ভারতের All India Personal Law Board একটি ৬৮ পাতার পিটিশন সুপ্রিম কোর্টে পেশ করেছেন। উদ্দেশ্য বহুবিবাহ এবং তিন তালাক প্রথার সমর্থন। উল্লেখ্য যে, ভারত সরকার এই প্রথাগুলি বাতিল করার জন্য আইন তৈরির কাজ শুরু করেছেন। বোর্ডের ধারণা এতে মুসলিম জাতির মৌলিক অধিকার লঙ্ঘিত হবে।
মুসলিম মহিলা সংগঠনগুলি অবশ্য এই বক্তব্যের বিরোধিতা করেছে।
মুসলিম বোর্ডের কিছু মহান বক্তব্যের আলোচনা করলেই ব্যাপারটি পরিষ্কার হবে। যেমন,
(১) কোনো জাতিগোষ্ঠীর নিজস্ব নিয়ম সমাজ-সংস্কারের নামে পরিবর্তন করা চলে না।
যার অর্থ হল মুসলিম মহিলাদের বর্তমানে যা অবস্থা, তার কোনো উন্নতি করতে দেওয়া হবে না। ইসলাম জিন্দাবাদ।
(২) বর্তমান ব্যবস্থা দেখে মনে হতে পারে যে মুসলিম মহিলাদের জন্য সুযোগ-সুবিধা কম দেওয়া হয়েছে। কিন্তু মনে রাখা উচিত, পুরুষদের ওপর আছে অনেক বেশি দায়িত্ব, যা পালনের জন্য বেশি ক্ষমতাও দেওয়া হয়েছে। অন্যদিকে মহিলাদের ক্ষমতা কম থাকলেও তাদের ওপর কোনও দায়দায়িত্ব দেওয়া হয় নি।
অর্থাৎ কীনা, একজন মহিলার বক্তব্যের মূল্য পুরুষের অর্ধেক। এর কারণ হলো, মহিলাদের ওপর কোনও দায়িত্ব দেওয়া হয় নি। সাবাস গুরু।
বোর্ডের বক্তব্যে জানা গেল ইসলামের চোখে প্রাপ্তবয়স্ক মহিলারাও নাবালক বা শিশুর তুল্য, যাদের ওপর কোনও দায়-দায়িত্ব দেওয়া হয় না এবং সুযোগসুবিধাও কম দেওয়া হয়। বয়স, শিক্ষা, অভিজ্ঞতার পরিমাণ যাই-ই হোক না কেন, তারা চিরকালই শিশুতূল্যই থাকবে, কেয়ামত অবধি! বলুন মারহাবা।
বিবাহবিচ্ছেদের প্রক্রিয়া যদি বেশিসময় ও খরচসাপেক্ষ হয় তাহলে মিয়াসাহেবরা সে পথে না গিয়ে সহজ পথ হিসেবে বধূহত্যা করতে পারে। এ ধরনের অপরাধের তুলনায় মন্দের ভাল ‘তিন তালাক’ প্রথা অনেক ভালো।
এটা তো সত্য বলে স্বীকার করতেই হবে। খুন করে ফেলার চেয়ে রাস্তায় বের করে দেওয়া অবশ্যই ভালো। কারণ আমাদের মুসলমান মিয়াসাহেবরা যেহেতু শান্তির ধর্ম ইসলামের অনুসারী, অতএব তারা ‘তিন তালাক’ দিয়ে রাতারাতি বিবিকে রাস্তায় বের করে দেয়ার সুযোগ না পেলে খুন করে ফেলতেই পারেন। নিতান্তই মেরে ফেলতে না পারলেও তিনবেলা পিটিয়ে আধমরা তো করতেই পারেন। বিবিকে পিটানো মিয়াসাহেবদের ধর্মীয় অধিকার। পরকালে আল্লাও এ নিয়ে মিয়াসাহেবদের কাছে কোনো কৈফিয়ৎ চাইবেন না।
