স্ত্রীর ভরণপোষণ
এই ব্যাপারে শারিয়া আইন একেবারে জলবৎতরলং।
দেখুন, শারিয়া আইন এম ১১.২ (ঐ বই পৃঃ ৫৪২)
স্বামীকে স্ত্রীর দৈনিক ভরণপোষণের ব্যয় বহন করতে হবে। স্বামী সচ্ছল হলে স্ত্রীকে প্রতিদিন এক লিটার শস্য দিতে হবে যা কিনা ঐ অঞ্চলের প্রধান খাদ্য। (O. এখানে প্রধান খাদ্য বলতে বুঝান হচ্ছে যা ঐ অঞ্চলের লোকেরা সর্বদা খায়, এমনকি তা যদি শক্ত, সাদা পনিরও হয়। স্ত্রী যদি তা গ্রহণ না করে অন্য কিছু খেতে চায়, তবে স্বামী তা সরবরাহ করতে বাধ্য থাকবে না। স্বামী যদি প্রধান খাদ্য ছাড়াও স্ত্রীকে অন্য কিছু খেতে দেয় তা স্ত্রী গ্রহণ না করলেও করতে পারে।) অসচ্ছল স্বামী প্রতিদিন তার স্ত্রীকে ০.৫১ লিটার খাদ্যশস্য দিবে। আর যদি স্বামীর সামর্থ্য এর মাঝামাঝি হয় তবে স্বামী তার স্ত্রীকে প্রতিদিন ০.৭৭ লিটার খাদ্যশস্য দিতে বাধ্য থাকবে।
এছাড়াও স্বামীকে শস্য পেষণের খরচ দিতে হবে যাতে ঐ শস্য আটা করে রুটি বানানো হয়। (O. স্ত্রী একাজ নিজে করলেও স্বামীকে খরচটা দিতে হবে স্ত্রীকে।) রুটি খাওয়ার জন্য অন্য যে সব সামগ্রী দরকার, যেমন, মাংস, তেল, লবণ, খেজুর, সির্কা, পনীর ইত্যাদি তা ও সরবরাহ করতে হবে। এসবের পরিমাণ নির্ভর করবে মরশুমের উপর। ফলের মরশুমে যে ফল পাওয়া যাবে তাই হবে প্রধান। ঐ শহরের লোকেরা যে পরিমাণ মাংস খায় স্ত্রীকেও সেই পরিমাণ মাংস দিতে হবে।
স্বামী স্ত্রী উভয়ে রাজী থাকলে স্ত্রীর দৈনিক খোরপোষের খরচ স্বামী টাকায় অথবা কাপড়ে দিতে পারবে।
এখন ক্যালকুলেটর নিয়ে হিসাব করুন: প্রতিদিন আপনার স্ত্রীকে কয় মুঠো চাল (বাংলাদেশে), কয় মুঠো ডাল, কি পরিমান লবণ, তেল, শাকসব্জি, মাংস, মাছ ইত্যাদি আপনি দিচ্ছেন! এর পরে এর টাকার পরিমাণটাও হিসেব করে নিন। এইই হবে আপনার স্ত্রীর দৈনিক ভাতা। এর বেশী আপনার স্ত্রী আপনার কাছে চাইতে পারবে না। ঐ দৈনিক খাদ্য দিয়েই আপনার স্ত্রীকে বেঁচে থাকতে হবে। এটাই হোল ইসলামী নিয়ম। আপনি দয়াপরবেশ হয়ে স্ত্রীকে বেশী দৈনিক ভাতা দিলে তা আপনার মর্জি।
শারিয়া আইন ১১.৩ (ঐ বই, পৃঃ ৫৪৩) স্ত্রীর ব্যক্তিগত স্বাস্থ্যের জন্য দরকারি বস্তু সমূহ:
