সূচনাঃ অধ্যাপক তাজ হাশমি তাঁর গবেষণায় বাংলাদেশকে কালচার, উন্নয়ন, সুশাসন এবং আত্মপরিচয়ের সংকটে ভোগা একটি দেশ হিসেবে দেখতে পেয়েছেন। তিনি দেখাতে চেয়েছেন যে একটা দেশের উন্নয়ন সেখানকার প্রাকৃতিক সম্পদ, জলবায়ু বা ভূগোলের চেয়ে সেখানকার কালচারের উপর বেশি নির্ভরশীল। কালচার বলতে তিনি বুঝিয়েছেন সেখানকার সামগ্রিক জনগোষ্ঠির রাজনীতি, বিশ্বাস এবং কর্মনীতি। সমৃদ্ধি ও উন্নয়নের কালচার মানুষকে ভালোভাবে বাঁচতে অনুপ্রেরণা দেয়, একইভাবে একটা দেশের নাগরিকত্বের বোধ তাকে বিচ্ছিন্নতা থেকে রক্ষা করে। ১৯৭১ সালে স্বাধীন হবার আগে আনুমানিক ১০০০ বছর বাংলাদেশ বিদেশী শক্তির দ্বারা শাসিত হওয়ায় বাংলাদেশীরা একটা ভয়াবহ আত্মপরিচয়ের সংকটে ভূগে।
বেশিরভাগ জনগোষ্ঠি দরিদ্র কৃষক সমাজ থেকে উঠে আসায় তাদের আচার-আচরণে সেটার প্রতিফলন দেখা যায়। তারা পরস্পরের প্রতি শ্রদ্ধা, বিশ্বাসের অভাব, হীনমন্যতা, এবং বিদেশী ও উঁচু শ্রেণির মানুষের প্রতি ঘৃণা ও ভালোবাসার দ্বন্দ্বে ভূগে। রাষ্ট্রের কাছ থেকে স্বাধীনতা, ন্যায়বিচার ও সুযোগ-সুবিধা না পেয়ে মানুষগুলো নির্লজ্জভাবে দূর্নীতিগ্রস্থ এবং রাষ্ট্রব্যবস্থা থেকে বিচ্ছিন্ন। ঐতিহাসিকভাবে পরাজিত, দূর্বল শক্তি আইনের শাসন মানতে চায় না, এবং নতুন ধ্যান-ধারণা বিরোধী।
১৯৪৭ এবং ১৯৭১ সালে দু’দুবার স্বাধীন হবার পরেও বাংলাদেশীদের কোন পরিবর্তন হয়নি। ঐতিহাসিক, সামাজিক এবং কালচারাল নৃতাত্ত্বিক গবেষণার মাধ্যমে এই বইয়ে জনগণের মধ্যেকার পারস্পরিক অবিশ্বাস, নৈতিক অবক্ষয়ের ব্যাপারগুলো বুঝার চেষ্টা করা হয়েছে। যার কারনে গণতান্ত্রিক প্রতিষ্ঠান, বিচার ব্যবস্থা, এমনকি সামগ্রিক প্রশাসনিক ব্যবস্থায় দূর্বলতা দেখা দিয়েছে।
উপনিবেশ-পূর্ব, উপনিবেশিক সময় এবং স্বাধীন দেশেও বাংলাদেশের সাধারণ মানুষের শোষণ-বঞ্চনার সমাপ্তি ঘটেনি, এই ব্যাপারে কোন ধরণের প্রশ্ন করার সুযোগ নেই। গত ৫০ বছরে বাংলাদেশে অবকাঠামোগত অনেক উন্নয়ন ঘটলেও সেখানে এখনো উপনিবেশ ও উত্তর-উপনিবেশ আমলের সকল অন্যায়, ঝুলুম, নির্যাতন ব্যবস্থা চালু আছে, যেমন, গণতন্ত্রহীনতা, স্বাধীনতা, আইনের শাসন, ক্ষুধা ও অশিক্ষা। এই গবেষণার মাধ্যমে আমরা দেখতে পেয়েছি, টেকসই উন্নয়নের জন্য উদ্ভাবনী শক্তি, সততা, মিতব্যয়ীতা, শান্তি, সমৃদ্ধি ও উন্নয়নের সহায়ক একটা পরিবেশ দরকার। সমাজের রাজনৈতিক শ্রেণিবিন্যাস থেকে রাজনৈতিক কালচার গড়ে ওঠে এবং সেটা সেই সমাজের উন্নয়নের নিয়ামক শক্তি।
