পটভূমি
প্রথম বিশ্ব মহাযুদ্ধের সময় বার্লিন কমিটি, জার্মান ও টার্কিশ প্রতিনিধি নিয়ে “কাবুল মিশন” তৈরি কটন কিছু ভারতীয় স্বাধীনতা সংগ্রামী। এর নেতৃত্বে ছিলেন প্রখ্যাত মার্ক্সিস্ট বিপ্লবী রাজা মহেন্দ্র প্রতাপ। নভেম্বর বিপ্লবে অনুপ্রাণিত হয়ে ইনি রাশিয়া তে গিয়ে ট্রটস্কি এর সাথে সাক্ষাৎ করেন। ডিসেম্বর ১,১৯১৫ সালে কাবুল এ অস্থায়ী ভারত সরকার বা The Provisional Government of India স্থাপিত হয়। এর উদ্দেশ্য ছিল ভারতের স্বাধীনতা সংগ্রামে আফগানিস্তান, রাশিয়া, চীন ও জাপানের সমর্থন আদায় করা।
এই সরকারের যাঁরা সদস্য ছিলেন
মহেন্দ্রপ্রতাপ (রাষ্ট্রপতি)
মৌলানা বরকতউল্লাহ (প্রধানমন্ত্রী)
দেওবন্দী মৌলবী উবায়দুল্লাহ সিন্ধি (গৃহমন্ত্রী)
মৌলবী বশির (সমর মন্ত্রী)
চম্পকরাম পিল্লাই (বিদেশমন্ত্রী) ইত্যাদি।
১৯১৯ সালে আফগান আমির ব্রিটিশ সরকারের চাপের কাছে নতিস্বীকার করেন ফলে সরকার আফগানিস্তান ছাড়তে বাধ্য হয়।
এর পরে ১৯৪২ সালের ১৭ই ডিসেম্বর, সতীশ সামন্ত এর নেতৃত্বে এই বাংলার মাটিতে তৈরি হয় তাম্রলিপ্ত জাতীয় সরকার।
এর অনেক পরে অক্টোবর ২১, ১৯৪৩ সালে “মুক্ত ভারতের অস্থায়ী সরকার” বা ‘Provisional Government of Free India‘ বা ‘আর্জি হুকুমতে আজাদ হিন্দ‘ সরকার গঠিত হয়। এই সরকারকেই কেউ কেউ ভারতের প্রথম স্বাধীন সরকার বলতে চাইছেন।
রোমে জাপান, ইতালি ও সুভাষ বোসের এক ত্রিপাক্ষিক বৈঠকে এই “স্বাধীন” সরকার গঠন এর আইডিয়াটা প্রথম তোলেন বিখ্যাত ফ্যাসিস্ট মুসোলিনি। তার ভাষায় ‘প্রতি-সরকার’ বা কাউন্টার গভর্নমেন্ট। টেলিগ্রাম করে জানানোর পরে এই আইডিয়াটা আরেক বিখ্যাত ফ্যাসিস্ট গোয়েবলস এর বিশেষ পছন্দ হয় নি। তাঁর ভাষায়
“We don’t like this idea very much, since we do not think the time has yet come for such a political manoeuvre. It does appear though that the Japanese are very eager for some such step. However, emigre governments must not live too long in a vacuum. Unless they have some actuality to support them, they only exist in the realm of theory”
গোয়েবলস এর ডায়েরির এই লাইনগুলি থেকে স্পষ্ট যে জাপান খুব উৎসাহী ছিল। [সূত্রঃ ১]
এই আজাদ হিন্দ সরকার নাকি রাষ্ট্রবিজ্ঞানের নিয়ম অনুযায়ী প্রকৃত সরকার। তার মূল কারণ দুটি। প্রথমত: আন্তর্জাতিক স্বীকৃতিলাভ। জাপান, জার্মান, ইতালি, ফিলিপিন্স, বার্মা ও ক্রোয়েশিয়া এই কটি দেশ স্বীকৃতি দিয়ে ছিল। নামগুলো লক্ষ্য করার মতো।
