০
১৯০৯ বার পঠিত
বিশ্বব্যাপী জলবায়ু পরিবর্তনের বিষয়টি এখন আবহাওয়া এবং প্রকৃতির বিচিত্র আচরণের মাধ্যমে স্পষ্ট হয়ে উঠছে। বিশেষ করে উত্তর-দক্ষিণ মেরুর আইসবার্গ এবং পর্বতসমূহের আইসক্যাপ গলা পানি যোগ হয়ে ধীরে ধীরে সমূদ্রতলের উচ্চতা বৃদ্ধির পাশাপাশি সাইক্লোন-ঘুর্ণিঝড়ের পরিমাণও বাড়ছে।
এটি মধ্য প্রশান্ত মহাসাগরের দ্বীপ রাষ্ট্র কিরিবাস (Kiribati) এর রাজধানী তারাওয়া দ্বীপে এয়ারপোর্ট সংলগ্ন এলাকা। দ্বীপটি ধীরে ধীরে সমূদ্রে ডুবে যাচ্ছে।
বালুর বস্তা দিয়ে সমূদ্রের পানি আটকে ঘরবাড়ী রক্ষার চেষ্টা করা হচ্ছে।
জলবায়ু পরিবর্তনের ফলে সৃষ্ট এই দুর্যোগ মেকাবেলায় গরাণ বৃক্ষের (Mangrove) নার্সারী প্রতিষ্ঠা করে সেই গাছ রোপনের ব্যবস্থা করা হচ্ছে।
এটি ২০০৪ সালে ইন্দোনেশিয়ার সমূদ্র উপকূলে হয়ে যাওয়া ১০০ ফুট উঁচু সুনামীর পরের চিত্র। একমাত্র একটি মসজিদ ছাড়া ৭ হাজার অধিবাসীর এই গ্রামের সকল স্থাপনা সুনামীর পানিতে ধুয়ে-মুছে গিয়েছিল।
এটি সেই একই স্থানের ছবি, দশ বছর পর ২০১৪ সালে তোলা হয়েছে। উপকুল জুড়ে তৈরী করা হয়েছে গরাণবৃক্ষের (Mangrove) সবুজ বেষ্টনী। এবার সমূদ্র হানা দিলেও আগের মত ক্ষতি করতে পারবে না।
পৃথিবীর সবচেয়ে বড় গড়ান বনভূমির দুই তৃতীয়াংশ বাংলাদেশে অবস্থিত। এর নাম সুন্দরবন।
মাত্র ৪৩ বছর আগে ১৯৭২ সালেও কক্সবাজারের চকোরিয়াতে সুন্দরবনের একটি অংশ ছিল, যার পরিচিতি ছিল ‘চকোরিয়া সুন্দরবন‘ নামে। কক্সবাজার এলাকায় যাদের বয়স ৫০/৬০, তারা বিষয়টি স্মরণ করতে পারবেন। পরবর্তীতে চিংড়ি চাষের জন্য এই সুন্দরবনকে পুরোপুরি ধ্বংস করা হয়েছে। এখন মাতারবাড়ীতে কয়লাভিত্তিক বিদ্যুৎকেন্দ্র প্রতিষ্ঠা করে বাকী পাহাড়ের বনভূমি ধ্বংসের আয়োজন চলছে।
মূল সুন্দরবনের পাশে রামপালে তৈরি করা হচ্ছে আরেকটি কয়লাভিত্তিক বিদ্যুৎকেন্দ্র।
পৃথিবীর বিভিন্ন দেশ যখন কৃত্তিম সুন্দরবন তৈরী করে জলবায়ু পরিবর্তনের ফলে সৃষ্ট দুর্যোগ মোকাবেলার চেষ্টা করছে, আমরা তখন আমাদের প্রাকৃতিক সুন্দরবন ধ্বংশের জন্য আপ্রাণ চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছি।
ফলস্বরূপ আমাদের আমাদের উপকুলীয় এলাকায় যেখানে গরাণ বনভূমি নেই সেখান দিয়ে জোয়ারের সময় সমূদ্রের লোনা পানি লোকালয়ে ঢুকে যাচ্ছে।
ই-মেইলে যোগাযোগ করুন