৭
৮৪৫ বার পঠিত
মানবসমাজ যখন শিকারনির্ভর ছিল তখন বিবাহ ছিলনা। ছিল নিছক যৌনতা ও প্রেম। বর্তমানে (এবং চিরকালে বা সনাতনে) যে সমাজে ‘বিবাহ নারীদের পেশা নয়’ সে সমাজে প্রেম ও যৌনতার স্বাধীন চর্চা পরিলক্ষিত, অর্থাৎ নারীদের ইচ্ছা-অনিচ্ছা যৌনতা ও প্রেমের (এবং বিবাহের) প্রশ্নে পুরুষদের ইচ্ছা অনিচ্ছার ন্যায় সমান গুরুত্ববহ।
খ
আদিম সমাজ ও আজকের সমাজের যৌনভাবনা অালাদা। আদিমসমাজের যৌনভাবনায় উত্তরাধিকারের কোন ধারণাই ছিল না, ছিল সাধারণ প্রাণিজ বংশ বিস্তার। সমকালের নগর সমাজের সাধারণত যাদের নিম্নশ্রেণি বা দরিদ্র শ্রেণি হিশেবে চিহ্নিত করা হয় সেই মানবাকৃতিতেও উত্তরাধিকার ভাবনা তেমন কার্যকর নয়, তাই তাদের সন্তানাদির সংখ্যা পঙ্গপালের ন্যায় এবং তারা আয় ইনকামের উপায়!
গ
প্রাচীন কৃষি সমাজের বিকাশ ধারার প্রয়োজনে মানুষের প্রয়োজন পড়লো এক স্থানে স্থায়ী হওয়ার। আর সে সময়েই বিকাশ ঘটলো ‘সম্পদ ভাবনার’, যার সূচনা ঘটেছিল আরো অাগেই ‘সঞ্চয়’ প্রয়াসের কালে। এই সম্পদ ভাবনার বিবিধ পর্যায়ে ‘সন্তান’ ভাবনা ও সন্তান লাভের উপায় ‘যৌন’ ভাবনার বিকাশ এবং তা ‘বিবাহ’ নামক রীতিতে পরিণত। হ্যাঁ, এইসব ভাবনার বিবিধ বয়ানই ‘ধর্ম’ নামে আমাদের সামনে উপস্থিত।
ঘ
ধর্মের সংখ্যাপ্রাচুর্য ও ভূগোল বা শিকড়ছিন্নতা বা রপ্তানী-আমদানী যোগ্যতার সংকট এবং ব্যাক্তি মানবাকৃতির মস্তিকের বিবিধ মান যে সামাজিক শৃঙ্খলা তৈরি করেছিল তা এক মানবেতর পরিস্থিতি তৈরি করেছিল। সেই শৃঙ্খলকে ভাঙতে ‘এ মাটি আমার মা’ শ্লোগানের জন্ম এবং তা বিবিধ পর্যায় অতিক্রম করে আজকের ‘রাষ্ট্র’ ধারনায় উপনিত। ইউরোপ রাষ্ট্র ধারনার বিকাশে সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ যে কাজটি করেছে তা হলো ধর্মের আইন প্রণয়নের ক্ষমতা কেড়ে নিয়ে রাষ্ট্রের হাতে অর্পন করেছে। আর রাষ্ট্রের আইন প্রণয়ন ক্ষমতায় জনগণের সম্পৃক্ততা বাড়াতে শিক্ষা (প্রাথমিক শিক্ষা বা পড়বার সক্ষমতা¹, বিদ্যালয় বা পেশা বা কারিগরি শিক্ষা ও উচ্চশিক্ষা বা গবেষণা); মতামত (গ্রন্থ রচনার অধিকার² ও গণমাধ্যম) কে করে দিয়েছে সবার জন্য উম্মুক্ত ও সদা সচল…