‘মুসলিম পারসোনাল ল বোর্ড’ অবশেষে যেভাবে সুপ্রিম কোর্টে দেওয়া লিখিত এফিডেবিটে স্বীকার করে নিয়েছে যে, মুসলিম মিয়াসাহেবরা এতোটাই হিংস্র ও বিপজ্জনক, এরপরে আর শান্তির ধর্ম ইসলাম নিয়ে কোনও কথা বলার প্রয়োজনই পড়ে না।
শরিয়া আইন মিয়াসাহেবদের এই তালাকের অধিকার দিয়েছে। কারণ পুরুষজাতির সিদ্ধান্ত গ্রহণের ক্ষমতা বেশি উন্নত…
এই তত্ত্ব কতোখানি সত্য, তা ইতিহাসজুড়ে মহিলাদের কাজকর্মের দিকে একনজর তাকালেই জানা যায়। তবে মুসলিম মোল্লা-মিয়াসাবরা ইতিহাস-ভূগোলের বই পড়েন কীনা সেটা নিয়ে যথেষ্ট সন্দেহ রয়েছে। রাষ্ট্রনীতি, অর্থনীতি, বিজ্ঞান এসব যে পড়েন না, তাতে কোনো সন্দেহই নেই। অবশ্য বোমা বানানো আর চাপাতিতে শান দেয়ার জন্য যেটুকু প্রয়োজন সেটুকু তাদের পড়তেই হয়।
আদালতে বিবাহবিচ্ছেদের মামলা করলে উভয় পক্ষেরই নানা দোষত্রুটি প্রকাশিত হবে। এতে ভবিষ্যতে উভয়েরই পূনর্বিবাহ করতে সমস্যা হতে পারে। যেহেতু এক্ষেত্রে অসুবিধা বিবিরই বেশি হবে, তাই নিজেদের সমস্যা নিজেদের মধ্যে ‘গোপন’ রেখে তালাক দেওয়াই অনেক ভালো পদ্ধতি। আদালতে বিবাহবিচ্ছেদের মামলা হলে বিবির অসুবিধা আরও বেশি হবে। যেমন বিবি যদি মিয়ার বিরুদ্ধে খারাপ ব্যবহারের অভিযোগ আনে, তাহলে মিয়াসাহেবের তেমন অসুবিধা নেই। কিন্তু মিয়াসাহেব যদি তালাকের মামলায় বিবির বিরুদ্ধে খারাপ চরিত্রের অভিযোগ করেন তাতে সেই বিবির আর পূনর্বিবাহ হওয়া মুশকিল।
মুসলমান সমাজ আসলে যে কী সেটা এ থেকে কিছুটা পরিষ্কার হচ্ছে। জগতে প্রতিটা মানুষেরই দোষত্রুটি থাকবে। কিন্তু সেই দোষত্রুটি প্রকাশ হয়ে পড়লে সমাজে এতোটাই অসুবিধা হবে যে তার চেয়ে রাতারাতি তালাক দিয়ে একজন নারীকে রাস্তায় বের করে দেওয়াটাও নাকী অনেক নিরাপদ। আদালতে বিবাহবিচ্ছেদের মামলা হলে অসুবিধা হবে কীনা সে চিন্তা বিবির উপর ছেড়ে দিলে সমস্যা কোথায়? এর কোনও উত্তর কিন্তু মুসলিম মোল্লা-মুন্সিরা দেন নি।
সর্বোচ্চ আদালতে দেওয়া এই লিখিত হলফনামায় আরেকটা বিষয় লক্ষণীয়। ‘খারাপ চরিত্র’র অভিযোগ কেবলমাত্র বিবির জন্য প্রযোজ্য। বাস্তবিক, মিয়াসাহেবের জন্য যেখানে চারটি বিবি, আনলিমিটেড দাসী, ইচ্ছামত মুতাহ অর্থাৎ বেশ্যাগমণ, শিশুবিবাহ ইত্যাদিকে পবিত্রকর্ম হিসেবে অনুমোদন দেওয়া আছে; সেখানে আর বিবির খারাপ চরিত্রের কোনো জায়গাই থাকে না। ইসলাম ধর্মমতে প্রত্যেক মুসলমানের চরিত্রই ফুলের মত পবিত্র। অন্তত তাদের নিজেদের শরিয়া আইন অনুসারে।
