খ্রিস্টিয় দশম শতকে আরব অঞ্চলে একটা কৌতুক সংকলন পাওয়া যায় যেটা আরো পরের দিকে পাশ্চাত্যে জনপ্রিয় হয়। এ গল্প গুলো আরবী জোহা বা ফারসী জুহি’র নামে প্রচলিত ছিল। পঞ্চদশ বা ষষ্ঠদশ শতকে এসব গল্প তুরস্কে পৌঁছায় এবং নাসিরুদ্দিন হোজ্জার নামে চালু হয়। প্রচলিত তথ্যমতে হোজ্জা তৈমুর লঙের রাজসভার ভাঁড় ছিল। গবেষকদের মতে অবশ্য তার ঐতিহাসিক পরিচয় নির্ধারণ করা অসম্ভব। বিখ্যাত ভাষাতাত্ত্বিক, গ্রিক পুরাণ বিশেষজ্ঞ Karl Kerenyi এর ভাষায় নাসিরুদ্দিন হোজ্জা ছিলেনঃ
The typical cunning fool or stupid rogue, known and laughed at the world over, because it is impossible to tell where his cunning ends and his stupidity begins, and which of the two qualities is the primary one.
চিত্রঃ তুরস্কে নাসিরুদ্দিন হোজ্জার ভাস্কর্য।
সূফি ইদ্রিস শাহের মতে নাসিরুদ্দিনের চিরায়ত গল্পগুলো দরবেশদের রচিত। ‘The Subtleties of the Incomparable Nasrudin’ নামে এক পান্ডুলিপি থেকে নাসিরুদ্দিনের নামে প্রচলিত গল্পগুলো সমগ্র আরব জাহানে ছড়িয়ে পড়ে। তার গল্পগুলো কৌতুকের মত শোনায়, কিন্তু কিছু গল্পের মধ্যে গভীরতা আছে।
There is the joke, the moral and the little extra which brings the consciousness of the potential mystic a little further on the way to realization .
ইদ্রিস শাহের মতে সূফি মতবাদ যেহেতু জীবনাচরণ এবং বোধোদয়ের সমষ্টি, তাই কেবল নাসিরুদ্দিনের গল্প শুনে কারো আধ্যাত্মিক উন্নতি হবে না, গল্পগুলো পাঠককে ভিন্ন এক চেতনার সন্ধান দিবে।
প্রাত্যহিক জীবনের নানা উৎস থেকে বর্ণিত এসব গল্প দুনিয়াতে অনন্য, তাই লোকমুখে প্রচারিত হয়ে নাসিরুদ্দিনের গল্পগুলো আজকে দুনিয়ার সবচেয়ে জনপ্রিয় লোক গল্প। সারা দুনিয়ার মানুষের কাছে তার গল্পের আবেদন আছে। ঐতিহাসিক সময়ে রচিত হলেও তার গল্পগুলো বর্তমানে পৌরাণিক মর্যাদা পেয়েছে।
একটা জনগোষ্ঠি যখন বাহিরের শক্তি দ্বারা পরাজিত হয়, তখন সে জনগোষ্ঠির মানুষের মনোবল বজায় রাখতে এরকম বাকপটু, চালাক- চতুর, ট্রিকস্টার চরিত্রের দেখা যায়। পরাক্রমশালী তৈমুরের দ্বারা আক্রান্ত হয়ে তুরস্কের মানুষ যখন হতবল, পরাজিত, তখন নাসিরুদ্দিনের গল্পগুলো তাদের চাঙ্গা করে। এসব গল্প শুনে নাগরিকেরা