প্রাচীন ও মধ্যযুগের রাজসভার ভাঁড় এবং নাটক-পালার বিদূষকের সাথে পুরাণের ট্রিকস্টার চরিত্রের মধ্যে অনেক মিল পাওয়া যায়। এদের উভয়ের মধ্যে লোভ, ঔদ্ধত্য, অসততার প্রমাণ পাওয়া যায়, উভয়েই বুদ্ধি খাটিয়ে বাজে পরিস্থিতি থেকে নিজেদের মুক্ত করতে পারে। তাদের মধ্যে কৌতুককর একটা গুণাবলী থাকে এবং একইসাথে চালাকি এবং বোকামির মত স্ববিরোধী গুণের সহবাস দেখা যায়। উভয়ে ফূর্তিবাজ এবং চটপটে, তারা অন্যদের নিয়ে কৌতুক করে আবার দেখা যায় নিজেরাই কৌতুকের পাত্র সাজে। উভয়ক্ষেত্রে সামাজিক নিয়ম-কানুনের কিছু ব্যতিক্রম মেনে নেয়া হয়, তারা একইসাথে মানুষের আদর এবং ঘৃণারপাত্র হিসেবে গৃহীত।
উত্তর আমেরিকার বিভিন্ন জাতিগোষ্ঠী ট্রিকস্টারকে একসাথে ভাঁড়ামি এবং দৈবগুণ সম্পন্ন বলে মনে করা হয়। পল রাদিন আমেরিকার ওজিবাওয়া,ডাকোটা,নাভাহো এবং উইনেবাগো পুরাণ থেকে সিদ্ধান্তে এসেছেন যে ট্রিকস্টারের দৈবক্ষমতা গৌণ, যেটা পরবর্তীতে যাজক শ্রেনীর দ্বারা আরোপিত হতে পারে। তাই আপাতদৃষ্টিতে সমাজে ভাঁড় এবং ট্রিকস্টারের ভূমিকা ভিন্ন হতে পারে কিন্তু বাস্তবে তাদের মধ্যে পার্থক্যের চেয়ে মিলই বেশি। তাদের মধ্যে বেশ কিছু মিল প্রধানত বাহ্যিক আকার আকৃতিতে, কিন্তু কিছু মিল খুবই গভীরে যেমন, কাজের প্রয়োজনে ট্রিকস্টার বা ভাঁড়ের বহুরূপী চরিত্রের ভূমিকা।
ট্রিকস্টার এবং ভাঁড়ের মধ্যে পার্থক্যের জায়গা হলো, ট্রিকস্টার সম্পূর্ণ স্বাধীন, সে প্রভাবশালী কারো সাথে সম্পৃক্ত নয়, অপরদিকে ভাঁড় রাজা বা সামন্ত প্রভুর অধীনস্থ কর্মচারীর মত। আরেকটা গুরুত্বপূর্ণ পার্থক্য হল, ট্রিকস্টার তার কৌতুকের শিকার নির্বাচনে কোন বাচবিচার করে না, অপরদিকে ভাঁড় তার কৌতুকে বন্ধুস্থানীয় কৃষক, শ্রমিকের সাথে যেরকম আচরণ করে লোভী যাজক বা অসাধু ম্যাজিস্ট্রেটের সাথে সেরকম আচরণ করে না। রাজসভার ভাঁড়ামির অন্যতম উদ্দেশ্য যে কোন ধরণের দোষ-ত্রুটি ও চারিত্রিক অসঙ্গতি তুলে ধরা, কিন্তু ট্রিকস্টার শুধুমাত্র মজা নেবার জন্য কারো সাথে প্রতারণা করে না। বেশিরভাগ সময় ট্রিকস্টার তার পরিবেশ এবং কাজের ফলাফল সম্পর্কে অচেতন থাকে। অপরদিকে ভাঁড় তার কাজের ফলাফলের ব্যাপারে সচেতন, সে তার ভাঁড়ামির দ্বারা মানুষকে সাহায্য করতে পারে, আনন্দ জোগায়,উপদেশ দেয় এবং মারাত্মক পরিস্থিতিতে