সৌদিতে বাংলাদেশী নারী গৃহকর্মী ও তাদের উপর যৌন নির্যাতন নিয়ে ফেসবুকে তুমুল গালীচোনা চলছে। এখন এই গালীচোনা নিয়ে ভাবতে বা সে বিষয়ে দৃষ্টিপাত করতে গিয়ে জানাগেল নির্যাতীত হয়ে ফিরে এসেছে মোট ২০০ (দুইশত) জনের মত। সৌদিতে কর্মরত মোট নারীর সংখ্যা প্রায় ৮০,০০০(আশি হাজার)! যদি তাই হয় তাহলে প্রায় ৭৯,৮০০(উনআশি হাজার আটশত)জনের কি খবর?
গালীচোনাকে আলোচনায় রুপান্তর করতে চাইলে আমাদের নিচের চারটি দৃষ্টি ভঙ্গীতে আলোচনার সুযোগ আছে
ক) তারা ভালো আছে
খ) তারা সকলেই নির্যাতনের মধ্যে আছে কিন্তু তা থেকে বের হতে পারছেনা
গ) কেউ ভালো আছে,কেউ নির্যাতনের মধ্যে আছে। কতজন কি অবস্থায় আছে তা আমাদের জানা নেই।
ঘ) মানুষের প্রয়োজন বা চাহিদা ও তা বিবেচনায় আলোচনা
২
[তারা ভালো আছে]
এ ক্ষেত্রে সৌদি পুরুষ বা সমাজ বা রাষ্ট্রকে গালী দেয়ার সুযোগ আমাদের থাকছেনা। ক’জন অপরাধী পুরো সৌদি সমাজ বা রাষ্ট্র নয়। আমাদের উচিত বা দায়ীত্ব আপরাধী সৌদি পুরুষ বা পরিবারের শাস্তি প্রদানে সচেষ্ট হওয়া। ৭৯,৮০০ জন গৃহকর্মীর নিয়োগ কর্তা ও সৌদি রাষ্ট্রকে বোঝানো যে দুশো অপরাধীর জন্য পুরো সৌদি সমাজকেই সকলে অপরাধী ভাবছে…
৩
[তারা সকলেই নির্যাতনের মধ্যে আছে কিন্তু তা থেকে বের হতে পারছেনা]
তাহলে প্রথম করনীয় হচ্ছে সরকার ও গৃহকর্মীদের পরিবারকে সচেতন করা এবং সকলকে ফিরিয়ে এনে। রাষ্টীিয় ভাবে বা জনগন ও জনগনের সম্মলিতি প্রয়াসে সৌদি রাষ্ট্র, সরকার, সমাজরে এ জালিম বা নির্যানত মূলক আচরনের প্রতিবাদ ও প্রতিরোধের ব্যবস্থা করা। কিন্তু তার আগে আমাদের নিশ্চিত হতে হবে,তারা সকলেই (৭৯,৮০০ জন)অথবা অধিকাংশ নির্যাতনের মধ্যে আছে কিন্তু তা থেকে বের হতে পারছেনা…
৪
[কেউ ভালো আছে,কেউ নির্যাতনের মধ্যে আছে। কতজন কি অবস্থায় আছে তা আমাদের জানা নেই।]
প্রথমেই এটা জানা যে কতজন ভালো আছে, কতজন ভালো নেই।
এরপর জানা যারা ভালো নেই, তারা কেন ভালো নেই? সংখ্যাগুলি কত?
