মারিয়া ছিল মিশরীয় খ্রিস্টান, নবীর যৌনদাসী। তিনি ছিলেন নবীর স্ত্রীদের অন্যতম গৃহপরিচারিকা। তার সঙ্গে নবীর যৌন কেলেঙ্কারির কাহিনী আছে। বিয়ের ঝামেলা ছাড়াই নবী প্রায় তার সঙ্গে শুয়ে থাকতেন। এ নিয়ে নবীর স্ত্রীদের মধ্যে কানাঘুষা শুরু হয়। একবার হাতেনাতে ধরা পড়েছিলেন। কেলেঙ্কারি শুরু হওয়ার সঙ্গে সঙ্গেই আয়াত নাযিল করে নবীকে বাঁচিয়েছিলেন তার আল্লাহ। এরকম পরিস্থিতি থেকে মোহাম্মাদকে বাঁচানোর জন্য সবার আগে ছুটে আসতেন তার আল্লাহ। আর তার একমাত্র মোক্ষম অস্ত্র ছিলো কোরআনে যুতসই একটি আয়াত নাজিল করা। মোহাম্মদ বিপদে পড়লেই তার সুবিধামাফিক আয়াত নাজিল করে দিয়ে আল্লাহ তাকে বাঁচিয়ে দিতেন। লাম্পট্যপনা করতে গিয়েও এভাবে ‘ঐশ্বরিক হস্তক্ষেপে’ রেহাই পান পবিত্র নবী। এই কাহিনীটি নির্ভরযোগ্য হাদিস এবং উমারের বর্ণনা থেকে উপস্থাপন করা হয়েছে। এখানে আরো দেখানো হয়েছে, মোহাম্মদের কু-কীর্তি কীভাবে আড়াল করতে চায় তার অনুসারীরা। মূলত ২০১০ সালের ২৩ ডিসেম্বর, দি ফেইথ ফ্রিডমে এ সম্পর্কিত আলী সিনার একটি চমৎকার দালিলিক লেখা প্রকাশিত হয়েছে। ‘মারিয়া, দি সেক্স স্লেভ অফ হোলি প্রফেট’ শিরোনামের ওই নিবন্ধের ভাষান্তর এখানে দেওয়া হল।
কোরআনের সূরা আত তাহরীম এর ৪ নং আয়াতে বলা হয়েছে।
“যদি তোমরা দুইজন তওবা কর, তোমাদের অন্তর অনুতপ্ত হয় তো ভাল, আর যদি নবীর বিরুদ্ধে একে অন্যকে সাহায্য কর, তাহলে জেনে রাখ, আল্লাহ, জিবরাইল এবং সৎকর্মপরায়ণ মুমিন এবং ফেরেস্তাগণ তাঁকে সাহায্য করবে।”
উমার ব্যাখ্যা করেছেন, ওই আয়াতে আল্লাহ যে দুইজন নারীর কথা বলেছেন ওই দুইজন হলেন হাফজা এবং আয়েশা। নবীর লাম্পট্যপনা দেখে ফেলে ও জেনে ফেলে এরা দুজনেই নবীর প্রতি ক্ষুব্ধ হয়েছিলেন। এতে নবী খুব চটে গিয়েছিলেন। তিনি তার সকল স্ত্রীদের তালাক দেওয়ার কথা চিন্তা করেছিলেন। এখানে পুরো ঘটনাটি বর্ণনা করা হয়েছে।
বুখারী শরীফের তৃতীয় খণ্ডে, ৪৩ নং বইয়ে, ৬৪৮ নং হাদিসে বলা হয়েছে:
“আব্দুল্লাহ বিন আব্বাস হতে বর্ণিত, আমি খুব আগ্রহসহকারে জানতে চেয়েছি, উমার নবীর স্ত্রীদের মধ্যে যে দুইজন সম্পর্কে বর্ণনা করেছেন, যাদের সম্পর্কে কোরআনে আয়াত নাযিল হয়েছিল: ‘যদি তোমাদের দুইজন (মোহাম্মদের দুই স্ত্রী আয়েশা ও হাফজা) আল্লাহর কাছে তওবা কর। তোমাদের হৃদয় যদি অনুতপ্ত হয় (নবী যা অপছন্দ করেন, তাকে যদি প্রত্যাখ্যান কর)’। ৬৬.৪। আব্দুল্লা বিন আব্বাস আরো বলেন, ‘উমারের সঙ্গে হজ করে ফেরার পথে তিনি একবার প্রকৃতির ডাকে সারা দিতে এক পাশে গিয়েছিলেন। আমিও সেখানে পানিভর্তি টুম্বলার বহন করছিলাম। যখন তিনি প্রকৃতির ডাকে সাড়া দিয়ে ফিরে আসলেন আমি তার হাতে পানি ঢাললাম। তিনি অজু করলেন। আমি বললাম, হে বিশ্বাসীদের প্রধান! নবীর স্ত্রীদের মধ্যে ওই দুই নারী কারা? যাদের সম্পর্কে কোরআনে বলা হয়েছে। “যদি তোমরা দুইজন তওবা কর।” (৬৬.৪)। তিনি জবাব দিলেন, ‘হে ইবনে আব্বাস, তোমার প্রশ্ন শুনে আমি খুব অবাক হয়ে গেছি। ওই দুই নারী হলেন আয়েশা ও হাফজা।’ এরপর উমার এ সম্পর্কে বলতে থাকলেন, “আমি এবং একজন পড়শি আনসারি ছিলেন। যিনি আওয়ালী আল মদিনাতে বসবাস করতেন। এসেছিলেন বানি উমাইয়া বিন জিয়াদ থেকে। আমরা প্রায় পালাক্রমে নবীর কাছে যেতাম। সে যদি একদিন যেত, পরের দিন আমি যেতাম। যখন আমি যেতাম আমি খবর নিয়ে আসতাম, সেদিনের নির্দেশনাগুলো কী কী ছিল। যেদিন সে যেত, ওই দিন সেও আমার মতই কাজ করত। কোরাইশ গোত্রের লোক হিসেবে নারীদের ওপর আমাদের প্রাধান্য ছিল। কিন্তু যখন আমরা আনসারিদের সঙ্গে বসবাস করা শুরু করি, তখন ঘোষণা করতাম, আনসারি নারীদের ক্ষমতা তাদের পুরুষের চেয়েও ওপরে। এতে দেখা গেল আমাদের নারীরাও আনসারি নারীদের এসব অভ্যাস রপ্ত করতে লাগল। এক পর্যায়ে ক্ষিপ্ত হয়ে আমার স্ত্রীকে চিৎকার করে বকাবকি শুরু করলাম। সে আমাকে আমার টাকা ফেরত দিল। সে জবাব দিক, সেটা আমি পছন্দ করছিলাম না। কিন্তু সে বলল, ‘আমার প্রতিত্তোর দেওয়াকে আপনি খারাপভাবে নিচ্ছেন কেন? আল্লাহর রাসুলের স্ত্রীরা তার কথার প্রতিত্তোর করে। এমনকি তাদের অনেকে নবীর সঙ্গে ভরদিনই কথা বলা বন্ধ রেখেছে, এমনকি রাত পর্যন্ত।’ তার কথায় আমি ভয় পেয়ে গেলাম। আমি তাকে বললাম, ‘তাদের মধ্যে যিনি মেঝ, তিনিও কি একই রকম করছে, তাহলে সে বড় ক্ষতির সম্মুখীন হবে।’ এরপর আমি পোশাক পরলাম। তারপর হাফজার কাছে চলে গেলাম। তাকে জিজ্ঞেস করলাম, ‘তোমাদের মধ্যে কেউ কি আল্লাহর রাসুলকে ভরদিন এমনকি রাত পর্যন্ত রাগান্বিত করে রেখেছ? সে হ্যাঁ সূচক জবাব দিল। আমি বললাম, ‘সে ধ্বংস হয়ে যাবে, ক্ষতিগ্রস্থ হবে, কখনো সফলকাম হবে না। সে ভয় পাচ্ছে না যে, আল্লাহর রাসুলের রাগের কারণে আল্লাহ নিজেও রেগে যেতে পারেন। এভাবেই সে ধ্বংস হয়ে যাবে। কখনো আল্লাহর রাসুলের কাছে বেশি কিছু চাইবে না। কোনো অবস্থাতেই তার কথার প্রতিত্তোর করবে না। কখনো তাকে পরিত্যাগ করবে না। তুমি যা কিছু চাইবে, আমাকে বলবে। কখনো তোমার পড়শীদের (আয়েশার মত) দ্বারা প্রলুব্ধ হবে না, নবীর প্রতি তাদের আচার ব্যবহার অনুকরণ করবে না। সে (আয়েশা) তোমার চেয়ে অনেক বেশি সুন্দরী, এছাড়া সে আল্লাহর নবীর খুব প্রিয়পাত্রী।’
‘ওই সময়গুলোতে একটা গুজব চাওড় হয়ে উঠেছিল যে, ঘাসানরা আমাদের ওপর হামলা চালানোর জন্য তাদের ঘোড়াগুলোকে প্রস্তুত করছে। (ঘাসান গোত্রের লোকজন সাম প্রদেশে বসবাস করত)। ওই দিন আবার আমার সেই লোকের নবীর কাছে যাওয়ার পালা ছিল। সে ফিরে এসে আমার ঘরের দরজায় সজোরে করাঘাত করতে লাগলো। জিজ্ঞেস করতে লাগলেন, ঘুমিয়েছি কিনা। আমি সজোরে করাঘাতের আওয়াজে একটু ভয় পেয়ে গেলাম। দরজা খুলে বাইরে এলাম। সে বলল, একটা বড় ধরনের ঘটনা ঘটতে যাচ্ছে। আমি বললাম, সেটা কী? ঘাসানরা কি চলে এসেছে? সে জবাব দিল, এটা তারচেয়েও ভয়াবহ এবং মারাত্মক। সে বলল, আল্লাহর নবী তার সকল স্ত্রীদের তালাক দিয়েছে। আমি বললাম, ‘হাফজা বড় বিপদে পড়ে গেল। তার বড় ক্ষতি হয়ে গেল। আমি আশঙ্কা করছিলাম, এমনটিই একদিন ঘটবে।’ সুতরাং আমি পোশাক পরে, আল্লাহর রাসুলের সঙ্গে ফজরের নমাজ পড়লাম। তখন নবী উপরের কক্ষে প্রবেশ করলেন। সেখানে একাকী থাকলেন। আমি হাফজার কাছে গেলাম। দেখলাম সে কাঁদছে। আমি তাকে জিজ্ঞেস করলাম, ‘তুমি কাঁদছ কেন? আমি কি তোমাকে আগেই সতর্ক করে দেইনি? আল্লাহর নবী কি তোমাদের সকলকেই তালাক দিয়েছে? সে জবাব দিল,‘আমি জানি না। তিনি এখন ওপরের কক্ষে আছেন।’ আমি তখন সেখান থেকে চলে আসলাম। মিম্বারের কাছে চলে এলাম। তার চারদিকে লোকজন পরিবেষ্টিত হয়ে বসে আছেন। তাদের অনেকে বিলাপ করছিল। আমি সেখানে কিছুক্ষণ বসে রইলাম। কিন্তু সেই পরিস্থিতি সইতে পারলাম না। সুতরাং আমি উঠে আবার ওপরের কক্ষে গেলাম, যেখানে নবী থাকেন। সেখানে পাহারারত কালো দাসকে বললাম, তুমি কি উমারের জন্য নবীর কাছ থেকে অনুমতি আনতে পারবে? কালো দাস ভেতরে প্রবেশ করলেন, নবীর সঙ্গে কথা বললেন। পরে বাইরে বের হয়ে এসে বললেন, “আমি আপনার সম্পর্কে বলেছি, কিন্তু নবী কোনো জবাব দেননি।” সুতরাং আমি আবার আগের জায়গায় ফিরে আসলাম। কিন্তু ফের সেখানকার পরিবেশ সইতে পারলাম না। সুতরাং আমি আবারো সেই কালো দাসের কাছে আসলাম। তাকে বললাম, “আপনি কি উমারের জন্য আল্লাহর নবীর কাছ থেকে অনুমতি নিয়ে আনতে পারবেন।” সে ভেতরে প্রবেশ করল, এবং সেই একই জবাব এনে দিল। যখন আমি ওই এলাকা পরিত্যাগ করছিলাম এসময় ওই কালো দাস আমাকে ধরে ফেলল, আমাকে বলল, আল্লাহর নবী আপনাকে ভেতরে যাওয়ার অনুমতি দিয়েছেন। সুতরাং আমি কক্ষের ভেতরে প্রবেশ করলাম। দেখলাম নবী একটি মাদুর পুরোপুরি না বিছিয়েই তার ওপর শুয়ে আছেন। তার শরীর মাদুরের প্রান্ত ছাড়িয়ে গেছে। তিনি একটি বালিসের ওপর ঠেস দিয়ে শুয়ে ছিলেন। আমি দাঁড়িয়ে তাকে সালাম জানালাম। আমি বললাম, “আপনি কি আপনার স্ত্রীদের তালাক দিয়েছেন?” তিনি আমার দিকে চোখ মেলে তাকালেন। এবং না সূচক জবাব দিলেন। আমি তখনো দাঁড়িয়ে দাঁড়িয়ে কথা বলছিলাম, “হে আল্লাহর রাসুল, আমি কী বলেছি, আপনি কি তা ভেবে দেখেছেন? আমরা কোরাইশ গোত্রের লোকজন নারীদের (স্ত্রীদের) ওপর নিজেদের ক্ষমতা জারি রাখি, আর যখন আমরা এখানে চলে আসলাম, এখানকার পুরুষের ওপর নারীদের ক্ষমতা রয়েছে।” ওমার (তার স্ত্রী সম্পর্কে) পুরো গল্পটি বর্ণনা করল। “এতে নবী মুচকি হাঁসলেন।” উমার পুনরায় বললেন, “আমি তারপর বললাম ‘আমি হাফজার কাছে গিয়েছিলাম এবং তাকে বললাম, কখনো তোমার সহযোগীর (আয়েশা) দ্বারা প্রলুব্ধ হবে না, তাকে অনুকরণ করবে না। সে তোমার চেয়েও খুব সুন্দরী আর নবীও তাকে খুব ভালবাসে।” নবী পুনরায় মুচকি হাঁসলেন। যখন তার হাঁসি দেখলাম, তখন আমি বসে পড়লাম। আমি কক্ষের চারদিকে একবার নজর বুলিয়ে নিলাম। তিন গোপনীয় ছাড়া আল্লাহর কসম, আমি সেখানে কোনো গুরুত্বপূর্ণ কিছু দেখিনি। আমি আল্লাহর রাসুলকে বললাম, “আপনার আল্লাহকে বলুন, তিনি যেন আপনার অনুসারীদের পারসিয়ান এবং বাইজেনস্টাইনদের মত ধনবান করে দেন। তিনি যেন এমন সহায় সম্পত্তি দান করেন যেন তারা ধনী হয়ে যায়। যদি তারা আল্লাহর বন্দেগী নাও করে, তবুও।” নবী আমার কথায় সোজা উঠে ঠেস দিয়ে বসলেন। বললেন, “ওহে ইবনে আল খাত্তাব! তোমার কি এসব