ঙ
সম্পদ চেতনা বা পুঁজির ধারনাই বহু দেবতা থেকে একেশ্বরবাদের দিকে মানুষের ভাবনাকে নিয়ে গেছে। একেশ্বরবাদের ছাতার নিচের মানুষকে একটি আইন কাঠামোর অধীনে আনা যায় বা গেছে। মানুষের অন্তর্গত শৃঙ্খলাবোধই তাকে আইন কাঠামোর প্রতি অনুগত করে এবং আইন কাঠামোই তার নিরাপত্তা ও স্বাধীনতার রক্ষাকবজে পরিণত হয়। আবার আইন কাঠামোর অচলায়তনই তার নিরাপত্তা ও স্বাধীনতার অন্তরায়। তাই সময়ের প্রবাহে নতুন নতুন ধর্ম বা আইন প্রণয়ন হয়েছে এবং নতুন অচলায়তন তৈরি হয়েছে। ব্যাক্তির সাথে গোষ্ঠীর যে সম্পর্ক বা লেনদেন তা-ই আইন, সেটা সামাজিক কিংবা ধর্মীয় কিংবা নৈতিক বা রাষ্ট্রীয়। রাষ্ট্র হচ্ছে এমন এক ব্যবস্থা যেখানে আইনসমূহ লিখিত বা সুনির্দিষ্ট হয় বা ব্যক্তির স্বেচ্ছাচারিতামুক্ত হতে হয়। তাই এখানে আইন নিয়ে ক্রমাগত জন বা গণ বিতর্ক চলতে থাকে এবং সে বিতর্কের নিরিখে নতুন আইন প্রণয়নের আগে পূরণো বা বিদ্যমান আইন সমুন্নত থাকে। এখানেই রাষ্ট্র ও ধর্মের পার্থক্য। ধর্ম কোন এক বিশেষ ব্যাক্তির বিশেষ সিদ্ধান্তসমূহকে স্থির ও অপরিবর্তনীয় ধরে সকল মানুষের অস্থিত্ব ও চিন্তা সক্ষমতাকে অস্বীকার করে। বৈদিক চিন্তকেরা কিংবা বুদ্ধ কিংবা মুহাম্মদ ব্যক্তির বা জনের চিন্তাকে বিশেষ গুরুত্ব দেয়ার প্রয়োজনীয়তা বুঝলেও তাকে কাঠামো প্রদানে ব্যার্থ হয়েছেন। রেনেসাঁর ইউরোপ সেখানেই সফল…
(বিঃদ্রঃ প্রচীন গ্রীক ও বৈদিক ভারত ব্যক্তির বা জনের চিন্তাকে কাঠামোবদ্ধ করতে সফল হয়েছিল বলে আমার মত। কিন্তু জন বা গণ চিন্তার অপ্রতুল যোগান সে কাঠামোকে দূর্বল করে ফেলে ও পৌরিহত্যকে ক্ষমতার অচলায়তন নির্মাণের সুযোগ করে দেয়।)
চ
