ভারতবর্ষে বামপন্থার ভূত ভবিষ্যৎ কী! বিশ্বের আদি বাম কে ছিলেন? বামেরা বামন হলেন কীভাবে? প্রকৃত কিংবা ভেকধারী বামাচারীদের চেনার উপায় কী? বামনাবস্থা থেকে পরিত্রাণের পথ কী? কতটা বিপরীত বা বিকল্প আজকের হতোদ্যম বামেরা? এইসব প্রশ্নের কোন ইঙ্গিত আছে কী কলিম খান এবং রবি চক্রবর্ত্তীর শব্দার্থব্যাখ্যায়?
বাম ও বামন
[ বাম (বাং, বামদেব, বামপন্থী, বামা, বামী), বামন শব্দের ক্রিয়াভিত্তিক- বর্ণভিত্তিক অর্থ ]
– শ্রীরবি চক্রবর্ত্তী এবং শ্রীকলিম খান
[‘বাম’/’বামন’-কে চিহ্নিত করতে হলে ‘দক্ষিণ’-কে জানাও জরুরী। ‘বঙ্গীয় শব্দার্থকোষ‘-এ ‘দক্ষিণ’ শব্দের অর্থব্যাখ্যা দ্রষ্টব্য]।
বাংলায় ‘বিধি বাম’ কথাটি বহুল প্রচলিত। এর অর্থ বক্তার ইচ্ছার বিপরীতে চলে গেছেন বিধি, সে যা করতে বা পেতে চায়, তাকে ‘না’ করে দিয়েছেন তিনি। প্রকৃতপক্ষে বাম হল, প্রচলিতের বিকল্পে ‘বা’-রূপে যাকে পাওয়া যেতে পারে, সেই বিকল্প রূপটি বা অপর রুপটি। দক্ষযজ্ঞের পর ভারতীয় উপমহাদেশের মানুষ দক্ষিণ পথটি গ্রহণ করেছিল, ফলে যে পথটি পরিত্যক্ত (বা ‘লেফ্ট্’) হয়েছিল, সেটিই বাম পথ। এই পরিত্যক্ত পথটিই ছিল বৈদিক-পূর্ব্ব যুগের বা সনাতন যুগের পথ, বহুকালক্রমাগত মহান মানুষদের পথ, শিবপন্থীদের পথ, সুন্দরের পথ। তবে কেমন করে সেই স্বাভাবিক-প্রাকৃতিক চিরাচরিত পথে থেকেও শিব ও শিবপন্থিরা দক্ষবিরোধী সংগ্রামে ‘সঙ্কোচগ্রস্ত’ হয়ে বাম হয়ে গেলেন এবং লোকাচার তাঁদের বিপরীতে চলে গেল, সে অনেক কথা।
স্বভাবতই বাম দিক যে প্রচলিতের বিরোধী দিক, সে উত্তরাধিকার বিশ্বের সকল জাতিই কমবেশী পেয়েছে। মানবসভ্যতা তথাকথিত ‘বর্ব্বর’ যুগ থেকে সভ্যযুগে পা দেওয়ার সময় সেই সনাতন দিকটি ‘পরিত্যাগ করে এসেছিল’ বলে, সেই দিকটিকে ইংরেজগণ ‘লেফ্ট্’ দিক বলেন। সেই উত্তরাধিকারের অন্তঃসলিলা ধারা ইউরোপের পার্লামেণ্টে প্রচলিত সরকারের বিপরীত-পন্থিদের বাম দিকে বসতে ও বসাতে প্ররোচিত করে, তার থেকে বাম-দিকে-বসা বামপন্থী মানেই হয়ে যায় প্রচলিত সরকারের বিরোধী। লোকে বুঝে যায় বামপন্থী মানে ‘সরকার-বিরোধী’।