দ্বিতীয়তঃ স্বাধীন সরকার গঠনের অন্যতম শর্ত হল স্বাধীন ভূখণ্ড। সেটাও জুটে গেছিল। শহীদ ও স্বরাজ দ্বীপ। পতাকা, ডাকটিকিট ছাপা, নোট ছাপা – এসব তো পকেটে পয়সা থাকলেই হয়।
‘স্বাধীন’ ভুখণ্ড জোগাড়ের ইতিহাস
ফেব্রুয়ারি ১৯৪২ সালে মালয় ও সিঙ্গাপুরে ব্রিটিশ বাহিনী জাপানের হাতে অসম্মানজনক ভাবে পরাজিত হয়। জাপানি ইমপিরিয়াল ফোর্সের হাতে দ্বীপপুঞ্জের প্রায় ২৭,০০০ অধিবাসীকে ফেলে রেখে ব্রিটিশরা মূল ভূখণ্ডে পালায়। জাপান বাহিনী ২৩শে মার্চ, ১৯৪২ সালে পোর্ট ব্লেয়ার দখল করে। [সূত্রঃ ২]
২৬ শে মার্চ , ১৯৪২ পোর্ট ব্লেয়ারের পতন হয়। তখন ভারতীয়দের বলা হয় রাসবিহারী বসুর ইন্ডিপেনেডেন্স লীগে জয়েন করে বৃটিশ বিরোধি মিলিশিয়া ও পিস কমিটি তৈরী করতে। এই পিস কমিটিতে ছিলেন মূলতঃ স্থানীয় বুদ্ধিজীবীরা (ডাক্তার, অফিসিয়াল ইত্যাদি)। ডঃ দিওয়ান সিং এর নেতা ছিলেন। পরবর্তী কয়েকমাস এরা স্থানীয় মানুষজনের দুর্দশা কমানোর জন্য জাপানিদের সাথে যথা সম্ভব সহযোগিতা করে। [সূত্রঃ ৩]
কিন্তু বিশেষ লাভ হয়নি। অক্টোবর ১৯৪২ এ নিকবরীদের দিয়ে ফোর্সড লেবার হিসেবে লাম্বা লাইনে রানওয়ে তৈরি করানো হয় সেই কুখ্যাত “ডেথ রেলওয়ের অনুকরণে। যে রানওয়েতে কিছুদিন বাদে নেতাজির প্লেন অবতরণ করবে যাতে তিনি ভারতের “স্বাধীন” অংশ সার্ভে করতে পারেন। [সূত্রঃ ৪]
তারপরে “স্পাই” বদনাম দিয়ে মাস এরেস্ট করে সেলুলার জেলে ঢোকানো হয় প্রায় তিনশ মানুষ কে। সঙ্গে অত্যাচার ফ্রি। এদের ৭ জন কে গুলি করে মারা হয় যাদের মধ্যে ছিলেন নারায়ণ রাও, সুপারিনটেনডেন্ট অফ পুলিশ, ইট্টার সিং, ডেপুটি সুপারিনটেনডেন্ট, সুবেদার সুবে সিং, মিলিটারি পুলিশ এবং ডাঃ সুরেন্দ্র নাগ।
আদতে এই মিলিশিয়াকে জোর করা হয়েছিল, স্থানীয় মেয়েদের জাপানী সেনাদের জন্য কম্ফোর্ট গার্ল হিসাবে তুলে দিতে। আর মিলিটারির জন্য স্থানীয়দের শ্রমদান বাধ্যতা মূলক করতে। ফলে লীগের কিছু মেম্বার বিদ্রোহ করে এবং তাদের জাপানী সেনারা মেরে ফেলে। তাদের মধ্যে ইন্ডিপেন্ডেন্সে লীগের নেতা ড: দিওয়ান সিং ও ছিলেন। যাকে নৃশংস ভাবে পিটিয়ে মেরেছিল জাপানী সেনারা। কারন তিনি স্থানীয় মেয়েদের জোর করে তুলে নিয়ে যাওয়ার প্রতিবাদ করেছিলেন। [সূত্রঃ ৫]
সরকার গঠন
২১শে অক্টোবর, ১৯৪৩ সালে অস্থায়ী সরকার (The Provisional Government of Free India) গঠিত হয়। আরেকটি নাম আর্জি হুকুমতে হিন্দ। নেতাজি এই সরকারের রাষ্ট্রপ্রধান, প্রধানমন্ত্রী, সমরমন্ত্রী ও বিদেশমন্ত্রী ঘোষিত হন। বিখ্যাত স্ত্রীরোগ বিশেষজ্ঞ ক্যাপ্টেন (পরে কর্নেল) ডাঃ লক্ষী স্বামীনাথন মহিলা দপ্তর বিষয়ক মন্ত্রী হন।