যারা ভালো নেই তারা যে সব কারনে ভালো নেই, তা হতে পারে-
ক.ক) নিয়োগ চুক্তি অনুযায়ী শ্রমের অধিক শ্রম দিতে হচ্ছে
ক.খ) যৌন নির্যাতনের শিকার
ক.গ) চুক্তি বা প্রতিশ্রুতি অনুযায়ী মজুরী পাচ্ছেনা
ক.ঘ) অন্যান্য
যদি ক) ও খ) হয় তবে সৌদি সরকারের সাথে বাংলাদেশ সরকার ও রিক্রটিং এজেন্সি সমূহের আলোচনা এ সমস্যা সমাধানের একমাত্র উপায়। প্রয়োজনে আইএলও এর সহায়তা নিতে হবে
যদি গ)হয় তবে সংখ্যাটি চিণ্হীত করে সৌদি সে অনুযায়ী ব্যবস্থা গ্রহণ।
যদি ঘ) হয় তবে কি কি সমস্যা আছে তা তারিকা করা ও সমাধানের ব্যবস্থা করা।
এরপর জানা যারা ভালো আছে তারা কেন ভালো আছে। সংখ্যাটি কত?
যারা ভালো আছে তারা যে সব কারনে ভালো আছে, তা হতে পারে-
খ.ক) নিয়োগ চুক্তি অনুযায়ী শ্রম ও মজুরী যথাযত।
খ.খ) যৌন নির্যাতনের কোন ঘটনা ঘটছেনা।
খ.গ) যৌন ঘটনা ঘটছে কিন্তু তা উক্ত ‘কর্মী’ নিজ প্রয়োজনে উপভোগ করছে।
খ.ঘ) যৌন ঘটনা ঘটছে কিন্তু ‘কর্মী’ তা থেকে বিশেষ আয় করায় তা ‘যৌন সেবায়’ রুপান্তরিত হচ্ছে।
তথ্য গুলি জানা জরুরী। এটা একই সাথে সৌদি ও বাংলাদেশ সমাজ কে জানা এবং পারস্পরিক বানিজ্য লেনদেনের ধরনকে নির্ধারন করতে সহায়তা করবে।
৫
[মানুষের প্রয়োজন বা চাহিদা ও তা বিবেচনায় আলোচনা]
মানুষের চাহিদা কি?
এক সোরাহি সুরা দিও, একটু রুটি চিলকে অার প্রিয়া সাকি একখানি বই কবিতার
জ্বীর্ন অামার জীবন জুড়ে রইবে প্রিয়া অামার সাথ
এই যদি পাই চাইবোনাকো তখত অামি শাহেনশা’র
এটা শুধু পার্সী কবি খৈয়ামের চাওয়া নয়। এটা সকল পুরুষ তথা মানুষের চাওয়া। সাধারন পাঠে এটাই বলা যাবে। কিন্তু একটু যদি মনযোগী পাঠে যাই,যদি কবিতার উৎপ্রেক্ষা ও প্রতিকের কাছে যাই তখন!
রুটি= খাদ্য
সাকি= যৌনতা
প্রিয়া= সঙ্গ, সমাজ
বই= কৌতুহল,তথ্য,জ্ঞান
সুরা= মগ্নতা, আচ্ছন্নতা
তখত= কতৃত্ব, ক্ষমতা
এই যদি পাই চাইবোনাকো=বিনিময়, বানিজ্য
৬
খাদ্য ও যৌনতা যে কোন প্রাণেরই অস্তিত্ব। খাদ্য চাহিদা পূরণের অভাবে যে কোন প্রাণ অস্তীত্বহীন, একই ভাবে যৌন চাহিদার পূরণের অভাবেও সে অস্তিত্বহীন। মানুষের ক্ষেত্রে যৌন চাহিদাই সমাজ গঠনের মূল শক্তি।
সমাজ গঠনের প্রাথমিক পর্যায়ে নারী ও পুরুষ, এই ছিল পরিচয় বা সম্পর্ক। কিন্তু সময়ের সাথে কৌতুহল ও জ্ঞান এর সহায়তায় মানবিক সম্পর্ক গুলো মানুষ নির্ধারন করেছে বা নির্মান করেছে।