সংখ্যালঘু একটি ধর্মীয় বা ধর্মীয় সাম্প্রদায়িক শব্দ। ‘আমি সংখ্যালঘু’ এ শব্দবন্ধ দিয়ে ব্যাক্তি রাষ্ট্রের বৃহৎ জনগোষ্ঠীর সাথে নিজের দূরত্ব তৈরি করে। এক্ষেত্রে ধর্মীয় পরিচয়কেই সে প্রধান করে তোলে এবং রাষ্ট্র ও তার অাইনকে অস্বীকার করবার সুযোগ তৈরি হয়। আর সুবিধাবাদী শোষক গোষ্ঠী সেই আইনহীনতারই সুযোগ নিতে থাকে এবং তারা দাসরাষ্ট্র বা ধর্মরাষ্ট্রের কাঠামোকে ব্যবহার করে বৃহৎ জনগোষ্ঠীকেই সংখ্যালঘুতে পরিণত করে। এটা দূর করবার একমাত্র উপায় ধর্মকে আইন প্রণয়নে সুযোগ না দেয়া। ধর্ম পারিবারিক বা বিবাহ ও উত্তরাধিকার আইন আকারে রাষ্ট্রের আইন কাঠামোর মধ্যে অবস্থান করে। পরিবার সমাজ বা রাষ্ট্রের ভিত্তি। আর রাষ্ট্রআইন কাঠামোর মধ্যে যত বেশী ধর্মীয় অচলায়তন বা যুক্তিহীনতা (লিঙ্গ বৈষম্য ও অন্যান্য অসহায়ত্ব বা রাষ্ট্রের দায়হীনতা) তত দূর্বল রাষ্ট্র।
ছ
বাংলাদেশে মুসলিম পারিবারিক আইন দফায় দফায় পরিবর্তন হলেও হিন্দু পারিবারিক আইন কুইন ভিক্টোরিয়ারই³ জয়গান গাহিতেছে…
ঝ
যে জনগোষ্ঠী নিজেই ধর্মের নামে তার নিজের নারী ও শিশুদের (এতিম) অসহায় ও পরনির্ভরশীল করে রাখে। ব্যাক্তি বা মানুষ হতে বাধা দেয়, তাকে আঘাত করার জন্য বাতাসই যথেষ্ট…
নোট:
১. আইন মেনে চলবার জন্য আইন জানা বোঝার জন্য পড়বার সক্ষমতা বা শিক্ষা (প্রাথমিক) জরুরী, তাই শিক্ষা (প্রাথমিক) রাষ্ট্রের দায়ীত্ব ও জনগনের দায়ীত্ব বা অধীকার…
আইন (তত্ত্ব) সমূহ যদি মাতৃভাষায় লিখিত থাকে তবে জনগণের তা বুঝবার সক্ষমতার মাত্রা বহুগুণ থাকে এবং আইন প্রণয়নে জনসম্পৃক্ততা বৃদ্ধি পায়। উপনিবেশ বা দাস রাষ্ট্রে আইন তাই বিদেশি ভাষায় রচিত হয়। রাষ্ট্র প্রতিষ্টার আগে হিব্রু ভাষার বাইবেল ইউরোপের আইনগ্রন্থ… ভারত-পাকিস্তান-বাংলাদেশে সংস্কৃত/ইংরেজি ভাষা কিংবা আরবি/ইংরেজি ভাষার ধর্মগ্রন্থের সঙ্গে আইনসমূহ ফার্সি/ইংরেজি ভাষায়…
বিঃদ্রঃ আরবি কোরান ও ফার্সি হাদিস আরব-পারস্যকে পৃথিবী শাসনের ক্ষমতা দিয়েছিল। মাতৃভাষায় আইন প্রণয়নের সুযোগ ইউরোপের রাষ্ট্রসমূহকে পৃথিবীব্যাপী উপনিবেশ বিস্তারের ক্ষমতা দিয়েছে…
২. এর আগে শুধু কবির ছিল অধিকার কাব্য রচনার। গদ্য এর জন্ম ও বিকাশ একটি ‘রাষ্ট্র’ চেতনার প্রকাশ
৩. আমরা কি কুইন ভিক্টোরিয়ার শাসনাধীনে আছি?
