পাকিস্তান নামের এক বর্বর, সন্ত্রাসী, জঙ্গি দেশটি পৃথিবীর মানচিত্র থেকে উঠে যাবে, এটা ভেবে আমার শান্তি লাগছে।
যারা ভাবছেন- কীভাবে? তাঁদেরকে পুরো লেখাটা পড়ার জন্য অনুরোধ করছি।
এবারের সংগ্রাম মুক্তির সংগ্রাম, এবারের সংগ্রাম #বেলুচিস্তানের স্বাধীনতার সংগ্রাম।
যারা ১৯৭১ সনে পাকিস্তানের সাথে মুক্তিযুদ্ধে সক্রিয় অংশগ্রহণ করতে না পারার দুঃখে নিজের হাত পা এখনো কামড়াচ্ছেন, তাঁদের জন্য সেই যুদ্ধের শেষ অংশটা নীতিগতভাবে করার একটা সুযোগ এসেছে। এবং এটা আমাদের ইতিহাসের প্রতি, মুক্তিযোদ্ধাদের প্রতি, বীরাঙ্গনাদের প্রতি একটি মানবিক, নাগরিক, রাষ্ট্রীয় দায়বদ্ধতার জায়গা থেকে যুদ্ধ।
যারা আমাদের ৩০,০০০০০ মানুষ হত্যা করেছে, ১,০০০০০ নারী ধর্ষণ করেছে এবং এখনো রাষ্ট্রীয়ভাবে আমাদের কাছে ক্ষমা চায় নি, বরং ২০১৭ ফেব্রুয়ারির পাকিস্তানের টেলিভিশন টকশো’তেও শেখ মুজিবুর রহমান’কে এখনো গাদ্দার বলে গালি দেয়। বাংলাদেশের স্বাধীনতা যুদ্ধের অর্জনকে পাকিস্তানিদের বুকের বোঝা নেমে যাওয়ার মতো তাচ্ছিল্য করে দেখে। তাদের সাথে আমাদের নীতিগত লড়াইটা তাহলে এখনোতো ফুরিয়ে যায় নি।
ভণ্ড- মূর্খ- ব্যর্থ- এই টেরোরিস্ট রাষ্ট্র পাকিস্তান, বেলুচিস্তানের সাথেও বাংলাদেশের মতো আচরণ শুরু করেছে। বহুদিন ধরে পাকিস্তানের বেলুচিস্তানে ১৯৭১ সালের মতো গণহত্যা চলছে। দরিদ্র বেলুচরা স্বাধীনতা চাইছে। তাঁরা এই ভণ্ড জালিম পাকিস্তান সরকারকে স্বীকার করে না। পাকিস্তানি আর্মিদের অত্যাচারে, দূর্নীতিতে বেলুচ জনগণের জীবন অতিষ্ঠ। বেলুচ নারীদের ধর্ষণ করা হচ্ছে, বাচ্চাদের তুলে নেয়া হচ্ছে ঘর থেকে, বেলুচ পুরুষদেরকে গুলি করে মারছে এই পাকিস্তানের পাঞ্জাবী আর্মিরা।
বেলুচ জনগণ টিভি মিডিয়ায় বলছে- ১৯৭১ সালে পাকিস্তান আর্মি যেমন আল শামস, আল বদর, রাজাকার বাহিনী গঠন করে বাংলাদেশে গণহত্যা চালিয়েছে ঠিক একইভাবে বর্তমানে সেটা চালাচ্ছে বেলুচে।
বাংলাদেশের সাথে যে বৈষম্যমূলক আচরণ পাকিস্তান ১৯৭১ সালে করেছে ঠিক একই কাজ বেলুচদের সাথেও করছে।
বেলুচিস্তান পাকিস্তানের মোট আয়তনের ৪৬ %। বেলুচিস্তানের গ্যাসফিল্ড পাকিস্তানের গ্যাসের চাহিদার সবচেয়ে বড় অংশ পূরণ করে। অথচ বেলুচদের অবস্থা বদলায় না। সব ডেভোলপমেন্ট পশ্চিম পাকিস্তানেই হয়। আমি কিছু তথ্য সরাসরি ইংরেজিতে তুলে দিলাম-
…but that’s not the case. The 75 sq.km Lasbela Plains are fertile, and so are the areas in NE Balochistan (e.g. Quetta—fruit-growing region). And there’s a lot of mineral wealth in the province. A major part of the gas in Pakistan comes from the Sui gas field near Sibi in Balochistan, leading natural gas to be called “Sui gas” in Pakistan. Antimony is found around Zhob, sulfur around Koh-e-Sultan, and major gold (and copper) deposits are found at Reko Diq/Saindak. Yet, resources remain under-utilized (or in the case of “Sui gas”, very little gas is supplied in Balochistan. Yet a major part of Punjab has gas connections).
