০
৬৬২ বার পঠিত
গত দশ বছরে স্পষ্টতই ইসলামের নাম করে ১৮০০ মরণঘাতি সন্ত্রাসবাদী হামলা চালানো হয়েছে (অন্য সব ধর্ম মিলে এই সংখ্যাটা সম্ভবত ডজনখানেক)।
১. ইসলামের নবী মোহাম্মদ তাকে অপমান করা বা তার ধর্মের সমালোচনা করার মানুষ খুন করেছেন, বাদ যায়নি মেয়েরাও।
২. অনেক জয়গায়ই মহম্মদ দবি করেছেন যে,তাকে আল্লাহ “নির্দেশ দিয়েছেন যতদিন মানুষ মেনে না নেবে যে, আল্লাহ ছাড়া অন্য কোনো ঈশ্বর নেই এবং মোহাম্মদ তার বার্তাবাহক ততদিন তাদের বিরুদ্ধে লড়াই চালিয়ে যেতে।জীবনের শেষ ৯ বছর ঠিক তাই করার জন্য তিনি অন্তত ৬৫টি সামরিক অভিযান চালিয়েছেন। মোহাম্মদ তার লোকদের যুদ্ধে অনুপ্রাণিত করেছেন নিকৃষ্টতম উদ্দেশ্য নিয়ে।তিনি লুটের মাল, যৌন লালসা বেহেস্তের লোভকে কাজে লাগিয়েছেন। তিনি যুদ্ধে ধৃত পু্রুষদের খুন করেছেন, শিশুদের দাস বানিয়েছেন, নারীদের ধর্ষণ করেছেন। আবার মুসলমানদের তাকে অনুসরণ করতে বলা হয়েছে।
৩. মোহাম্মদের মৃত্যুর পরপরই যারা তার সঙ্গী ছিলেন এবং তার ধর্ম সবচেয়ে ভাল জানতেন তারা পরস্পরের সঙ্গে যুদ্ধে মেতে ওঠে।
মোহাম্মদের প্রিয় কন্যা ফাতেমা বাবার মৃত্যুর পর প্রথম দিকে মক্কার কাফেরদের সঙ্গে ভালই ছিলেন কিন্তু পরে মুসলমানদের নির্যাতনের চাপে ৬ মাসের মধ্যে মারা যান। মোহাম্মদের মৃত্যুর পর যিনি দ্বিতীয় খলিফা হন সেই উমর ফাতেমার বুকের পাঞ্জর ভেঙ্গে দেন।এতে তার গর্ভের সন্তান নষ্ট হয়ে যায়।
মদিনায় সবার আগে ইসলাম গ্রহণ করেছিলেন সাদ ইবন্ উবাদাহ্। তিনি উমরের নির্দেশে খুন হন। বর্ষীয়ান নেতা উবাদাহ্ ছিলেন মোহাম্মদের ঘনিষ্ট সঙ্গী। তিনি যুদ্ধেও পারদর্শিতা দেখান।তার অপরাধ তিনি দ্বিতীয় খলিফা হওয়ার চেষ্টা করেছিলেন।
দ্বিতীয় যে ব্যক্তি ইসলাম গ্রহণ করেন তিনি আলী। মোহাম্মদ তাকে পুত্রস্নেহে লালন করেন এবং ফাতেমার সঙ্গে তার বিয়ে দেন। মোহাম্মদের স্ত্রী আয়েশার সেনাবাহিনীর সঙ্গে আলীকে গৃহযুদ্ধ করতে হয়। মোহাম্মদ বলেছিলেন আয়েশা “যথার্থ নারী”। মোহাম্মদের মৃত্যুর ২৫ বছরও হয়নি, তখন এই গৃহযুদ্ধে ১০,০০০ মুসলমান প্রাণ হারান। প্রথম চারজন খলিফার তিনজনই খুন হন।এরা সবাই ছিলেন মোহাম্মদের ঘনিষ্টতম। তৃতীয় খলিফার মৃত্যু হয় প্রথম খলিফার পুত্রের মিত্রদের হাতে। পরে প্রথম খলিফার এই পুত্র খুন হন পঞ্চম খলিফার হাতে। তার লাশ মৃত গাধার চামড়ায় মুড়ে পুড়িয়ে দেওয়া হয়। পঞ্চম খলিফার সঙ্গে তীব্র বিবাদে চতুর্থ খলিফা আলীকে ছুরি মেরে খুন করা হয়। মোহাম্মদের দুই প্রিয় নাতির একজনকে পঞ্চম খলিফা বিষ খাইয়ে খুন করেন, দ্বিতীয় নাতিকে মুণ্ডু কেটে খুন করেন ষষ্ঠ খলিফা।
৪. মোহাম্মদ মুসলমানদের নির্দেশ দেন অন্য সব ধর্মের বিরুদ্ধে যুদ্ধ করে ওই সব ধর্মাবলম্বীদের ইসলাম গ্রহনে বাধ্য করতে। মোহাম্মদের মৃত্যুর পর প্রথম কয়েক দশকে তার আরবীয় সঙ্গীগণ অভিযান চালিয়ে খ্রিস্টান, ইহুদি, হিন্দু, বৌদ্ধ এবং জরোয়্যাস্ট্রিয়ানদের দেশ দখল করে নেন।মোহাম্মদের মৃত্যুর মাত্র ২৫ বছরের মধ্যে সৌদি আরবের বাইরে আধুনিক সীমান্ত অনুযায়ী ২৮টি দেশ মুসলমান সেনারা দখল করে নেয়।
৫. মুসলমানরা অন্যান্য ধর্মের বিরুদ্ধে জিহাদ জারি রেখেছে ১৪০০ বছর। অমুসলিমদের আত্মরক্ষার ক্ষমতাই শুধু তাদের নিয়ন্ত্রণ করতে পেরেছে। আজ পর্যন্ত এমন একটি সপ্তাহ যায়নি যখন ইসলামী মৌলবাদীরা খ্রিস্টান, ইহুদি, হিন্দু এবং বৌদ্ধদের আল্লাহর নামে খুন করতে চেষ্টা চালায়নি। এই ধর্মগুলির কোনোটিই পরস্পরের বিরুদ্ধে লড়াইয়ে লিপ্ত নয়।
৬. ইসলামই একমাত্র ধর্ম যা খুনের হুমকি জারি রেখে ইসলামত্যাগ আটকে রাখে। মোহাম্মদ এই দৃষ্টান্তই রেখে গেছেন।
৭. ইসলাম শেখায় যে, অমুসলমানগণ পুরুপুরি মানুষ নয়। মোহাম্মদ বলে গেছেন, খুনের অপরাধে মুসলমানের মৃত্যুদন্ড হতে পারে তবে কোনো অমুসলমানকে খুন করলে তা হবেনা।
৮. কোরানে একবারের জন্যও অমুসলমানের প্রতি আল্লাহর ভালবাসার কথা বলা হয়নি। তবে এতে শয়ে শয়ে আয়াত আছে যাতে অমুসলমানদের প্রতি আল্লাহর নিষঠুরতা ও ঘৃনার কথা রয়েছে।
৯. “আল্লাহু আকবর! আল্লাহু আকবর! আল্লাহু আকবর!”
এই শব্দটি বার্তমান শান্তি প্রিয় মানুষের কাছে একটি আতঙ্কের নাম।
ই-মেইলে যোগাযোগ করুন