১৭৪৯ বার পঠিত
‘একরাম সাহেবকে যথাযথ প্রথায় হাজতে নিলে ওনার বের হতে লাগত জাস্ট ৩ মিনিট। পুলিশ ফুলিশ ম্যানেজ করে নেক্সট চালান দিতে ওনার ত্রিশ মিনিটও লাগত না’
: এটাই ক্রস ফায়ারের পক্ষজনদের বিচার সক্ষমতা
এবার আসা যাক এ ৩ মিনিট কি তা নিয়ে আলোচনায়।
পুলিশ বা এস আই নিয়ে আলোচনায় কিছু বলার নেই, তাদের নিয়ে ঈমান বা বিশ্বাসটি সেরাম পরিস্কার যে একটা ছোট বাচ্চাও ‘তিন’ মিনিট ম্যানেজ করতে পারে। কিন্তু মেজর কর্ণেলদের নিয়ে আলোচনায় ম্যানেজের ব্যাপারটি ‘তিন’ মিনিটের নয়। রহস্যটি কি?
কথাটাকে এক বাক্যে শেষ করতে চাইলে বাক্যটি হবে– ‘থানা গুলির যা সাইজ তাতে তিন মিনিটেই হয়, ক্যান্টনমেন্ট গুলার সাইজও বটে, তিন মিনিটে কি করে হবে?’
আর র্যাবের পোশাকটি ঠিক ক্যান্টনমেন্টরও না, পুলিশেরও না। সরাসরি ক্যান্টনম্যান্ট পোশাকে অপারেশন ক্লিনহার্ট ক্যান্টনম্যান্টের এর ভাবমূর্তীকেই বিপদে ফেলেছিল। তাই ‘র্যাব’। আবার বিডিআর বা বিজিবি অনেকদিন জন শাসনের উপায় ছিল, কিন্তু বিডিআর বিদ্রোহ বা হত্যাকান্ড সেই আড়ালটির বারোটা বাজিয়েছে। জনগণ জানে বিডিআর বা বিজিবির মেজর কর্ণেলেরা ক্যান্টনম্যান্টেরই। তাই র্যাবই থাক। তাতে নৌ ও বিমানকেও কিছু ভাগ দেয়া যাবে। ঝামেলা বেশী হলে আইজি সাংবাদিকদের সামনে হিরো!
প্রশ্নটি অন্যখানে ‘বিচার’ করবার এতো সখ ও সক্ষমতা নিয়ে মেজর কর্নেলেরা সামরিক বাহিনীতে কেন? তারা বিচার বিভাগে যোগ দিলে দেশের কতো উপকার! তদন্ত কর্মকর্তা, উকিল, বিচারক ও জল্লাদ এক প্যাকেজেই। একের ভিতর চার। রাষ্ট্রের খরচও তাতে চারভাগের এক ভাগে নেমে না এলেও অর্ধেকতো হবেই। যা জনগনের লাভ।
আর একটা কাজ করা যেতে পারে- আইজি পদটি রেখে পুলিশ বিভাগ ও বিচার বিভাগকে অবলুপ্ত করা। তাতে আমরা দ্রুত বিচারও পাবো। পুলিশকে ম্যানেজ করবারও ঝামেলা থাকবেনা। সামরিক শাসনের মত পুলিশ ও বিচার বিভাগকে অকার্যকর করে রাখা বন্ধ না হলে গণতন্ত্র কি থাকে?
সামরিক শাসকের স্ত্রী প্রতক্ষ্য সামরিক শাসন না করতে পেরে ছায়া সামরিক শাসন প্রতিষ্ঠা করেছেন, আওয়ামী লীগ আট বছরেও সেটা দূর করতে ব্যর্থ হলো, বিষয়টি উদ্বেগজনক!
সামরিক শাসন কিংবা ছায়া সামরিক শাসন আমলাদের দুস্কর্মকে আড়াল করে রাখে। সামরিক ও ছায়া সামরিক শাসন রাজনীতিবিদ ও ব্যবসায়ীদের জন্য দূর্নামের বোঝাই বাড়ায়। সেনা সদস্যদেরও সুনাম বাড়েনা। সে দুর্নামের বোঝার নিচে কবি লেখক শিল্পী সাংবাদিকেরাও চাপা পড়তে থাকেন…
অপরাধ বাড়তেই থাকে…
ই-মেইলে যোগাযোগ করুন