কেন বাংলাদেশ? মুজিবের উত্থানপূর্ব ইতিহাস, ১৭৫৭-১৯৬৩
এই অধ্যায়ে ১৭৫৭ সালের পলাশীর যুদ্ধ থেকে শুরু করে ১৯৬৩ সালে মুজিবের উত্থান পর্যন্ত সময়কালের মূল্যায়ন করা হয়েছে, যার ফলশ্রুতিতে বাংলাদেশের অভ্যূদয় সম্ভব হয়। এক সময়ের সমৃদ্ধিশালী মোগল প্রদেশ কিভাবে ব্রিটিশ ও পাকিস্তানী শাসনে দরিদ্র, পশ্চাৎভূমিতে পরিণত হয় এবং শেষ পর্যন্ত একটি জাতিরাষ্ট্রে রুপান্তরিত হয়। সেটাই বাংলাদেশের আধুনিক ইতিহাস। ষোড়শ থেকে অষ্টাদশ শতক পর্যন্ত বাংলাদেশ ছিল দুনিয়ার সবচেয়ে ধনী দেশের সবচেয়ে ধনী প্রদেশ। মোগল ভারত যখন বিশ্ব জিডিপি’র শতকরা ২৫ ভাগ ছিল তখন বাংলার ছিল শতকরা ১২ ভাগ। কিন্তু ২০০ বছরের ব্রিটিশ শাসনে বাংলাদেশে বিশ্বের অন্যতম গরীব এলাকায় পরিণত হয়। মোগল ভারতে যে পূর্ব বাংলা ছিল সমৃদ্ধিশালী, শিল্প-ব্যবসার অঞ্চল, ব্রিটিশ শাসনের কুফলে তারা বেশি ভূক্তভোগী হয়। ব্রিটিশ শাসনের ৫০ বছরের মধ্যে বাংলা ব্রিটিশ ভারতের অন্যতম দরিদ্রতম, শিল্প-কারখানা বিহীন কৃষিভিত্তিক পশ্চাদ্ভূমিতে পরিণত হয়।
ঔপনিবেশিক শাসকেরা উঁচু বর্ণ ও শ্রেণির হিন্দুদের প্রাধান্য দিতে থাকে। ইস্ট ইন্ডিয়া কোম্পানি তাদের অন্যায্য ভূমি ব্যবস্থাপনা এবং আইন-কানুনের মাধ্যমে একটা হিন্দু জমিদার শ্রেণি তৈরি করে। এছাড়া তারা মহাজনী দাদন ব্যবসা এবং সরকারি চাকরিজীবি শ্রেণি তৈরি করে যারা ছিল একচেটিয়াভাবে হিন্দু ধর্মের, যেটা বাংলার সংখ্যাগরিষ্ঠ মুসলমানের জন্য কাল হয়ে দাঁড়ায়।
ইতিমধ্যে কলকাতা কেন্দ্রিক হিন্দু জমিদার ও পেশাজীবীদের কাছে পূর্ববাংলা তার রাজনৈতিক ও অর্থনৈতিক গুরুত্ব হারায় যেটা বঙ্গভঙ্গ পর্যন্ত জারি ছিল। বাঙালি মুসলমানের মধ্যে ব্রিটিশ এবং হিন্দু উচ্চশ্রেণির বিরুদ্ধে অসন্তোষ সাম্প্রদায়িক সংঘাতের দিকে গড়ায়, বিশেষ করে অবস্থাসম্পন্ন হিন্দু এবং হতদরিদ্র মুসলমানের মধ্যেকার দ্বন্দ্ব সাম্প্রদায়িক রুপ নেয়। বিভিন্ন কারনে অবস্থাসম্পন্ন হিন্দু এবং গরীব মুসলমানের মধ্যেকার শ্রেণিদ্বন্দ্ব এমন অসাম্প্রদায়িক রুপ নেয় যে ১৯৪৭ সালে সম্প্রদায়ের ভিত্তিতে বাংলা দু’ভাগে বিভক্ত হয়। যার ফলে, পূর্ব বাংলা হয় মুসলিম অধ্যূষিত পূর্ব পাকিস্তান, আর পশ্চিম বাংলা হয় হিন্দু প্রভাবিত ভারতের একটি রাজ্য।