ই-মেইলে যোগাযোগ করুন
সেপ্টেম্বর ৬, ২০১৭; ৪:৫৫ পূর্বাহ্ন
একমত হতে পারলাম না। প্রথম লাইনেই সমস্যা আছে, “মানবসমাজ যখন শিকারনির্ভর ছিল তখন বিবাহ ছিলনা। ” এটা মোটেই ঠিক না। বিবাহ অনেক পুরাতন প্রতিষ্ঠান, মর্গানের ‘আদিম সমাজ’ দেখেন। আর দুনিয়ার প্রথম আইন হল ‘বিবাহ আইন’, মানে কোন গোত্রের কাকে বিবাহ করা যাবে বা যাবে না এ সম্পর্কিত ট্যাবু বা নিষেধাজ্ঞা।
নর-নারীর সেক্সুয়াল সম্পর্কের ব্যাপারে আদিম সমাজ খুব সতর্ক ছিল, এ ব্যাপারে তারা কঠিন নিয়ম-কানুন পালন করত। তাদের পুরো সমাজ কাঠামোই এ উদ্দেশ্যকে উপলক্ষ্য করে।
সেপ্টেম্বর ৬, ২০১৭; ১১:০৪ পূর্বাহ্ন
মর্গানের ‘আদিম সমাজ’ আর একবার পড়ুন…
সেপ্টেম্বর ৭, ২০১৭; ১২:১৫ পূর্বাহ্ন
হা হা … খুব মজা পাইলাম। প্রথমবার মন্তব্য করার সময়ই আরেকবার দেখে নিয়েছিলাম।
“In savagery community of husbands and wives, within prescribed limits, was the central principle of the social system. The marital rights and privileges, (jura conjugialia,) established in the group, grew into a stupendous scheme, which became the organic principle on which society was constituted.” – আদিম সমাজ
Savage পর্যায় ছিল আজ থেকে ষাট হাজার বছর আগে। তারপরে হলো বর্বর সমাজ পঁয়ত্রিশ হাজার বছর আগে। আর সভ্যতা মাত্র দশ হাজার বছর। তো স্যাভেজ বা বুনো পর্যায়েই পরিবারের ধারণা ছিল। মানুষ তখন গোত্রে ভাগ হয়ে থাকত, এবং সেক্সুয়াল সম্পর্কের ব্যাপারে নানা বিধি-নিষেধ তখন থেকে কার্যকর ছিল। প্রতিটি গোত্রে একটা তালিকা ছিল কাদের সাথে স্বামী-স্ত্রীর সম্পর্ক নিষেধ, গোত্রের মধ্যে তো অবশ্যই নয়। অন্য কোন গোত্র থেকে মেয়ে আনা যাবে সেসব বিষয়ে কঠোর নিয়ম ছিল। যার অন্যথা হলে কঠোর শাস্তি, গোত্রের সবাই মিলে তাকে মেরে ফেলে। সাময়িক প্রেমের ক্ষেত্রে ছেলেটাকে মেরে ফেলা হয়, আর মেয়েটাকে কঠোর শাস্তি দেয়া হতো।
‘ আমাদের ধারণা বর্বর, উলঙ্গ, অসভ্য মানুষেরা তাদের সেক্সুয়্যাল লাইফে আমাদের মত নিয়ম-নীতির অনুসরণ করবে না। কিন্তু দেখা গেছে তারা এ বিষয়ে খুবই সচেতন ছিল। অজাচারের ব্যপারে তারা খুবই সতর্ক থাকত। একই টোটেমের মানুষেরা সেক্সুয়াল সম্পর্ক করতে পারে না। তার উপর বাবা/ মায়ের গোত্রের কারণে আরো অনেক নিষেধাজ্ঞা থাকত।’ -টোটেম ও ট্যাবু, ফ্রয়েড
সেপ্টেম্বর ৮, ২০১৭; ১১:২৪ পূর্বাহ্ন
