বাংলাদেশ বিজ্ঞান ও যুক্তিবাদী সংগঠন এর পক্ষ থেকে এক পীরের মুখোশ উন্মোচন করা হয় গত ২৭ শে জুলাই, ২০১২ রোজ শুক্রবার।
সংগঠনের কর্মকান্ড যাদের বিরুদ্ধেঃ
এই সংগঠনের যুদ্ধ অলৌকিকতার নামে যারা মানুষের দুর্বলতাকে, অজ্ঞানতাকে, কুসংস্কারকে ভাঙ্গিয়ে খ্যাতি ও প্রতিপত্তি লাভ করে চলেছে তাদের বিরুদ্ধে। যারা কুসংস্কারকে সাফ করার নাম করলে মানুষের ধর্মীয় বিশ্বাসে আঘাত নয় বলে সোচ্চার। হয় তাদের বিরুদ্ধে। যারা জনগনের চেতনাকে বেশীদূর পর্যন্ত এগিয়ে নিতে যেতে ভয় পায় তাদের বিরুদ্ধে। যারা জাতের নামে বজ্জাতি করে চলেছে তাদের বিরুদ্ধে। যারা ধর্মের নামে মানুষের মানবিকতার চূড়ান্ত বিকাশ গতিকে রুদ্ধ রাখতে চায় তাদের বিরুদ্ধে। একটি তলোয়ারের ধর্ম যেমন তীক্ষ্ণতা, আগুনের ধর্ম যেমন দহন। তেমনি মানুষের ধর্ম মনুষ্যত্বের বিকাশ। সেই বিচারে আমরাই ধার্মিক কারন আমরা শোষিত মানুষের মনুষ্যত্ববোধকে বিকশিত করতে চাইছি। মানুষের চিন্তায়, মানুষের চেতনায় বপন করতে চাইছি সাংস্কৃতিক বিপ্লবের বীজ। যারা কুসংস্কার দূরীকরনের কথা উঠলেই বলে আগে চাই শিক্ষার বিস্তার, শিক্ষাই কুসংস্কার দূর করবে, তাদের স্মরণ করি দেয়া প্রয়োজন শিক্ষা বিস্তারের অর্থ শুধু বইয়ের পড়া মুখস্ত করা নয়। কুসংস্কার দূর করাও শিক্ষা প্রসারের অঙ্গ। অশিক্ষা বিতাড়নের চেয়ে বড় শিক্ষা আর কি হতে পারে? জনশিক্ষা ও যথার্থ বিজ্ঞান চেতনা আজও এ দেশে দুর্লভ। আমরা সেই দুর্লভ কাজ-ই করতে চাই। আমরা ঘটাতে চাই চিন্তার বিপ্লব, সাংস্কৃতিক বিপ্লব।
শুরুটা যেভাবেঃ
গত ১৮ই জুলাই এই সংগঠনের অন্যতম সদস্য এন সি নীল ও তাহসিব হাসান যেভাবে পীরের সঙ্গে যোগাযোগ করে এবং এন সি নীল এর বক্তব নিম্নরুপঃ
“একটু আগে কথা বললাম একটা তববির সেন্টার এর সাথে। এই সেন্টার সকল ধরণের সমস্যার অলৌকিক সমাধান প্রদান করে। আমি কথা বললাম আমার এক বন্ধু তাহসিব এর ব্যাপারে। তার ছোট ভাই হারিয়ে গেছে, আব্বু তাকে সিগারেট টানার জন্য মাইর দিয়েছে বলে সে অভিমান করে বাসা থেকে ৩ দিন আগে চলে গেছে।
(বিঃ দ্রঃ তার কোন ছোট ভাই নেই, তার বাবা মারা গেছে ১৯৯৮ সালে।)
কথা বলার পর পীর জানালো, সেই পীর আমার বন্ধুর ছোট ভাইকে খুজে দিতে পারবে। প্রথম সাক্ষাতে তাকে হাদিয়া দিতে হবে ৩১৩ টাকা। তারপর সে আমাদের সাথে চুক্তিতে যাবে। সর্বনিম্ন চুক্তি হলো ৩০০০ টাকা। আমরা বলেছি এই শুক্রবার বাদ-জুম্মা আমরা তার কাছে যাবো। জায়গাটা হলো মোহাম্মদপুর। (বিস্তারিত আর কিছু লিখলাম না) আপনারা কে কে যেতে চান?? আমরা কিভাবে এই কাজটা সম্পাদন করতে পারি?
