ইমাম গাজ্জালী
বিট্রিশভারতের বড় সময়জুড়ে কলকাতা ছিল রাজধানী। রাজনীতি সংস্কৃতি সাহিত্য সব ক্ষেত্রেই ছিল বাঙ্গালীদের প্রভাব। তাদের অগ্রগামী অবস্থান দেখে ভারতীয় কংগ্রেসের প্রবীণ নেতা গোপাল কৃষ্ণ গোখলে বলেছিলেন, বাঙালি আজ যা ভাবে, ভারত তা ভাবে আগামীকাল। সেই বাংলার যে কোনো বড় ঘটনা কংগ্রেসের অবাঙালি নেতৃত্ব যে যথাযথ আমলে নেবেন, তা নিয়ে সংশয় প্রকাশ করেন অনেকে। কারণ ১৯১৯ সালের ২৪ এপ্রিল ভারতের পাঞ্জাবের জালিয়ানওয়ালাবাগের গণহত্যার মতোই তদানীন্তন পূর্ববাংলায় সংঘটিত আরেকটি নৃশংস, ভয়ানক ও নিষ্ঠুর ঘটনা ইতিহাসে চাপা পড়ে আছে। যেভাবে উঠে আসা দরকার ছিল, মোটেই সেভাবে ঘটনাটি উঠে আসেনি। জালিয়ানওয়ালাবাগের গণহত্যার মাত্র তিন বছর পর সংঘটিত হয়েছিল ঐতিহাসিক সলঙ্গা বিদ্রোহ। আজ ২৭ জানুয়ারী ঐতিহাসিক সলঙ্গা বিদ্রোহ দিবস। সামনের বছরেই দিবসটির শতবর্ষপূর্ণ হবে। দিনটির দিবসটি যথাযথ মর্যাদায় পালিত হওয়ার তেমন কোনো আয়োজন নাই।
সংলঙ্গা বিদ্রোহ সংঘটিত হয়েছিল ব্রিটিশ ভারত ছাড়ার মাত্র ২৭ বছর আগে, ভারতজুড়ে যখন মোহনদাস করমচাঁদ গান্ধীর নেতৃত্বে অসহযোগ আন্দোলন ছড়িয়ে পড়ছিল। তুরস্কের একটি ঘটনা নিয়ে মুসলিমরা সংগঠিত হয়েছিল খেলাফত আন্দোলনের ছায়াতলে। গান্ধী এক পর্যায়ে খেলাফত আন্দোলনকে সমর্থন দেন। এতে হিন্দু-মুসলমানের মধ্যে মিলনের সুর বেজে ওঠে। মওলানা আবুল কালাম আজাদ, মুখতার আহমেদ আনসারি, হাকিম আজমল খান, আব্বাস তৈয়েবজি, মওলানা মোহাম্মদ আলী, মওলানা শওকত আলী প্রমুখ মুসলিম নেতা গান্ধীকে সমর্থন করেন। তেজি হয়ে ওঠে ব্রিটিশবিরোধী আন্দোলন। ১৯২০ সালের সেপ্টেম্বর থেকে ১৯২২ সালের ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত চলা এই আন্দোলনের সময়কে ‘গান্ধী যুগ’ বলে অভিহিত করা হয়। জালিয়ানওয়ালাবাগের ঘটনাকেও অনেকে গান্ধী যুগে ফেলেন।
ব্রিটিশ পার্লামেন্টে রাওলাট আইন পাস হলে ভারতের ভাইসরয় ও ইম্পিরিয়াল লেজিসলেটিভ কাউন্সিল ১৯১৯ সালের ৬ এপ্রিল এ আইন বলবৎ করে। এ আইনবলে ভারতবাসীর ওপর দমন-পীড়ন শুরু হয়; ন্যায়বিচার লঙ্ঘিত হয়। ন্যূনতম প্রমাণ দাখিল ব্যতিরেকেই সেনা ও পুলিশকে সাধারণ ভারতীয়দের গ্রেপ্তার, জেল-জরিমানা ও সম্পত্তি বাজেয়াপ্ত করার অনুমতি দেওয়া হয়।