কিন্তু সেখানেই শেষ নয়, ভারতের শত্রুভূমির দ্বারা ১০০০ মাইল পৃথক পূর্ব এবং পশ্চিম পাকিস্তান ১৯৭১ সালের বেশি টিকে থাকতে পারেনি। অর্থনৈতিক, ভৌগলিক,ঐতিহাসিক ও কালচারাল ভিন্নতার কারণে বেশিরভাগ ইস্যুতে পূর্বের সাথে পশ্চিমের মতের অমিল ছিল। ঐতিহাসিকভাবে সমৃদ্ধ ও উন্নত পশ্চিম পাকিস্তান এবং স্বল্পোন্নত পূর্ব পাকিস্তানকে আলাদা পথ বেছে নিতে হয়েছিল। ১৯৭১ সালে ঠিক সেটাই ঘটেছিল।
শেখ মুজিবর রহমানের উত্থান, ১৯৬৩-১৯৭১
এই অধ্যায়ে ১৯৬৩ সাল থেকে ১৯৭১ সাল পর্যন্ত পূর্ব পাকিস্তানের একমাত্র মুখপাত্র হিসেবে শেখ মুজিবের রাজনৈতিক উত্থান, আগরতলা ষড়যন্ত্র মামলায় অন্তর্ভূক্তি থেকে বাংলাদেশের স্বাধীনতা পর্যন্ত আলোচনা করা হয়েছে। ১৯৬৩ সালে ভারতের সহায়তায় তিনি বাংলাদেশকে স্বাধীন করার কথা ভাবেন, কিন্তু সেটা শেষ পর্যন্ত হয়ে ওঠেনি। বলা হয়ে থাকে তিনি গোপনে ভারত-পাকিস্তানের সীমা অতিক্রম করে আগরতলা গিয়ে নেহেরুর সহযোগিতা নিয়ে পুর্ব পাকিস্তানকে পশ্চিম পাকিস্তান থেকে মুক্ত করার ব্যাপারে ভারতের রাজনৈতিক নেতৃবৃন্দের সাথে শলাপরামর্শ করেন। ১৯৬৩ সালের ডিসেম্বর মাসের ৫ তারিখে তাঁর নেতা, দিক নির্দেশক, দার্শনিক হুসেইন শহীদ সোহরাওয়ার্দীর মৃত্যুর পরপরই গণতন্ত্র পুনঃপ্রতিষ্ঠার সংগ্রামে শেখ মুজিব পাকিস্তানের সামরিক শাসক আইয়ুব খানের বিরুদ্ধে গঠিত যুক্তফ্রন্ট থেকে আওয়ামী লীগকে বের করে আনেন। পেছন ফিরে দেখলে বলা যায় ১৯৬৪ সালের গোড়ার আওয়ামী লীগের সভাপতি হিসেবে আত্মপ্রকাশের মাধ্যমে রাতারাতি পূর্ব পাকিস্তানের জাতীয় নেতায় পরিণত হন। তারপরে ১৯৭১ সালে দেশ স্বাধীন হওয়া পর্যন্ত তাকে আর পেছনে ফিরে তাকাতে হয়নি। ১৯৬৬ সালের দিকে এসে তিনি পূর্ব পাকিস্তানের একমাত্র নেতা বনে যান। তার ক্যারিশমা এবং পূর্ব বাংলার জন্য সংগ্রাম তাকে অবিসংবাদিত নেতায় পরিণত করে, অবশ্য পাকিস্তানে পরপর দু’জন সামরিক শাসক, আইউব এবং ইয়াহিয়া তার এই উত্থানের পেছনে অনেক অবদান রেখেছেন। আইউব খান তাকে আগরতলা ষড়যন্ত্র মামলায় অভিযুক্ত না করলে এবং ১৯৭০ সালের নির্বাচনের পরে ইয়াহিয়া খান তার উপর ক্ষমতা হস্তান্তর না করলে মুজিব পাকিস্তানের বাঙালিদের একজন নেতা হিসেবে থেকে যেতেন। আইউব খান কর্তৃক নিঃশর্তভাবে আগরতলা ষড়যন্ত্র মামলা প্রত্যাহার এবং ২২ ফেব্রুয়ারি ১৯৬৯ সালে মুজিব ও অন্যান্য আসামীদের মুক্তির মাধ্যমে পূর্ব পাকিস্তানে মুজিব জনপ্রিয়তার চুড়ান্ত পর্যায়ে পৌঁছে যান। রাজনৈতিক প্রতিপক্ষ, বন্ধু-বান্ধব, অনুসারী ও সম্ভাব্য মিত্রদের শান্ত করা বা তাদের মন জয় করার ব্যাপারে মুজিবের অসাধারণ ক্ষমতা ছিল।