Then comes Gwadar, and infrastructure. Balochistan has the lowest road density in Pakistan, and no major rail connection (apart from Karachi–Quetta—Iran), even on the Makran coast, where there is little technical difficulity in installing the lines. Gwadar can be the next Dubai, but Balochis are not a major beneficiary of the Gwadar project.
Then we have military highhandedness and the infamous “missing persons”. The military carried out operations in 1948 (under Jinnah’s rule, I think), in the ’70s (ZA Bhutto), and in the 21st century (Gen Musharraf). Also, people have been abducted (most probably by FC) and gone “missing” in Balochistan. Bodies have been found years later.
- 70% girls are dropped out from schools in Balochistan.
- The overall female literacy rate is 25% which is not satisfying.
- More than 40% girls never go to schools.
- In 2013, 64% rural areas females’ population never went to school in Balochistan.
- No doubt, the ratio of out of school children is rising.
- Women find it hard to get education, as in rural areas no separate schooling is present.
- They are the victims of the violence as they are not allowed to go outside, but work and sew clothes at home.
মেডিক্যালের এক মেয়ে স্টুডেন্ট বলছে- ম্যায় পাকিস্তানি নেহি হু, ম্যায় বেলুচিস্তানি হু, মেরি পেহচান বেলুচ হ্যায়। অর্থঃ আমি পাকিস্তানি না, আমি একজন বেলুচিস্তানি, আমার পরিচয়- আমি বেলুচ।
https://www.youtube.com/watch?v=TzBiu8IerbY&t=280s
করিমা বেলুচ একজন পাক আর্মির হাতে অত্যাচারের স্বীকার হওয়া নারী। তিনি বলেন-
পাকিস্তান কি হাত মাজবুত জো কোয়ি ভি কারে, ম্যায় সামাঝতি হু- বালুচ জেনোসাইড ম্যায় উসকা বারাবার কা হিসসা হ্যায়। অর্থঃ পাকিস্তানের হাত যে কেউ মজবুত করবে, আমি মনে করি বেলুচ জেনোসাইডে সেও সমান অংশীদার।
এই লিঙ্ক এ দেখুন কিভাবে সেই ১৯৭১ এর কায়দায় চোখ বেঁধে তাঁদেরকে হত্যা করা হচ্ছে।
https://www.youtube.com/watch?v=KdfOgiCAe2Y
পাকিস্তানের মিডিয়া’কে পাকিস্তানের আর্মি আর আইএসআই মিলে যতটা সম্ভব নিয়ন্ত্রণ করার চেষ্টা করছে, যাতে এই অত্যাচার এবং গণহত্যা বিশ্বের কাছে না প্রকাশ পায়।
তবুও এই বিধি নিষেধের ফাঁকে পাকিস্তানের টিভি চ্যানেল এই নিউজ যতটুকু পারছে কভার করছে।
