দোতলা বাস এবং…

7 মতামত পাওয়া গেছে

আহা! ঘনাদা!

আপনি যে আমার শৈশব এবং কিশোর দিনগুলি স্মরণ করিয়ে দিলেন।

খুব মজা পেলাম এই ছোট গল্প পড়ে।

দাদা,

খুব মন দিয়ে পড়ছিলাম। এমন ভাবেই  বর্ননা, যে আমার মনে হচ্ছিল হাত ধরে কেউ  একটা ছবি দেখাচ্ছে।

কিন্তু ছবির শেষ্টা বড্ড মর্মান্তিক। তোমার কলমে   যাদু আছে। আরও  কিছু চাই। তোমার মনের মনিকোঠা থেকেই নাহয়  আমাদের দাও। আবার আমরা আনন্দিত হই, অশ্রুশিক্ত হই।

 

চন্দনাআআআআআ!!!!!!! ৫০ বছর হয়ে গেল। তুই কোথায় আমি জানি না! শুনেছি, সমুদ্র সব ফিরিয়ে দেয়!!!

আজও মনে মনে ভাবি, তুই আমার ফেসবুকে, অরকুটে, মনে, সব জায়গায় আছিস। জানি, তুই এই চিঠিটা পড়ছিস।

মনে ঝড়ের সমুদ্র!

কবে ফিরবি রে?

 

ঘনাদা, এই লাইনগুলো পড়ে একটা গান মনে পড়ে গেল। সত্যি মনে দাগ কেটে গেলো লেখাটা- গানটা মিতালী

মুখার্জী’র গাওয়া-

তোমার চন্দনা মরে গেছে-

ওকে আর ডেকে কী হবে-

কী হবে –

জানিনা তুমি শুনেছ কিনা। এই গানটা সম্ভবত আমার কাছে আছে।

জীবন যখন সমাপ্তির দিকে মোড় নিচ্ছে, তখন তাকে এক  স্মৃতির ঝুড়ি ছাড়া আর কিছু মনে হয় না।

আর সে স্মৃতির ঝুলিতে কৈশোরই যেন মুখ্য।

সবার জীবন নিংড়ে দেখলে যেন অনুরূপ কৈশোরের স্মৃতি পাওয়া যাবে। ঘনাদার হাতে সে স্মৃতি যেন প্রাণবন্ত হয়ে উঠে।

সবার অন্তরেই দাগ কাটবে এ স্মৃতি-চারণটা… অতীতের অনেক ঘটনাই পাঠকের হৃদয় পটে এনে দেবে।

হঠাৎ যেন ছেলেবেলায় চলে গেলাম। 

অসাধারন!!! বিষাদের সুর এমন ভাবে বাজিযে দিলেন!!

মাঝে মাঝে কষ্টরা জমা হয় বুকে, তখন সান্ত্বনা দিই, সময় সব ঠিক করে দেবে। আসলেই কি সময় সব ক্ষত পূরন করে দেয়? আপনার কি মনে হয়??

 

আপনাদের প্রতিক্রিয়ায় আমি অভিভূত । উত্তর দিতে দেরি হল, ব্যস্ততার জন্য । ক্ষমা চেয়ে নিচ্ছি।


আপনার মতামত দিন

আপনার ই-মেইল অ্যাড্রেস প্রকাশিত হবে না।