামীর জন্যে হালাল হবে না। একেই বলে মধু খাওয়া, যৌনসঙ্গমের মধু। হিলার মাধ্যমে মজা লুটাকে বৈধতা দানকারী গোটাকয়েক হাদিস এখানে উদ্ধৃত করা হলো।
সুনান আবু দাউদ, বুক নং–১২, হাদিস নং–২৩০২:
“উম্মুল মোমেনিন আয়েশা হতে বর্ণিতঃ
আল্লাহর রাসুলকে (দঃ) একজন লোক সম্পর্কে জিজ্ঞেস করা হয়, যে তার স্ত্রীকে তিন তালাক দিয়েছে, অতঃপর মেয়েটি অপর একজনকে বিয়ে করলো, কিন্তু সে মেয়েটির সাথে যৌনসঙ্গম না করেই তাকে তালাক দিল। এখন পূর্ব স্বামীকর্তৃক মেয়েটিকে বিয়ে করা বৈধ হবে কীনা। তিনি (আয়েশা) বলেন- নবী (দঃ) উত্তরে বলেছিলেন- যে পর্যন্ত মেয়েটি অপর স্বামীর মধু আস্বাদন না করে এবং অপর স্বামী মেয়েটির মধু আস্বাদন না করে, সে পর্যন্ত সে পূর্ব স্বামীর জন্য বৈধ নয়।”
সহি মুসলিম, বুক নং–০০৮, হাদিস নং–৩৩৫৪:
“আব্দুল্লাহ ইবনে আব্বাস হতে বর্ণিতঃ
আয়েশা (রাঃ) বর্ণনা করেছেন- একবার রিফায়া’র স্ত্রী আল্লাহর রাসুলের (দঃ) কাছে এসে বলল- আমার রিফায়া’র সাথে বিয়ে হয়েছিল, কিন্তু সে আমাকে অফেরৎযোগ্য তালাক (তালাকে বাইন) প্রদান করে। অতঃপর আমি আব্দুর রহমান বিন আল-জুবেইরকে বিয়ে করি, কিন্তু তার কাছে যা আছে তা পোশাকের উপর চকচকে নকশা ছাড়া আর কিছু নয় (অর্থাৎ যৌনকর্মে অসমর্থ)। এ কথা শুনার পর আল্লাহর রাসুল (দঃ) একটু হেসে বললেন- তুমি কী আবার রিফায়া’র কাছে ফিরে যেতে চাও। তবে যে পর্যন্ত তুমি তার মিষ্টত্ব এবং সে (আব্দুর রহমান) তোমার মিষ্টত্ব আস্বাদন না করেছে, সে পর্যন্ত তুমি (করতে) তা পার না। সেই সময় আবু বকর তার (নবীর) কাছে ছিলেন এবং দরজায় ছিলেন খালিদ (বিন সাআদ) ভেতরে ঢোকার অনুমতি প্রাপ্তির অপেক্ষায়। তিনি (খালিদ) বললেন- আবু বকর, মেয়েলোকটি নবীর সামনে উচ্চস্বরে কীসব বলছিল তা কী তুমি শুনেছ?”
সহি মুসলিম, বুক নং–০০৮, হাদিস নং–৩৩৫৭:
“আয়েশা (রাঃ) বর্ণনা করেছেন যে রাসুলুল্লাহকে (দঃ) একজন স্ত্রীলোকের বিষয় জিজ্ঞেস করা হয় এক ব্যক্তির সাথে তার বিয়ে হয়েছিল। অতঃপর লোকটি তাকে তালাক দেয় এবং সে (স্ত্রীলোকটি) অপর এক ব্যক্তিকে বিয়ে করে, যে তার সাথে যৌনসঙ্গম না করেই পূনরায় তাকে তালাক দেয়। এই অবস্থায় প্রথম স্বামীর সাথে (বিবাহ বন্ধনে) আবদ্ধ হওয়া কী তার জন্যে বৈধ। তিনি (নবী) বললেন- না, যে পর্যন্ত সে (দ্বিতীয় স্বামী) মেয়েটির মিষ্টত্ব আস্বাদন না করে।”
মালিক মোয়াত্তা, বুক নং–২৮, নাম্বার–২৮.৭.১৭:
“…নবীর জীবিতাবস্থায় রিফআ’ ইবনে শিমওয়াল তার স্ত্রী তামিমা বিনতে ওয়াহাবকে তিন তালাক দেয়। সে তখন আব্দুর রহমান ইবনে আজ-জুবায়েরকে বিয়ে করে। এবং সে (আব্দুর রহমান) বিয়ে পূর্ণাঙ্গ না করেই তাকে পরিত্যাগ করে। রিফাআ তাকে (তামিমাকে) আবার বিয়ে করতে চাইলে বিষয়টি নবীর (দঃ) কাছে উত্থাপিত হয়। তিনি (নবী) তাকে বিয়ে করতে নিষেধ করেন এবং বলেন- “যে পর্যন্ত সে (তামিমা) যৌনসঙ্গমের মিষ্টত্ব আস্বাদন না করে, সে পর্যন্ত সে তোমার জন্যে হালাল নয়।”
প্রস্রাব/যৌনসঙ্গম করার পর ফরজ গোসল কী বাধ্যতামুলক?
পুর্ববর্তী অধ্যায়ে আমরা জেনেছি যৌনসঙ্গম কিংবা প্রসাব করার পর গোসল করা ফরজ (বাধ্যতামূলক)। তবে পরবর্তী হাদিস দু’টি পড়লে পাঠক চরমভাবে বিভ্রান্তিতে পড়বেন, কারণ এমনকী নবী করিম নিজেও সঙ্গমের পর গোসল না করেই নির্বিবাদে নিদ্রা যেতেন।
সুনান আবু দাউদ, বুক নং–১, হাদিস নং–০০৪২:
“উম্মুল মোমেনীন আয়েশা হতে বর্ণিতঃ
নবী (দঃ) প্রসাব করছিলেন এবং উমর তার পিছে জলপাত্র হাতে দাড়িয়েছিলেন। তিনি বললেন- এটা কী উমর? উত্তরে তিনি (উমর) বললেন- আপনার জন্য পানি, এদিয়ে আপনি অজু করে নিবেন। তিনি বললেন- প্রতিবার পেশাব করার পর অজু করতে হবে এমন আদেশ আমি পাই নি। যদি আমি তা করি, তবে তা সুন্না বলে পরিগণিত হবে।”
সুনান আবু দাউদ, বুক নং-১, হাদিস নং-০২২৮:
“উম্মুল মোমেনীন আয়েশা হতে বর্ণিতঃ
রাসুলুল্লাহ (দঃ) যৌনসঙ্গমের পর পানি স্পর্শ না করে নাপাক অবস্থায়ই নিদ্রা যেতেন।”
[চলবে…]
ইসলামে কাম ও কামকেলি (১ম পর্ব)
[প্রবন্ধটি লেখকের ৬ খণ্ডে প্রকাশিত ‘Sex & Sexuality in Islam’ এর বঙ্গানুবাদ]