(উক্ত বক্তব্যটি ফেসবুকে প্রচার করা হয় সংগঠনের সদস্যদের কাছ থেকে মতামত ও সম্মতির জন্য)
একশন পরিকল্পনার জন্য বিশেষ সভাঃ
(বিঃদ্রঃ এর আগে আরো কয়েকটা সভা হয় এই সংগঠনের সদস্যদের মধ্যে যা মতামত বিনিময় এবং সাপোর্ট হিসাবে কোন মিডিয়াকে এবং প্রসাশনকে নেওয়া যায় কি না- এ বিষয়ে) ২৩ শে জুলাই এর সভার বার্তাটি ছিল নিম্নরুপঃ
“জরুরী বার্তাঃ
আগামীকাল ২৪ জুলাই রোজ মঙ্গলবার বিকাল ৫ ঘটিকায়, কার্যনির্বাহী কমিটি সিন্ধান্ত অনুযায়ী বাংলাদেশ বিজ্ঞান ও যুক্তিবাদী সংগঠন এর বৈঠক হবে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের টি এস সি ভবনের ভিতরে। পীর বাবা নিয়ে কিছু খুবই জরুরী সিন্ধান্তের জন্য আগামিকালের বৈঠক খুবই গুরুত্বপূর্ণ এবং আমাদের হাতে সময় খুবই অপ্রতুল। আগামীকালের সিন্ধান্তেই কিছু কাজ আগামীকাল-ই করা হবে। তাই আমাদের এই বৈঠক বিকাল ৫টা মানে ঠিক ৫ টাই অনুষ্ঠিত হবে। ৫.৩০ বা ৬ টা নয়। তাই সকল সদস্যদের বিকাল ৫ টার আগেই উপস্থিতি একান্ত কাম্য। যেহেতু বৈঠকের পর আমাদের কিছু কাজ রয়েছে।
মিশন এর জন্য প্রচারণা এবং পরিকল্পনাঃ
(নিম্ন প্রচারণাতে অনেকের দ্বি-মত থাকলেও মোটামুটি সংগঠনের প্রায় সকল সদস্যই এই প্রচারণা চালায় বিভিন্ন ফেসবুকের বিভিন্ন গ্রুপে ও তাদের ব্যক্তিগত ওয়ালে)
প্রবীর ঘোষ প্রতিষ্ঠিত বাংলাদেশ বিজ্ঞান ও যুক্তিবাদী সংগঠনের পক্ষ থেকে ইতীমধ্যে একজন পীরের ভন্ডামী উন্মোচন করেছি। তার ভন্ডামির সমস্ত প্রমাণ আমাদের কাছে আছে। আগামী ২৭ জুলাই শুক্রবার আমরা মিডিয়াকে নিয়ে ও প্রশাসনকে জানিয়ে পীর কে চ্যালেঞ্জ করতে যাবো। আমরা ২টি ভাগে ভাগ হয়ে যাবো। ৫-১০ জননের একটি দল মিডিয়া নিয়ে যাবে, আর অন্য একটি দল ৫০-১০০ জনের ওখানের স্থানীয় গ্রামবাসীর সাথে মিশে যাবে। প্রথম দলটি পীরের ভন্ডামি মিডিয়ার সামনে উন্মোচন করবে এবং তাকে অলৌকিকতা প্রমানের চ্যালেঞ্জ দিবে। এর মধ্যে দ্বিতীয় দল আশেপাশের মানুষের সাথে কথা বলবে পীর সম্পর্কে। যদি পীর ঝামেলা পাকায় তা হলে দ্বিতীয় দল গ্রামবাসীদের সাথে নিয়ে ব্যাপারটা মোকাবেলা করবে। যদি তারা চরম পর্যায়ে যায় তাহলে আমরাও চরম পর্যায়ে যাবো। জায়গাটা হল মোহাম্মদপুর, আগামী শুক্রবার সকাল ১০ টা। কে কে যাবেন আমাদের সাথে? বিস্তারিতঃ ০১৬৭১-৯৭০৬৫৭, ০১৬১১৮২৪৭৪২ ।
এবার পীর এর কাছে পৌছানোর পর এবং ইতোমধ্যে পীরকে চ্যালেঞ্জ দেওয়া হয়েছেঃ
ঘটনা স্থলের প্রতিক্রিয়াঃ