আসুন আদম হাওয়ার গল্প দিয়েই আমরা সেটা বুঝতে চেষ্টা করি:
আদম (পুরূষ) + হাওয়া (নারী)তা থেকে জন্ম নিল দুই যমজ সন্তান, পুরুষ (হাবিল, কাবিল)
আদম (পুরূষ) + হাওয়া (নারী)তা থেকে জন্ম নিল দুই যমজ সন্তান, নারী (আকলিমা, গাজাহ)
হাবিল, কাবিল, আকলিমা, গাজাহ এরা ভাই-বোন না স্বামী-স্ত্রী? আদমের গল্পকাল থেকে নারী ও পুরষ যেমন স্বামী-স্ত্রী হয়ে ওঠে তেমনি ভাই-বোন ও হয়ে ওঠে। বহু বছর পর অন্য এক কালে ভাই-বোনের স্বামী-স্ত্রীতে রূপান্তরের সুযোগ রহিত হয়। পৃথিবীর বিভিন্ন সমাজে (ধর্মে)সম্পর্ক ও যৌন সর্ম্পর্কের বিধানে তাই রয়েছে ভিন্নতা। আদমের গল্পকালের আগে হয়তো বাবা-মা কিংবা পুত্র-কন্যার সম্পর্কটিও ছিলনা। স্বর্গ বা নরকে এ জন্যই হয়তো কোন সম্পর্কই নেই।
ইতিহাসকে একটু খেয়াল করে দেখলে দেখবো মানুষের যৌন চেতনা বা বিধান সমূহ সম্পদ জ্ঞানের বা ধারনার সাথে অঙ্গাঙ্গীভাবে জড়িত। পুরুষতন্ত্রের সূচনা থেকেই তাই যৌন সেবা (যা প্রথমে বনিতা, গত সহস্রাব্দের শুরু থেকে দাসী/পতিতা)নারীর পেশা হয়ে উঠেছে।
কৃষির আবিস্কার যেমন সামন্ত বা পুরুষতন্ত্রের পটভূমি। মুদ্রার প্রচলনে তেমনি সম্পদ ব্যবস্থাপনার ধরন বদলাতে শুরু করলো। সেই ধারাবাহিকতায় মুহম্মদ বা ইসলামের উত্থানে বানিজ্য বিপ্লবের যে পথ খুলেছিল, সে পথেই ইউরোপ রেঁনেসা। আর বরাবরের কৌতুহল,তথ্য,জ্ঞান, ইত্যাদি রেঁনেসার বানিজ্য চাহিদার সাথে মিলে ইউরোপে ঘটে গেল শিল্প-বিপ্লব (Art & Industry), আর এটা ঘটেছিল সমাজ ও ধর্মাচারের আচ্ছন্নতার বিপরীতে বিষয়ের প্রতি মগ্নতা বা আচ্ছন্নতাকেও গুরুত্ব দেবার কারনে। এটাকেই খৈয়াম বলছেন ‘জ্ঞানের তরে অমৃত সে যে, বোকার তরে উহাই বিষ’।
যে চিকিৎসা বিজ্ঞানে আলেম তারকাছেই পাওয়া যাবে চিকিৎসা,
যে পদার্থ বিজ্ঞানের আলেম তারকাছেই পাওয়া যাবে পদার্থের ধর্ম পাঠ,
যে হিসাব বিজ্ঞানের আলেম তিনি দেবেন হিসাব বিজ্ঞানের পাঠ,
যে জানে ধর্ম কেন ও কি? সেই দিতে পারে ধর্মের সঠিক পাঠ,
আইন যে জানে সে আইনের আলেম…
৭
আমাদের আলোচনা আসলে-
৪.ক.খ) যৌন নির্যাতনের শিকার
৪.খ.খ) যৌন নির্যাতনের কোন ঘটনা ঘটছেনা।
৪.খ.গ) যৌন ঘটনা ঘটছে কিন্তু তা উক্ত ‘কর্মী’ নিজ প্রয়োজনে উপভোগ করছে।
