৩৪১ বার পঠিত
আজকের বাংলাদেশের অনির্বাচিত স্বৈরশাসক হাসিনা তার পিতা মুজিবরের সমস্ত অর্জনকে নস্যাৎ করে দিয়েছে। মুজিবরকে প্রতিদিন ক্ষুদ্র থেকে ক্ষুদ্র করে তুলছে তার এই অযোগ্য কন্যা। হাসিনা রাজনীতি বুঝে না। বাংলাদেশের সমস্ত মানুষকেই তিনি মুজিবরের হত্যাকারী মনে করেন। কিন্তু বাংলাদেশে সব মানুষ তার পিতাকে হত্যা করে নাই।
বাংলাদেশের মানুষ এখন সবচেয়ে বেশি ঘৃণা করে ’মুজিবর‘ আর ‘স্বাধীনতা‘ শব্দদুটোকে। কারণ শেখ হাসিনা নামের এই ক্যালিগুলার পুজি হচ্ছে এই শব্দদুটো। হাসিনার কোনো শিশ্ন নাই কিন্তু এই শব্দ দুটো হাসিনার শিশ্ন। এই শব্দদুটি বা শিশ্নদুটো দিয়ে ষোলকোটি মানুষকে ধর্ষণ করছে হাসিনা। আওয়ামীলীগের সাথে স্বাধীনতা বা একাত্তরের কোনো সম্পর্ক নাই। থাকলেও তা ছিটেফোটা।
একাত্তরে যুদ্ধ হয়েছিল ভারত ও পাকিস্তানের। বাংলাদেশ ছিল একটা উপলক্ষ মাত্র। দুইপাশে দুই পাকিস্তান রেখে ভারত রাষ্ট্রের বিকাশ সম্ভব ছিল না তাই ইন্দিরা সরকার এক পাকিস্তানকে বাংলাদেশে রূপান্তরিত করে। মুজিবর ছিল স্রেফ ভারতের দাবার গুটি। মুজিবরের স্বপ্ন ছিল অখণ্ড পাকিস্তানের মন্ত্রী হওয়া সে স্বপ্ন তার পূরণ হয় নাই। ভারত আর পাকিস্তানের কুটনৈতিক খেলায় বাংলাদেশের মানুষ বলি হয়েছিল।
পাকিস্তান মানতে পারছিলনা পুর্ব পাকিস্তানের মানুষ মুসলমান হওয়ার পরও ভারতের পক্ষ হয়ে পাকিস্তানের বিরোধিতা করে কেন। তাই তারা পুর্ব পাকিস্তানের মানুষকে গণহারে শিক্ষা দেওয়ার জন্য আক্রমণ করে। আর এটাই ছিল ভারতের জন্য মোক্ষ। এখন পুর্ব পাকিস্তানের মানুষ গণহারে আক্রান্ত হওয়ার পর তারা যেভাবে পারে ঘুরে দাঁড়ায়। এদের কোনো ট্রেনিং ছিল না। অস্ত্র ছিল না। ভারত তার সবর্স্ব দিয়ে পাকিস্তানের মোকাবিলা করে এবং তার আন্তর্জাতিক লবি ব্যবহার করে। এতে পাকিস্তান পরাজিত হয়। এখানে মজিবরের কোনো ভুমিকা ছিল না। এটা ইন্ডিয়ার গোয়েন্দা সংস্থা র এর যুদ্ধ। মজিবর জীবনের নিরাপত্তা চেয়েছিল সি আইয়ের কাছে। তারা তাকে পাকিস্তানের অথবা অন্য কোথাও রেখে নিরাপদ রেখেছিল।