হয়ত নিজেদের সান্ত্বনা দেয়, ঘটনার ফেরে আজকে আমাদের এ দূর্দশা, কিন্তু আমরাই বা কম কীসে ? একই রকম ঘটনা আমরা দেখব বাঙালি গোপাল ভাঁড়ের ব্যাপারে। একেবারে আধুনিক কালে এসে মুসলিম আগ্রাসী শক্তির অধীন হয়ে বাঙালিরা গোপাল ভাঁড় নামের এক ট্রিকস্টার চরিত্রের সৃষ্টি করে। পরাজিত হিন্দু জনগোষ্ঠি গোপালের মাধ্যমে তাদের হারানো সম্মান ফিরে পাবার চেষ্টা করে। ঐতিহাসিক সময়ে এমন আরো কিছু চরিত্র আছে যাদের ঠিক ঐতিহাসিকভাবে প্রতিষ্ঠিত করা যায় না, আবার জনমানসে এদের গল্প এমনভাবে প্রচলিত যে তাদের অস্তিত্ব একেবারে অস্বীকারও করা যায় না। নাসিরুদ্দিন হোজ্জা এরকম ট্রিকস্টার চরিত্রগুলোর পথিকৃত।
নাসিরুদ্দিন হোজ্জার সাথে তৈমুর লং এর প্রথম সাক্ষাতঃ
মোঘল সম্রাট তৈমুর লং যখন সেনাবাহিনী নিয়ে হোজ্জার শহরের দিকে আসছিল তখন শহরের বাসিন্দারা তাকে প্রতিরোধ করতে প্রস্তুতি নিতে লাগল। হোজ্জা তাদের বুঝাল তৈমুরের বাহিনীর সাথে তাদের জেতার কোন সম্ভাবনা নেই, তাই তেমন কিছু করার দরকার নেই, বরং তার উপর বিশ্বাস রাখতে, সে তৈমুরের সাথে দেখা করে একটা ব্যবস্থা করবে। দূতিয়ালীতে তার সফলতার ব্যাপারে জনগনের আস্থা ছিল না, তারপরেও তারা অগত্যা সেটা মেনে নিল। নাসিরুদ্দিন ভাবল, দখলদারী সেনাপতির তাঁবুতে হাজির হতে কিছু একটা উপঢৌকন নেয়া দরকার। অনেক ভেবে সে স্থির করল ফল নিয়ে যাওয়াটাই বুদ্ধিমানের কাজ হবে কিন্তু কোন ফল নিবে ? ডুমুর না হলদেটে শক্ত নাশপাতি (quinces)? হোজ্জা ঠিক করল সে তার বউয়ের পরামর্শ নিবে। তার বউ বলল, নাশপাতি নিয়ে যাও, ওগুলো বড় আছে, দেখতেও সুন্দর। হোজ্জা বলল, তোমার মত যেহেতু নাশপাতি, আমি তখন ডুমুর নিয়ে যাব। নাসিরুদ্দিন পায়ে হেঁটে তৈমুর লং এর দরবারে হাজির হয়ে নিজেকে শহরবাসীদের প্রতিনিধি হিসেবে পরিচয় দিয়ে ডুমুরের বাক্স নজরানা দেয়। তৈমুর ক্রোধে ফেটে পড়ে তাকে বন্দী করতে নির্দেশ দেন। রক্ষীরা তাকে বন্দী করে তার গায়ে একটা করে ডুমুর ছুঁড়ে মারতে থাকে। প্রত্যেকবার ডুমুরের আঘাত পেয়ে হোজ্জা বলতে থাকে, আল্লাহু আকবর! আমি আল্লাহর কাছে কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করছি!
তৈমুর তখন জানতে চান, কেন সে এমন করছে? আমরা তোমাকে ডুমুরের ঢিল মারছি আর তুমি মনে হয় তাতে আনন্দ পাচ্ছ!