একজন মহিলার বক্তব্য- পীর তো কাউকে তাঁর কাছে আসতে বলে না। মানুষ কেন আসে, এতে পীরের দোষ কই? মহিলার উক্তি যে তার নাতনীর নাকি ছোট ছোট রোগবালাই সেড়েছে পীরের ঝার ফুঁকে। পীর কোন মহিলার সাথে কথা বলে না। পীরের একজন মুরিদ আছে সে মহিলাদের সাথে কথা বলে।
এই মহিলা পীরকে ধরার ফলে মনে খুব কষ্ট পেয়েছে- তা স্পষ্ট বুঝা যাচ্ছে।
ঘটনাস্থলে একজন নির্মাণ শ্রমিকের মতামত- এইখানে অনেক সুন্দরী মহিলা আসে যাদের চেহারা অনেক ভাল, তাআ উচ্চবিত্ত পরিবারের। তবে ঘড়ের ভিত্তরে নিয়া কি করে তা তো আমরা জানি না।
এবার যারা যুবকদের মতামত- এই পীর আসলেই ভন্ড, এরে ধুরুন এবং মাইরা হাড্ডিগুড্ডি ভাইঙ্গা ফালান।
মুলতঃ উপস্থিত এলাকার যুবকরাই পীরকে ধরার সাপোর্ট এর ছিল ফলে সহজেই কাজটা হাসিল হয়েছে বলা যায়।
যেভাবে পীরকে ভন্ড প্রমাণ করা হলঃ
এই সংগঠনের দুই জন সদস্য (এন সি নীল ও দেবজ্যোতি রুদ্র) তাহসিব হাসানের সাথে (তাহসিব হাসান যার ভাই হারিয়ে গেছে বলা হয়েছিল) গিয়েছিল পীরের কাছে। পীব সব কিছু শুনে বললো যে সে তাঁর ভাইকে খুঁজে দিতে পারবে। এই জন্য সে ৩১৩ টাকা হাদিয়া নেয়। পরের দিন পীর তাকে ফোন করে বলে সে তাঁর ভাইকে দেখতে পেয়েছে। ফোন রেকর্ডিং এখানে। তাঁর ভাইকে তাঁর বাবা বকেছে তাই সে রাগ করে চলে গেছে। তাঁর ভাইকে খুঁজে পেরে হলে কিছু জিনিস করতে হবে যা তাকে ফোনে বলা হয়।
কিন্তু সত্য এই যে সেই লোকের (তাহসিব হাসান) কোন ভাই নেই এবং তাঁর বাবা ১৯৯৮ সালেই মারা গেছেন।
২৭ জুলাই যখন আবার যাওয়া হয় পীরের কাছে এবং পীরে তাহসিব হাসানকে ৪ টা তাবিস দেয় যাতে আছে কোরাণের বিভিন্ন আয়াত সম্বলিত। একটা তাবিজ পানিতে যা আগে পদ্মা নদীর পানি চুবিয়ে, একটা শুনে (কবুত বা বেলুন এর মাধ্যমে), একটা ভুমিতে অন্যটি পুঁতে রাখতে হবে, অন্যটি আগুনে পুড়তে হবে।
এই সময় এন সি নীল বলে উঠে এগুলো করতে বলছেন, আর ভন্ডামী করার জায়গা পান না। বলার পর পরই তার হাতের কাছে মোবাইলেটা আগে সিজ করা হয় এবং পীরে পিছনে যে মুরিদ ছিল সে রুম থেকে দৌড়ে বেড় হয় এবং ফাইনালি পীর এর সাথে বাক-বিতন্ডা কর অন্য একজন সদস্য নাম দেবজ্যোতি রুদ্র। এমতাবস্থায় পীর ঘড় থেকে পালাতে চাইলে সংগঠনের একটা দল পীরের কাছে চলে আসে এবং পীরকে আবার ঘড়ে টেনে নিয়ে যাওয়া হয়। এর কিছুক্ষণ পর এলাকার এক বড় ভাই টাইপ এর কেউ এসে উল্টো পীরের বিরুদ্ধে এমন অভিযোগ কেন তা জানতে চাইলে উক্ত অডিও লিংকটির তাদের শোনানো হয় এবং তারা বুঝতে পারে যে পীর আসলেই ভন্ড। তবে উনি ফাইনালি একটা ব্যবস্থা নিতে বললেন। এর পর তাহসিব, নীল ও দেবজ্যোতি রুদ্র পীরের কাছে নিম্ন স্ব-হস্তে লিখিত স্টেটমেন্টটি নেয়।
