০
১৪৯৪ বার পঠিত
আমার কাছে এই ছবিটা খুবই এপ্ট মনে হৈছে।
আপ্নেরা যারা জীবনে এক ঘন্টার জন্যেও হোলো বাঁশি বাজাইছেন তারা জানেন যে বাঁশির প্রথম ফুটা যদি আপনি ছাইড়া দেন, ইট ডাজন্ট ম্যাটার পরের ফুটাতে আপনি কয়বার ‘ট্রিল’ করলেন। শেখ মুজিব তার বাম হাতের তর্জনী দিয়া প্রথম ফুটা ছাইড়া দেছে। কাজেই বাকীটা ফাও এন্ড ফেইক।
যারা বাঁশি বাজাইতে জানে না, তারা রং-ঢং করলে এইসব ন্যাকামি করে। ওয়ানাবীরা বাঁশি হাতে লইয়া প্রথম এই পার্টটা লয়।
সেই দিক থিকা অবশ্য ছবিটা ঠিক হৈছে এন্ড তাৎপর্যপূর্ণ। শেখ মুজিব বাঁশি বাজাইতে জানে না – ঠিক যেইরকম গণতন্ত্র কি সেইটাও জানে না। সুযোগ পাইয়াই নিজেরে আজীবনের লাইগা বাদশা ঘোষণা করছে।
অনেকেই কইতেছে এই ছবিতে শেখ সাহেবরে শ্রীকৃষ্ণের সাথে কম্পেয়ার করা হৈছে। এইটা কতোটুকু এপ্ট হইলো – আপনেরাই বিবেচনা করবেন।
আমি দেখছি হিন্দুদের মধ্যে যারা অতি দুষ্ট – মানে আমার চাইতেও বেশী – তার বলেছে যে শ্রীকৃষ্ণ নাকি “মাখন-চোর” (আমি কৈতেছি না ভাই – খোদার কসম) – মডার্ন সেন্সে প্র্যাঙ্কস্টার কইতে পারেন। বৃন্দাবনে যারা গরুর দুধ দোয়াইতো – মানে মিল্কমেইড (গোপীনি) – তাদের সাথে শ্রীকৃষ্ণ নানান ধরনের খেলা খেলতেন – এই খেলা ইতিহাসে রাসলীলা নাম সমাদৃত হৈছে। তো যারা অতি দুষ্ট ও খ্রাপ (এদের মধ্যে অবশ্যই আমি নাই) – তারা বলেছে শ্রীকৃষ্ণ নাকি সুযোগ পাইয়া পুকুর পারে গিয়া গোপীনিদের বস্ত্রহরণ করছিলো। এইটাও কিন্তু উনি নিরুপায় হয়ে করছিলেন।
সনাতন ধর্মে, ইয়ে মানে মেয়েদের ফুল-মন্টি হইয়া গোসল করা মহাপাপ। তো এই যুবতী গোপিনীরা ফুল-মন্টি হইয়া গোসলে নামার কারণে শ্রীকৃষ্ণ তাগো শাস্তি দেয়ার জন্যে তাদের কাপড় লইয়া গেছেলেন। আমি ভাই কাটখোট্টা টাইপ rational মানুষ। নগ্ন হইয়া গোসল করা মহাপাপ-বুঝলাম। এর শাস্তি হিসাবে আপনি তাগো পিটাইবেন বা সমাজচ্যুত করবেন – এইটা আমার মাথায় ঢোকে – কিন্তু নগ্ন হয়ে গোসল করার শাস্তি হিসাবে আরো বেশীক্ষণ নগ্ন রাখলে শাস্তিটা কীভাবে হয় – এই জিনিসটা আমি বুঝি না। সমস্যাটা আমার – স্বীকার করি। আপনারা যারা শাস্ত্রজ্ঞ – তারা আলোকপাত করবার পারেন।
আবার এই শাস্তির কারণে অনেকে মজা পাইতে পারে কিন্তু – বলা তো যায় না – পোলাপাইনতো হারামী। আর ভারতবর্ষের পোলাপাইনরা খুবই বদমাশ – আপ্নেরা জানেন – মেয়েদের দেখলেই সিটি বাজায় – অশ্লীল ইঙ্গিত করে – ইভ টিজিং করে।
এতোজনরে এক লগে শাস্তি দিতে হইলে তো ভাই আপনার সরকার লাগবে – রাতের বেলায় নির্বাচন করতে হবে। পুলিস লাগবে, হেলমেট বাহিনী লাগবে, জোসেফ ও হারিস লাগবে। ম্যালা কাম। তিন হাজার বছর আগে আপনি জোসেফ ও হারিসরে কৈ পাইবেন?
অদ্ভুতভাবে আওমীরাও এই টাইপ যুক্তি দেন। মানে বাঙালি গণতন্ত্র বুঝে না – বজ্জাত। তার শাস্তি হিসাবে আরো বেশী গণতন্ত্র পাছা দিয়া সান্ধায় দিলে – সেইটা শাস্তি হোতো – এইটা আমি বুঝি। কিন্তু তার শাস্তি হিসাবে বাকশাল – য়ে মানে এইটা তো কাউন্টার-ইনটিউটিভ।
সেইদিক দিয়া শেখ সাহেবরে শ্রীকৃষ্ণের লগে কম্পেয়ার করাটা ঠিকাছে।
সাধু সাধু!
তবে আমার মতে শেখ মুজিবরে লইয়া যতো ট্রিবিউট দেয়া হৈছে – আর্ট ফর্মে – য়ে মানে এইটার মইধ্যে আমারটাই বেস্ট এবং সবচাইতে এপ্ট। কুনো সন্দেহ নাই।
এইটা যারা মানে না, তারা বৃন্দাবনের গোপিনী – আমারে হিংসা করে। তারা নিধিবনে গাছের ছদ্মবেশ লৈছে।
ই-মেইলে যোগাযোগ করুন