https://www.youtube.com/watch?v=uHMkpE1INZo
সাউথ এশিয়া টেলিভিশন চ্যানেলকে দেয়া সাক্ষাতকারে বেলুচ রিপাব্লিকান পার্টি (বি আর পি) এর নেতা ডক্টর হাকিম লেহেরি বলছেন-
পাকিস্তানের আর্মি আমাদের ডাক্তার, উকিল, পড়ালেখা জানা লোক জনকে তুলে নিয়ে যাচ্ছে, এখানে সেখানে তাঁদের লাশ পাওয়া যাচ্ছে। এটা এখন আমাদের স্বাধীনতার যুদ্ধ, এই যুদ্ধ’কে থামিয়ে দেবার ক্ষমতা পাক আর্মির নেই।
https://www.youtube.com/watch?v=uHMkpE1INZo
মির হুসেইন বেলুচ ( ন্যাশনাল লিডার বেলুচিস্তান) বলছেন-
বেলুচের সকল বয়েসি নারী পুরুষ স্বাধীনতার জন্য কষ্ট করছে, প্রতিদিন ৫/১০ তরুণ বেলুচের লাশ আমরা খুঁজে পাই। পূর্ব পাকিস্তানের সাথে পাকিস্তানের আর্মি তখন যা করেছিলো এখানেই তাই করছে। আল শামস, আল বদর বাহিনীর ইতিহাস এইখানে পূনরাবৃত্তি করছে।
আল যাজিরা, বিবিসি সবাই নিউজ কভার করার চেষ্টা করছে। এইখানে এক যুদ্ধাহত বেলুচের শেষ মুহূর্তের কিছু কথা দেখুন। সে জানে সে মারা যাচ্ছে তবুও স্বাধীনতার কথা বলে যাচ্ছে।
https://www.youtube.com/watch?v=auMsplDzym0
[Missing Link]
এইবার পাকিস্তানিদের নিয়ে কিছু তিতা কথা বলি।
পাকিস্তান আসলে কোনও দেশ না। এটা হচ্ছে ভারতীয় সংস্কৃতির বিরুদ্ধে কিছু হিপোক্রেট মুসলিমদের অঞ্চল। যে যত বড় ভণ্ড মুসলমান সে আসলে তত বড় পাকিস্তানি। এদের জাতির পিতা জিন্নাহ। যেই জিন্নাহ মদ খায়, শূকরের মাংসও খায় আবার মুসলমানদের ধর্মীও উস্কানি দিয়ে দেশও ভাগ করে। আর ভণ্ড পাকিস্তানিগুলি এইসব জেনেও একটি কথা বলে না। এদের বেশিরভাগ আর্মি জেনারেলগুলি হুইস্কি খায় কিন্তু ব্লাসফেমি আইনও কায়েম করে। এরা আসলে কোনও কিছুই বিশ্বাস করে না। এদের আর্মি জেনারেলগুলি প্রায় সবাই বিলিয়নিয়ার। অথচ তাঁদের জনগণ ভিক্ষা করে চলে। দুর্নীতিতে এরা বিশ্ব চ্যাম্পিয়ন হয়।
এরা মুসলমান হয়েও তৎকালীন পূর্ব পাকিস্তানের মুসলমানদের হত্যা করতে পারে। অসহায় দরিদ্র নারীদের ধর্ষণ করতে পারে। ভণ্ড মোল্লারা ফতোয়া দেয়- গণিমতের মাল যুদ্ধে হালাল। পাকিস্তানের প্রতিটি মুসলমান আমেরিকা বিরোধী, কিন্তু আমেরিকার টাকা নিতে এদের আপত্তি নাই। তাঁরা সৌদিকে গুরু মানে- কিন্তু সৌদির আমেরিকা প্রীতি নিয়ে একটা কথাও বলে না। ভারতে মুসলমানের গরু খাওয়া নিয়ে কোনও অপ্রীতিকর ঘটনায় তারা ভারতের বিরুদ্ধে সারাক্ষণ গালাগালি করে। অথচ চীন, চীনের মুসলমানদের রোজার সময় ৫/৬ ঘণ্টা করে বেঁধে দিলে পাকিস্তানের মুখে চীনের বিরুদ্ধে একটা সমালোচনাও বের হয় না। পাকিস্তানিরা ইসলাম কায়েম করতে চায় আবার যেই দেশকে সবচেয়ে ঘৃণা করে সেই ইহুদি নাসারার দেশ আমেরিকা যাবার জন্যই লাইন ধরে।