এলাকার একজন কাঠ ব্যবসায়ীর মতামতঃ
এই ভদ্রলোক এর মতামত এখানে খুবই গুরুত্বপূর্ন। ঐ দিকে এন সি নীল, তাসিব হাসান ও দেবজ্যোতি রুদ্র যখন পীর কে চ্যালেঞ্জ দিচ্ছিল এবং আমাদের প্রত্যেক গ্রুপের সদস্যগণ ধীরে ধীরে ঘটনাস্থলে উপস্থিত। তখন আমি ও মেরাজ নামে আমাদের একজন সদস্য ঘটনাস্থলে প্রবেশ এর রাস্তার মাথায় আমরা দেখছিলাম এলাকাবাসী কিভাবে এগুচ্ছে এবং কোন অঘটন ঘটছে কি না। সেই সময় এই ব্যবসায়ীর চেম্বারের কাছে আমরা দাড়াই। কিছুক্ষণ দাড়ানোর পর বৃষ্টি পড়তে শুরু করে। এই ব্যবসায়ী ভদ্রলোক আমাদের তার চেম্বারে বসার জন্য অনুরোধ করে এবং এক পর্যায়ে গিয়ে বসলাম। এদিকে দৌড়ে দৌড়ে একজন দুইজন করে উৎসাহ নিয়ে পীরের কাছে যাচ্ছে এই বলে যে এখানে নাকি পীরের ভন্ডামী ধরা পড়েছে । যাই হোক আমরা বসার পড় পীর নিয়ে বিভিন্ন আলোচনা হয় এবং একসময় এই পীরের কিছু কথা বলে যে রিকসা চালক, বস্তির মানুষগুলো মোটামুটিভাবে এই পীরের মুরিদ এবং এখানে দিন রাত মহিলা পুরুষ আসে। এবং অসাবধানতা বসত বলেই ফেলে যে এই পীরের একজন এই এলাকায় গডফাদার আছে, তা বলে সে আমাদের বলে সে এটা বলা যদিও উচিত নয়। ঐ এলাকার গড ফাদার যাকে উনি ইন্ডিকেট করেছিলেন। উনিও কিছুক্ষনের মধ্যে উপস্থিত হয় যা উনি সেটা বুঝতে পারছে। ইতোমধ্যে আমাদের একজন সদস্য আদাবর থানায় ফোন দেয় পুলিশ আনার জন্য।
যাই হোক সেই গড ফাদারের কাজ হলো একজন বানানো পীর গেলে আরেকজন কে ঠিকই নিয়ে আসবে হয়তো এই এলাকায় নয়, অন্য এলাকায়। কারন সেটা তার ব্যবসা যা আমরা আলোচনার মধ্যে জানতে পারলাম। (বিঃদ্রঃ এই ব্যবসায়ী ভদ্রলোক বুঝতে পারেনি যে আমরা পীরের কাছে এসেছে তার ভন্ডামী বন্ধ করতে)। ফাইনালি পুলিশের জন্য ঘন্টাখানেক অপেক্ষা করার পরও যখন পুলিশ আসলো না। এবং আমাদেরও প্রায় সকল কাজ শেষ তখন সেই গডফাদার এসে একটা মিচ্যুয়াল করে দেয় যে এখানে তাকে আর এই ভন্ডামী করতে দেওয়া হবে না এবং এতে আমরা একটা স্বীকারোক্তি চাই। সেই স্বীকারোক্তি সে আমাদের দেয়। এভাবেই আমাদের বিদায় নিতে হয়।
আমাদের মতামতঃ
আমরা যা বুঝেছি যে আমরা যেহেতু মিডিয়া ও প্রসাশন কে নিতে ব্যর্থ হই । ফলে যা হয়তো হবে আমাদের এই মিশন গুলো কিছু মানুষের কাছে পজেটিভ আকারে গেলেও ব্যপক আকারে যেতে পারতেছে না এবং অপরাধীদের কোন কিছুই হচ্ছে না। এতে তারা এই এলাকা ছেড়ে অন্য এলাকায় নাম পরিবর্তন করে আবারো সেই ভন্ডামী শুরু করতে পারে। মিডিয়া এবং প্রশাসন থাকলে হয়তো আমাদের এই মিশন গুলো কাজে লাগাতে পারি।
