১
৯১২ বার পঠিত
ইসলামে অন্য ধর্মকে শ্রদ্ধা করতে বলা হয়েছে বলে যা প্রচার করা হয় বস্তুত তা ডাহা মিথ্যা কথা।
যে নবি মোহাম্মদকে জানে না, সে আসলে ইসলাম সম্পর্কে কিছুই জানে না। এই ‘মহান’ ব্যক্তি নিজেই কখনো অন্য ধর্মকে শ্রদ্ধা করেননি বহুবার সেই প্রমাণ দেয়া যাবে। যেমন ধরুন, খ্রিস্টানিটি থেকে যদি কোনো ক্রমে ভার্জিন মেরির কুমারীত্ব নষ্ট করা যায়, তাহলে পুরো ধর্মটাই মিথ্যা হয়ে যায়।
ঠিক সেই কাজটিই করেছেন নবি মোহাম্মদ। উনি স্বপ্ন দেখেছেন যে, আল্লাহ তাঁকে বেহেস্তে ভার্জিন মেরির সাথে বিয়ে দিবেন!
“The Messenger of God … said, ‘GOD MARRIED ME IN PARADISE TO MARY THE DAUGHTER OF ‘Imran and to the wife of Pharaoh and the sister of Moses.’ (Tabarani)” [1]
অতি সম্প্রতি ইজিপ্টের একজন গুরুত্বপূর্ণ মাওলানা যে মোটামুটি মডারেট মুসলিম হিসেবেই পরিচিত, সেইরকম একজন ব্যক্তি ন্যাশনাল টেলিভিশনে সরাসরি এই কথা বলেন আমাদের নবি মুহাম্মদ (সাঃ) বেহেস্তে ভার্জিন মেরিকে বিয়ে করবেন
“Our prophet Muhammad—prayers and peace be upon him- will be married to Mary in paradise.”
এই কথা শোনার পর ইজিপ্টের খ্রিস্টানরা প্রতিবাদে ফেটে পড়েন কিন্তু ফলাফল কী হয়েছিল একবার চিন্তা করুন? শূন্য। এখন, একবার চিন্তা করুন তো নবীর বউ আয়েশাকে যদি কেউ স্বপ্নে বিয়ে করতো, আর তা যদি জাতীয় টেলিভিশনে প্রকাশ্যে বলা হতো তাহলে ওই ব্যক্তির/গোষ্ঠীর কী অবস্থা হতো?
সেটারই বিবরণ দিচ্ছি এখন –
ইউলগিয়াস (Eulogius) নামের এক খ্রিস্টান লোক মোহাম্মদ যে বেহেস্তে মেরিকে বিয়ে করবেন এই কথা শুনে রেগে গিয়ে বলেন,
“I will not repeat the sacrilege which that impure dog [Muhammad] dared proffer about the Blessed Virgin, Queen of the World, holy mother of our venerable Lord and Savior. He claimed that in the next world he would deflower her.”
বরাবরের মতো কে অপরাধী? মোহাম্ম্মদ, যে নাকী ভার্জিন মেরিকে বিয়ে করতে চাইলো এবং খ্রিস্টান ধর্মের বারোটা বাজাতে চাইলো, নাকী ইউলগিয়াস যে মোহাম্মদকে গালি দিলো?
জ্বি, ঠিক বুঝতে পেরেছেন দ্বিতীয়জন! মুহাম্মদকে গালি দেয়ার অপরাধে ৮৫৯ সালে যেটা ইসলামের স্বর্ণযুগ নামে খ্যাত, সেই যুগে সবার সামনে তাঁকে অত্যাচার করে হত্যা করা হয়েছিল।
এই হচ্ছে মুসলিমদের বিচার একইদোষে দুই রকম শাস্তি, একজনকে হত্যা করা হলো নবিকে গালি দেয়ার অপরাধে; আর মুমিনরা প্রিয় নবি মোহাম্মদকে মাথায় তুলে নাচেন।
বিচার যাই হোক তাল গাছটা সবসময় মুমিনদেরই থাকে।
তথ্যসূত্র:
[1] Ibn Kathir, Qisas al-Anbiya [Cairo: Dar al-Kutub, 1968/1388], p. 381- as cited in Aliah Schleifer’s Mary The Blessed Virgin of Islam [Fons Vitae; ISBN: 1887752021; July 1, 1998], p. 64
ই-মেইলে যোগাযোগ করুন
অক্টোবর ৭, ২০২২; ৪:২৯ পূর্বাহ্ন
জান্নাতে রাসুল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম এর সাথে ঈসা আলাইহিস সালাম এর মা মরিয়ম, ফেরআউনের স্ত্রী আসিয়া এবং মুসা আলাইহিস সালাম এর বোন কুলসুম এর সাথে বিবাহ হওয়ার ব্যাপারে বর্ণিত হাদিসগুলো সনদগতভাবে একটিও সহীহ নয়। বরং কোনটি কোনটি জাল/বানোয়াট আর কোনটি কোনটি যঈফ।
তাই ইবনে কাসীর রাহ. ‘আল বিদায়াহ ওয়ান নিহায়াহ’ গ্রন্থে এ বিষয়ে কয়েকটি হাদিস বর্ণনা করার পর মন্তব্য করেন এভাবে:
” وكل من هذه الأحاديث في أسانيدها نظر ” انتهى
“এ হাদিসগুলোর প্রত্যেকটির মধ্যেই সমস্যা আছে।”
আল্লাহু আলাম।
▬▬▬◄✪✪► ▬▬▬
উত্তর প্রদানে:
আব্দুল্লাহিল হাদী বিন আব্দুল জলীল
(লিসান্স: মদিনা ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়)
দাঈ, জুবাইল দাওয়াহ এন্ড গাইডেন্স সেন্টার, সৌদি আরব
শায়েখ আসিম আল হাকিম: https://youtu.be/ai3kOHtyGow
মিথ্যাচার হলো নাস্তিকদের স্বভাব ইহা তো প্রমাণ করার প্রয়োজন নেই।