ব্রিটিশের কাছে আধুনিকতার শিক্ষা লাভ করে ভারতের রাজনীতি চর্চ্চাকারিগণ যখন বামপন্থা শব্দটি গ্রহণ করে নেন, আমাদের তাতে অস্বস্তি হয়নি; কারণ কথাটি তো আমরা অতি প্রাচীনকাল থেকেই কমবেশী জানতাম। বাম বললেই ‘বিপরীত’ বোঝার রীতি এদেশে বহু প্রাচীন। এমনই আমাদের দেশে স্বামী-স্ত্রী একত্রে বসলে স্ত্রীর বসার রীতি বাম দিকে। তাই তিনি বামা। তবে স্ত্রী ভিন্ন অন্য কোনো নারী হলে তিনি পুরুষটির বাম দিকে বসবেন না, এটাই রীতি।
কিন্তু যে ব্যক্তি সমাজের রীতি অমান্য করে গোপনে জন-সাধারণের ভিতরে থেকে সুদ খায় (বড়বা), লুকিয়ে চুরিয়ে সামাজিক রীতিনীতি লঙ্ঘন করে (শৃগালী), কিংবা গোপনে আত্মসাৎ করে অথচ ‘চোরের মা’র বড় গলা’ করে যারা চেঁচায় (গর্দ্দভী) … তারাও প্রচলিতের বিপরীত সত্তা, বাম-এর সক্রিয় আধারই বটে। সেই কারণে তাদের নাম দেওয়া হয় বামী। সাদৃশ্যে তাঁরা যথাক্রমে মাদী-ঘোড়া, মাদী-শেয়াল, মাদী-গাধাকে বোঝায়।
বামন
পৌরাণিক অভিধানে প্রদত্ত ‘বামন‘-এর কাহিনী্র নির্ব্বাচিত অংশটি দেখে নেওয়া যাক –
“…প্রহ্লাদের পৌত্র দৈত্যরাজ ‘বলি’ অত্যন্ত ক্ষমতাশালী হয়ে দেবতাদের দেবলোক হতে নির্ব্বাসিত করলে দেবগণ বিষ্ণুর শরণাপন্ন হন। বিষ্ণু বলিকে দমন করে দেবতাদের উদ্ধার করার জন্য কশ্যপমুনির ঔরসে ও তাঁর স্ত্রীর অদিতির গর্ভে বামনরূপে জন্মগ্রহণ করেন। [দ্রষ্টব্য – ‘বলি’। “বঙ্গীয় শব্দার্থকোষ”- ‘বলি’ শব্দের এবং ‘বলি’-সত্তার ক্রিয়াভিত্তিক অর্থ দেখুন]। একবার বলি এক মহাযজ্ঞের অনুষ্ঠান করে প্রচার করেন যে, এই যজ্ঞে তাঁর কাছে যে যা প্রার্থনা করবে, তিনি তাই পূরণ করবেন। …বামন সেই যজ্ঞে উপস্থিত হয়ে ত্রিপাদ ভূমি প্রার্থনা করেন। যজ্ঞকার বলি চিন্তা করলেন যে, ক্ষুদ্র এই ব্রাহ্মণের ত্রিপাদ ভূমি আর কতটুকু। তাই তিনি ত্রিপাদ ভূমি দানে প্রতিশ্রুত হন। … দৈত্যগুরু শুক্রাচার্য্য বিষ্ণুর উদ্দেশ্য জ্ঞাত হয়ে বলিকে এই দান করতে নিষেধ করেন। কিন্তু বলি … অস্বীকার করেন। তখন … শুক্রাচার্য্য সঙ্কল্পিত জলগ্রহণে বাধাদানের জন্য অদৃশ্যভাবে ভৃঙ্গারের মধ্যে প্রবেশ করে ভৃঙ্গার-বিবর বন্ধ করেন। তখন বামনের উপদেশে কুশ দ্বারা অবরুদ্ধ ভৃঙ্গার-বিবর মুক্ত করা হয়। এতে শুক্রাচার্য্যের একচক্ষু কুশবিদ্ধ হয়ে বিনষ্ট হয়ে যায়। বলির সংকল্প শেষ হওয়ামাত্র বামন তাঁর এক পদ্ দিয়ে দিঙ্মণ্ডল আয়ত্ত করেন। অতঃপর দ্বিতীয় পদ বিস্তার করলে স্বর্গ তাঁর আয়ত্তে আসে। তৃতীয় পদের জন্য বামন তখন পরিমিত ভূমি প্রার্থনা করেন। তখন বলি বলেন, ‘আপনার তৃতীয় পদ আমার মস্তকে স্থাপন করুন।’ বলির স্ত্রী বিন্ধ্যাবলী স্বামীকে পাপমুক্ত করার জন্য বামনকে অনুরোধ করেন। কারণ, বলি তখন তাঁর সমস্তই বামনকে অর্পণ করেছেন। বিষ্ণু বলির সত্যবাদিতা ও পরমভক্তি দেখে প্রীত হয়ে বলেন যে, সাবর্ণি মন্বন্তরে বলি ইন্দ্র হবে এবং এই মন্বন্তর না আসা পর্য্যন্ত পাতালে সে বাস করবে”।
বর্তমানে ডোয়ার্ফ্ (dwarf) অর্থে প্রচলিত।
(প্রসঙ্গত “বঙ্গীয় শব্দার্থকোষ”-এ অবতার, ত্রিপাৎ, ত্রিপাদ, দিগ্গজ, বলি এই শব্দগুলির ক্রিয়াভিত্তিক শব্দার্থব্যাখ্যা দ্রষ্টব্য)।
যা কিছু বাম, তা আনয়ন করলে সেটি ‘খর্ব্ব’ হয়ে যায় কেন? কিংবা বাম্ ক্রিয়াটি অন (অন) কৃত থাকলে সেটি ‘হ্রস্বাকৃতি’, ‘খর্ব্ব’, ‘ক্ষুদ্র’ …। ইত্যাদি হয়ে যায় কীভাবে? তাছাড়া, বাম বা শিব যখন দক্ষ-বিরোধী এবং বিষ্ণু যখন দক্ষ-সমর্থক, তখন বিষ্ণু কেন এবং কীভাবে বামন হয়ে যান? এমনকি তিনি ইন্দ্রের সহকারী ‘উপেন্দ্র’ হন কীভাবে?
এই প্রশ্নগুলির উত্তর নিশ্চিতরূপে পাওয়া যায় না, অন্তত আমরা নিশ্চিতরূপে পাইনি। শব্দার্থের বিচারে, আমরা দেখছি, যে সত্তা ক্রমান্বয়ে বাম্ ক্রিয়াটি ‘অন’ (on) করতে থাকেন, তাঁকে বামন বলা যায়। এই বাম্ করণ হল, বিকল্পকে সীমায়িত করতে থাকা। এর ফলিত প্রয়োগ হতে পারে এরকম – জীবনযাত্রা অতিবাহিত করার প্রচলিত পথ, ধরা যাক, প্রয়োজনীয় সবরকম কাজ করা। এরকম করলে একজন মানুষ কমবেশী সবরকমের জ্ঞান ও কর্ম্মের সঙ্গে পরিচিত থাকে। আর বিকল্প পথ, ধরা যাক, শুধুমাত্র কাপড় বুনে বেচে দিন গুজরান করা। তাহলে বাম্-করণ করার মানে হয়ে যাবে বামন হওয়া। এমন হলে মানুষটি ক্রমশ কাপড় বোনায় দক্ষ হয়ে তাঁতি হয়ে যেতে পারে বটে, কিন্তু অন্যান্য সমস্ত প্রকারের কাজ সে ভুলে যাবে। অর্থাৎ, মানুষটি খর্ব্ব হয়ে যাবে, হ্রস্বাকৃতি হয়ে যাবে। তার মানে, একই কর্ম্মের পুনরাবৃত্তি করতে থাকলে, মানুষ একদিকে দক্ষ বা ‘স্পেশালিস্ট’ হয়ে যায় বটে, কিন্তু সার্ব্বিকতার বিচারে বামন বা খর্ব্বাকৃতি হয়ে যায়। দক্ষপন্থী সভ্যতাবাদিরা অবশ্য তাঁদের এইভাবে একই সঙ্গে ‘স্পেশালিস্ট-কিন্তু-বামন’ হয়ে যাওয়ার তত্ত্বকে সমর্থন যোগান শিবপন্থাকে ‘জ্যাক অফ্ অল ট্রেডস্, মাস্টার অফ্ নান’ বলে নিন্দেমন্দ করে। … আজ আমরা জানি শিব-দক্ষের দ্বৈরাজ্যেই মুক্তি, কাউকে বাদ দিলে অশুভ বই শুভ হবে না।