হ্যাঁ জাহাপনা আমি সত্যি আমার বুদ্ধির পরিণাম দেখে আনন্দ পাচ্ছি। আমার বউ আমাকে জাঁহাপনার দরবারে নাশপাতি নিয়ে আসতে বলেছিল, ভাগ্যিস আমি বুদ্ধি করে ডুমুর নিয়ে আসি। ডুমুর আনার পরিণাম আমার জন্য ভাল, কারণ ডুমুরের আঘাতে আমার শরীর শুধু থেঁতলে যাচ্ছে, বউয়ের কথামতো শক্ত নাশপাতি আনলে এতক্ষণে ঢিলের চোটে আমার মগজ বেরিয়ে আসতো।
হোজ্জার কথা শুনে তৈমুর উচ্চহাস্য করে উঠল। সে ঘোষণা করল এ ভাঁড়ের কারণে তার শহরের সব গাধা, নারী-পুরুষ এবন তাদের সম্পত্তি অব্যাহতি পাবে। এভাবে নাসিরুদ্দিনের বুদ্ধিমত্তার জোরে নগরের সকল নাগরিক নিরাপত্তা পেল।
সীমা অতিক্রমণঃ
একদিন নাসিরুদ্দিন হোজ্জা মসজিদে দুর্ধর্ষ তৈমুর লঙের বিরুদ্ধে খুতবা দিচ্ছিল । ঘটনাক্রমে সেখানে তৈমুর লঙ নিজে দরবেশের ছদ্মবেশে উপস্থিত ছিল। নাসিরুদ্দিন উপস্থিত মুসল্লীদের আশ্বস্ত করছিল, আল্লাহ তাতারদের ধ্বংস করবে। দরবেশ তখন বলল, তার দোয়া কবুল হবে না। মোল্লা দরবেশের পরিচয় জানতে চাইল। তৈমুর লং নিজের পরিচয় দিলে নাসিরুদ্দিন মুসল্লীদের বলল, হাজিরানে মজলিস, জামাতে নামাজ শেষ করার পরে আমাদের জানাজার জামাতে শামিল হতে হবে। এতে তৈমুর সবাইকে ক্ষমা করে দিলেন এবং তার দরবারে নাসিরুদ্দিনের জন্য একটা পদের ব্যবস্থা করে দিলেন।
একদিন নাসিরুদ্দিন হোজ্জা রাজা তৈমুর লঙ এর সাথে বসে আছে এমন সময় কিছু দুষ্কৃতিকারীকে বিচারের জন্য ধরে আনা হল। রাজা বলল, একে ৮০০ দোররা মার, একে ১২০০ আর ওকে ১৫০০ দোররা মার। নাসিরুদ্দিন রাজাকে থামিয়ে বলল, “রাজন! আপনি কি সব জানেন?” রাজা চটজলদি জবাবে বলল, “অবশ্যই, আমি সব জানি!” হোজ্জা তখন বলল, “ তাহলে কিভাবে আপনি এমন শাস্তির বিধান দিতে পারেন? হয় আপনি ১৫০০ সংখ্যার মানে জানেন না, অথবা চাবুকের ব্যথা বুঝেন না!”
