০
৫১৩ বার পঠিত
নারী প্রসঙ্গে বৌদ্ধ শাস্ত্রের ৫৩৬ নম্বর জাতকে কুণাল আর গ্রিথরাজের মধ্যে কথোপকথন প্রণিধানযোগ্য। এখানে গ্রিথরাজের কাছে কুণাল নারী চরিত্র কেমন তা বর্ণনা করেন। নারীর প্রকৃত চরিত্র কেমন সে সম্পর্কে কুনাল যা যা বলেন তা হলঃ
@ ব্রাহ্মণ, সাগর, নরপতিআরনারীএইচারকেকখনোইকেউসন্তুষ্টকরতেপারেনা।
@ একজননারীরযদিআটজনসেক্সিস্বামীওথাকেতারপরওসেনবমজনারপ্রতাশাকরে।
@ নারীরজ্বলন্তআগ্নেয়গিরিরমতোযোনীসবসময়ইঅপূর্ণথাকে। @ নারীঅগ্নিরমতোসবকিছুগিলেখায়।
@ নারীনদীরমতোসবদিকেপ্রবাহিতহয়।
@ নারীহলকাটাগাছেরন্যায়।
@ নারীসবসময়পুরুষেরদুঃখেরকারণহয়।
@ নারীধনেরজন্যকুপথেযায়।
@ নারীনিজেরস্বামীকেসেবানাকরেপরপুরুষকেসেবাদেয়।
@ নারী যেহেতু অধঃগামী তাই তাদের নরক নিশ্চিত।
এইসব কারনেই বুদ্ধিমানের অবশ্যই নারীকে পাশ কাটিয়ে চলা উচিত। আসুন কথা না বাড়িয়ে আমরা কুণালের মতে নারী চরিত্রের নীতিগাঁথা শুনী।
“নারীর চরিত্র আমি বলিতেছি আজ
সাবধানে শ্রবণ করোহে গ্রিথরাজ
সমুদ্র, ব্রাহ্মণ, নরপতি আর নারী
পুরীতে কাহারো সাধ্য নাই এই চারি।
এক রমণীর যদি হয় অষ্টপতি
বীর বলবান সবে, কামপ্রদ অতি
লবিতে নবম তবু চায় সেই মনে
আগ্নেয়গিরি অপূর্ণ তার থাকে সর্বক্ষণে।
অগ্নিসম সর্বভক্ষা সকল রমণী
নদিসমা সর্বনারী সর্বপ্রবাহিণী
কন্টকশাখার তুল্য রমণী সকল
পুরুষের হয় হেতু দুঃখের কেবল।
ধনলোভে সব নারী কু পথেতে যায়
ত্যাজি পতি রত হয় পরপুরুষ সেবায়
নারীর গমন সদা অধঃপথে
মরনের পর নরকে নিবাস
তাই সুধীগণ অতি সাবধানে
দুর হতে ত্যাজি নারীদের পাশ।
ডুবিলে নারীর মায়ার আবর্তে
ব্রহ্মচর্য পায় অচিরে বিনাশ
তাই সুধীগণ অতি সাবধানে
দূর হতে ত্যাজি রমণীর পাশ।”(কুনাল ও গ্রিথরাজ, কুনাল জাতক, নম্বর ৫৩৬)
(সিরিজ আকারে লেখা হচ্ছে, চলতে থাকবে)
ই-মেইলে যোগাযোগ করুন