প্রগতিশীল মুহম্মদ

1 মতামত পাওয়া গেছে

নবী মুহাম্মদ কারও উপর ইসলাম চাপিয়ে দেয় নি কথাটা সঠিক না। কোরানে একাধিক আয়াতে (২ঃ১৯৩, ৮ঃ৩৯ ও অন্যান্য) বলা হয়েছে কাফেরদের বিরুদ্ধে যুদ্ধ চালিয়ে যেতে যতক্ষণ-না ইসলাম একমাত্র ধর্ম হিসেবে প্রতিষ্ঠিত হয়। ৯ঃ৫-৬ আয়াতে পৌত্তলিকদেরকে যেখানে পাও সেখানে হত্যার করতে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে যদি-না তারা ইসলাম গ্রহণ করে নিয়মিত নামাজ আদায় করে এবং যাকাত দেয়। নবী কিভাবে অন্য ধর্মাবলম্বীদের উপর তলোয়ারের মাধ্যমে ইসলাম চাপিয়ে দিয়েছিল তার দু’টি দৃষ্টান্তঃ
(১) ৬২৭ বা ৬২৮ সালে নবী সিরিয়ার পাদদেশে অবস্থিত দুমাত আল-জান্দাল অঞ্চলে বসবাসকারী কাল্ব নামক খৃষ্টান গোত্রের বিরুদ্ধে শিষ্য আব্দ আল-রহমানের অধীনে এক বাহিনী পাঠান। তিনি আল-রহমানকে নির্দেশ দেনঃ “In the name of Allah and in the way of Allah, fight him who believes not in Allah”। এবং তারা ইসলাম গ্রহণ করতে রাজী হলে নবী গোত্রপতি আল আস-বাগ-এর কন্যাকে বিয়ে করার আদেশ দেন আল-রহমানকে। আক্রমণের মুখে আস-বাগ ইসলাম গ্রহণ করে এবং আল-রহমান আস-বাগের কন্যা তুমাদিরকে বিয়ে করে মদীনায় নিয়ে আসেন। (Ibn Sa’d, Al Tabakat Al Kabir, II:110)
(২) ৬৩১ সালের শেষ দিকে নবী খালিদ বিন উয়ালিদের অধীনে এক বাহিনী পাঠান ইয়েমেনের কাছাকাছি নজরান অঞ্চলে। নবী খালিদকে নির্দেশ দেনঃ “to invite them to Islam for three days”, and “if they should decline, then he was to fight them”। খালিদ নজরানে পৌছে বলেন, ‘‘O people, accept Islam, and you will be safe”. (al-Tabari, The History of al-Tabari, IX:82)। আক্রমণে মুখে দেখানকার বানু আল-হারিস খৃষ্টান গোত্র ইসলাম গ্রহণ করে।
বলা আবশ্যক যে, নবীর মৃত্যুর সাথে সাথে মদীনার বাইরের সব গোত্র ইসলামের বিরুদ্ধে বিদ্রোহ করেছিল, যে বিদ্রোহ ব্যাপক রক্তক্ষয়ের মাধ্যমে দমন করেছিল খলিফা আবু বকর। মুহাম্মদের অধীনে ইসলামের মহানুভব বাণীতে অনুপ্রাণিত হয়ে ইসলাম গ্রহণ করে থাকলে এভাবে তারা বিদ্রোহ করতো না।
মুহাম্মদকে প্রগতিশীল বলাও ঠিক না, কেননা আরব সমাজের প্রায় সব নৈতিক ভাবনার অধগতি ঘটিয়েছিলেন তিনি।


আপনার মতামত দিন

আপনার ই-মেইল অ্যাড্রেস প্রকাশিত হবে না।