মন্ত্রীসভার অন্যান্য সদস্যরা হলেন: শ্রী এস এ আইয়ার (তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রক); লেফটেন্যান্ট কর্নেল (পরে মেজর জেনারেল এ সি চ্যাটার্জি (বিত্ত মন্ত্রক)। সেনাবাহিনীর পক্ষ থেকে :লেফটেন্যান্ট কর্নেল (পরে মেজর জেনারেল) আজিজ আহমেদ; লেফটেন্যান্ট কর্নেল (পরে কর্নেল) এন সি ভগত; লেফটেন্যান্ট কর্নেল (পরে মেজর জেনারেল ও চিফ অফ জেনারেল স্টাফ) জে কে ভোঁসলে; লেফটেন্যান্ট কর্নেল (পরে কর্নেল গুইজরা সিং; লেফটেন্যান্ট কর্নেল (পরে মেজর জেনারেল) এম জেড কিয়ানী; লেফটেন্যান্ট কর্নেল (পরে কর্নেল) এহসান কাদির; লেফটেন্যান্ট কর্নেল (পরে মেজর জেনারেল শাহনওয়াজ খান; ও লেফটেন্যান্ট কর্নেল (পরে মেজর জেনারেল) লগানাথন।
শ্রী এ এন সহায় মন্ত্রী পদমর্যাদার সচিব। সর্বশ্রী করিম গনি, দেবনাথ দাস, ডি এম খান, এ ইয়েলাপ্পা, জে থিবী এবং সর্দার ইসার সিং উপদেষ্টামণ্ডলী তে এবং শ্রী এ এন সরকার আইনি পরামর্শদাতা হিসেবে নিযুক্ত হন। [সূত্রঃ ৬]
প্রাপ্ত তথ্যের ভিত্তিতে জানা যায় যে নেতাজিকে ক্রমাগত জেনারেল তোজোকে খোঁচাতে হত যাতে জাপানের হাতে পতন হওয়া আন্দামান ও নিকোবরে নেতাজির প্রশাসন চালু হয় এবং পরবর্তীতে প্রশাসনের অন্তত কিছু অংশ যাতে “ভারতীয়” তত্ত্বাবধানে থাকে।
যখন সেই “স্বাধীনতা” লাভ হল তখন তার সাথে সিরিয়াস ক্যাভিয়েট ছিল। নেতাজি নিজে জাপানি প্রশাসনের প্রধান এডমিরাল ইসিকাওয়ার সাথে টেবিলের উল্টোদিকে বসে রচনা করেছিলেন জাপানি স্বার্থ কে মাথায় রেখে, বলা যায় করতে বাধ্য হয়েছিলেন। “শহীদ” ও “স্বরাজ” দ্বীপে আজাদ ভারত সরকার চলছে এই ঘটনাটির সামরিক, রাজনৈতিক, কূটনৈতিক ও মনোবৈজ্ঞানিক অভিঘাত সম্পর্কে নেতাজির চেয়ে ভালো কেউ জানতেন না। [সূত্রঃ ৭]
৫ই নভেম্বর, ১৯৪৩ সালে নেতাজি জাপানের পার্লামেন্ট “ডায়েট”কে সম্বোধিত করেন। তার বক্তব্যের শেষে জাপানি প্রধানমন্ত্রী হিদেকি তোজো ঘোষণা করেন যে জাপান ওই দ্বীপ দুটি অস্থায়ী সরকার কে হস্তান্তর করবে।
২৬শে নভেম্বর, ১৯৪৩ সালে সিঙ্গাপুরে নেতাজি গণমাধ্যমের কাছে ঘোষণা করেন যে অস্থায়ী সরকার আন্দামান কে “শহীদ” ও নিকোবর কে “স্বরাজ” দ্বীপ নামে নামাঙ্কিত করছে। এইভাবে অস্থায়ী সরকার প্রথমবার তার নিজস্ব ভূখণ্ডের অধিকারী হয়।
২৯শে ডিসেম্বর, ১৯৪৩ সালে নেতাজি আন্দামানে আসেন। ৩০ তারিখে ত্রিবর্ন পতাকা উত্তোলন করেন ও সেলুলার জেল পরিদর্শন করেন। [সূত্রঃ ৮]