এরা যে রাজধানী লাহোরে থাকে সেটা রামের ছেলের নামে। অথচ এই শহরে একজনও আর হিন্দু নাই। যত হিন্দু ছিল সব ভারতে চলে গেছে। তারা তাদের দেশে অন্য ধর্মের কাউকে থাকতে দেয়নি। হিন্দু, বৌদ্ধ, ইহুদি সব তাড়িয়েছে। যেই ধর্মের নামে পাকিস্তান দেশ ভাগ করলো সেই মুসলমানরা ঠিকই হিন্দুস্থানে ১৮৯ মিলিয়ন লোক এখনো বসবাস করে। ভারত কিন্তু তাদের পাকিস্তানে তাড়িয়ে দেয় নি। পাকিস্তানের এক নেতা সাক্ষাৎকারে বলেছে- আমাদেরকে বিশ্ব টলারেট করে কীভাবে? আমাদের পাকিস্তানেতো কোনও টলারেন্স নাই। 9/11 এর ঘটনা যদি পাকিস্তানের সাথে ঘটতো অর্থাৎ কোনও অন্য ধর্মের মানুষ এটা করতো, পাকিস্তান তো তাহলে পাকিস্তানের অন্য ধর্মের লোক সব ট্যাংক নামিয়ে মেরে ফেলতো। ইন্ডিয়া নামের যে দেশ যে সভ্যতা ইন্দুস বা সিন্ধু নদীর তীরে তৈরি হয়েছিলো সেই অঞ্চলকে মূল ইন্ডিয়া থেকে কেটে নিয়ে নিলো। ভারত বলতে বোঝাতোই সিন্ধু নদের পাশের অঞ্চল। মহাভারত যেখানে লেখা হয়েছে সেই অঞ্চল এখন পাকিস্তানে। এখন তাঁরাই মূলত ভারতীয়। ভারতের একটা হাত তারা সেই পাশে কেটে নিলো যেখানে ভারতের মূল পরিচয়। অর্থাৎ, কল্পনা করে দেখুন মক্কায় কোনও মুসলমান নেই! মক্কা থেকে মুসলমানদের অন্য ধর্মের মানুষ এসে তাড়িয়ে দিলে মুসলমানদের যেমন লাগতো, ঠিক সিন্ধু উপত্যকা থেকে হিন্দুদের তাড়িয়ে পাকিস্তান সেই অনুভূতিটাই ভারতকে দিয়েছে। পূর্ব-বঙ্গ বৌদ্ধ সভ্যতার পীঠস্থান। ভারতীয় সভ্যতার আরেক সমৃদ্ধ অঞ্চল। গঙ্গা যমুনার তীর। সেই চর্যাপদ, নালন্দা বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রসিদ্ধ অঞ্চল যারা হাজার হাজার বছরের একটি বাঙালি জাতি। সেই গঙ্গা যমুনা আর বঙ্গকেও তাঁরা ধর্মের নামে কেটে দিলো। ভারতের দুই পাশের দুই নদী- দুই হাত এই পাকিস্তান কেটে নিয়েছে। আর তাঁরা বলে বেড়ায় ভারত তাঁদের শত্রু। হায়!
পাকিস্তান এমন কিছু সুবিধাবাদী মুসলিম ভণ্ডদের জাত যারা নিজেরা শান্তিতে থাকতে পারে না, অন্যকেও শান্তিতে থাকতে দেয় না। আফগানিস্তানের বারোটা বাজিয়েছে। মোল্লা ওমরকে পাকিস্তানে রেখেছে। লাদেনকে পাকিস্তানের আর্মিদের ক্যান্টনমেন্ট এড়িয়ায় সেইফহোমে রেখেছে। দাউদ ইব্রাহিমের মতো মাফিয়া পাকিস্তানে। তাঁরা ভারতের কাশ্মীরে সৈন্য পাঠায়। কাশ্মীরের বিদ্রোহী গোষ্ঠীকে অস্ত্র দেয়। সারাবিশ্বে সন্ত্রাসী এক্সপোর্ট করে। তারা ১৯৭১ সালে বাংলাদেশকে যেমন শান্তি দেয় নি। শেখ মুজিবর রহমান ইলেকশনে জিতেছে অথচ তাঁকে এসেম্বলিতে বসতে দেয় নি।