একদিন তৈমুর আয়নাতে নিজের কদাকার চেহারা দেখে ফুঁপিয়ে কাঁদতে লাগল। সভাস্থ লোকেরা রাজার ব্যথায় ব্যথিত হয়ে কাঁদল তারপর রাজার মন ভাল করে পরিস্থিতি হালকা করার চেষ্টা করল। কিন্তু নাসিরুদ্দিন তখনও কাঁদতে থাকল। জানতে চাইলে সে বলল, “সম্রাট আপনি যদি আয়নাতে একনজর নিজেকে দেখে দুই ঘন্টা যাবৎ কাঁদতে পারেন, এটা কী স্বাভাবিক নয় যে আমি আপনাকে সারাদিন ধরে দেখি তাই আমার আর একটু বেশি কাঁদাকাটি করা দরকার। মোল্লার কথা শুনে কদাকার চেহারার ব্যথা ভুলে তৈমুর হেসে উঠল।
আধ্যাত্মিকতা ও গাজরঃ
রাজ দরবার থেকে নাসিরুদ্দিনকে একবার বিভিন্ন আধ্যাত্মিক ধারা নিয়ে অনুসন্ধানে পাঠানো হল। তাকে বিভিন্ন অলৌকিক ঘটনা, বিভিন্ন ধারার প্রতিষ্ঠাতা,গুরু এবং তাদের নীতি, শিক্ষা ইত্যাদি বিষয়ে জানানো হল। তারপর রাজার কাছে রিপোর্ট জমা দেবার সময় সে বলল, “গাজর।” রাজা তখন হেঁইয়ালি বাদ দিয়ে বিস্তারিত ব্যাখ্যা জানতে চাইলে মোল্লা বলল, “ গাজরের সবচেয়ে ভাল অংশটা মাটিতে ঢাকা থাকে, এর জন্য কাজ/সাধনা না করলে সেটা পচে যাবে। এর সাথে অনেক গাধা জড়িত আছে। আধ্যাত্মিকতাও তাই এর বেশির ভাগ অংশ গুপ্ত আর এর সাথে অনেক গাধা জড়িত।”
ধর্মান্তকরণঃ
আরেক গল্পে আছে নাসিরুদ্দিন কিভাবে তিনজন খ্রীস্টান সন্ন্যাসীকে মুসলমান বানায়। খ্রীস্টানরা তিনটি প্রশ্ন নিয়ে হাজির হয়, সঠিক জবাব পেলে তারা তিনজনে ধর্মান্তরিত হয়ে মুসলমান হবে। রাজার পন্ডিতেরা সঠিক জবাব দিতে না পারায় নাসিরুদ্দিনের ডাক পড়ে। প্রথমজন জানতে চায়, দুনিয়ার কেন্দ্র কোথায়, দ্বিতীয়জন, আকাশে কতগুলো তারা আছে আর তৃতীয়জন জানতে চায়, তার কতগুলো দাঁড়ি আছে? জবাবে মোল্লা বলল, “ আমার গাধার চারপায়ের মধ্যখানে পৃথিবীর কেন্দ্র, গাধার যত লোম আছে আকাশে ততগুলো তারা আছে, আর লেজে যত লোম আছে তৃতীয় সন্ন্যাসীর ততগুলো দাঁড়ি আছে।” সন্ন্যাসীরা যখন জানতে চাইল কিভাবে সে এরকম সিদ্ধান্তে পৌঁছাল, নাসিরুদ্দিন তাদের বলল তাকে অবিশ্বাস করলে তারা নিজেরা গুনে দেখতে পারে। সন্ন্যাসীরা তখন পরাজয় মেনে নিল এবং রোম তাদের তিনজন অনুসারীকে মক্কার কাছে হারাল।
অলৌকিক ক্ষমতাঃ
একবার নাসিরুদ্দিন নিজেকে সাধু-সন্তু বলে লোকের কাছে প্রচার করতে লাগল, তখন একজন লোক তাকে অলৌকিক কিছু করে দেখাতে বলল। নাসিরুদ্দিন বলল, “ আমি যেকোন গাছকে আমার নিকট আসতে আদেশ করতে পারি এবং তারা সেটা শুনবে।” “তাহলে ঐ তালগাছটাকে তোমার কাছে আসতে বল।” হোজ্জা তখন পরপর তিনবার গাছটাকে নিকটে আসতে বলল। কিন্তু গাছ না আসায় হোজ্জা নিজে গাছের কাছে যেতে শুরু করল। লোকেরা তখন বলল, “হোজ্জা তুমি কোথায় যাচ্ছ?” হোজ্জা তখন বলল, “ সাধু-সন্তুরা অহংকারীও না, অন্ধও না; যেহেতু তালগাছ আমার কাছে আসবে না, আমি তালগাছের কাছে যাব।”