হালকা করতে পারে। বস্তুত, ভাঁড়ের নৈতিক অবস্থান এবং রাজ-রাজড়ার সাথে তার সম্পর্ক তাকে স্বাধীন,সীমাবন্ধন মুক্ত ট্রিকস্টারের থেকে পৃথক করে। সবচেয়ে আগ্রহোদ্দীপক ব্যাপার হলো, প্রাচীন এবং আধুনিক সাহিত্যের ভাঁড়, মধ্যযুগীয় ভাঁড়, রূপকথার বেকুব বা ক্ষুদ্র নৃগোষ্ঠীর ট্রিকস্টার এরা মোটেই একটা নির্দিষ্ট প্রাণি নয় কিন্তু তারা একই গোত্রভূক্ত। তাই চট করে কোন সিদ্ধান্তে পৌঁছানোটা হবে বোকামি, কিন্তু ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা বিভিন্ন উদাহরণ থেকে আমরা এদের সমধর্মীতা নিয়ে তুলনা করতে পারি। নানান সাংস্কৃতিক পরিমন্ডলে তাদের ভূমিকা থেকে আমাদের ধারণা আরো পরিশীলিত হতে পারে কিন্তু কোন সিদ্ধান্তে পৌঁছার মত বৈজ্ঞানিক প্রমাণ এখনো বহুদূর। তারপরেও এটা বলা যায়, ভাঁড় সে যেখানকার হোক না কেন সে শুধু বেকুবই ছিল না, আপরদিকে ট্রিকস্টারও কেবলমাত্র প্রতারণার কৌশল করে ক্ষান্ত ছিল না।
রাজসভার ভাঁড় এবং সামাজিক পরজীবী ভাঁড়ের মধ্যে প্রধান পার্থক্য হলো প্রথমজন বেশি অস্বাভাবিক এবং সমাজ বিচ্ছিন্ন। পাগল বা দূর্বৃত্তের সাথে তাদের ফারাক হলো ভাঁড়েরা তাদের প্রতিভার জন্য অল্পবিস্তর স্বীকৃতি প্রাপ্ত, মানুষ তাদের কথায় রাগ না করে আনন্দিত হয়। রাজসভার ভাঁড়ের কেবল পেটুকতা, খোশগল্প বা হালকা কৌতুকে চলে না, একসাথে রাজার সমালোচনা, ব্যঙ্গ-বিদ্রুপ এবং রাজা এবং সভাসদদের উপর তার চরম নির্ভরশীলতা তাকে একটা দ্বান্দ্বিক অবস্থানে স্থাপন করে।
রাজসভায় ভাঁড়ের ইতিহাস শুরু হয় ডাঙ্গা নামক এক বামনকে দিয়ে, সে ছিল মিশরীয় ফারাও রাজবংশে পঞ্চম বংশের দাদকেরি-এসি এর রাজসভার বিদূষক। ফারাওরা সত্যিকার অর্থে তাদের সভায় পাগল লোকজন রাখত কিনা তা জানা যায় না কিন্তু কবরে তাদের কদাকার বামন পরিবেষ্টিত অবস্থায় পাওয়া যায়। এদের বেশিরভাগ তাদের ভাঁড় ছিল, কেউ কেউ আবার গুরুত্বপূর্ণ পদেও আসীন ছিল। গীজায় এখনো নমহটপো (Knumhotpu) নামে এক বামনের ভাস্কর্য দেখা যায় যে রাজকীয় পট্টবস্ত্রের দায়িত্বে ছিল বলে জানা যায়। যাহোক ডাঙ্গা হয়ত কারো নাম নয়, এটি মিশরের দক্ষিণাঞ্চলের কোন গোত্রকে বুঝাত। মিশরীয়রা তাদের দক্ষিণের অঞ্চলগুলোকে ভুতের দেশ মনে করত।
চিত্রঃ ভাঁড়,বিদূষক।
