৯
১৩৩৭ বার পঠিত
সুরা তওবা’র ৯:৩০ আয়াতে বলা হচ্ছে:
‘ইহুদীরা বলে আল্লাহর পুত্র, নাসারারা বলে মসীহ আল্লাহর পুত্র, এ তাদের মুখের কথা-পূর্ববর্তী কাফেরদের মত-আল্লাহ এদের ধ্বংস করুণ।’
মুল আরবীতে আছে ক্বতল, যার অর্থ অধিকাংশ বাংলা অনুবাদ ধ্বংস, নিপাত করা, মেরে ফেলা। কিন্তু এই শব্দটি আব্দুল্লাহ ইউসুফ আলি ও সাকিরের ইংরেজি অনুবাদে হয়ে গেল curse, যার বাংলা অভিশাপ। দেখুন তাদের অনুবাদঃ
Allah’s curse be on them (Tr. Ali);
may God curse them (Tr. Shakir)
দেখা যাচ্ছে মুল আরবী এবং বাংলা কোরানে ইহুদি ও খৃষ্টানদের যে ভাষায় ‘কতল’ বা ধ্বংস করতে বলা হয়েছে, ইংরেজি অনুবাদকেরা তাকে অনেকটাই মোলায়েম করে কেবল ‘অভিশাপ’ বলেছেন।
ধ্বংস করতে বলা আর তাদের উপর অভিশাপ দেয়া, দু’টো পরিভাষায় আকাশ-পাতাল তফাৎ। অনেকে একেই কোরানের ধৌতকরণ বা sanitization বলেন। এটি করা হয়েছে বিশেষ করে সেইসব অমুসলিম ইংরেজি-ভাষীদের জন্য, যাতে কোরানকে কেবল শান্তির, সহাবস্থানের গ্রন্থ বলে দেখানো যায়।
এরকম আরও অনেক উদাহরণ আছে। প্রশ্ন, আমরা কোনটা সঠিক মানবো?
ই-মেইলে যোগাযোগ করুন
আগস্ট ১৪, ২০১২; ১:২৪ পূর্বাহ্ন
তা আমার মতো বাংগালী মুসলমানের বুঝার উপায় নেই। কেননা আধুনিক আরবীতেই বিশেষ জ্ঞান নেই, মহানবীর আমলের আরবীতে তো আরও দূরের কথা। তবে অনেক আরবকেও দেখি অভিযোগ করতে যে, অনুবাদক ভুল ভাষান্তর করে কোন কোন আয়াতের ভাবার্থকে নিকৃষ্ট করে তুলেছেন।
তবুও যদি কোন অনুবাদক ইচ্ছাকৃত ধবলীকরণ করেই থাকেন, তাকে আমাদের নিন্দা না করে সাধুবাদই জানানো উচিত। কৃষ্ণকরণ নিশ্চয়-ই আমাদের প্রগতির পথে এগুতে সহায়ক হবেনা।
আগস্ট ১৫, ২০১২; ১:৪১ পূর্বাহ্ন
যা কৃষ্ণ তাকে ধবল করা শঠতা । অনুবাদ মুলের মতই হতে হবে । কোরাণ যদি বিধর্মিদের ক্বতল করতে বলে তবে সেটাই লিখতে হবে । সময় কালের পরিপ্রক্ষিত সেসব ব্যখ্যা আলাদা দেয়া যেতে পারে । কিন্তু মুলের অর্থ পরিবর্তন কেন হবে?