স্ত্রী তার কেশবিন্যাসের জন্য তেল, শ্যাম্পু, সাবান, চিরুনি পাবে। (যা সেই সহরে সচরাচর ব্যবহার হয়।) স্বামীকে তার স্ত্রীর বগলের দুর্গন্ধ দূর করার জন্য যে সুগন্ধির প্রয়োজন তা দিতে হবে। যৌন সংগমের পূর্বে ও পরে স্ত্রীর গোসলের যে পানি দরকার তা স্বামীকে দিতে হবে। সন্তান প্রসবের পরে রক্ত ধৌত করার জন্য যে পানির প্রয়োজন তাও স্বামীকে দিতে হবে। এই দুটি কারণ ছাড়া স্বামী তার স্ত্রীকে সাধারণ গোসল অথবা ধৌতের জন্যে যে পানির প্রয়োজন তার খরচ দিতে বাধ্য থাকবে না।
শারিয়া আইন এম ১১.৫ (ঐ বই পৃঃ ৫৪৪) কাপড় চোপড়ের খরচ:
স্ত্রী যে অঞ্চলে থাকবে ঐ অঞ্চলের যা প্রধান পোশাক স্ত্রী তা পাবে। (O. পোশাক নির্ভর করবে স্ত্রী লম্বা না বেঁটে, খর্ব না স্থূল এবং মরশুম গ্রীষ্ম না শীত কাল।) গ্রীষ্ম কালে স্বামী বাধ্য থাকবে স্ত্রীকে মাথা ঢাকার কাপড় দিতে। এছাড়া গায়ের লম্বা জামা, অন্তর্বাস, জুতা ও একটা গায়ের চাদর দিতে হবে, কেননা স্ত্রীকে হয়ত বাইরে যেতে হতে পারে। শীতের মরশুমে ঐ একই পোশাক দিতে হবে এবং অতিরিক্ত হিসাবে একটা লেপের মত সুতি বস্ত্রও দিতে হবে শীতের প্রকোপ থেকে রক্ষার জন্য। শীতের সময় প্রয়োজন পড়লে গরম করার তেল অথবা লাকড়ি যা দরকার তাও দিতে হবে। এ ছাড়াও সামর্থ্য অনুযায়ী স্বামীকে দিতে হবে, কম্বল, বিছানার চাদর, বালিশ ইত্যাদি। (O. খাওয়া-দাওয়া ও পান করার জন্য যেসব সামগ্রী দরকার তাও স্ত্রীকে দেওয়া দরকার।)
আশ্চর্যের ব্যাপার হচ্ছে এই সব কাপড় পোশাক স্ত্রী পাবে এক মরশুমের জন্য। অর্থাৎ এক মরশুমে যদি কাপড় পোশাক ছিঁড়ে যায় বা অকেজো হয়ে যায় তবে স্বামী আবার তা সরবরাহ করতে বাধ্য থাকবে না। তাই শীতের পোশাক যদি শীত শেষ হবার আগেই লণ্ডভণ্ড হয়ে যায় তবে স্বামী আবার শীতের পোশাক সরবরাহ করতে বাধ্য থাকবে না। এই আইনটিই বলা হয়েছে এম ১১.৭ (ঐ বই পৃঃ ৫৪৪) এ।
অনেকে ভাববেন এতো মন্দ নয়। ইসলাম স্ত্রীকে কিছু না কিছু অধিকার দিয়েছে তার স্বামীর কাছ থেকে পাওনার জন্য। কিন্তু এর মাঝে যথেষ্ট হেরফের আছে। দেখুন এই আইনটি।
শারিয়া আইন এম ১১.৯ (ঐ বই পৃঃ ৫৪৫): স্বামীর ভরণপোষণ শর্তযুক্ত:
স্ত্রীর ভরণপোষণ স্বামী সে পর্যন্তই বহন করবে যে পর্যন্ত চাহিবার মাত্র স্ত্রী তার স্বামীকে দেহদান করে অথবা দেহদানের প্রস্তুতি দেখায়। এর অর্থ হচ্ছে স্ত্রী স্বামীকে পূর্ণ যৌন উপভোগ করতে দিবে এবং কোন অবস্থাতেই স্বামীর যৌন চাহিদার প্রত্যাখ্যান করবে না। স্বামীর ভরণপোষণ স্ত্রী পাবেনা যখন:
- স্ত্রী স্বামীর অবাধ্য হবে, তার মানে যখন স্ত্রী স্বামীর আদেশ অমান্য করবে এক মুহূর্তের জন্যে হলেও।