কিন্তু এসব তো হল তত্ত্বকথা। সমাজে এই বামন-এর নিদর্শন কোথায়? আমরা দেখছি, মানুষের মধ্যে দু-একজন মানুষ জন্মান হ্রস্বাকৃতি বামন (ডোয়ার্ফ্) হয়ে। আর, মানুষের ইতিহাসে এর ফলিত প্রয়োগের খবর পাচ্ছি বামনাবতারের অবতীর্ণ হওয়ার ঘটনাবলীতে।
দক্ষব্যবস্থা প্রচলিত হবার কালে বাম বলা হচ্ছে স্বয়ং শিবকেই। বিষ্ণুকে বামন ও বামনাবতার বলা হচ্ছে দক্ষ-নির্ভর-সভ্যতার অগ্রগতির অন্তত চারটি অধ্যায় – মৎস্য, কূর্ম্ম, বরাহ, নৃসিংহ – এই চারটি অধ্যায় পেরিয়ে যাবার পর। আমাদের মনে হয়েছে যে, দক্ষোৎপত্তির পর সনাতন যৌথসমাজ সম্প্রদায়ে সম্প্রদায়ে বিভক্ত হয়ে গেলেও সম্প্রদায়ভিত্তিক যৌথ উৎপাদন সঙ্গঠন ভাঙেনি। কিন্তু বামনাবতারে পৌঁছে গোটা সম্প্রদায়ের একত্রে উৎপাদন করবার রীতিটি ভেঙে যায়; জন্ম হয় ‘গোষ্ঠী উৎপাদন’-ব্যবস্থা, যা উলটোভাবে খানিকটা ইউরোপের ‘গিল্ড’-এর মতো। অর্থাৎ, সবার আগে (দক্ষযজ্ঞকালে) সমগ্র যৌথব্যবস্থার সূচনা হয়েছিল; এই বামনাবতার-অধ্যায়ে সেই সাম্প্রদায়িক যৌথব্যবস্থা ভেঙে একপ্রকার গোষ্ঠীব্যবস্থার সূচনা হয়, যা কিনা পরবর্ত্তীকালে আরও ভেঙে পারিবারিক-যৌথব্যবস্থায় পরিণত হয়। তারও পরে আসে ব্যক্তিগত উৎপাদন ব্যবস্থা। (দ্র-ব্যক্তিমালিকানা)।
তা সে যাই হোক, আদিম যৌথব্যবস্থা থেকে নেমে সাম্প্রদায়িক যৌথব্যবস্থায় আসা, সেখান থেকে আরও নেমে গোষ্ঠীর যৌথব্যবস্থায় আসা নিঃসন্দেহে বামন হতে থাকাই বটে। কিন্তু তাতেই কথাটির যাথার্থ্য প্রতিষ্ঠিত হয় না। কেননা, তারপরে তো আরও নেমেছে। তাই এই অধ্যায়ে বামন-এর আরও কোন ভূমিকা ছিল। সেই ভূমিকার সন্ধান-এ গেলে পাওয়া যায় ‘উপেন্দ্র’কে। আমরা জানি, ‘আমাদের জাতি’, ‘আমাদের গোষ্ঠী, ‘আমাদের পরিবার’ … এসব হল একধরনের ‘আমিত্ববোধ’ সেকালে যাকে ‘ইন্দ্র’ বলা হত। কিন্তু কেউ যদি বলতে থাকে যে, ‘না, না, আমাদের গোষ্ঠী এমন কি বড়, এ তো