৪.খ.ঘ) যৌন ঘটনা ঘটছে কিন্তু ‘কর্মী’ তা থেকে বিশেষ আয় করায় তা ‘যৌন সেবায়’ রুপান্তরিত হচ্ছে।
মানুষের প্রয়োজন বা চাহিদা ও তা বিবেচনায় আলোচনাটি আসলে উপরিউক্ত চারটি দফা বা যথামুহূর্ত (point) নিয়ে, তাই যৌনতা ও নির্যাতনের ধারনা গুলি নিয়ে আলোচনা করতেই এতো কথা। নারীর পেশা হিসেবে বনিতার আগমন নারীকে দেবী(মা)কল্পনার সাথে যুক্ত। সেটাই ধীরে ধীরে দেবীত্ব হারিয়ে দাসীতে রুপান্তরিত। যা তার উপর কতৃত্ব করবার সুযোগ এনেদিল। নির্যাতন সেই কতৃত্ব পরায়নতারই প্রকাশ।
কিন্তু কবি বলছেন ‘জ্বীর্ন অামার জীবন জুড়ে রইবে প্রিয়া অামার সাথ’ এটা কি। এটা হচ্ছে ভরসা বা নিরাপত্তাবোধ। নিরাপত্তাবোধ কতৃত্বপরায়নতাকে দূর করে। এটা সমকালের সমাজবিজ্ঞান ও মনোবিজ্ঞান আমাদের জানাচ্ছে। সৌদি সমাজ নিয়মের নিগুঢ়ে বন্দী, আর বন্দীত্ব কখোনই নিরাপত্তা বা ভরসা নির্মান করেনা। সৌদি সমাজে তাই নির্যাতন অন্য যে কোন সমাজের চেয়ে বেশী (৪.ক.খ)।
একটি জনগোষ্ঠির অল্প সংখ্যক মানুষই সক্রিয় কতৃত্ব পরায়ন, সৌদি সমাজও তার ব্যতিক্রম নয়। সে ক্ষেত্রে ৪.খ.খ) এটাই সত্য। আবার গৃহকর্মী হিসেবে যারা গেছে তারাও যৌন নির্যাতন বিষয়টি বোঝে কিনা সেটাও দেখবার বিষয়।
৮
এবার আসছি ৪.খ.গ)প্রসঙ্গে, পরকিয়া কিংবা অনুরূপ বিষয় পুরুষতন্ত্রের সমান বয়সী। আর সমকালের সমাজবিজ্ঞান ও মনোবিজ্ঞান আমাদের জানাচ্ছে নারী ও পুরুষের যৌন চাহিদার প্রকাশ আলাদা হলেও পুরুষের মত নারীরও যৌনচাহিদা আছে। করো করো মতে নারীর তা অধিক, কারণ হিসেবে তারা নারী শরীরের সন্তান ধারনের সক্ষমতাকে এ জন্য দায়ী করছেন। তো প্রবাসীর স্ত্রী নিয়ে পর্ণ-ফ্যান্টাসী যদি বাস্তব হয়, প্রবাসী নারীর যৌন চাহিদাও সত্য। বাংলার নারী যেমন নারী,সৌদি পুরুষও পুরুষই। আর নবীর দেশের নবী বংশের পুরুষ কত নারীরই আকাঙ্খার!
সবচেয়ে গুরুত্ব পূর্ণ আলোচনাটি হচ্ছে- ‘যৌন ঘটনা ঘটছে কিন্তু ‘কর্মী’ তা থেকে বিশেষ আয় করায় তা ‘যৌন সেবায়’ রুপান্তরিত হচ্ছে’। অর্থের বিনিময়ে যৌনতার বা বেশ্যাগিরী নারীর আদী পেশা। আর গত কয়েক দশকে সৌদি পুরুষের ভোক্তা বা ক্রেতা হিসেবে খ্যাতি সুবিদিত। সৌদিতে নারী গৃহকর্মীর চাহিদার অন্যতম কারন এটাও হওয়া বিচিত্র কি? যে কর্মী সেখানে গ্যাছে তার মস্তিস্কে এই আয় এর সুযোগ সন্ধান বা চাহিদা থাকলে বিষয়টি কি মন্দ কিছু?
না,
কেন না?