আগস্ট ১৪, ২০১২; ৯:০৩ পূর্বাহ্ন
ধবলীকরন কে প্রশংসা করার কারন নেই, কারন শাক দিয়ে মাছ ঢেকে মাছলোভী বিড়ালকে ঠেকানো যায় না। যার যা প্রাপ্য তাকে তাই দেওয়ায় উচিত।
আগস্ট ১৪, ২০১২; ৩:২৩ অপরাহ্ন
আজ ইন্টারনেটের যূগে মুসলমানদের করা অনুবাদের উপরে নির্ভর করার দরকার কী? নিজেই গূগল translation থেকে অনুবাদটা দেখে নিতে পারেন।
একটা কথা মনে রাখা দরকার আরবিতে একি শব্দ ভিন্ন ভিন্ন অর্থে ব্যবহৃত হয়। আমি ভিন্ন কোন অর্থ দেব না , আপনি নিজেই বের করুন সেটা কি হবে।
৯:৩০ আয়াতে আরবি শব্দটা হলো – قتلهم الله যার অর্থ গূগল মামা করেছে – “Killed by God/ ঈশ্বরের দ্বারা নিহত”।
এই আয়াতে ‘কতল’ বা ধ্বংস করতে বলা হয় নি , বরং বলা হচ্ছে ঈশ্বরের দ্বারা নিহত হয়েছে। আসলেই কি ইহুদি ও নাসারারা নিহত হয়েছে? তাদের অস্তিত্ব কি এখনো আমরা দেখতে পাই? যদি তারা এখনো বহাল তবিয়তে থেকে থাকে , তাহলে قتلهم الله র সঠিক মানে টা কী? সেটা নিজেই বের করুন।
কোন অভিযোগ (ধবলিকরন বা ধৌতকরণ বা sanitization) করার আগে , একটু কষ্ট স্বীকার করে সঠিক মানেটা কি হবে সেটা জেনে নেয়া উচিৎ ছিল না কী?
http://translate.google.com.kw/?hl=en&tab=wT#ar/en/%D9%82%D8%AA%D9%84%D9%87%D9%85%20%D8%A7%D9%84%D9%84%D9%87
আগস্ট ১৪, ২০১২; ৫:০৭ অপরাহ্ন
ফারুক ভাইকে অভিনন্দন। “rose” আশা করি এখানে আপনার পদচারনা দেখতে পাবো।
আগস্ট ১৪, ২০১২; ৭:০৫ অপরাহ্ন
খৃষ্টান-ইহুদি কাফেরকে আল্লাহ বিগত ১৪০০ বছর ধরে হত্যা করেই যাচ্ছেন কোরান ৯:৩০ অনুসারে। অথচ ইহুদি-নাসারা কাফেররা আজও জীবিত।
আল্লাহর কুদরত আসলেই অসীম।
আগস্ট ১৪, ২০১২; ৮:৫৪ অপরাহ্ন
এই জন্যই কি বাংলা কোরান পড়ার কথা শুনলে মুসলিমরা বলে তাতে নাকি গোনাহ হয়।
আগস্ট ১৫, ২০১২; ২:৩০ পূর্বাহ্ন
শুধু যে ইংরেজি অনুবাদে ধবলীকরণ হয় তা নয়, বাংলা অনুবাদেও ব্যক্তিবিশেষের রাজনৈতিক দর্শণ অনুযায়ী অনুবাদের ভাষা বদল হয়, যেমন জিহাদ এর বাংলা ড ম শহীদুল্লাহর কাছে ‘সংগ্রাম’, মওদুদীর অনুবাদে হয়ে যায়- ‘যুদ্ধ’ ।
এরূপ আরও একটি বিখ্যাত সুরায় ধর্ম কিভাবে কর্ম হয়ে যায় দেখুন- (গীতার প্রভাব !! )
কোরানে একটি জনপ্রিয় সুরা কাফেরুন ,যা উদার মুসলিম সর্বদা উদ্ধৃত করেন- লা কুম দ্বিনকুম ওয়ালিয়া দ্বীন ,যার অর্থ– তোমার ধর্ম তোমার, আমার ধর্ম আমার কাছে (প্রিয় ) ১০৯:৬ । অনুবাদটি করেছেন মোবারক করীম গওহর, কলকাতার হরফ প্রকাশনী । প্রত্যেকেই যায় যার মত ও ধর্ম নিয়ে থাক-এই মত প্রতিফলিত এই অনুবাদে ।
কিন্তু ওহাবীরা এমত মানে না-সৌদি অর্থে থেকে প্রকাশিত মারেফুল কোরান এ মুহিউদ্দিন আন অনুবাদ করেছে-তোমাদের কর্ম ও কর্মফল তোমাদের জন্য এবং আমার কর্ম ও কর্মফল আমার জন্য ।109:6
আসলে প্রথমজন সহনশীল ইসলাম দেখানর জন্য ধর্মের কথা এনেছেন। কিন্তু তাহলে ত ইসলামের শ্রেষ্ঠত্ব থাকেনা আর দাওয়াত দেয়ারও কোন যুক্তি নাই । তাই মুহিউদ্দিন সাহেবের কাছে ধর্ম হয়ে গেল কর্ম ।
আগস্ট ১৬, ২০১২; ১২:০৪ পূর্বাহ্ন
অপেক্ষায় থাকবো আরো উদাহরন পড়ার জন্য।