আশি বছর পরে হিরখুপ নামে এক যুবরাজ ফেরাউনের (পাপি ২) জন্য আরেক ডাঙ্গাকে কিনে আনে। ফেরাউন তাকে দেখে খুব খুশি হয়ে তার যত্ন- আত্তির জন্য বিস্তারিত নির্দেশ দেন। এ বামনের খুব কদর ছিল কারণ সে মন্দিরে দেবতার সামনে নাচতে পারত, রাজসভার গুরুভার লাঘব করতে পারঙ্গম এবং সবচেয়ে বড়কথা ফেরাউনের মনে আনন্দ যোগাতে পারত। ডাঙ্গার ব্যাপারে সবচেয়ে আকর্ষণীয় তথ্য পাওয়া যায় ‘বুক অফ দ্য পিরামিড’ এর একটা সূত্রে। ঘটনার সময় ফেরাউন পাপি ১ এর সময়, প্রথম ডাঙ্গার মালিক ফেরাউন আসির মৃত্যুর প্রায় চল্লিশ বছর পর। সংকেতটা ছিল মৃত ফেরাউনের নৌকার নাবিককে উদ্দেশ্য করে একধরণের যাদুকরী বা ধর্মীয় আহবান, যে নৌকায় করে ফেরাউনের আত্মা এপার থেকে পাড়ি দিয়ে পরপারে অসিরিসের রাজ্যে যাবে। এতে অনেক কারণ দর্শানো হয় কেন ফেরাউনের নৌকা নিরাপদে পরপারে পৌঁছাবে। কিন্তু পরপারে নিরাপদে পৌঁছানোর জন্য সবচেয়ে শক্তিশালী কারণ হলো সেখানে ফেরাউনকে গ্রহন করতে অসিরিস এবং অন্য বাসিন্দারা সবাই অধীর আগ্রহে অপেক্ষা করছে । ‘ফেরাউন হলো ডাঙ্গা যে দেবতাদের সামনে নাচতে পারে, সে রাজপ্রাসাদের সামনে অসিরিসের মনে আনন্দ দিতে পারে’। ভাঁড়দের নিয়ে হাজার হাজার বছর আগে এমন অদ্ভুত গল্প চালু যেখানে ক্ষমতাবান ফেরাউন নিজেকে বামনাকৃতির ভাঁড় হিসেবে পরিচয় দেয় যাতে তাকে স্বর্গীয় ভাঁড় হিসেবে স্বাগত জানানো হবে।
প্রাচীন রাজসভার ভাঁড়দের মধ্যে আরেকজন বিখ্যাত ভাঁড় ছিল রাজা সোলেমানের দরবারে। মারকফ নামে এক কুঁজো ছিল সোলেমানের রাজসভার ভাঁড়, ১৪৯২ সালে ল্যাটিন ডায়ালগের ইংরেজি অনুবাদে প্রথম তার কথা জানা যায়। পুরানের চাইতে হিব্রু সাহিত্যে মারকফের গল্পের বিশাল সম্ভার দেখা যায়। ল্যাটিন ডায়ালগে দেখা যায় সলোমনের প্রশ্নের জবাব দিতে পারলে পুরষ্কৃত করবেন এমন শর্তে মারকফ রাজী হয়। সলোমন তাকে কিছু প্রশ্ন করে মারকফ জবাবে তার জ্ঞানানুযায়ী চালাকি পূর্ণ উত্তর দেয়, কখনো বা রাজার কথার প্যারোডি করে । পরিশেষে রাজা সলোমন বিরক্ত হয়ে তাকে পুরষ্কার না দিয়ে বিদেয় করে।
চিত্রঃ ছাগলের পিঠে চড়ে রাজার জন্য খরগোশ উপহার নিয়ে ভাঁড় মারকফ। সোলেমান রাজার নির্দেশ অনুযায়ী ঘোড়ায় চড়েও না আবার পায়ে হেঁটেও না, কোন পোষাক ছাড়া আবার পুরোপুরি নগ্নও না, জুতা পরে না, খালি পায়েও না, রাজার জন্য উপঢৌকন আনা যাবেনা আবার খালি হাতেও আসা যাবে না।