জুলাই ৩১, ২০১২; ৩:৫৭ পূর্বাহ্ন
@ লেখক আপনাকে অনেক ধন্যবাদ দেই এক মূল্যবান তথ্য দেবার জন্যে। এই সব ভন্ড পীরের অবসান কবে হবে কে জানে।
জুলাই ৩১, ২০১২; ৪:২৩ পূর্বাহ্ন
আমার ব্যক্তিগত অভিমত হলো ধর্মহীন সমাজ যেমন সম্ভব না, এইসব পীর আউলিয়াহীন সমাজও সম্ভব না। কারন মূলত মানুষের দূর্বলতা। দুর্বল মুহুর্তে মানুষ কত কি যে করতে পারে। এ আর রেহমান আজ রেহমান না হয়ে শেখর নামে পরিচিত হতেন হয়ত যদি না এই পীরের সংস্পর্শে আসতেন তার পরিবার।
অভীনন্দনযোগ্য কাজ।
জুলাই ৩১, ২০১২; ১১:২০ অপরাহ্ন
হয়তো আপনার কথাটাই ঠিক যে পীর আওলীয়াহীন সমাজ সম্ভব নয়। তাহলে তো এই কথাটাও ঠিক সে ধর্মহীন সমাজও সম্ভব না।
আমার তো মনে হয় মানুষ যতবেশী কনফিউশনে আসবে তাতে তাদের মধ্যে বাস্তবতার চিন্তাভাবনা পাল্টাতে থাকবে।
জুলাই ৩১, ২০১২; ৩:৩৩ অপরাহ্ন
খুব প্রশংশনীয় কাজ করেছেন।
তবে এদেরকে ভণ্ডপীর বলা কি সঠিক হচ্ছে?–কারণ এই যদি বলি, তবে স্বীকার করতে হবে যে আসল পীর আছে।
সেই আসল পীরেরা এইসব ‘ভণ্ড’ পীরদের চাইতে বেশী ক্ষতিকারক। প্রত্যেক ধর্মেই এইসব আসল পীর আছে। তাদের প্রকৃত চেহারা উন্মোচন করতে হ’লে ধর্মের ভিত্তিতে আঘাত করতে হবে।
জুলাই ৩১, ২০১২; ৮:২৩ অপরাহ্ন
কথা একদম ঠিক, কিন্তু পীর নেই বললে বাংলাদেশে পিঠ বাঁচানো যাবে বলে মনে হয় না। নিজের নিরাপত্তাও তো দেখতে হবে।
জুলাই ৩১, ২০১২; ১১:৪৫ অপরাহ্ন
খাঁটি কথা। আসলে এই পীরের তেমন প্রভাবশালী কোন মুরিদ ছিলনা–যেমন কোন প্রসিডেন্ট (এরশাদ) অথবা কোন মত্রী–হাসিনা, খালদা। এই রকম কোন খুঁটির জোর থাকলে এই পীরকে ভণ্ড পীর বলার সাহস কার থাকবে? যে তাকে ভণ্ড বলবে তাকেই হাজতে পচতে হবে।
এই পীরের ছবি দেখে মায়া হচ্ছিল। আহা, বেচারা–শুধু শক্ত খুঁটির অভাবে প্রবীর ঘোষের চেলাদের হাতে নাস্তানাবুদ হ’ল!
জুলাই ৩১, ২০১২; ১১:২৭ অপরাহ্ন
ঈশ্বর ভিত্তিক ধর্মের অস্তিত্ব যেখানে আমাদের কাছে গ্রহণযোগ্য নয়, সেখানে যে- কোন পীর-ই ভন্ড।
আগস্ট ১, ২০১২; ১:৪৩ পূর্বাহ্ন
আবুল কাশেম- ভাই ঠিকই বলেছেন। বেচারা এখন তাহসিব হাসানকে প্রায় ফোন দেয়, এই কারণে যে তার আয়ের পথ বন্ধ এবং তাকে যেন অন্য ভাল কোন জব দেওয়া যায়।
আগস্ট ৩, ২০১২; ১:২৯ অপরাহ্ন
একটা ভাল কাজ সে করতে পারে–কোন ছোট মসজিদে ইমামের কাজ অথবা মুয়াজ্জিনের কাজ।
সে ফকিরও হয়ে যেতে পারে–মানে কোরান তেলাওয়াত করে ভিক্ষুকও হ’তে পারে। এতে আয় মন্দ হ’বে না। বাঙলাদেশের মোমিনেরা যে ভাবে কোরানকে ভয় ও শ্রদ্ধা করে তা’তে এই লোকের অসুবিধা হ’বার কথা নয়।