১৯৬৩ থেকে ১৯৭১ সালে তার রাজনৈতিক উত্থানের সময় তিনি প্রায় সবসময় তাদেরকে পরাভূত করেছিলেন। পাকিস্তান ও ভারতের রাজনীতিক বিশেষ করে আইউব, ইয়াহিয়া, এবং ইন্দিরা গান্ধ এরা চতুরতায় তার সমকক্ষ ছিল না।
It is not Mujib’s style to fully confide in anyone…. He manages to keep everyone happy by following a modus operandi whereby he looks at one person, talks to another, and pats a third on the back, with result that each feels he is receiving a share of the attention.
—Alamgir Rahman, Mujib’s Adviser, ESSO General Manager, East Pakistan (The American Papers: Secret and Confidential, India-Pakistan-Bangladesh Documents 1965–1973, Compiled and Selected by Roedad Khan, University Press Limited, Dhaka, 1999, p. 461)
বাংলাদেশী রাজনীতিক, বয়োজ্যেষ্ঠ মাওলানা ভাসানী, আতাউর রহমান খান, এমনকী অতি-মূল্যায়িত তাজউদ্দিন, এবং উচ্চাকাঙ্খী সেরাজুল আলম খান এরা কেউই তার সমকক্ষ ছিল না। জনগণ যা শুনতে চাইত সেটা বলা বা যা তার কাছে যা চাইত সেটা করার ব্যাপারে তার সমপর্যায়ে বাংলাদেশে আর কেউ ছিল না। কিন্তু বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী হবার পরে বেশ কিছু সংখ্যক অভ্যন্তরীণ ও বৈদেশিক কারণ এবং নিজস্ব সীমাবদ্ধতার কারণে তার জনপ্রিয়তা স্থায়ী হয়নি।
শেখ মুজিবর রহমানের ক্ষয় ও পতন, ১৯৭২-১৯৭৫ (The Decline and Fall of Sheikh Mujibur Rahman, 1972–1975)
মুজিব এবং তার সহকর্মীদের বাংলাদেশ পরিচালনার ব্যাপারে কোন প্রস্তুতি ছিল না। এরসাথে মুজিব প্রশাসনের অদক্ষতা ও দূর্নীতি পরিস্থিতিকে আরো খারাপ করে তোলে। রাষ্ট্রীয় পুঁজিবাদকে ‘সমাজতন্ত্র’ বলে চালিয়ে দেয়া রাষ্ট্রের চার ভিত্তি – গণতন্ত্র, জাতীয়তাবাদ, সমাজতন্ত্র, ধর্মনিরপেক্ষতা- মানুষের মধ্যে বিভ্রান্তির সৃষ্টি করে, যেটা সরকার এবং সমাজের সর্বত্র ছড়িয়ে পড়ে এবং দূর্নীতিকে আরো উসকে দেয়।