গান্ধী রাওলাট আইনের বিরুদ্ধে একটি জাতীয় প্রতিবাদ আন্দোলনের সূচনা করেন। সকল অফিস ও কলকারখানা বন্ধ হয়ে যায়। ভারতীয়দের সরকারি স্কুল, পুলিশ বিভাগ, সেনাবাহিনী ও সরকারি চাকরি ত্যাগে উৎসাহিত করা হয়। আইনজ্ঞরা সরকারি আদালত বর্জন করেন। গণ-পরিবহন, ব্রিটিশ দ্রব্যসামগ্রী বিশেষত কাপড় বর্জিত হয়।
এই সময় আরো দুএকটি ঘটনা পরিস্থিতিতে আরো জটিল করে তোলে। প্রথম বিশ্বযুদ্ধে ব্রিটিশ কর্তৃপক্ষের একতরফা ভারতীয় সেনা পাঠানোর সিদ্ধান্তে অনেকেই ক্ষুব্ধ হয়ে উঠেন। এরই মধ্যে তুরস্কের মোস্তফা কামাল ইসলামের খলিফা বলে পরিচিত তুরস্কের সুলতানকে সিংহাসনচ্যুত করলে ব্রিটিশ সরকার কামালকে সমর্থন করে। তখন লাখ লাখ ভারতীয় মুসলমান সরকারের এ সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে সরব হন। মুসলমান নেতারা খিলাফত কমিটি গঠন করেন। সেখানেই সমর্থন দেন গান্ধী।
তখনই ভারতজুড়ে আন্দোলনের নতুন জোয়ার আসে, সেখান থেকে বাদ যায় না প্রত্যন্ত সিরাজগঞ্জ। অসহযোগ আন্দোলনে লাখ লাখ ভারতীয়ের স্বতঃম্ফূর্ত যোগদান ব্রিটিশ কর্তৃপক্ষকে সন্ত্রস্ত করে তোলে। ১৯১৯ সালের ২৪ এপ্রিল জালিয়ানওয়ালাবাগে তিন শতাধিক ভারতীয় হত্যাকাণ্ড, ১৯২২ সালের ২৭ জানুয়ারিতে সলঙ্গাতে পুলিশের গুলিতে ৫ সহস্রাধিক লোকের হতাহতের ঘটনা, তার তিন দিন আগে সিরাজগঞ্জের চান্দাইকোনা হাটে অসহযোগ আন্দোলনকারীদের সঙ্গে পুলিশের সংঘর্ষ হয়। চান্দাইকোনাতে আন্দোলনকারীরা পুলিশের বন্দুক কেড়ে নিয়ে পাশের ফুলজোর নদীতে ফেলে দেয়। ১৯২২ সালের ৪ ফেব্রুয়ারি উত্তর ভারতের গোরক্ষপুর জেলায় চৌরিচৌরার ‘অসহযোগ’ আন্দোলনকারী জনতা একটি থানায় আগুন ধরিয়ে দিলে পুলিশ গুলি চালায়। সেখানে ২৩ জন পুলিশ ও তিনজন আন্দোলনকারী নিহত হয়। ‘অহিংস ও অসহযোগ’ চরিত্র থেকে আন্দোলন সহিংস রূপ ধারণ করে। মোহনদাস করমচাঁদ গান্ধী আন্দোলনের তেজ দেখে ভীত হয়ে পড়েন। তিনি ভারতীয় জনগণকে সংগ্রাম বন্ধ করার অনুরোধ জানান। আন্দোলন বন্ধ করার জন্য গান্ধী তিন দিন অনশন পালন করেন। চৌরিচৌরায় সহিংস ঘটনার ৮ দিন পর ১২ ফেব্রুয়ারি গান্ধী আন্দোলন প্রত্যাহার করে নেন। হিন্দু-মুসলমানের মিলন বিরোধে রূপ নেয়। ওই আন্দোলন এতটাই তীব্র আকার ধারণ করেছিল, সেটা অব্যাহত রাখলে ভারতে ব্রিটিশ শাসনের মেরুদণ্ড ভেঙে দেওয়া অনিবার্য হয়ে উঠেছিল।