খুবই ছোট, আমাদের আয়—উপায়ই বা কতটুকু, আমাদের উপর দয়া করে অত টাকা ‘বলি’ বা ‘কর’ (ট্যাক্স/খাজনা) চাপাবেন না …’ ইত্যাদি ইত্যাদি, তাহলে সেই ইন্দ্রকে আর ইন্দ্র বলা যায় না, বলতে হয় উপ-ইন্দ্র বা ‘উপেন্দ্র’। এই উপেন্দ্রই বামন। এঁর কৌশলে করের বা ট্যাক্সের পাতাল-প্রবেশ ঘটে যায়। কার কত ট্যাক্স হবে না হবে, সবই খাতার পাতায় ঢুকে থেকে যায়, বাস্তবে রূপায়িত হয় না।
কিন্তু ডোয়ার্ফ্-মানুষকে কেন বামন বলা হয়? তার শরীরের ভিতরে কি এমন কোন নীতির অনুসরণ রয়েছে, যে কিনা প্রতিনিয়ত তার শরীরের বাড়বৃদ্ধিকে ক্রমশ ছোট করে রাখার প্রক্রিয়া চালিয়ে যায়? আমরা জানি না।
বাম, বামন ইত্যাদি শব্দের ব্যুৎপত্তিগত অর্থব্যাখ্যা –
বাম = বা+ম(মন্)= কর্ত্তৃবাচ্যে = ‘বা‘-সত্তাটি (অপর সত্তাটি) সীমায়িত যাহাতে; বা-সত্তাটি রুপ লাভ করেছে যে আকারে; অশুভের সূচনা করে যে; প্রতিকূল, বিরোধী; প্রতীপ; বিপরীত; পরাঙ্মুখ; বিপরীতাচারী; বক্র, অনৃজু, বামভাগস্থ, দেহের বামভাগস্থ; অধম; সুন্দর; বামদেব; শিব; কামদেব; রুদ্র; বরুণ; পয়োধর, সব্যহস্ত; (তন্ত্রে) মদ্যাদিপানরূপ আচার; বামাচার; দুর্দৈব; ধন; বাস্তুক। (বর্ত্তমানে ‘লেফট‘ অর্থে বাম প্রচলিত, বাকি শব্দ অপ্রচলিত।
বাং = বা-এর রহস্যরূপ যাহাতে=(বাং শব্দটি সাঁওতালদের ভাষায় ‘না’ অর্থে নিত্যপ্রচলিত)।
বামদেব = বাম যে দেব=যে দেব সুন্দর বা লোকাচার-প্রতীপ; বসিষ্ঠপুত্র, প্রতিকূল দেব।
বামপন্থী = বাম পন্থা যাহার; বাম রীতিনীতি অবলম্বন করে চলে যে।
বামা = বাম-এর আধার; স্ত্রীমাত্র; নারী; সুন্দরী নারী; গৌরী; লক্ষ্মী; সরস্বতী।
বামী = বাম-এর গতিশীল আধার যে; বড়বা; গর্দ্দভী; শৃগালী; করভী; গর্দ্দভ-অশ্ব-সঙ্করজা; অশ্বতরী।
বামন = বাম (বিপরীত-আচারী) অন (চলমান) যাহাতে; বিকল্প পথে সীমায়িত হইতে হইতে সঙ্কুচিত হইয়া গিয়াছে যে; ব্রাহ্মণ-ভিন্ন জনসাধারণ যাহাকে প্রায়শই তাহাদের বিপরীত আচরণ করিতে দেখিত; যে তাহার স্বাভাবিক্ মনুষ্যত্ব হারাইয়া ক্ষুদ্র হইয়া গিয়াছে। নষ্ট ব্রাহ্মণ (বিবর্ত্তিত রূপ); (সাদৃশ্যে) হ্রস্বাকৃতি; খর্ব্ব; অতি বেঁটে; বিষ্ণুর পঞ্চম অবতার। [খান-চক্রবর্ত্তী রচিত ‘সরল শব্দার্থকোষ‘ থেকে উদ্ধৃত]।