০
১৯৬৫ বার পঠিত
ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী ও তাদের রাজনৈতিক মোর্চা বিজেপিকে আজ আমি আনুষ্ঠানিক ধন্যবাদ জানাচ্ছি।
ভারত যে একটি বর্ণবাদী, সাম্প্রদায়িক ও ক্ষুদ্র মানসিক রোগে ভোগা ‘রাষ্ট্র’
নরেন্দ্র দামোদরদাস মোদী তা প্রমাণ করে দিয়েছেন!
অসাম্প্রদায়িকতা, ধর্মনিরপেক্ষতা, পরমত সহিষ্ণুতা এসবই যে, ভারত রাষ্ট্রের একটি ‘মুখোশ’ বিজেপি আজ সেকথা প্রমাণ করে চলেছে।
ভারত ভেঙে ‘পাকিস্তান’ হওয়া তথা তৎকালীন মুসলিম নেতৃত্ব কেন ভারত বিমুখ হয়ে নিজেদের স্বাধীনতার কথা ভেবেছিলেন এবং এ চিন্তা যে এক অনিবার্য বাস্তবতা থেকে এসেছিল যা আমরা মাঝে মধ্যে ভুলে যাই, আজ মোদী এবং তার বিজেপি আমাদের সে ইতিহাস স্মরণ করিয়ে দিল।
এমন কি বাংলা ভাগেও যে ‘হিন্দুত্ববাদ’ নিয়ামক ভূমিকা পালন করেছিল, এই বিজেপি সরকার এর নেতৃবৃন্দ বাংলায় এসে বক্তব্য দিয়ে সে ইতিহাসও পরিস্কার করে দিয়েছে।
তারা পশ্চিম বাংলার মূখ্য মন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে শিক্ষা দিতে দালিলিক প্রমাণ হাজির করে দেখিয়েছে যে, হিন্দু মহাসভার নেতৃত্বে শ্যামাপ্রসাদের চিন্তা-দর্শন এখানে প্রতিষ্ঠিত না হলে বাংলা ভাগ হতো না এবং আজকের বর্ণ-হিন্দুরা যে পশ্চিম বাংলার শাসক হিসেবে অধিষ্ঠিত হতে পারত না বিজেপি তাদের বক্তব্যে সে কথাও পরিষ্কার করেছে।
বিভিন্ন সময়, বিভিন্ন অজুহাতে তারা যে মুসলমান এবং নিম্ন বর্ণের তথা সংখ্যালঘু মানুষদের উপরে জুলুম করে এবং এই জালিম বৈশিষ্ট্যই তাদের রাজনীতির ‘প্রাণ’, মোদি এবং বিজেপি তা প্রমাণ করেছে!
যদিও ভারতবর্ষের লক্ষ লক্ষ শিক্ষিত প্রকৃত মানুষ, যারা বর্তমানের এই সাম্প্রদায়িক রাজনীতির বিরুদ্ধে সোচ্চার এবং প্রতিবাদী কন্ঠ।
ইতিহাসের সৌন্দর্য হলো: ইতিহাস নিজেই মাঝেমধ্যে পৃথিবীর দেশে দেশে ভুলে যাওয়া মানুষকে স্মরণ করিয়ে দিতে এই ধরনের ব্যক্তি ও রাজনৈতিক শক্তিকে সামনে আনে, যার কর্মকাণ্ড দেখে নাগরিক বুঝতে পারে অতীতে আসলে কি ঘটেছিল এবং এর পরিণতি কি হতে পারে…
ই-মেইলে যোগাযোগ করুন