দিনটি ছিল শুক্রবার, বড় হাটবার। বিলেতি পণ্য বর্জনে জনগণকে উদ্বুদ্ধ করছিল কংগ্রেস ও খেলাফতের কর্মীরা। সেদিন ব্রিটিশবিরোধী অসহযোগ আন্দোলকারীদের ওপর বিনা উসকানিতে পুলিশ নির্বিচারে গুলি চালায়। এতে ঘটনাস্থলেই চার সহস্রাধিক লোক হতাহত হয়। সলঙ্গার হাটে সংঘটিত এই পৈশাচিক হত্যাকান্ড ইতিহাসে সলঙ্গা বিদ্রোহ নামে খ্যাত। ওই বিদ্রোহের নেতৃত্বে ছিলেন সেই সময়ের তরুণ কংগ্রোসকর্মী আবদুর রশিদ।
সিরাজগঞ্জের গাড়াদহ নদীর তীরেই বসত সলঙ্গার হাট। সিরাজগঞ্জ তো বটেই, কুষ্টিয়া, রাজশাহী, টাঙ্গাইল ও বগুড়া থেকে নানা পণ্যবাহী মহাজনী নৌকা এসে ভিড়ত সলঙ্গার হাটে। এত নৌকা আসত যে, নদীর ঘাট প্রায় দেড় মাইল লম্বা হয়ে যেত। প্রত্যক্ষদর্শীরা দাবি করতেন, ওই হাটে লাখো লোকের সমাগম ঘটত।
আবদুর রশিদ তর্কবাগীশের সংক্ষেপিত বয়ান, ‘আমি প্রায় তিনশ’ স্বেচ্ছাসেবক নিয়ে সলঙ্গা হাটে কাজ করছি। এমন সময় পাবনার তৎকালীন জেলা ম্যাজিস্ট্রেট মি. আর এন দাস, সিরাজগঞ্জ মহকুমার এসডিও মি. এসকে সিনহা বা সুনীল কুমার সিংহ (তিনি ছিলেন আইসিএস লর্ড বিজয় কুমার সিংহ রায়ের ছেলে) এবং পাবনা জেলার ব্রিটিশ পুলিশ সুপার ৪০ জন আর্মড পুলিশ নিয়ে হাটে উপস্থিত হন। আমি ছিলাম কংগ্রেস অফিসে। বিশাল বপু টাক মাথাওয়ালা এসপি সাহেব আমাকে দেখেই তেলে বেগুনে জ্বলে উঠলেন। আগে থেকেই তার খাতায় আমার বিরুদ্ধে বহু অভিযোগ জমা হয়েছিল। তাই আমাকে হাতের কাছে পাওয়ার পর তার আর তর সইল না। তৎক্ষণাৎ আমার ওপর নির্মম দৈহিক নির্যাতন শুরু করেন। অল্পক্ষণের মধ্যেই আমার নাক-কান ফেটে দেহের নানা অংশ ক্ষত-বিক্ষত হয়ে রক্ত ঝরতে থাকে। একসময় জ্ঞান হারিয়ে ফেলি। সলঙ্গা ও এর পার্শ্ববর্তী এলাকা আমার পিতামহ ও পিতার অনেক ভক্ত মুরিদান ছিলেন। তারা তো বটেই, হাটের সাধারণ হাটুরেরাও এ নির্যাতন দেখে ক্ষুব্ধ হয়ে ওঠেন। কিছুক্ষণের মধ্যেই আমার জ্ঞান ফিরে আসে। আমাকে টেনেহেঁচড়ে নিয়ে যাওয়ার সময় ভিড়ের মধ্য থেকে জনৈক ব্যক্তি ‘নড়ি’ (গরু খেদানোর লাঠি) দিয়ে পুলিশ সুপারের মাথায় সজোরে আঘাত হানে। ইংরেজ সাহেবের টাকমাথা ফেটে গিয়ে রক্ত ঝরতে থাকে। পুলিশ সুপার জ্ঞান হারিয়ে ফেলেন। সবাই যখন পুলিশ সুপারকে নিয়ে ব্যস্ত, তখন হাটের তিন দিক থেকে লাখো জনতা আমাকে মুক্ত করার জন্য এগিয়ে এলো। ক্ষিপ্ত জনতা নিকটবর্তী হওয়ার সঙ্গে সঙ্গে আর্মড পুলিশ সারিবদ্ধ হয়ে জনতার দিকে রাইফেল তাক করে হাঁটু গেড়ে বসে।’