কিন্তু এটাই মারকফের সাথে সোলেমানের শেষ সাক্ষাৎ নয়। একদিন শিকারে বের হয়ে সোলেমান মারকফের কুটিরে হাজির হয়, তাদের কথাবার্তায় মারকফ সোলেমানের ধাঁধাঁর জবাব দেয় এমনকি পালটা ধাঁধাঁ দিয়ে সোলেমানকে জব্দ করে। এতে সোলেমান খুব আশ্চর্যান্বিত হয় এবং কিভাবে সে এসব জ্ঞান পেয়েছে তা জানতে চায়। এতে মারকফ জবাবে যা বলে আশ্চর্যজনক । রাজা ডেভিডের সময় এক যুবক চিকিৎসকের শকুনের মাথার দরকার ছিল। সলোমনের মা তখন শকুনের হৃদপিন্ড রোস্ট করে রূটিতে মাখিয়ে তার ছেলেকে খাওয়ায়। ঘটনাক্রমে মারকফ তখন সেখানে ছিল এতে রাণী তাকে রূটির চারপাশের শক্ত অংশ আর গুড়া খেতে দেয় যাতে কিছুটা শকুনের হৃদপিন্ড লেগে ছিল। তাই সোলেমান হয় ‘জ্ঞানের হৃদয়’ আর মারকফ বাকপটু। এরকম ব্যাখ্যা সোলেমানের মনঃপুত হয় না, বিশেষ করে ডাইনীবিদ্যার মতো ব্যাপার-স্যাপার। সে বলে ঈশ্বর তোমাকে এ জ্ঞান দিয়েছে। মারকফ তখন বলে, ‘সেই জ্ঞানী যে বেকুবের কথার খন্ডন করতে পারে’। এতে সোলেমান খুব আনন্দ পান।
মারকফ এরপর সলোমনের রাজসভায় সোলেমানকে নিয়ে নানান ব্যঙ্গ-কৌতুকের মাধ্যমের হাস্য-রসের উদ্রেক ঘটায়। কিন্তু একদিন সে যখন ইঁদুর ছেড়ে দিয়ে সোলেমানের বিড়ালকে উত্যক্ত করে তখন সোলেমানের ধৈর্য্যের বাঁধ ভেঙ্গে যায়। ঐ বিড়াল মোমবাতি ধরে রাখার জন্য প্রশিক্ষিত ছিল, ইঁদুরকে তাড়া করতে গিয়ে সে মোমবাতি ফেলে দেয়। সোলেমান মারকফকে সভা থেকে বিদেয় করে দেয়। আবার দেখতে পেলে তাকে শিকারী কুকুর দিয়ে তাড়া করার হুমকি দেয়। পরদিন মারকফ যথারীতি সভায় হাজির হয়, এবার সে কুকুরের সামনে একটা খরগোশ ছেড়ে দেয় ফলে তারা খরগোশকে তাড়া করতে থাকে এবং মারকফ কুকুরের পাহারা পার হয়ে সোলেমানের সামনে হাজির হয়। সেসময় সোলেমানের সভায় দুই নারীর একই সন্তান দাবীর সেই বিখ্যাত বিচার চলছিল। মারকফ সোলেমানের ন্যায়বিচারের প্রশংসা না করে তাকে মেয়েমানুষের কান্নায় ভুলার জন্য বিদ্রুপ করে। সোলেমান মারকফের কথায় কান না দিয়ে নারীদের প্রশস্তি করে বিশাল এক বয়ান করে। মারকফ তখন বলে, আজকে সন্ধ্যা নামার আগে রাজা তাদের শাপ দিবে। তারপর সে বাইরে গিয়ে নগরের নারীদের বলে রাজা ফরমান জারী করেছেন, প্রত্যেক পুরুষের সাতজন করে স্ত্রী থাকা উচিত। কথাটা খুব দ্রুত গুজবের আকারে ছড়িয়ে