বাইবেলের ঐতিহাসিকতা ও বাইবেল সমালোচনা

4 মতামত পাওয়া গেছে

ব্লগপোস্টটা কৌতুহলসহকারে পাঠ করলাম। ভালো লেগেছে। বাইবেলের মতো কোরান এবং অন্যান্য ধর্মগ্রন্থ নিয়েও গবেষণামূলক লেখা আশাকরছি। ব্লগ লেখককে আন্তরিক ধন্যবাদ।

কোরান-হাদিস পড়েই কুল পাই না, বাইবেল নিয়ে গবেষণার সময়-সুযোগই করতে পারি নি কোনোদিন। বাইবেল নিয়ে আপনার লেখাটা দারুণ হয়েছে। কোরান বনাম বাইবেল নিয়ে তুলনামুলক রিসার্চধর্মী লেখা দরকার। অনেকেই অভিযোগ করে বাইবেল থেকে চুরিবিদ্যা করে কোরান লেখা হয়েছে, এটা আদৌ সত্য কীনা মিথ্যা তা আলোচনা হওয়া দরকার।
বাইবেলে বর্ণিত নামগুলোও বেশ মজার, কেমন কেমন ইংলিশ ইংলিংশ ও ইউরোপিয়ান গন্ধ পাওয়া যায়। অপরদিকে কোরানে বর্ণিত নামগুলোয় স্পষ্ট আরব্য ফ্লেভার বিদ্যমান। আরব ও ইউরোপের বাইরের কোন এলাকার ফ্লেভার এইসব ধর্মগ্রন্থগুলোতে পাওয়া যায় না কেন সেটাই রহস্য। অথচ ঈশ্বর আল্লাহ তো পৃথিবীর সকল জাতি-গোত্রের মানুষের। এক্ষেত্রে ঈশ্বর-আল্লাহর পক্ষপাতিত্ব বেশ সন্দেহজনক।

    ইব্রাহীমি ধারার ধর্মগ্রন্থগুলোর মধ্যে বাইবেল যেহেতু সবচেয়ে পুরাতন তাই এতে অনেক বিবর্তন চোখে পড়ে, বিশেষ করে ঈশ্বরের বিবর্তন। প্রথমে মানবিক রাগ, বিদ্বেষ ইত্যাদি গুনাবলী সম্পন্ন ইয়াওয়ে অন্যতম ঈশ্বর হিসেবে প্রতিষ্ঠা পায়। ইয়াওয়ে ছিল তখন কেবল ইহুদিদের ঈশ্বর।বাইবেলের পরের দিকে এসে আমরা দেখি ইয়াওয়ে সব মানুষের ঈশ্বর, এবং মানবিক গুন হারিয়ে অনেকটা বিমূর্ত রূপে।

    খ্রিস্টান এবং ইসলাম ধর্মের সময় একত্ববাদ প্রতিষ্ঠিত ধারণা। এ দু’ধর্মেই পুরাতন বাইবেলকে স্বীকার করে নেয়া হয়।

    ইসলামের সাথে অন্য ধর্মগুলোর মূল পার্থক্য হল, যীশুসহ বাকি ধর্মগুলোর প্রণেতাদের আমরা চিনি না, তাদের কোন ঐতিহাসিক ভিত্তি নেই, তাদেরকে পৌরাণিক ধরে নেয়া ছাড়া আমাদের কোন গতি নেই।তাদের কাহিনী পরবর্তীতে লিখিত হয়েছে। কিন্তু ইসলাম ধর্ম নবীন, ঐতিহাসিক যুগের ধর্ম এবং কোরাণ লিখিত হয়েছে সমসাময়িক সাহাবীদের দ্বারা, এর ইতিহাস মোটামুটি আমরা জানি।

    বৌদ্ধ ধর্ম প্রাচীন এমনকী ইহুদী অনেক নবী এবং যীশুর ৫০০ বছর আগের হলেও খুব ভালভাবে ডকুমেন্টেড করা আছে। ফলে বুদ্ধের মুখের বাণী থেকে শুরু করে, নীতিকথা, হীনযান, মহাযান, বজ্রযান সবকিছুরই প্রতিষ্ঠিত ইতিহাস আছে।


আপনার মতামত দিন

আপনার ই-মেইল অ্যাড্রেস প্রকাশিত হবে না।