৪
৬৪৫ বার পঠিত
স্বাধীন অন্য কারো উপর নির্ভর করে না, হয়তো জগতে কোন কিছুই বিশুদ্ধ স্বাধীন নয়। তথাপি আমরা তাকেই স্বাধীন বলি যার অন্যের উপর নির্ভরতা তুলনামূলক কম। বাংলা একটি ভাষা। প্রতিটি ভাষাই স্বাধীন, বাংলার রয়েছে নিজস্ব বর্ণমালা ও বর্ণক্রম। কম্পিউটারের আগমনের আগে ইংরেজি বর্ণ চেনার কোন প্রয়োজনয়ীতা বা বাধ্যবাধকতা বা দাসত্ব বাঙালির ছিলনা। বাঙালির স্বাধীন বা বাংলার প্রতি ভালোবাসাই কম্পিউটারে বাংলা লিখবার ইচ্ছা প্রকাশ আকারে উপস্থিত, কিন্ত তা করতে গিয়ে বাঙালি কী তার স্বাধীনতাকেই বিসর্জন দেয় নাই?
[নিচের লেখাটি ৭ সেপ্টেম্বর ২০১৫ সালের লিখা]
অনেকেরই ধারণা ‘অভ্র’ বাঙালিকে সভ্যতার একটি বড় সিঁড়ির যোগান দিয়েছে…
ব্যাপারটা কী আসলেই তাই! ধরে নিচ্ছি অভ্র একটি শুভ ইচ্ছা। তবে অভ্র হচ্ছে একটি বিবেচনাহীন শুভ ইচ্ছা, যা আমাদের অন্ধকার পথে নিয়ে যায়…*
অভ্র হচ্ছে গোড়াতেই গলদ, অভ্র ব্যবহার করা মানে পাকিস্তানি শাসকদের আরবি হরফে বাংলা লেখার ইচ্ছাকে সমর্থন করা (বা ২১ ফেব্রুয়ারি বা আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবসের বিপরীতে অবস্থান নেয়া)। যা ঐতিহাসিক কারণেই সমর্থন করা যাচ্ছে না।
বৈজ্ঞানিকভাবেও একটা সমস্যার কথা আপনিই বলছেন-‘অনেক অক্ষর টাইপ করতে বহুবার কি (key) টিপতে হয়’।
কি-বোর্ড এর বৈজ্ঞানিক বিন্যাসের প্রশ্নে অভ্র পুরোপুরি অবৈজ্ঞানিক, মুনির বা বিজয়ে কিছু সমস্যা আছে কিন্ত অনেক বিজ্ঞান সম্মত। অভ্রর পক্ষে কি-এর ওপর স্ক্রিনপ্রিন্টে ইংরেজি অক্ষর ছাপানো আমদানীকৃত কি-বোর্ড ছাড়া আর কিছু নেই, যা ভোক্তা বা ক্রেতার চাহিদা অনুসারে মুদ্রণ ও সরবরাহ করা হয়। (সংযুক্তি: এখন বাজারে যে কি-বোর্ড পাওয়া যায় তাতে বাংলা বর্ণ মুদ্রিত থাকে ফলে ইংরেজি অক্ষর জ্ঞান বা ইংরেজি লেজ ধরা ছাড়াও বাংলা টাইপিং সম্ভব, তবে ল্যাপটপে এ সমস্যা বিরাজমান)
সমাজ বিজ্ঞান, ভাষা বিজ্ঞান এমনকী কম্পিউটিং প্রশ্নেও অভ্র একটি ভ্রান্তি।
(মোবাইল ও ট্যাব-এর কি-বোর্ডগুলি ডিজিটাল বা সফটওয়্যার, হার্ডওয়ার নয়। যারা মোবাইলে (বিশেষত একটি কোরিয়ান ব্রান্ড) বাংলা লিখতে চান, তারা সেটিংস-এ গিয়ে ২য় ভাষা/ল্যাংগুয়েজ সেট করুন… কি-বোর্ড পেয়ে যাবেন…
