৯
৯৫৩ বার পঠিত
[[{“type”:”media”,”view_mode”:”media_original”,”fid”:”82″,”attributes”:{“alt”:”হিন্দু ধর্মে ধর্মান্তর উদযাপন”,”class”:”media-image”,”style”:”text-align: center; width: 416px; height: 394px; margin-right: 5px; margin-left: 5px; float: left; “,”typeof”:”foaf:Image”}}]]
হিন্দু অথবা খ্রিস্টানদেরকে কনভার্ট করার আনন্দ উল্লাস মুসলমানদের দেখেছি। অনেক নিউজ হয়। কাল এক নতুন জিনিষ দেখলাম। হিন্দুরাও কনভার্ট করার আনন্দে উল্লাস করছে। আগে কখনও দেখিনি। হিন্দু ধর্ম থেকে ঘাড় ধাক্কা দিয়ে বের করে দেওয়া তিন তালাকের মত সোজা। কিন্তু ঢুকার রাস্তা সিল-গালা করে বন্ধ; হিল্লা বিবাহের ব্যবস্থাও নেই।
হিন্দু ধর্ম অতি প্রাচীন। সে কালে হিন্দু ছাড়া ত কেউ ছিল না। কাকে ধর্মান্তরিত করবে? তাই হিন্দু বানানোর ব্যবস্থা ছিল না। বের করে দেওয়ার ব্যবস্থা ছিল। তাই ছিল বর্ণভেদ প্রথা। অন্য ধর্মের দেখাদেখি ঢুকানোর ব্যবস্থাটি সবে করা হয়েছে হিন্দু ধর্মে। অবশ্য নতুন কিছু ঢুকানো হিন্দু ধর্মে সহজ। গোটা ধর্মটাই তো বহুমানুষের সংযোজন থেকেই সৃষ্ট। ভারতে যখন তেত্রিশ হাজার জনসংখ্যাও ছিল না, তখনই তেত্রিশ কোটি দেবতা ছিল। হালে এক নতুন দেবতা যোগ হয়েছে। তিনি বাবা লোকনাথ। ইনি পশ্চিম বংগ এবং বাংলাদেশীয় হিন্দুদের নব্য দেবতা হয়েছেন। ইনার একটাই বক্তব্য – “জলে স্থলে যেখানেই আমাকে স্মরণ করিবে, আমি তোমাকে উদ্ধার করিব।” তিনি ঠ্যাং ভাজ করে বসে থাকেন। সামনে বল্টুওয়ালা খড়ম, পাশে লোহার চিমটা।
থাক এসব। নীচের চবিটি দেখুন।
ফেসবুকে গতকাল দেখেই একটা মন্তব্য করেছিলাম এরকম –
“পেছনে একটা সাদা গরুর ছবি দেখতে পাচ্ছি। সামনের সারিতে বসা অনেক গুলো সাদা গরু। তার সামনে বামে একটি
কালো গরু দেখতে পাচ্ছি। পাশে একটা সাজানো অগ্নি কুন্ড।”
ছবিটি আমার প্রচন্ড ভাল লেগেছে। এটা একটি আইকনিক ছবি। গরু না হলে কেউ এক ধর্ম থেকে অন্য ধর্মে যেতে পারে না। গুয়ের এপিঠ আর ওপিঠ! দুপিঠই সমান। গন্ধ তো গন্ধই।
নাইন ইলেভেনের মাত্র দেড় মাসের মাথায় এক মিশু এসেছিল আমাকে গরুর লিস্টে যোগ করতে। আমার ধর্মে উদাসীনতাই তাকে আকৃষ্ট করেছিল সম্ভবত। ভেবেছিল আমি একপা তুলে দাওয়াতের অপেক্ষায় আছি। বললাম – তোমার কোরানে মাত্র একটি ভাল কথা অথবা পর পর দশটি পাতা দেখাও যেখানে মানবতা বিরোধী বক্তব্য নেই। একটা নয় চারটি নতুন গরু পাবে। এক সপ্তাহ নয়, এক মাস নয়। এক বছর সময় দিয়েছিলাম। মিশু আসেনি। আমার ছেলেমেয়েরা অন্য ধর্মাবলম্বীদের বিয়ে করে সুখে ঘর সংসার করছে। আমরা মাত্র দুজন এক পা, এক পা করে দুপায়ে দাঁড়িয়ে আছি গরুর লিস্টে নাম লেখানোর জন্য।
—
আমার মাথা নত করে দাও আরজ আলীর চরণ ধূলার তলে।
ই-মেইলে যোগাযোগ করুন
আগস্ট ১৫, ২০১২; ১০:৫৮ পূর্বাহ্ন
নিষ্পাপ মানুষের গায়ে কালিমা লেপন।
আর ধর্মান্তর হচ্ছে এক কালিমা মুছে দিয়ে আরেক কালিমা লাগানো।
একমাত্র মানুষ পারেই এমন সব কাজ করতে।
সে বৈচিত্র পছন্দ করে। রঙ মাঝে মাঝে বদলাতে দোষ কি। মজাতো বটেই।
আগস্ট ১৫, ২০১২; ১০:৩১ অপরাহ্ন
বেশ ভাল সফলতাই পাচ্ছে পাশ্চাত্যে। পাশ্চাত্যীয় মানুষ মনে হচ্ছে আসমানী ধর্মের তুলনায় মানবীয়, পার্থিব সাংস্কৃতিক ধর্মের দিকে ঝুকতে শুরু করেছে।
Going back to Square one?
