জিন-পরী ও দৈত্য-দানবদের অনিষ্ট থেকে বাঁচতে শিরনী দান!
জিন-পরী ও দৈত্য-দানবসহ যাবতীয় অনিষ্টকারীদের অনিষ্টের হাত থেকে বাঁচার জন্য গ্রামাঞ্চলের সাধারণ লোকজনদের দেখা যায়, মাছ ধরার জন্য কোনো পুকুর বা বিল সেচ করলে তারা সেচ কাজ আরম্ভ করার পূর্বে দুষ্টু জিন-পরী ও দৈত্য-দানবরা যাতে মাছ অন্যত্র সরিয়ে না নেয়, সে জন্য পুকুর বা বিলের পারে শিরনী তৈরী করে নিকটস্থ কোনো গাছের নিচে এর কিছু অংশ রেখে দেন। এর মাধ্যমে পুকুর বা বিলের পার্শ্ববর্তী জিন-পরী ও দৈত্য-দানবদের সন্তুষ্টি কামনা করেন ও তাদের অনিষ্ট হতে বাঁচার জন্য তার নিকট আশ্রয় প্রার্থনা করেন।
এ ছাড়াও দেশের বিভিন্নস্থানে মুকাম নামে পরিচিত এমন কিছু পুরাতন গাছপালাবিশিষ্ট স্থানও রয়েছে যেখানে জিন-পরী ও দৈত্য-দানবদের অনিষ্ট থেকে নিজেদের বাঁচার জন্য লোকেরা সেখানকার কোনো বড় গাছের নিচে হালুয়া ও শিরনী দিয়ে থাকে। মফস্বলে কেউ কেউ নিজের স্ত্রীকে বশে রাখার জন্যও জিন-পরী ও দৈত্য-দানবদের উদ্দেশে শিরনী দিয়ে থাকেন।
এ জাতীয় কর্মের প্রচলন বিভিন্ন গ্রামাঞ্চলে দেখা যায়। লোকজন এরকম কাজের মাধ্যমে জিন-পরী ও দৈত্য-দানবদের অনিষ্ট থেকে বাঁচার জন্য সৃষ্টিকর্তার কাছে আশ্রয় চাওয়ার বদলে জিনের জিন-পরী ও দৈত্য-দানবদের আশ্রয় কামনা করে থাকে। এ জাতীয় কর্মকে সনাতন ধর্মের অনুসারীদের মনসা পূজার সাথে তুলনা করা যেতে পারে। তারা মনসা দেবী নামে এক দেবীর সন্তুষ্টির জন্য উপাসনালয়ের গাছতলায় খাবার রাখার মাধ্যমে এই কাজ করে থাকে।
স্ত্রীকে বশে রাখার জন্য শিরনী দেয়ার প্রচলনের কথা জানা থাকলেও স্বামী বশে রাখার তথ্য জানা যায় নি।
পাগল সন্ধি কয়, স্ত্রীকে বশে না রেখে বসে রাখলেই তো সব ল্যাটা চুকে যায়!