মিয়াসাহেবকে তালাকের অধিকার দেওয়াতে পরোক্ষভাবে নাকী বিবির নিরাপত্তা দেওয়া হয়েছে:
পান থেকে চুন কিংবা হাত থেকে চামচ খসে পড়লেও মিয়াসাহেব তিনবার তালাক বলে বিবিকে রাস্তায় বের করে দেবার অধিকার রাখেন। এর নামই যদি বিবির নিরাপত্তা হয়, তবে এ জগতে তো আর বিপদ বলে কিছু থাকারই সম্ভাবনা নেই। সত্যিই আল্লাহ অনেক দয়ালু, মুসলমান জাতির নারীদের জন্য তিনি কতোই না নিরাপত্তার ব্যবস্থা করেছেন! বলুন সোভানাল্লা।
বিবাহ এক প্রকার চুক্তি, যেখানে দুইপক্ষ সমান নয়। পুরুষজাতি নারীদের তুলনায় শক্তিশালী। পুরুষজাতি স্বাধীন, নারীরা পরনির্ভর।
অর্থাৎ কীনা জোর যার, মুলুক তার। এরপর আর কোনো কথা চলতেই পারেনা। এই জঙ্গলের আইন অনুসারেই মুসলমান সমাজ কেয়ামত পর্যন্ত চলবে।
যদি নারীর সংখ্যা পুরুষের চেয়ে বেশি এবং বহুবিবাহ সম্ভব না হয়, সেক্ষেত্রে অনেক নারীর বিবাহ করাও সম্ভব হবে না। বস্তুত বহুবিবাহের মূল উদ্দেশ্য নারীজাতির নিরাপত্তা।
মুসলিম আইনের বড় বড় মাথারা এইভাবে লিখিত হলফনামায় জানাচ্ছেন যে, নারীদের বিবাহ না দিলে নারীজাতির নিরাপত্তার বড়ই অভাব হয়। যেখানে বিবাহের নিরাপত্তা মানে বিনা কারণে স্বামীর হাতে স্ত্রীর ৩ বেলা পিটুনি খাওয়া এবং যেকোনো দিন তালাক দিয়ে রাস্তায় বের করে দেওয়া। সেখানে বিবাহ না দিলে এর চেয়েও বেশি বিপদ আর কী থাকতে পারে সেটা তো অনুমানেও আসছে না। তবে সভ্য মানুষের অনুমানে না এলেও মুসলমান সমাজে অনেক কিছুই হতে পারে। কিছু না হোক বাপ যদি বসিয়ে বসিয়ে খাওয়ানোর বদলে দাসী হিসাবে বাজারে বিক্রি করে দিয়ে কিছু কামিয়েও নেয়, সেটাও ইসলামি সভ্যসমাজে অতি সাধারণ ব্যাপার।
তবে বাস্তবজীবনে নারীর সংখ্যা পুরুষের তুলনায় বেশ কম। অতএব উক্ত এফিডেবিটের যুক্তি অনুসারে এক বিবির একাধিক পতিদেবতা থাকাটাই বরং অনুমোদন পাওয়া উচিত। কিন্তু ব্যাপারটা এতো সহজ করে দেখলে চলবে না। ইসলামি আইনের প্রবক্তাদের এতোটা গর্দভ হওয়া সম্ভব নয়, তাদের যুক্তির পিছনে আরও ভয়ানক যুক্তি আছে। হলফনামায় যখন বলা হয়েছে পুরুষের তুলনায় নারীর সংখ্যা অনেক বেশি, তাহলে নিশ্চয় বিবাহযোগ্য নারী-পুরুষের কথাই বলা হয়েছে।
বিবাহযোগ্য পুরুষ এবং নারী বলতে কী বোঝায়?
এর আগে তালাক সম্পর্কে যুক্তি দিতে গিয়ে এই হলফনামায় বলা হয়েছে,
মিয়াসাহেব পরিবারের দায়দায়িত্ব পালন করেন, খরচ বহন করেন। বিবির তুলনায় তিনি যুক্তিসম্মত সিদ্ধান্ত নিতে পারেন। এ থেকে বোঝা যায় তিনি মোটামুটি পরিবারের খরচ চালানো এবং সিদ্ধান্ত নেওয়ার মতো বয়সের হবেন।
অর্থাৎ মিয়াসাহেবের একটা ন্যুনতম বয়সের আন্দাজ পাওয়া গেল। যদিও আইনে এমন কোনও সীমা দেওয়া নেই, তবুও এটুকু যোগ্যতা না থাকলে সামান্যকিছু ব্যতিক্রম ছাড়া বেশিরভাগ লোকই তাদের ছেলেপুলের বিয়ে দেয় না। খুব কম করে ধরলেও বয়সটা ১৫ বছর হওয়ার সম্ভাবনা থেকে যায়।
অন্যদিকে মিয়াসাবদের বিবিজান যেকোনো বয়সেরই হতে পারেন। মুহাম্মদ নিজেই যেখানে ৬ বছরের আয়েশা বিবিকে বিয়ে করে যে সুন্নত চালু করে গেছেন, তাতে আমরা বিবাহযোগ্য পাত্রীর ন্যুনতম বয়স ৬ বছরই ধরবো। যদিও এরচেয়ে কম হলেও কোন সমস্যা নেই। কারণ বিবিদের ওপর কোনো দায়িত্ব থাকেনা বলে আগেই হলফনামায় জানানো হয়েছে।
এছাড়াও শরিয়াহ আইনে বিবাহযোগ্য পাত্র-পাত্রীর আরেকটি বিধান আছে। পাত্রকে অবশ্যই মুসলমান হতে হয়, পাত্রীটি অন্য ধর্মের হলেও চলে।
এই যুক্তিতে বিবাহযোগ্য পাত্র বলতে বোঝায় শুধুমাত্র মুসলমান এবং ১৫ বছরের বেশি বয়সের পুরুষ। অন্যদিকে বিবাহযোগ্য পাত্রী মানে সারা পৃথিবীর যেকোনো ধর্মের যেকোনো বয়সের নারী ও কন্যাশিশু। তাই ইসলামি দৃষ্টিতে বিবাহযোগ্য মহিলার সংখ্যা বিবাহযোগ্য পুরুষের চেয়ে অনেক বেশি। অতএব জগতের সকল নারীকে মুসলমানদের হারেমে বিবি অথবা দাসী হিসাবে বন্দী করতে বহুবিবাহের কোনো বিকল্প নেই।
বহুবিবাহ প্রথার মূলে আছে বিবিদের প্রতি সচেতনতা এবং সহানুভূতি:
মুহাম্মদ যখন আয়েশা বিবিকে যথেষ্ট সময় দিতে না পারায় বাধ্য হয়ে প্রাক্তনবিবিকে মাত্র ৩০ বছর বয়সে তালাক দিতে চেয়েছিলেন, তার পিছনেও নিশ্চয় কোনো বিশেষ সচেতনতা ছিল। অবশেষে বৃদ্ধ বিবি তাঁর সহাভূতিসম্পন্ন পতিদেবকে নিয়ে টানাটানি না করার শর্তে রাজী হওয়াতে তালাক দেয়ার আর প্রয়োজন হয় নি। তারপর থেকে তিনি সংসার চালাতেন এবং সচেতন মুহাম্মদ আয়েশা বিবিকে নিয়েই বেশি ব্যস্ত থাকতেন। সচেতনতা এবং সহানুভূতির একেবারে চোখে আঙুল দেওয়া উদাহরণ।
অনেকসময় বিবির অসুস্থতা বা অন্য কোনো সামান্য কারণেও দ্বিতীয় বিবি আনার প্রয়োজন হতে পারে। যদি বহুবিবাহপ্রথা বন্ধ করে দেওয়া হয়, তবে এরকম তুচ্ছ কারণেও মিয়াসাহেবরা পুরাতন বিবিকে তালাক দিয়ে দিবে। বর্তমানে সেটির কোনও প্রয়োজন হচ্ছে না।