সত্য কী জিনিসঃ
নাসিরুদ্দিন একবার রাজাকে বলছিল, আইন করে মানুষকে শোধরানো যায় না, তাদের পরিচালনার জন্য একটা ‘সত্য ভিত্তি’ দরকার। রাজা এতে দ্বিমত পোষণ করে তার মতে ডান্ডা দিয়ে সব ঠান্ডা করা সম্ভব, আইন প্রয়োগ করে জনগণকে সত্যবাদী বানানো সম্ভব। নগরদ্বারে সেনা নিয়োগ করা হল, প্রবেশের সময় সবাইকে প্রশ্ন করা হয়, সঠিক জবাব দিতে পারলে নগরে প্রবেশ করতে পারবে আর না পারলে তাকে নিয়ে ঝুলিয়ে দেয়া হয়। নাসিরুদ্দিন নগরে প্রবেশ করতে গেলে তার কাছে গন্তব্য জানতে চাওয়া হল। জবাবে হোজ্জা বলল, “ফাঁসিতে ঝুলতে।” দারোয়ানেরা বলল, তারা সেটা বিশ্বাস করে না। “ ঠিক আছে, তাহলে আমি যদি মিথ্যা বলে থাকি তবে আমাকে ফাঁসিতে ঝোলাও!’’ “কিন্তু আমরা যদি তোমাকে মিথ্যা বলার জন্য ফাঁসিতে ঝোলাই তাহলে তুমি যা বলেছ সেটা তো সঠিক হয়ে যায়!” “সেটা ঠিকঃ তাহলে এখন বুঝলে তো সত্য কী জিনিস- সত্য হলো তোমার জন্য সত্য!”
আরেকবার নাসিরুদ্দিন খুব ক্ষুধার্ত অবস্থায় এক খ্রীস্টানের সাথে খাবার খায়। খ্রীস্টান লোকটি তার সাথে খাবার শেয়ার না করার জন্য বলল, আমাদের জবাই করা মাংস মুসলমানদের জন্য নিষেধ। ঘটনাক্রমে তখন লেন্টের সময় ছিল এবং খ্রীস্টানদের তখন উপবাস করার কথা। হোজ্জা তাই বলল, মুসলমানদের মধ্যে আমি সেরকম যেরকম খ্রীস্টানদের মধ্যে তুমি।
কিছু গল্পে হোজ্জাকে অনুভূতিহীন বলে মনে হয়। নাসিরুদ্দিন একবার দশজন অন্ধলোককে পারিশ্রমিকের বিনিময়ে নিরাপদে নদী পার করাতে রাজী হয়। নদী পার হতে গিয়ে একজন ডুবে মারা যায়, এতে অন্য যাত্রীরা হইচই করলে সে জানায়, ঠিক আছে একজনের ভাড়া কম দাও,তাতে সব গোলমাল মিটে যায়।
আগস্ট ১৭, ২০১৭; ১০:২৫ পূর্বাহ্ন
মোল্লা নাসিরুদ্দীন তৈমুরের সভায় ছিল? আমি ভাবতাম মোগল বাদশাহদের কারও সভায় ছিল।
ফাঁসি যাওয়ার গল্পটা একেবারে সেইরকম।
আগস্ট ১৭, ২০১৭; ১০:২৯ পূর্বাহ্ন
হোজ্জা তৈমুরের সভায় ছিল এমন অনেকগুলো গল্প প্রচলিত আছে। কিন্তু পুরোটাই কিংবদন্তী,তেমন কোন প্রমান নাই।
আগস্ট ২৫, ২০১৭; ১১:৩৫ পূর্বাহ্ন
তৈমুর লং তো ল্যাংড়া ছিল। নাসিরুদ্দীনের গল্প যেসব চটি বইয়ে পড়েছি তার কোথাও কিন্তু ল্যাংড়া বাদশাহের কথা নেই। তবে স্থান-কাল এখানে তেমন ব্যাপারনা।