আগস্ট ১৫, ২০১২; ১১:১১ অপরাহ্ন
@ লেখক –
মানে বলতে চাইছিলাম, শোনা কথা-
হিন্দু ধর্মে নাকি রুপান্ত্রর হওয়া যায়না-
জানতে পারি? কথাটা কতোদূর সত্য?
আগস্ট ১৬, ২০১২; ৬:৫৩ পূর্বাহ্ন
হিন্দু বলে তো কোনও ধর্ম সে ভাবে জানা নেই ,এট সম্ভবত বৈষ্ণব হওয়ার একটা অনুষ্ঠান।ইস্কন নামক সংস্থা আমেরিকায় বৈষ্ণব ধর্ম প্রচারের জন্যই এটা খুলেছে।মায়াপুরে এদের প্রধাণ কার্যালয়।অনেক বিদেশী আছে এখানে।শোনা যায় কুকীর্তি করে অনেকে পালিয়ে আসে ভারতে ধর্মের দোহাই দিয়ে,আর এই বৈষনব সেজে থাকে।অনেকদিন ধরেই এটা চলছে।
আগস্ট ১৬, ২০১২; ৭:১৮ পূর্বাহ্ন
শ্রী শ্রী অনুকুল চন্দ্র কে বাদ দিলেন কেন? এটাও তো কম নয়, আবার অনুকুল ও লোকনাথের ভক্তদের মধ্যে দ্বন্দ্বও আছে ।
আগস্ট ১৬, ২০১২; ৭:৪০ পূর্বাহ্ন
মনে পড়ল – আমার ঠাকুরদার আমলের এক লোকের নামে তীর্থস্থান হয়ে গেছে। লাখ খানেক লোকের সমাগম হয় প্রতি বছর কার্তিকের সঙ্ক্রান্তিতে।
গতবার দেশে যেয়ে দেখি তার মূর্তি স্থাপন হয়ে গেছে অন্যান্য দেবতাদের কাতারে। বুঝুন ঠ্যালা।
আগস্ট ১৭, ২০১২; ৬:২৭ পূর্বাহ্ন
উপরে জয়তীর মন্তব্য আমার ঠিক মনে হচ্ছে। লেখক এ বিষয়ে আলোকপাত করলে খুশী হতাম। আমার যতটুকু জানা তাতে হিন্দুধর্মে কনভার্ট হওয়ার কিছু নেই। হিন্দু ধর্ম লোকাচার আর আর ব্যক্তিগত বিশ্বাসের উপরে ভর করে চলে। নাস্তিকতাও এর ভিতরে পড়ে। বৈষ্ণব হতে গেলে সব ধরনের হিন্দুকেই দীক্ষা নিতে হয় যতদুর জানি। এই দীক্ষাকেই কি কনভার্ট বলা হচ্ছে? তাহলে তো হিন্দুরাও বৈষ্ণবে কনভার্ট হচ্ছে!! লেখক কি এ ব্যাপারে কিছু জানাবেন??
আগস্ট ১৭, ২০১২; ৭:৫৯ পূর্বাহ্ন
ধর্মান্তর বলে কোন ধারণা প্রাচীন সমাজে ছিল না। তখন মানুষ বাস করত নিজ নিজ জনগোষ্ঠির মাঝে বহিরাগতদের অনুপ্রবেশ বিনা। এবং প্রত্যেক গোষ্ঠিই তাদের আচার-সংস্কার নিয়ে বিবর্তনশীল ধারাই নিজ নিজ ধর্ম গড়ে তোলে। কাজেই একটি অঞ্চলে বা জনগোষ্ঠিতে সবাই ছিল একই সাংস্কৃতিক ধর্মের মানুষ। সেখানে ধর্মান্ততের প্রশ্নই উঠেনা। কাকে করবে সে ধর্মান্তর?
ধর্মান্তরের সূচনা হয় যখন দুর-দূরান্তের মানুষে মানুষে সংযোগ সৃষ্টি হতে থাকে, অনেক সময় সাম্রাজ্য দখল ও শাসন প্রতিষ্ঠার মাধ্যমে। দেখা যায় ইহুদি ধর্মে কোন ধর্মান্তর ছিলতা। তা ছিল হিব্রু জনগোষ্ঠির জন্য ধর্ম; অ-হিব্রুদের অনুপ্রবেশ সে ধর্মীয় জনগোষ্ঠিতে স্বাগত ছিলনা। কিন্তু ব্যাবিলোনিয়া-পারস্য ফিলিস্তিন দখল করে সেখানে দীর্ঘস্থায়ী কলোনি স্থাপনের সুবাদে বহিরাগতদের সাথে তাদের যে অবধারিত দীর্ঘস্থায়ী সংযোগ প্রতিষ্ঠা পায়, তা ধর্মান্তরের সুযোগ সৃষ্টি করে। ইহুদি ধর্মের দ্বার খুলে দেওয়া হয় অ-হিব্রু জেন্টাইলদের জন্য।
আগস্ট ৩১, ২০১২; ১২:০৩ পূর্বাহ্ন
এন সরকার বলেছেন- আমার মাথা নত করে দাও আরজ আলীর চরণ ধূলার তলে।
আর আমি বলি- আমার মাথা নত করে দা্ও এন সরকারের চরণ ধূলার তলে।