আমিও মজা পাইলাম। আপনিই সঠিক, তবে সমস্যা হচ্ছে মর্গানের ৫০০ পৃষ্ঠাকে দু’লাইনে প্রকাশ করিতে গেলে যে সংকট বা ভ্রান্তি ঘটিবার সম্ভাবনা তৈরী হয় তাহাতে মর্গানের দুলাইনের পাঠক উক্ত দুলাইনে মূর্খতার সন্ধান পাইয়া পন্ডিতির হাসি দিতেই পারেন। তবে আদম-হাওয়ার (Adam & Eve) গল্প বলিতেছে গন্দম ফল খাইবার আগে আদম ও হাওয়া পরস্পরের সঙ্গী ছিলেন কিন্তু দম্পতি ছিলেন না…
সেপ্টেম্বর ৮, ২০১৭; ১:২৩ অপরাহ্ন
আমার সঠিক হবার দরকার নাই, এ ব্যাপারে এনথ্রপলজিস্টরা এবং অন্য যারা গবেষণা করেছেন তারা কী বলছেন সেটাই বিবেচ্য। এটা ঠিক যে আদিম মানুষ আমাদের বর্তমান সময়ের মত বিবাহের চুক্তিতে আবদ্ধ হত না। কিন্তু তাই বলে তাদের মধ্যে কোন নিয়ম-কানুন ছিল না, এটা সত্যের অপলাপ। বরং নর-নারীর সম্পর্কের ব্যাপারে আদিম অসভ্য মানুষের মধ্যে কঠোর নিয়ম-কানুন ছিল, সামাজিক অনেক বাধা নিষেধ ছিল। আদিম মানুষ ইনসেস্টের ব্যাপারে খু্ব সচেতন ছিল। বর্তমান কালের বিবাহের যেমন অনেক নিয়ম-কানুন এবং সামাজিক ভাবে গ্রহনযোগ্যতা লাগে তাদেরও তেমনি ছিল। গোত্রের বাইরে মানুষের টিকে থাকার সম্ভাবনা কম, গোত্রের সিদ্ধান্তের বাইরে গেলে নিশ্চিতভাবে কঠোর শাস্তির ব্যবস্থা তাদের টোটেমের আইন বাস্তবায়নে সহায়ক ছিল। তার উপরে বংশ-বিস্তার, সন্তান লালন-পালনে গোত্র ছিল একমাত্র ভরসা। ফলে মেয়েদের অবশ্যই এ ব্যাপারে সচেতন থাকতে হত।
আপনার প্রথম মন্তব্য দেখে মজা পেয়েছিলাম। মর্গানের বই থেকে কোট করার সেটাই কারণ। দু’লাইনে বুঝার প্রয়োজন নাই,তার বইয়ে আমেরিকান বিভিন্ন আদিবাসীদের বিবাহ পদ্ধতির বিস্তারিত বর্ণনা আছে,যাদের অনেকেই ‘শিকার নির্ভর’। শুধু মর্গান কেন, ফ্রয়েড, ভুন্ড এদের সবার লেখায় আদিম সমাজের নর-নারীর সম্পর্কের ব্যাপারে কঠোরতার কথা বলা আছে। যদি সেসব নিয়মকে আমরা বিয়ে বলতে না চাই তাহলে কিছু বলার নেই। কিন্তু এনথ্র্পলিজস্টরা সেগুলোকে সামাজিক চুক্তির অংশ হিসেবে ‘বিবাহ’ বলেছেন। এবং মানুষের বানানো আইনের মধ্যে বিবাহ আইন প্রথম, তার অনেক অনেক পরে ব্যক্তিগত সম্পত্তির ধারণা প্রতিষ্ঠিত হলে আসে উত্তরাধিকার আইন। বিবাহ কী? দুজন নর-নারীর মধ্যে সমাজ স্বীক্রিত সেক্সুয়াল কন্ট্রাক্ট।
সেপ্টেম্বর ৮, ২০১৭; ১:২৯ অপরাহ্ন
আদম-হাওয়া তো পুরাণ, সম্পূর্ণ ভিন্ন কনটেক্সট, এর পাঠ ভিন্ন।
সেপ্টেম্বর ৮, ২০১৭; ৭:৩৩ অপরাহ্ন
বিবাহ বা চুক্তি ব্যাপারটি ঘটে প্রজননে যৌনতার ও নারী ও পুরুষের কার কি ভূমিকা সেটা মানুষ আবিস্কার করে তখন। এটাই আদম হাওয়ার গল্প… মানুষ হয়ে ওঠার গল্প… কারন মানুষের যৌনতায় প্রজনন ছাড়াও আরও কিছু আছে… যাহাকে আনন্দ বলে…প্রেম বলে…