কেমন স্বাধীন ভুখন্ড:
তার সাধের স্বরাজ ও শহীদ দ্বীপে নেতাজি আর পা দেন নি কোনো দিন। সেই প্রথম। সেই শেষ। সেলুলার জেলে বন্দী ভারতীয় দেশপ্রেমিক দের দুর্দশার কথা স্হানীয় জনগণ তাকে জানানোর চেষ্টা করেও ব্যর্থ হন, কারণ জাপানিরা তার কাছে ওদের ঘেঁষতে দেয় নি। নেতাজিও বাড়তি উদ্যোগ নেন নি। ব্যস্ত মানুষ ছিলেন। [সূত্রঃ ৯]
৬ই জানুয়ারি, ১৯৪৪ সালে অস্থায়ী সরকারের প্রধানমন্ত্রী হিসেব নেতাজি মেজর জেনারেল (তখন লেফটেন্যান্ট কর্নেল) লগানাথন কে আন্দামান ও নিকোবর দ্বীপপুঞ্জের গভর্নর (চিফ কমিশনার) পদে নিযুক্ত করেন। [সূত্রঃ ১০]
২২শে ফেব্রুয়ারি, ১৯৪৪ তিনি আরো চার জন আইএনএ অফিসার অর্থাৎ মেজর মনসুর আলি আলভি, সুবেদার লেফটেন্যান্ট মহম্মদ ইকবাল, লেফটেন্যান্ট সুবা সিং এবং স্টেনো শ্রীনিবাসন কে সঙ্গে নিয়ে পোর্ট ব্লেয়ারের লামবালাইন এয়ারপোর্ট এ নামেন। ২১শে মার্চ, ১৯৪৪ তারিখে এবার্ডিন বাজারের গুরুদ্বার এর কাছে সিভিল এডমিনিষ্ট্রেশনের হেড কোয়ার্টার স্থাপিত হয়। [সূত্রঃ ১১]
তার ১৫ই মার্চ, ১৯৪৪ সালে নেতাজিকে পাঠানো প্রতিবেদনে জেনারেল লগানাথন ২১শে ফেব্রুয়ারি অস্থায়ী সরকারের প্রথম বর্ষপূর্তি উপলক্ষে অনুষ্ঠিত এক বর্ণাঢ্য শোভাযাত্রার কথা জানান এবং তার পরের শনিবার বার্মার আরাকান সেক্টরে বিজয় উপলক্ষ্যে মিছিলের কথাও জানান।
একই প্রতিবেদনে তিনি বিভিন্ন সরবরাহ যেমন ওষুধপত্র, কাগজপত্র, কাটলারির সরবরাহের ঘাটতির কথা জানান। “সবরকমের খাবারদাবারের ঘাটতি দেখা দিয়েছে। জনগণের জন্য সুষম খাদ্যের ব্যবস্থা করার সম্ভাবনা ক্ষীণ। ডিসেন্ত্রী এপিডেমিকের মোকাবিলা করার ওষুধেরও প্রয়োজন।”
২১শে জুন, ১৯৪৪ সালে নেতাজি লগানাথন কে লেখেন, ” আমি তোমার সাথে এ বিষয়ে সম্পূর্ণ সহমত যে পুলিশ পাওয়ার ছাড়া তুমি অধিবাসী জনগণের চোখে কোনো মর্যাদা পাবে না। তুমি কর্তৃপক্ষকে জানাতে পারো যে প্রশাসনের হস্তান্তর প্রক্রিয়ার প্রোগ্রেস নিয়ে আমি অত্যন্ত অসন্তুষ্ট।”[সূত্রঃ ১২]
আন্দামান নিকবরের “স্বাধীন” সরকারের আমলে ঘটে যাওয়া ঘটনাগুলি অনুধাবন করতে গেলে কেবল নেতাজি নয়, মেজর জেনারেল আর্কট দোরাইস্বামী লগানাথন চরিত্রটিকে একটু জানা দরকার।
তার সহকর্মীর ভাষায়, “এই লাইনগুলি লিখতে বসে আমার মনে পড়ছে তার দীর্ঘ অনুপ্রেরণা জাগানো ব্যক্তিত্বের কথা, সাহসে ভরপুর, আত্মত্যাগে টগবগে, রসিক, বুদ্ধিমান, ডিউটি থেকে কখনও পিছু না হটা। এই মহান মানুষটি তার ভগ্নস্বাস্থ্য (ক্রনিক আলসারের রুগী) স্বত্বেও সবচেয়ে কঠিন দ্বায়িত্ব, আন্দামান নিকোবর এর গভর্নর এর ভার গ্রহণ করেছিলেন।