কিন্তু একাত্তরের এত বছর পর ইন্ডিয়া বাংলাদেশকে লুট করার জন্য আবারও হাসিনাকে ক্ষমতায় বসায়। এখন হাসিনা গোয়েবলসের মত মিথ্যা প্রচারে বিশ্বাসী। স্বাধীনতা আর তার পিতাকে বাংলাদেশীদের ঘাড়ে তুলে দিয়েছে। বাংলাদেশের সরকারগুলো মূলত ভারত আর আমেরিকার এজেন্ট।এদের কোনো সার্বভৌম ক্ষমতা নাই। ভারত যা বলে হাসিনাকে তাই করতে হয়। হাসিনা যাদের নিয়ে আজ বাংলাদেশ শাসন করছে এই ভাম বুড়োগুলোর বৃদ্ধাশ্রমে পাঠানোর বয়স চলে যাচ্ছে। রাজনীতির নামে তারা প্রচুর কমেডি করছে নিয়মিত।
বাংলাদেশে একসময় সিনেমায় কিছু কমেডিয়ান ছিল টেলিসামাদ দিলদার। ওরা মারা গেছে এখন মন্ত্রীগুলোই কমেডিয়ান জাতির বিনোদন। এরা দাত ও নখহীন রাক্ষস। সারাক্ষণ মুজিবরকে কিংবদন্তি ও হাসিনাকে যা তা ভাবে তোশামোদ করাই তাদের কাজ। এরা সব ক্লাউন কিলার। এরা সংসদে বসে ঘুমায়। হাসিনা পরিবারে এমন কোনো পাবলিক নাই যারা শতকোটি টাকার মালিক নয়। শেয়ারবাজার লুট ব্যাংক লুট রিজাভ ব্যাংকের রিজার্ভ চুরির সাথে হাসিনা ও তার পরিবার জড়িত।
অর্থমন্ত্রী নামের রাবিশটা সমস্ত অর্থ লুটপাটের সাথে জড়িত। রেলমন্ত্রী রেলওয়েকে ধ্বংস করেছে। শিক্ষামন্ত্রী শিক্ষাকে ধ্বংস করেছে। স্বাস্থ্যমন্ত্রী স্বাস্থ্যখাতের বারোটা বাজিয়েছে। সড়কমন্ত্রী সড়ককে বানিয়েছে জীবন্ত কবর। এভাবে প্রত্যেক সেক্টর এখন লুটপাটের মহাফেজখানা। থানা কোর্ট অাইন এগুলো এখন ব্যবসা। পুলিশ র্যাব এগুলো মূর্তিমান আতংক জনগণের জন্য। এগুলো এখন পেশাদার কিলার। মানুষের মানসিক ও শারীরিক অবনতি হচ্ছে দিনদিন।
এরকম ভংগুর দেশে মাল্টিন্যাশনাল কোম্পানিগুলো হামলে পড়ে। বাংলাদেশেও তাই হয়েছে। সুন্দরবন, রূপপুর, মহেশখালী আনোয়ারাসহ আরো আরো সুন্দর পর্যটন কেন্দ্রগুলোকে বিভিন্ন ধরনের বিদ্যুৎ প্রকল্পের নামে ধ্বংস করে বাংলাদেশের পর্যটনকে পঙ্গু করে দেওয়া হচ্ছে ভারতের পরামর্শে। উপকুলীয় মানুষগুলো এখন পরিবেশ উদ্বাস্তু মাল্টিন্যাশনাল কোম্পানিগুলো থেকে প্রাপ্ত কমিশনে হাসিনা পরিবারের টইটুম্বুর অবস্থা।
হাসিনা সরকারের সাথে জড়িত সবগুলোই চোর ডাকাত ধর্ষক। হাসিনা ধর্ষকদের সহযোগী। পুরোদেশটাকে এরা ভারতের সহায়তায় লুটেপুটে খাচ্ছে। কোটি কোটি মানুষের সাথে নিয়মিত প্রতারণা করছে হাসিনা সরকার। হাসিনা বক্তৃতা দেয় এখন কোনো সামরিক শাসকের মত। মজিবরের স্বপ্ন নামে সবকিছুকে কলুষিত করছে সে।
ই-মেইলে যোগাযোগ করুন