এই অধ্যায়ে মুজিববাদের অন্তর্নিহিত সমস্যা এবং বৈপরীত্যগুলো আলোচনা করা হবে যেগুলো মুজিবের সর্বনাশা পতনের কারণ হয়ে দাঁড়ায়।
১৯৪৭ এবং ১৯৭১ সালে বাংলাদেশের দুটি খারাপ প্রারম্ভ এর উন্নয়নে তেমন সহায়তা করেনি। মুজিবের রাষ্ট্রপরিচালনা পরিস্থিতি আরো খারাপ করেছিল। সেজন্য বাংলাদেশ যা হবার কথা ছিলে সেটা স্বাধীনতার পরেই হয়েছে, সেটা মুজিবের তত্ত্বাবধানে হয়েছিল। ক্রমবর্ধমান আর্থ-সামাজিক ভাঙ্গন রোধে একাধারে প্রধানমন্ত্রী ও রাষ্ট্রপতি মুজিবের ব্যর্থতার কারণে বাংলাদেশ তখনো একটা অস্থিতিশীল জাতিরাষ্ট্র। সেজন্য মুজিব চলে যাওয়ার পরের দশকগুলোতে গণতন্ত্র, স্বাধীনতা, মানবাধিকার এগুলোর বদলে উন্নয়ন বলতে এখনো অবকাঠামোকেই বুঝানো হয়।
“Where’s Siraj Sikdar today? …. I am constrained by my status as the Father of the Nation, otherwise I would have ruthlessly smothered my opponents!”
—Sheikh Mujib (In the course of his speech in the Bangladesh parliament on 25 January 1975, days after Siraj Sikdar’s extrajudicial killing)
১৯৭৫ সালে মুজিব কর্তৃক সর্বময় ক্ষমতার অধিকারী হওয়া তার শাসনের অবসানের সূচনা করে। আন্তর্জাতিক রাজনীতিতে তার জ্ঞানের সীমাবদ্ধতা, সুশাসন বিষয়ে অজ্ঞতা এবং রাষ্ট্রীয় ক্ষমতার সর্বময় ব্যবহার তার শাসনকাল এবং তার নিজের জন্য প্রাণঘাতী হয়ে দেখা দেয়।
তার মাধ্যমে রাষ্ট্রীয় ব্যবস্থাপনায় চালিত সকল শিল্প-কারখানা, যোগাযোগ ব্যবস্থা, অর্থনৈতিক প্রতিষ্ঠান এগুলো সব ধ্বংসের দ্বারপ্রান্তে পৌঁছে যায়। সেটা ছিল এমন একটা সময় যখন দেশের জন্য পরিকল্পনা খুবই জরূরি ছিল। দেশকে সঠিক পথে পরিচালিত করার ব্যাপারে তার দূরদর্শিতা ও কর্মপন্থার অভাব ছিল। স্বজনপ্রীতি ও প্রতিহিংসাপরায়ণ শাসন ব্যবস্থার কারণে তার সময়ে দক্ষ ও সৎ প্রশাসকের অভাব দেখা দেয়। সাহসী মুক্তিযোদ্ধাদের দ্বারা তাঁকে ক্ষমতা থেকে অপসারণ ও আত্মীয়-স্বজন সহকারে তাঁর হত্যাকান্ড গ্রিক ট্রাজেডির চেয়ে কোন অংশে কম নয়।
** অধ্যাপক তাজ হাশমির সদ্য প্রকাশিত বই ‘Fifty Years of Bangladesh, 1971-2021: Crises of Culture, Development, Governance, and Identity‘ এর প্রথম তিন অধ্যায়ের সার-সংক্ষেপের অনুবাদ। দ্বিতীয় পর্বে বাকি অধ্যায়গুলোর সার-সংক্ষেপ প্রকাশ করা হবে।