১১৫৫ বার পঠিত
বুয়েট হল বাংলাদেশের শ্রেষ্ঠ ইঞ্জিনিয়ারিং ইউনিভার্সিটি এবং সাধারণত বাংলাদেশের সবচেয়ে মেধাবী শিক্ষার্থীরাই এখানে পড়ার সুযোগ পায়। তাই তাদের কাছে জাতীর আশা আকাঙ্ক্ষাও অনেক। তারাই দেশের প্রগতিশীলতা ও কুসংস্কার মুক্তির আন্দোলনের অগ্রভাগে থাকবে এটাই আকাঙ্ক্ষিত। কিন্তু তারা যদি হয় কুসংস্কারাছন্নতার আঁকর, তাহলে তা দুশ্চিন্তার কারণই বটে।
আমার সাধারণ শিক্ষিত মোটামুটি মুক্ত মনের বন্ধুরা যখন বলে, তোদের বুয়েটের বেশির ভাগ শিক্ষকই তো দেখি দাড়িওয়ালা ও টুপি পড়া তখন লজ্জাই আমার মাথা হেট হয়ে আসে। ঢাবি-র বাংলা বিভাগের শিক্ষকেরা বরং অনেক বেশি প্রগতিশীল। বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি নিয়েই যাদের কাজ তাদেরতো এমনটি হওয়ার কথা ছিলনা! তাহলে কি ধরে নিতে হবে বিজ্ঞান শিক্ষার প্রকৃত উদ্দেশ্য ব্যর্থ হয়েছে আমাদের দেশে? বিজ্ঞান চর্চা এদেশে বিজ্ঞান মনস্ক শিক্ষিত মানুষ তৈরির বদলে তৈরি করেছে বিজ্ঞান কে টুলস হিসাবে ব্যবহারকারী এক একজন ব্যবসায়ী। শিক্ষা ব্যবস্থা থেকে বিবর্তনবাদ সহ আরও বিজ্ঞান চেতনামুলক অংশ বাদ দেয়া ও অনন্য যেসব ষড়যন্ত্র হয়েছে অন্ধকার মুক্ত মানুষ তিরীর বিরুদ্ধে তারই কি ফল এসব? অবস্থা এমন হয়েছে যে, বুয়েটের নাম পালটিয়ে যদি রাখা হয় ” বাংলাদেশ মাদ্রাসা অফ ইঞ্জিনিয়ারিং এন্ড টেকনোলজি” তাহলে বেমানান হবে না।
–লেখাটি পূর্বে আমার ব্লগ এ নাস্তিক নিক এ এই লেখক কর্তৃক প্রকাশিত হয়েছিল।
ই-মেইলে যোগাযোগ করুন