- স্ত্রী স্বামীর অনুমতি ব্যতিরেকে ভ্রমণে যায় অথবা স্বামীর অনুমতি নেয়, কিন্তু ভ্রমণ করে নিজের প্রয়োজনে।
- স্ত্রী হজ্জ অথবা ওমরা করার উদ্দেশ্যে এহরাম করে।
- স্ত্রী যদি স্বামীর অনুমতি ব্যতিরেকে নফল রোজা রাখে।
এখানে একটা প্রশ্ন এসে যায় কোন সময় যদি স্ত্রী অসুখে পড়ে যায় তবে তার কি হবে? কেই বা তার অসুখবিসুখের খরচা চালাবে। অবিশ্বাস্য মনে হলেও এটা সত্যি যে শারিয়া আইন বলছে স্ত্রীর অসুখবিসুখ, ঔষধ পত্র অথবা চিকিৎসকের খরচ স্বামী বহন করতে বাধ্য নয়। যদি স্ত্রীর মেডিকেল খরচ স্বামী বহন করে তবে সেটা স্বামীর মানবিকতা—ইসলামী পুণ্য নয়।
এবার দেখা যাক আরও কতকগুলো ইসলামী আইন যা আমাদের মহিলাদেরকে বানিয়ে রেখেছে ক্রীতদাসী হিসাবে।
আইন এম ১১.৪ (ঐ বই পৃঃ ৫৪৪)
স্বামী তার স্ত্রীর প্রসাধন সামগ্রী, চিকিৎসকের খরচ, ঔষধের খরচ অথবা এই ধরনের অন্যান্য খরচ বহন করতে বাধ্য থাকবে না, যদিও স্বামী চাইলে তা করতে পারে। এটা শুধু সুপারিশ, বাধ্যবাধকতা নয়। কিন্তু শিশু জন্মের সাথে জড়িত খরচ স্বামীকে বহন করতে হবে।
আরও একটি অমানুষিক ব্যাপার হচ্ছে যে স্ত্রী তার ভরণপোষণ পাবে দৈনিক ভাবে—মানে দিন কে দিন। তার অর্থ হল, স্ত্রীর খাওয়া দাওয়া ও থাকার ব্যবস্থার নিরাপত্তা মাত্র এক দিনের জন্য। স্বামী চাইলে যে কোন সময় তুচ্ছ অজুহাত তুলে স্ত্রীর ভরণপোষণ বন্ধ করে দিতে পারে।
আইন এম ১১.৬ (ঐ বই পৃঃ ৫৪৪)
দৈনিক ভাতা শুরু হবে দিনের শুরুতে। স্বামী তার স্ত্রীকে দিনের প্রথমে স্ত্রীর দৈনিক ভাতা দিতে বাধ্য থাকবে। মরশুমের শুরুতেই স্বামী তার স্ত্রীকে পোশাকের কাপড় দিয়ে দিবে।
তালাক প্রাপ্ত ও গর্ভবতী স্ত্রীদের কি অবস্থা?
আইন এম ১১.১০ (ঐ বই পৃঃ ৫৪৬)
যে স্ত্রী ইদ্দতে থাকবে, সে তালাক (অস্থায়ী) অথবা বিধবার জন্যই হোক, তার অধিকার থাকবে স্বামীর গৃহে থাকার ইদ্দতের সময় পর্যন্ত। এরপর ভরণপোষণের ব্যাপারটা এই রকম:
১) তিন তালাক (স্থায়ী তালাক) হয়ে গেলে স্ত্রী ইদ্দতের সময় ভরণপোষণ অথবা ইদ্দতের পর কোন প্রকার ভরণপোষণ পাবে না। বিধবা নারীও কোন দৈনিক ভাতা পাবে না।
২) ভরণপোষণ হবে একমাত্র ইদ্দতের সময়, তাও যদি তালাক অস্থায়ী হয় যথা এক তালাক অথবা দুই তালাক, যেখানে সম্ভাবনা আছে যে স্বামী চাইলে স্ত্রীকে ফেরত চাইবে।