তাহলে দেখা যাচ্ছে ‘মুসলিম–ল–বোর্ড’ তুচ্ছ কারণে তালাক দেওয়ার বিরোধী। আবার তিন তালাক প্রথা চালু রাখারও পক্ষে। এরা আবার হলফনামা দিয়ে জানিয়েছে যে,
টেলিভিশন নষ্ট হলে যেমন নতুন টেলিভিশন কেনা যায় তেমনই বিবি অসুস্থ হলে নতুন বিবি আনার ব্যবস্থা রাখা হয়েছে ইসলাম নামক জীবন বিধানে।
কিন্তু মিয়াসাহেব অসুস্থ থাকলে বিবি কেন তাঁকে তালাক দিয়ে বা না দিয়ে আরেকটি মিয়াসাহেব রাখতে পারবে না, সে ব্যাপারে কবি নীরব।
…এরকম ক্ষেত্রে অবৈধ সম্পর্ক গড়ে উঠতে পারে, যার তুলনায় একাধিক বিবাহ অনেকটাই ভাল।
বিবি উপযুক্ত না হলেই যদি মিয়াসাহেব এরকম যুক্তি দিয়ে ফেলেন তবে সেই একই যুক্তিতে মিয়াসাহেব যদি উপযুক্ত না হন তবে বিবি কেন তালাক দিয়ে নতুন বিয়ে করবে না, অথবা মিয়াসাহেবকে তালাক না দিয়েই চারটি মিয়াসাহেবের বিবি হতে পারবেনা; সে ব্যাপারে অবশ্য কিছু বলা হয় নি।
সিদ্ধান্তঃ
হলফনামাটির আলোচনা থেকে যেসব সত্য জানা গেল-
(১) একজন মুসলমান যে দেশের নাগরিকই হোক না কেন, তারা সেদেশের আইনকানুন মেনে চলবে না। তারা কেবল শরিয়া আইন মেনে চলবে।
(২) মুসলমানরা এতোটাই হিংস্র যে, পুরনো স্ত্রী তালাক দিয়ে নতুন স্ত্রী আনার উপায় না থাকলে বিবিকে খতম করে জায়গা খালি করবে।
(৩) মুসলমান মহিলাদের আদালতের দারস্থ হওয়া যাবে না। তাদের অভিযোগ ও সমস্যার সমাধান মোল্লা-মৌলভীরাই করবে।
(৪) মহিলাদের সবসময় পুরুষের পাহারায় রাখতে হবে, নইলে আল্লাও তাদের বাঁচাতে পারবেন না (কী থেকে বাঁচাতে হবে সেটা অবশ্য পরিস্কার নয়, সম্ভবত মুসলমানদের হাত থেকে বাঁচার কথাই বলা হয়েছে)। কারণ শতভাগ মুসলিম দেশেও এই পাহারা লাগবে।
(৫) অমুসলিম নারীরা মুসলমানদের টার্গেট।
(৬) ইসলামে মুসলমানদের জন্য একসাথে ৪টি বিবি রাখার বিধান থাকলেও বাস্তবে আনলিমিটেড বিবি, আনলিমিটেড দাসী, আনলিমিটেড সাময়িক বিবি ভোগের সুযোগ রাখা আছে। অন্যদিকে বিবিদের জন্য আছে হারেম, পিটুনি, পর্দা ও তালাক। এবং পরকালে অবশ্যই নরক।
(৭) ইসলাম অনুসারে নারীরা চিরকালই শিশুতূল্য, দুর্বল ও বোকা। যাদের ওপরে কোনও ক্ষমতা বা দায়িত্ব দেওয়া যায় না।
কেউ যদি মনে করেন ভারতের ‘মুসলিম পারসোনাল ল বোর্ড’ এইসব কথা ইসলাম সম্পর্কে না জেনে বলেছেন, তবে তাঁদের কোরান-হাদিস খুলে এসব একটু যাচাই করে নিতে পরামর্শ দেয়া হলো। এতে যে মুসলমানদের ‘দিলের মোহর’ খুলবে সে নিশ্চয়তা দেওয়া মুশকিল। তবে অনেক গালাগালি শেখা যাবে এটা নিশ্চিত।
নোট:
এই বিষয়ক সংবাদ পড়তে চাইলে এখানে ক্লিক করুন
পুরো পিটিশনটি পিডিএফ আকারে এখান থেকে ডাউনলোড করতে পারেন।