পড়ে। রাজমহলের মেয়েরাও এতে সরব হলে সোলেমান মেয়েদের শাপ-শাপান্ত করে। মারকফ তখন সেখানে হাজির হয়ে বলে, কী এখন আমার কথা ফলেছে তো? সোলেমান এতে রাগান্বিত হয়ে তাকে চোখের সামনে থেকে বেরিয়ে যেতে বলে যাতে আর কখনো তাদের চোখাচোখি না হয়। মারকফ তখন একটা পুরনো চুল্লীতে উপুড় হয়ে শুয়ে থাকে। রাজা যখন তাকে আবিষ্কার করে তখন তার কুঁজো পিঠ দেখতে পায়। এতে সোলেমান রাজা আরো অপমানিত হয়ে তার অধীনস্থদের মারকফকে ফাঁসিতে ঝুলিয়ে মারার আদেশ দেন। তবে কোন গাছ থেকে ঝুলিয়ে মারা হবে মারকফ সেটা পছন্দ করতে পারবে। মারকফ এবং রাজকর্মচারীরা তখন জোসাফাত উপত্যকা থেকে অলিভ পর্বতে, সেখান থেকে জেরিকো, জর্ডান নদীর তীরে, সমগ্র আরব এবং মরুভূমি পার হয়ে লোহিত সাগরে হাজির হয় কিন্তু মারকফের পছন্দের গাছ পাওয়া যায় না। সুতরাং তারা শেষ পর্যন্ত নিরাপদে দেশে হাজির হয় এবং সুখে-স্বাচ্ছন্দে জীবন কাটায়।
আগস্ট ৮, ২০১৭; ১২:১০ পূর্বাহ্ন
টপিকটা অত্যন্ত জটিল। ধরি ধরি মনে করি, ধরতে গিয়ে আর পারিনা।
আগস্ট ৮, ২০১৭; ১:১১ পূর্বাহ্ন
আমার মনে হয় বিষয়টা জটিল না, বরং বেশ উপভোগ্য। আমি বেশ কয়েক বছর ধরে ট্রিকস্টার বিষয়টা নিয়ে পড়ছি। প্রাচীন প্রত্যেক সভ্যতায় অন্তঃত একটা করে ট্রিকস্টার চরিত্র আছে। ইংরেজি সাহিত্যে ট্রিকস্টার নিয়ে প্রচুর গবেষণা এবং রচনা আছে। কিন্তু বাংলায় সে তুলনায় কিছু নাই বললেই চলে। আমাদের পঞ্চতন্ত্রে,জাতকের গল্পে শিয়াল, কাক ইত্যাদি প্রাণির চালাকির গল্প আছে। এছাড়া রূপকথায় সেরকম ট্রিকস্টার চরিত্র আছে। কিন্তু তাদের নিয়ে আলাদা করে কোন স্টাডি হয়েছে বলে আমার জানা নেই।
আগস্ট ৮, ২০১৭; ১০:১৯ পূর্বাহ্ন
পঞ্চতন্ত্রের কাহিনীগুলো একেবারেই একাডেমিক উদ্দেশ্যে লেখা। সব দেশেই কি এইভাবে চালাকী শেখানোর জন্য ট্রিকস্টারদের কাহিনী কাজে লাগানো হয়?
আগস্ট ৮, ২০১৭; ৯:৩২ অপরাহ্ন
শুধু চালাকি শেখানোর জন্য না, চালাকির পরিণতিতে ট্রিকস্টারকে ফলভোগ করতে হয়। ট্রিকস্টার গল্পগুলি আসলে প্রাকৃতিক পরিবেশে মানুষ নিজেকে কীভাবে মানিয়ে নিবে সেই শিক্ষা দেয়, এতে সামাজিক,নৈতিক শিক্ষাও আছে। বেশির ভাগ জনগোষ্ঠীতে এসব গল্প মুখে মুখে প্রচলিত এবং বংশ পরম্পরায় এসব গল্প বারবার রিপিট করা হয়। সমাজের সকলের জন্য এ গল্পগুলো একটা বন্ধনের কাজ করে।