৩) তিন তালাক প্রাপ্ত স্ত্রী যদি গর্ভবতী থাকে সে দৈনিক ভাতা পাবে (A. শিশু ভূমিষ্ঠ না হওয়া পর্যন্ত। এর পর শিশুর দেখা শোনা ও লালনপালনের জন্যে।)। স্ত্রী অন্তঃসত্ত্বা না থাকলে সে কোন ভাতাই পাবে না।
স্ত্রীর উপর স্বামীর অধিকার
আসুন এবার আমরা দেখি স্বামী কি চায় স্ত্রীর কাছ হতে। শারিয়া আইন অনুযায়ী যে মুহূর্তে স্বামী স্ত্রীকে মোহরানার টাকা দিয়ে দিবে অথবা পরে দিবার অঙ্গীকার করবে সেই মুহূর্তে স্বামী নারীটির দেহ বল্লরী কিনে নিলো—অথবা নারীটির আপাদমস্তক দেহের পূর্ণ মালিকানা পেয়ে গেল। অবশ্যই এ বলতে নারীটির যৌনাঙ্গ বলা হচ্ছে। শারিয়ার নিয়ম অনুযায়ী নারীটির শরীরের অস্থি, মজ্জা, মাংস, পেশী, রক্ত, চুল, চামড়া…ইত্যাদি সহ সন্তানধারণের যন্ত্রটি স্বামীর এখতিয়ারে চলে আসবে। নারীর অন্যতম কর্তব্য হবে তার যৌনাঙ্গ ও গর্ভকে সর্বদা ক্রিয়াশীল করে রাখা—যেমন ভাবে এক কারিগর তার কাজের যন্ত্রপাতি তেল, ঘষামাজা দিয়ে প্রস্তুত রাখে। এসবের জন্যে মুসলমানদের দরকার স্ত্রীকে ব্যাবহারের নিয়মাবলী। দেখ যাক, এইসব নিয়মাবলী কিরকম।
শারিয়া আইন (উমদাত আল-সালিক) নম্বর এম ৫.৪ (পৃঃ ৫২৬):
স্ত্রীর দেহকে উপভোগ করার পূর্ণ অধিকার থাকবে স্বামীর। (A: আপাদমস্তক পর্যন্ত, তথা পায়ের পাতা পর্যন্ত। কিন্তু পায়ু পথে সঙ্গম করা যাবেনা—এটা বে-আইনি)। তবে লক্ষ্য রাখতে হবে যৌনসংগম কালে স্ত্রী যেন ব্যথা না পায়। স্বামী তার স্ত্রীকে যেখানে খুশী নিয়ে যেতে পারবে।
এখানে উল্লেখ করা প্রয়োজন যে স্ত্রীর পায়ুপথে সঙ্গম করা বে আইনি শুধুমাত্র সুন্নীদের জন্যে। শিয়াদের জন্য আইন অন্য রকম। একজন শিয়া স্বামী তার স্ত্রীর গুহ্যদ্বারে সঙ্গম করতে পারবে। এই ব্যাপারে সুনান আবু দাউদের ইংরাজি অনুবাদক অধ্যাপক আহমদ হাসানের মন্তব্য পড়া যেতে পারে (দেখুন, সুনান আবু দাউদের ইংরাজি ছাপানো অনুবাদ, ভলুম ২, হাদিস ২১৫৭ এর মন্তব্য ১৪৮৩, পৃঃ ৫৭৯)।
শারিয়া আইন (ঐ বই) নম্বর এম ৫.৬:
স্ত্রী তার যৌনাঙ্গকে সর্বদা পরিষ্কার পরিচ্ছন্ন রাখতে বাধ্য থাকবে—এটা স্বামীর অন্যতম অধিকার। এই জন্য স্ত্রীকে মাসিক স্রাবের পর গোসল নিতে হবে এবং স্বামীর পূর্ণ যৌন উপভোগ করার জন্য যা যা দরকার তা তাকে করতে হবে। এর মাঝে থাকছে নিয়মিত যৌনাঙ্গের কেশ কামানো, এবং যৌনাঙ্গের ভিতরে জমে যাওয়া ময়লা দূর করা।
স্ত্রীর করনীয় কী?