ইতোমধ্যে পুলিশ সুপারের সংজ্ঞা ফিরে আসে। পুলিশ সুপার পরিস্থিতি বেগতিক দেখে ম্যাজিস্ট্রেটের সঙ্গে পরামর্শ করে গুলি চালানোর সিদ্ধান্ত নেন। পুলিশ সুপার হুকুম দিলেন ‘ফায়ার’। সঙ্গে সঙ্গে গর্জে উঠল ৩৯টি রাইফেল। অবিরাম গুলিবর্ষণ চলে বিক্ষুব্ধ জনতার ওপর। গুলিবিদ্ধ হয়ে আমার সামনেই সাতজন নিহত হয়। অবিরাম গুলিবর্ষণে কতজন যে নিহত হয়ে হাটের মধ্যে ছড়িয়ে-ছিটিয়ে পড়েছিল, তার কোনো হিসাব ব্রিটিশ সরকারের কাছ থেকেও পাওয়া যায়নি। সরকারি তদন্ত রিপোর্টে হতাহতের সংখ্যা প্রায় সাড়ে চার হাজার বলে হিসাব পাওয়া গিয়েছিল। কিন্তু কত শত আহত হয়ে ছুটে পালাতে গিয়ে পথঘাটে ঝোপে-জঙ্গলে মৃত্যুবরণ করেছে এবং কত শত আজও অজ্ঞাত, তার হিসাব নেই। সরকারি কোপদৃষ্টিতে পড়ে নির্যাতিত হওয়ার ভয়ে কখনো মৃত্যুর কথা প্রকাশ করেনি স্বজনরা।
অবিরাম গুলিবর্ষণে আর্মড পুলিশের সব গুলি শেষ হয়ে যায়। এ খবর মুহূর্তে সাধারণ্যে ছড়িয়ে পড়ে। ক্ষিপ্ত, উত্তেজিত, মার খাওয়া জনতা ফালা, লাঠি, সরকি, বল্লম ইত্যাদি নিয়ে চারদিক ঘিরে সংঘবদ্ধভাবে এগিয়ে আসতে থাকে। এই পরিস্থিতিতে জেলা ম্যাজিস্ট্রেট আমাকে মুক্ত করে দিয়ে অনুরোধ করেন, ‘আপনি যেমন করেই হোক জনতাকে বুঝিয়ে শান্ত করুন এবং ফিরিয়ে নিন। ম্যাজিস্ট্রেট সাহেবের অনুরোধ আমি গ্রহণ করলাম। কারণ অহিংস আন্দোলনের সৈনিক হিসেবে এটা আমার নৈতিক দায়িত্বও ছিল।
যতদূর মনে পড়ে বলেছিলাম, এখন আপনার যদি নিরস্ত্র না হন, শান্ত না হন, তবে এ সংবাদ পেয়ে আরো পুলিশ আসবে, গোটা সৈন্যও আসবে। তারা এলে গ্রামকে গ্রাম জ্বালিয়ে দেবে, নির্বিচারে হত্যা করবে, ধরে নিয়ে যাবে। এ কথা শোনার পর জনগণের ভেতর থেকে একটি বিক্ষুব্ধ কণ্ঠ ভেসে এলো, তাহলে গান্ধী রাজারে খবর দেন, সেও তার সৈন্য পাঠাক। উত্তরে বললাম, গান্ধী রাজার সৈন্য তো আমরাই। অন্য সৈন্য গান্ধী পাবেন কোথায়? তখন ভিড়ের মধ্যে শতকণ্ঠে প্রশ্ন এলো, তাহলে ওই পচা ভেড়ার লেজ ধরেছেন কেন?