একটা ঘটনা বলি-
বাংলাদেশ যখন পাকিস্তানের সাথে ছিলো তখন আমেরিকা থেকে কিছু স্যানেটারি সাহায্য এসেছিল। বাংলাদেশের এক নেতা পাকিস্তানের মোটাগাটা গোঁফওয়ালা নেতার কাছে স্যানিটারি সাহায্য বাংলাদেশের জন্যেও চাইল। পাকিস্তানি নেতা জবাবে বলেছিল-
তোমাদের এইসব জিনিশ কেন দরকার? তোমরা কলাগাছের নিচে বসে গেলেইতো পারো।
আজ সেই কলাগাছের নিচে বসা বাংলাদেশ এখন পাকিস্তানের চেয়ে অনেক উন্নত। আমরা শিক্ষায়, জন্ম নিয়ন্ত্রণে, সন্ত্রাস দমনে, দুর্নীতির দমনের সুচকে, এক্সপোর্টে পাকিস্তানের চেয়ে অনেক এগিয়ে গিয়েছি। পাকিস্তানের মিডিয়া এখন হিসাব করে জিন্নার কওমের ওপর ভিত্তি করা টু নেশন থিওরি ভুল ছিল। তারা এখন দিন গোণে পাকিস্তান আর কতদিন অটুট থাকবে। তারা যে ভুল বাংলাদেশের সাথে করেছিল একই ভুল এখন বেলুচিস্তানের সাথেও করছে। পাকিস্তানের মুসলমানরা পৃথিবীর এক আশ্চর্য জাতি। তারা পাঞ্জাবী হয়েও পাঞ্জাবী পরিচয় মুছে ফেলতে চায়। তারা অফিসে আদালতে উর্দু বলে। তাদের কোনও স্কুলে পাঞ্জাবী ভাষায় পড়ানো হয়না, তারা পাঙ্গাবী লেখে না। তারা উর্দু বলার চেষ্টা করে। নিজের পাঞ্জাবী পরিচয় নিয়ে তারা লজ্জিত। এমন আইডেন্টিটি ক্রাইসিস বোধ করি পৃথিবীর আর কোনও জাতির নাই।
ও হ্যাঁ, আরেকটা জাতির মধ্যে আমি এই সিনড্রোম দেখতে পাই। সেটা বর্তমানের কিছু বাংলাদেশির মধ্যে। তারা নিজেদেরকে বাঙালি মনে করে না। আরবি মনে করে। তারা বাংলায় নিজেদের সন্তানের নাম রাখে না। যেই আরবরা আমাদেরকে মিসকিন বলে তুচ্ছ তাচ্ছিল্য করে, আধা মুসলমান মনে করে। সেই আরবি ভাষায় কিছু বাঙালি নিজের সন্তানের নাম রাখে। আসলে এরাও পাকিস্তানিদের ছায়া সন্তান। এদের ভাষায় উর্দু আরবির প্রকাশ, চলনে বলনে আরব অঞ্চলের ছাপ। এরাও মূলত সেইসব পাঞ্জাবীদের মতো রুটলেস। এবং পাকিস্তানিদের মতোই ভণ্ড। একবার ভাবুনতো কোনও আরব বাংলায় তার সন্তানের নাম রাখবে কোনদিন? আরবে যদি জাপানিরা এসে বলে তোমরা জাপানি ভাষায় বই পড় আমাদের কথা মতো চলো আমাদের মতো পোশাক পড়। কোনও আরবের লোক পড়বে? পৃথিবীর সমস্ত দেশ তার নিজের সংস্কৃতিকে ভাষাকে ধারণ করে তারপর তার ধর্মচর্চা করে। আমাদের নিজেদের ৫০০০ বছরের সভ্যতা থাকার পরেও কেন এই চলনে বলনে ধ্যান জ্ঞানে আরবিয় অনুকরণ? মালয়েশিয়া বা চীনে কি তাঁদের ভাষায় নাম রাখা মুসলমান নাই?
১৯৫২ সালে ভাষার জন্য রক্ত দিয়ে কেন এই বাংলা নাম আর ভাষা নিয়ে হীনমন্যতা বোধ?