এক ব্যক্তির প্রার্থনার উচ্চারন দিয়েই বিষয়টির আলোচনায় যেতে চাই, কারন এই আলোচনা চীন্তাবীজটি এই প্রার্থনা থেকেই-
[চৌদ্দ বছরের অসুস্থ কন্যকে নিয়ে এক পিতা ব্যাংককে। পরদিন চিকিৎসকেরা কন্যাকে দেখবেন। বাংলাদেশের ডাক্তারেরা যে ভয়ঙ্কর সংবাদ শুনিয়েছেন তাতে পিতার মন বিশেষ উদ্বিগ্ন। কন্যা, পুত্র ও স্ত্রী ঘুমিয়ে পড়লে। ভাড়া নেয়া বাসাটির বারান্দায় পিতা বসেছেন নফল নামাজে-]
: হে আল্লাহ, তুমি আজ আমায় সেখানে নিয়ে এসছো, যারা স্ত্রী-কন্যার শরীর বিক্রির অর্থে ক’দিন আগেও জীবন ধারন করতো। তাদের তুমি আজ এ রকম আধুনিক ও উন্নত মানবিক এক দেশ দিয়েছো। আমার কন্যাকেও তুমি সুস্থ করে দাও।
কোরানে উল্লেখ আছে- যে জাতি নিজেকে সাহায্য করেনা সে জাতিকে আল্লাহ সাহায্য করেনা। তো থাইল্যান্ড বা ব্যাঙ্ককবাসী নিজেদের কি সাহায্য করেছিল?
‘লাইসেন্স’ বা অনুমতি পত্র বা নিবন্ধন, কোম্পানী বা ক্লাব ও ইন্ডিভিজুয়্যাল বা ব্যক্তিগত। যৌন সেবার গ্রাম্য কুটির শিল্প বা পতিতাপল্লীকে তারা ক্লাব বা কোম্পানীতে উন্নত করলো এবং যৌন পেশা চালাতে ইচ্ছুক নারীদের ব্যক্তি লাইসেন্স প্রদান করলো। যা একই সাথে রাষ্ট্রের জন্যও ট্যাক্স সংগ্রহের পথও খুলে দিল। যাতে নারীর ব্যাক্তি ক্ষমতা বা নারীর ক্ষমতায়নেরও সুযোগ তৈরী হলো। নারী পতিতা থেকে বনিতায় রুপান্তরিত হলো। একই সাথে সেখানে ‘গিগলো’ বা গিলমান সেবাও সেখানে উম্মুখত হলো। যৌনতার পর্যটন থেকে প্রকৃতি দর্শন, চিকিৎসা সেবা ও কেনা-কাটা পর্যটনেরও শহরে রূপান্তরিত হলো ব্যাংকক।
পুঁজিবাদ ব্যাক্তিকেই সমাজের বা রাষ্ট্রের একক বিবেচনা করে। তাই তার চাওয়া না চাওয়াই তারকাছে অধিক মূল্যবান। সে জন্যই ব্যক্তি গোপন ভোটে নেতৃত্ব নির্বাচন করে। যেন সে পরিবার, ধর্ম, গ্রাম, গোষ্ঠি/দল এর চাপ/আবেগ/হুমকি মুক্ত হয়ে নেতৃত্ব বেছে নিতে পারে। সে জানে মানুষের চাহিদাই পুঁজি, ব্যাক্তির চাহিদাই পুঁজি।
সৌদিতে নারীরা কোন পেশায় যেতে চায় তা তারাই নির্ধারন করুক, এক পেশার পরিচয়ে গিয়ে অন্য পরিচয় নির্যাতন সংকট বাড়াবে কিন্তু কমাবে না। আর সচ্ছতাই গণতন্ত্র।
ধর্ম কিংবা গোষ্ঠি আচ্ছন্নতা মুক্ত মানুষের চাহিদার বিপরীতে আইন প্রণয়ন ও তা মেনে চলবার সক্ষমতাই মানবিকতা, গণতন্ত্র।