সহকর্মী আরো লিখছেন, “ভগ্নস্বাস্থ্য ও জাপানি ফোর্সের অসহযোগিতার জন্য তার কাজ কঠিন থেকে কঠিনতর হওয়া সত্ত্বেও তিনি দাঁড়িয়ে ছিলেন। এর পরে তিনি নেতাজির রেঙ্গুন থেকে প্রস্থানের পর বার্মা কম্যান্ডের জি ও সি হিসেবে কাজ করেন।” [সূত্রঃ ১৩]
যুদ্ধের পর লগানাথন কবুল করে যে তাকে জাপানিরা কেবল মাত্র “শিক্ষা দপ্তর”টি স্বাধীন ভাবে চালাতে দিয়ে ছিল। পুলিশ সহ বাকি সব কিছুই জাপ নিয়ন্ত্রণ এ ছিল।
এই “স্বাধীন” সরকারের শাসনকালেই ঘটে Homfreyganj গণহত্যা। ৩০ সে জানুয়ারি, ১৯৪৪ সালে ৪৪ জন অসামরিক মানুষ কে গুপ্তচর সন্দেহে জাপরা গুলি করে মারে। এদের অনেকেই ছিলেন ইন্ডিয়ান ইন্ডিপেন্ডেস লীগ এর সদস্য। [সূত্রঃ ১৪]
২রা অক্টোবর, ১৯৪৪ সালে কর্নেল লগানাথন ভগ্ন হৃদয় ও ভগ্ন স্বাস্থ্য নিয়ে মেজর আলভীকে দায়িত্বভার বুঝিয়ে পোর্ট ব্লেয়ার ছাড়েন আর কোনোদিন ফিরে আসেন নি।
৭ই অক্টোবর, ১৯৪৫ সালে জাপ ভাইস এডমিরাল হারা তেইজো এবং মেজর জেনারেল তামেনোরি সাতো ব্রিটিশ ও ভারতীয় সেনার ১১৬তম ইন্ডিয়ান ইনফ্যান্ত্রী ব্রিগেড এর কাছে পোর্ট ব্লেয়ার এ আত্মসমর্পণ করেন ও দ্বীপের “স্বাধীন” সরকারের পতন ঘটে। [সূত্রঃ ১৫]
এই সরকার এর রাজত্বকালে জাপ দখলদারির ফলে মোটামুটি ২০০০ নাগরিক মারা যায়, শ পাঁচেক এর ওপর অত্যাচারিত হন। [সূত্রঃ ১৬]
তথ্যের আলোতে বিচার করতেই হবে দেশের প্রথম স্বাধীন সরকার কতটা স্বাধীন ছিল এবং অক্ষশক্তি যদি দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধে জয়লাভ করতো তাহলে ভারত কতটা স্বাধীন থাকতে পারতো।
তথ্যসূত্রঃ
০১) রোমেন হেইজ: বোস ইন নাৎসি জার্মানি
০২) সি. শ্রীনিবাসন, অর্গানাইজার, ৩১শে ডিসেম্বর, ২০১৮
০৩) আর ভি আর মুর্থি: আন্দামান এন্ড নিকোবার আইল্যান্ডস: এ সাগা অফ ফ্রিডম স্ট্রাগল পৃষ্টা ১৫৩
০৪) শ্রীনিবাসন, প্রাগুক্ত;
০৫) মুর্থি, প্রাগুক্ত, পৃষ্টা ১৫৪
০৬) কর্নেল গুরবক্স সিং ধিলন, দি লাস্ট স্ট্র দ্যাট ব্রোক দা ব্যাক অফ ব্রিটিশ এম্পায়ার, ১লা জানুয়ারি, ১৯৭১;
০৭) ভি সুদর্শন, দ্যা হিন্দু, ২৫শে সেপ্টেম্বর, ২০১৫
০৮) শ্রীনিবাসন, প্রাগুক্ত;
০৯) মুর্থি, প্রাগুক্ত, পৃষ্টা ১৫৫
১০) শ্রীনিবাসন, প্রাগুক্ত;
১১) সরকারি ওয়েবসাইট;
১২) শ্রীনিবাসন, প্রাগুক্ত;
১৩) গুরুবক্স সিং ধিলন, প্রাগুক্ত;
১৪) মুর্থি, প্রাগুক্ত, পৃষ্টা ১১৫
১৫) সরকারি ওয়েবসাইট;
১৬) মুর্থি, প্রাগুক্ত।