আমাদের আমদানীকারক ও মার্কেটিং এজেন্সিগুলি একটু মেরুদণ্ডি বা দেশ-সমাজের প্রতি দায়িত্বশীল হলেই, সোজা বাংলায় বাংলাদেশী হলে সব ফোন/ট্যাব কোম্পানিই কোরিয়ান ব্রান্ড-এর মত কি-বোর্ড দিবে। এ কথাটি এমএনসি ও টেলকোর ব্রান্ড মার্কেটিং কর্মী হিসেবে অভিজ্ঞতার আলোকেই বলছি)
সংযুক্তি (১৫ সেপ্টেম্বর): বৈজ্ঞানিকভাবে সবচেয়ে বেশি ব্যবহৃত বর্ণসমূহের ক্রম অনুসারে (মাঝখান খেকে চারপাশে) টাইপরাইটার ও কম্পি্উটারের কি বোর্ডে সাজানো হয়। সেখানে দুহাতের সবগুলো আঙ্গুলেরই ব্যবহার হয়। এ কারণে বিজয় বা মুনির সেরা। কিন্তু ফোন ও ট্যাবে-এক বা দুই আঙ্গুল ব্যবহার হয়, ট্যাব বা ফোনে এটাই এখন পর্যন্ত সেরা মনে হচ্ছে…
এটি একটি স্মার্টফোনের নিজস্ব বাংলা কি-বোর্ড। অসাধারণ!!!
এই লে-আউট অন্য সকল স্মার্ট ফোন ও ট্যাব অনুসরণ করুক। এটা নিশ্চিত করবার দায়িত্ব আমদানীকারকদের (এবং দেশীয় প্রস্তুতকারকদের), ব্যবহারকারীরাও আওয়াজ তুলুন…
https://www.facebook.com/media/set/?set=a.955123114515875.1073741877.592504974111026&type=3
ই-মেইলে যোগাযোগ করুন
জানুয়ারি ৫, ২০১৮; ১০:২৫ পূর্বাহ্ন
https://medium.com/আমার-বর্ণমালা/বাংলা-লিখি-বাংলায়-3ad7984ff61b
জানুয়ারি ৬, ২০১৮; ৩:২৩ পূর্বাহ্ন
মন্তব্যে প্রদত্ত লিংকের নিবন্ধটি খুবই গুরুত্বপূর্ণ ও ভালো লেখা। অভ্র ফোনেটিকের আমি সমর্থক নই। ব্যক্তিগতভাবে আমি বিজয় কি-বোর্ডের লেআউট ব্যবহার করে টাইপ করি। এই লেআউটটার উন্মুক্ত না করে তথাকথিত ‘কপিরাইট’ এর নামে আটকে রাখাটা জব্বার সাহেবের উচিত হয় নি। অনলাইনে বাংলা ভাষায় বানানের এই দূরবস্থার জন্য মোস্তফা জব্বারই দায়ি। কারণ বিজয় কি-বোর্ডের লেআউটটা অভ্রর সাথে যুক্ত থাকলে আজকালকার ছেলেমেয়েরা আর ইংরেজি উচ্চারণে বাংলা টাইপ করতো না।
জানুয়ারি ৬, ২০১৮; ৩:২৯ পূর্বাহ্ন
মুহাম্মদ নাজিমউদদৌলা সাহেবের নিবন্ধটি নবযুগ ব্লগে প্রকাশ করার কোনো ব্যবস্থা থাকলে ভালো হতো। আপনার মাধ্যমে ভদ্রলোককে নবযুগ ব্লগে নিবন্ধটি প্রকাশের অনুরোধ জানাচ্ছি। নিবন্ধটি সত্যিই খুব গুরুত্বপূর্ণ।
জানুয়ারি ৭, ২০১৮; ১১:২৪ পূর্বাহ্ন
জব্বার কাগু, খায় হাগু 😀
https://s18.postimg.org/qocri2sfd/image.jpg