ইখতিয়ার উদ্দিন মুহম্মদ বখতিয়ার খিলজি যখন নালন্দা ধ্বংস করে তখন তাকে জানানো হয় এইখানে অনেক বই। তিনি বলেন-
এক বইয়ের এতো কপি এরা কেন করছে? আমাদের মুসলমানদের তো একটা মাত্র বই।
তাকে জানানো হয় এইখানে প্রায় হান্ড্রেড থাউজেন্ড বুকস। আর একটিও কপি না, সব আলাদা আলাদা বই। তিনি এই কথা শুনে সব পুড়িয়ে ফেলতে নির্দেশ দেন। দাউ দাউ করে জ্বলে গেছে আমাদের সভ্যতার একটা বিপুল অংশ।
আমাদের পূর্ব পুরুষরা অনেক অন্যায় করেছেন। আমাদের অন্তত উচিত সত্যের পাশে থাকা। ইতিহাসের ভুল’কে জানা এবং শোধরানোর চেষ্টা করা। যেই অন্যায় করেছিলো দস্যু লুটেরা বখতিয়ার সেই ভুলের মাশুল দিতে হয়েছে লক্ষ লক্ষ বৌদ্ধ ভিক্ষুদের এই অঞ্চলের হিন্দুদের তাঁদের প্রাণের বিনিময়ে। যেই ভুল করেছিল জিন্নাহ আর তৎকালীন পূর্ব-পাকিস্তানের গাদ্দার মুসলিম লীগের নেতারা তার মাশুল আর দায় দিয়েছে ১,৫০,০০০০০ লোকের গৃহহীন হওয়া সাধারণ জনগণ আর ১০,০০০০ লোকের মৃত্যুর মধ্যে দিয়ে। বায়ান্নতে সেই দায় টেনেছি তারপর ১৯৭১ এ ৩০,০০০০ প্রাণ, ১,০০০০ মা বোনের ইজ্জত, ১,০০০০০০০ গৃহহীন মানুষ দিয়ে চুকিয়েছি। আর কতো? হ্যাড এনাফ। এখন এই দানব পাকিস্তানকে থামানোর সময় হয়েছে।
পাকিস্তান নামের এই ভণ্ড মূর্খ সন্ত্রাসী জঙ্গি রাষ্ট্রের হাত থেকে বিশ্ব মানবতাকে বাঁচাতে আমাদের নিহত সকল পূর্ব পুরুষের জীবনের প্রতি সম্মান জানাতে, আমি বেলুচিস্তানের স্বাধীনতার প্রতি সংহতি প্রকাশ করছি।
বেলুচিস্তানে সংগঠিত জেনোসাইডের জন্য পাক আর্মির প্রতি প্রতিবাদ জানাতে এবং বেলুচিস্তানের স্বাধীনতার প্রতি সংহতি প্রকাশ করতে আমার সকল পাঠক বন্ধুদেরকে অনুরোধ করছি। রবি শঙ্কর, জর্জ হ্যারিসন ১৯৭১ সালে ‘স্টপ জেনোসাইড ইন বাংলাদেশ‘ এই শিরোনামে বিশ্বের কাছে কনসার্ট করে আমাদের তৎকালীন অবস্থা তুলে ধরেছিল। তাঁদের কাছ থেকে বাংলাদেশে সংঘটিত ওয়্যার ক্রাইমের কথা অনেক মানুষ জানতে পেরেছিল। অথচ এই রবি শঙ্কর, জর্জ হ্যারিসনের কী এমন দায় ছিল? শুধু মানবতাবোধ ছাড়া।
আমরা যারা পাকিস্তানিদের ক্ষমা করিনি এখনো, এই বেলুচিস্তানের গণহত্যা আর তাদের স্বাধীনতা যুদ্ধের তথ্য যথাসম্ভব শেয়ার করে সবাইকে জানিয়ে দিই। যেনো তারাও আমাদের মতো পাক আর্মিকে একটা উচিত জবাব দিতে পারে।
পাকিস্তান যথেষ্ট ঝামেলা পাকিয়েছে এই উপমহাদেশে, আর নাহ।
বেলুচিস্তান জিন্দাবাদ, পাকিস্তান মুর্দাবাদ।
নভেম্বর ১, ২০১৭; ৭:০৮ অপরাহ্ন
বাংলাদেশ সফল রাষ্ট্র হলেও দুর্নীতিতে পাকিস্তানের চেয়ে সামান্য এগিয়ে। পাক – ১১৬, বাং – ১৪৫ (২০১৬)।