এই ভয়াবহ হত্যাকান্ডের খবর রাতারাতি চারদিকে ছড়িয়ে পড়ে। পরদিনই কলকাতা, ঢাকা ও বাংলার বিভিন্ন এলাকা থেকে কংগ্রেস ও খেলাফত কমিটির নেতা, কর্মীবাহিনী, ডাক্তার, ছাত্র, স্বেচ্ছাসেবক সলঙ্গা বাজারের দিকে দলে দলে আসতে থাকে। নায়ক, আনন্দবাজার, অমৃতবাজার প্রভৃতি দৈনিক এই হত্যাকান্ডের উল্লেখ করে সরকারি ও বেসরকারি তদন্তের দাবি উত্থাপন করে। দেশময় সভা-সমিতির মাধ্যমেও তীব্র প্রতিবাদ হতে থাকে।
ঐতিহাসিক সলঙ্গা বিদ্রোহে সাড়ে চার হাজার মানুষ হতাহত হয়েছিল বলে ব্রিটিশ সরকার স্বীকার করেছিল। তবে কায়দা করে নিহতের সংখ্যা এড়িয়ে গিয়েছিল তারা।
সেসময়ের তরুণ কংগ্রেসকর্মী আবদুর রশিদ, যিনি পরবর্তীতে আবদুর রশিদ তর্কবাগীশ নামেই খ্যাতি পেয়েছিলেন। একপর্যায়ে তিনি আওয়ামী লীগের সভাপতি ছিলেন এবং গণ-আজাদী লীগ নামে একটি রাজনৈতিক দল গড়ে তুলেছিলেন।
এত বড় রক্তক্ষয়ী ঘটনার পরও মোহনদাস করমচাঁদ গান্ধী আসেননি সলঙ্গায়। তিনি কি এই হত্যাকাণ্ডের ঘটনার নিন্দা জানিয়ে বিবৃতি দিয়েছিলেন- জানা নাই। জনতার জাগরণ দেখে সে যুগে শুধু ইংরেজ নয় হিন্দু মুসলিম নেতৃত্বও ভয় পেয়ে গিয়েছিলেন।
অসহযোগ ও খেলাফতের যুগ্ম আন্দোলনের ব্যর্থতা দেশীয় হিন্দু মুসলিম সম্প্রদায়ের মিলনে ছেদ ঘটে। দুই সম্প্রদায় পুনরায় ফিরে যায় বিভেদের পথে। ফলাফল, তরুণ কংগ্রেসকর্মী আবদুর রশিদ তৎকালীন ইসলামী শিক্ষাকেন্দ্র দেওবন্দের পথে পা বাড়ান।
এই আন্দোলন এতটাই তীব্র আকার ধারণ করেছিল যে ১৯৪৭ সালের বহু আগেই তা ব্রিটিশ শাসনের মেরুদণ্ড ভেঙে দিতে সক্ষম হতো। গান্ধীবাদী সমঝোতা ছাড়াই উদিত হতে পারত ভারতের স্বাধীনতার সূর্য।