০
১৭৫১ বার পঠিত
নিজেকে নারীবাদী ও নাস্তিক দাবি করা নারী নামক পোর্টালের সম্পাদক ওরফে বেগম চৈতী আমদ নামের এক মহিলা বিবাহপ্রথায় বিশ্বাস করেন না বলে যত্রতত্র বাণী দিয়ে বেড়ান। ইতোমধ্যে ইসলামি ধর্মমতে ৩খানা বিবাহ সুসম্পন্ন করিয়া অশেষ নেকি হাসিল করার সুযোগও তিনি হাতছাড়া করেন নি। মজার ব্যাপার হলো উনার সর্বশেষ (কাগজে কলমে রেজিস্টার্ড, কাগজের বাইরেরগুলোর কোনো পরিসংখ্যান নাই) স্বামীর (কবি মোহন রায়হান) ঔরষে জন্ম নেয়া সন্তানকে তিনি নিজের হেফাজতে নিয়ে গেছেন। জেনে শুনে নিজ সিদ্ধান্তে একজন বিবাহিত পুরুষের অর্থাৎ কবি মোহন রায়হানের ঘরে আরো ২ জন স্ত্রী ও সন্তান থাকার পরেও তাঁর স্ত্রীর সতীন হিসেবে (৩য় স্ত্রী) পাণি গ্রহণ করেছিলেন। তার মতে একজন পুরুষের স্ত্রী-সন্তান থাকার পরেও তার সাথে বিবাহ কিংবা যৌনকর্ম করা দোষের না।
যদিও কবি মোহন রায়হান এই মহিলাকে আলাদা বাড়িতে রাখতেন, থাকতেন উভয় স্ত্রীর কাছেই। তখন উনার নারীবাদী স্বত্তা জাগ্রত হয় নি। আরেকজন নারীর সংসারে হানা দিয়ে সেই নারীর জীবন বিভিষীকাময় করে তুলতে হৃদয়ে কম্পন হয় নি। তখন তার নারীবাদী চেতনার উন্মেষ ঘটে নি। এরও আগে একজন চলচ্চিত্র জগতের ৩য় শ্রেণির অভিনয় শিল্পীকে বিয়ে করেছিলেন ইসলাম ধর্মের রীতিনীতি অনুসরণ করেই। তারও আগে নীলফামারী জেলার সৈয়দপুরে এক মুদি দোকানদারের সাথে প্রেমঘটিত কেলেংকারি (!!!?) করে বিয়ে করতে বাধ্য হয়েছিলেন। যদিও সেই বিয়ে পরবর্তীতে টেকেনি। মুদি দোকানদারের পরিবার ওই বিয়ে মানতে চায় নি বলে।
এতো গেল তার কাগজকলমে সংঘটিত বৈবাহিক ব্যাপার-স্যাপার। এর বাইরে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক শিক্ষক, তীরন্দাজ নামক একটি অনলাইন পোর্টালের মালিক ড. মাসুদুজ্জামান, তীতুমীর কলেজের সাবেক অধ্যাপক (যাঁর নামের প্রথম অক্ষরগুলো ইংরেজিতে H এবং R) , অনুপ্রাণন প্রকাশনার সাবেক এক সম্পাদক (তাঁর আপত্তির কারণে নামোল্লেখ করলাম না)সহ ঢাকা শহরের বিভিন্ন শ্রেণিপেশার মানুষের সাথে শারীরিক সম্পর্কে লিপ্ত ছিলেন, বিভিন্ন প্রভাবশালী পুরুষদের যৌনলালসা পূরণের জন্য নারী সরবরাহ করতেন। এই কাজ সুইডেনে এসাইলাম নেয়ার পরেও তিনি জারি রেখেছেন।
ফেসবুকে তার ফ্রেন্ডসলিস্টের বিভিন্ন নারী বন্ধুকে ‘অমুকের সাথে’, ‘তমুকের সাথে’ শোবার নসিহত দিয়ে যান (এগুলোর প্রমাণ হাতে রয়েছে)। পোর্টালে যে লেখাগুলো প্রকাশ করা হয়, এগুলো মূলত বিভিন্ন মানুষের (অধিকাংশ নারীদের) ফেসবুক টাইমলাইনে পোস্ট করা স্ট্যাটাসগুলো কপি করে নিয়ে সেখানে পোস্ট করা। তিনি পোর্টালটি খুলেছেন মূলত নিজের এসাইলাম কেসের সাক্ষ প্রমাণের চেষ্টা করা এবং অনলাইনে তার প্রতিপক্ষদের ঘায়েল করা বা একহাত দেখে নেয়ার কৌশল হিসেবে। এখান থেকে সৃজনশীল ও গঠনমূলক কোনো কনটেন্ট পাওয়া যাবে না। যা পাবেন তা হলো অন্যের লেখা চুরি করে (কখনো কখনো ফেসবুক মেসেঞ্জারে মেসেজ করে লেখকের অনুমতি নিয়ে ফেসবুক থেকে কপি করে ) প্রকাশ করা।
বিভিন্নজনের কাছে তিনি প্রচার করে বেড়ান যে এই পোর্টালটি সুইডিশ পেন ক্লাবের (PEN) দ্বারা প্রতিষ্ঠিত। অর্থাৎ এই পোর্টালটি সুইডিশ পেন এর অর্থানুকূল্যে এবং কারিগরি সহায়তায় চালিত হয়। এরকম আরও বহু বহু গালগল্প শুনিয়ে থাকেন তার বন্ধুদের কাছে। বড় মজার বিষয় হলো নিজেকে সুইডিশ পেনের ‘সবচেয়ে অভিজাত স্কলারশিপ’ পাওয়া লেখক বলে দাবি করা। যদিও পেনের ওয়েবসাইট তালাশ করে এমন কোনো তথ্য এখনোব্দি আমি পাই নি। কারুর জানা থাকলে- তিনি কোন ক্যাটাগরির, কোন গ্রেডের, কতোদিন মেয়াদের, কোন স্কলারশিপপ্রাপ্ত লেখক; দয়া করে জানিয়ে যাবেন।
ই-মেইলে যোগাযোগ করুন