এক মুসলিম নারীর সবচাইতে গুরুত্বপূর্ণ ও মূখ্য কর্তব্য হবে তার স্বামীর যৌন ক্ষুধা নিবৃত করা। আপনার তা বিশ্বাস করতে অসুবিধা হচ্ছে তাই না? কিন্তু একটু চিন্তা করলেই আমরা বুঝব যে মোহরানার উদ্দেশ্যই হচ্ছে নারীর যৌনাঙ্গের মালিকানা স্বামীর আয়ত্তে আনা যাতে সে স্ত্রীর দেহকে সম্পূর্ণভাবে উপভোগ করতে পারে। শারিয়ার নিয়ম অনুযায়ী কোন মুসলিম নারী কস্মিনকালেও তার স্বামীর যৌন ক্ষুধা মিটাতে ‘না’ বলতে পারবে না। অবশ্য স্ত্রী যদি অসুস্থ হয়ে পড়ে অথবা কোন কারণে তার যৌনাঙ্গে গোলযোগ দেখা যায় তখন তা আলাদা।
এখন আমরা দেখব এ ব্যাপারে হাদিস কী বলছে।
সহিহ মুসলিম বই ৮, নম্বর ৩৩৬৬:
আবু হুরায়রা বললেন: আল্লার রসুল (সঃ) বলেছেন যদি কোন রমণী তার স্বামী থেকে বিচ্ছিন্ন হয়ে রাত্রি যাপন করে তবে ফেরেশতারা সেই নারীকে অভিশাপ দেয় ভোরবেলা পর্যন্ত। এই হাদিসটা অন্যের ভাষ্য দিয়েও বলা হয়েছে—যাতে বলা হয়েছে: যতক্ষণ না স্ত্রী স্বামীর বিছানায় ফিরে আসে।
এ সম্পর্কে সহিহ মুসলিম বই ৮, হাদিস ৩৩৬৭ ও দেখা যেতে পারে।
দেখা যাক ইমাম গাজ্জালী কি বলেছেন এ প্রসঙ্গে। এহিয়া উলুম আল-দীন, ভলুম ১ পৃঃ ২৩৫:
স্ত্রী তার স্বামীকে নিজের এবং তার আত্মীয়ের চাইতেও বেশী ভালবাসবে। স্ত্রীকে সদা সর্বদা পরিষ্কার ছিমছাম থাকতে হবে যাতে করে স্বামী যখন খুশী তাকে উপভোগ করতে পারে।
ঐ বই, পৃঃ ২৩৬
স্ত্রীকে সর্বদা ন্যায়পরায়ণতা মেনে চলতে হবে। স্ত্রীকে স্বামীর অবর্তমানে দুঃখিত হতে হবে। যখন স্বামী ফিরে আসবে তখন স্ত্রীকে হাসিখুশি দেখাতে হবে এবং নিজের দেহকে প্রস্তুত রাখবে স্বামীর আনন্দের জন্যে।
শারিয়া আইন এম ১০.৪ (উমদাত আল-সালিক, পৃঃ ৫৩৮)
স্ত্রীর গৃহ ত্যাগ করা যাবে না। স্বামীর অধিকার থাকবে স্ত্রীকে গৃহের বাইরে না যেতে দেওয়া। (O. এটা এ কারণে যে বাইহাকী বলেছেন যে রসুলুল্লাহ বলেছেন: যে রমণী আল্লাহ ও কেয়ামতে বিশ্বাস করে সে কখনো তার স্বামীর অবর্তমানে কোন বেগানা লোককে তার গৃহে প্রকাশের অনুমতি দিবে না, অথবা সেই রমণী গৃহের বাইরে যাবে যখন তার স্বামী বিক্ষুব্ধ হবে।
কিন্তু স্ত্রীর কোন আত্মীয় মারা গেলে স্বামী চাইলে স্ত্রীকে গৃহ ত্যাগের অনুমতি দিতে পারে।
এখানে হানাফি শারিয়ার একটি নিয়ম ইমাম শাফী দিয়েছেন। সেই আইনটি পড়ে নিন।
শারিয়া আইন (হানাফি) ডবলু ৪৫.২ (ঐ বই পৃঃ ৯৪৯):
স্ত্রীর কর্তব্য হচ্ছে স্বামীর সেবা পরিচর্যা করা। এই কর্তব্য স্ত্রীর কাছে ধর্মের অঙ্গ। সেবা বলতে ধরা হচ্ছে রান্না করা, গৃহ পরিষ্কার করা, রুটি বানানো…ইত্যাদি। স্ত্রীর এসব কাজে বিমুখতা পাপ হিসেবে গণ্য হবে। কিন্তু আদালত স্ত্রীকে জোরপূর্বক এই সব কাজ করতে হুকুম দিতে পারবে না।
চলবে…