নিয়ে কোনো সন্দেহ রয়েছে। এই ধরনের লোকেদের এই দুনিয়াতেই তাদের উত্তম কাজের জন্য পুরস্কৃত করা হয়েছে।” আমি পুনরায় বললাম, “দয়া করে আল্লাহকে বলুন আমাকে ক্ষমা করে দিতে।” নবী তার স্ত্রীদের কাছে যাওয়া থেকে বিরত থেকেছেন, কারণ হাফজা একটা গোপন কথা আয়েশার কাছে ফাঁস করে দিয়েছে। এবং সে জানাল, নবী একমাসের জন্য তার স্ত্রীদের কাছে যাওয়া বন্ধ রেখেছিলেন। তিনি খুব রেগে গিয়েছিলেন যখন আল্লাহ তাদের সতর্ক করে দিয়েছিল। (আল্লাহর কসম, তিনি মারিয়ার কাছে অভিগমন করেনি)। ২৯ দিন অতিক্রান্ত হওয়ার পর নবী প্রথম যায় আয়েশার কাছে। সে তখন নবীকে বলে, ‘আপনি কসম করে বলেছিলেন, একমাস আমাদের কাছে আসবেন না। কিন্তু আজকে মাত্র ২৯ দিন অতিক্রান্ত হয়েছে। আমি প্রতিটি দিন গণনা করে রেখেছি।’ নবী বললেন, ‘এই মাসটি অবশ্য ২৯ দিনের’। ওই মাসটি ২৯ দিনের ছিল। আয়েশা তখন বলল,‘যখন পছন্দের ঐশী বানী নাজিল হল, তখন নবী আমার সঙ্গে (কথা বলা) শুরু করলেন। তিনি বললেন, “আমি তোমাকে কিছু কথা বলতে চাই। কিন্তু তোমার বাবা মায়ের সঙ্গে শলা পরামর্শ না করে এত তাড়াহুড়া করে জবাব দেওয়ার দরকার নাই।” আয়েশা জানত তার বাবা মা কখনো নবীর কথার অন্যথা করবেন না। নবী বললেন, আল্লাহ বলেছেন, “হে নবী, তোমাদের স্ত্রীদের বল, যদি তোমরা এই দুনিয়ার চাকচিক্যময় জীবন চাও, তাহলে বল! আমি তোমার জন্য সেসবের সংস্থান করে দেই। তোমাদের স্ফুর্তির জীবনে মুক্ত করে দেই। কিন্তু তুমি যদি আল্লাহ এবং তার রাসুলকে চাও এবং পরকালকে চাও, সেক্ষেত্রে আল্লাহ নিশ্চয়ই তোমাদের মধ্যে সৎকর্মপরায়নদের জন্য প্রস্তুত রেখেছেন উত্তম পুরস্কার।” (সূরা আল আহযাব, আয়াত ২৮ ও ২৯)
আয়েশা বললেন, “আমি কি আমার বাবা মার সঙ্গে এ ব্যাপারে পরামর্শ করব? কিন্তু আমি আল্লাহ, তার রাসুল এবং পরকালকেই অগ্রাধিকার দেই।” এরপর নবী তার অন্যান্য স্ত্রীদের কাছে মতামত চাইলেন। তারাও একই ধরনের জবাব দিলেন, যা আয়েশা দিয়েছেন।’ (বুখারী ৩.৪৩.৬৪৮, ৭.৬২.১১৯ এবং মুসলিম ৯.৩৫১১)।
এখানে দুইটি ঐতিহাসিক বিষয় খুবই গুরুত্বপূর্ণ, প্রথমটি উমারের স্বীকারোক্তির মধ্যদিয়ে প্রকাশ পেয়েছে, তা হল, ‘আনসারি নারীদের অধিকার হল তাদের পুরুষদের ওপরে।’ একে বাড়িয়ে বলা মনে করলেও এটা পরিস্কার যে, মদিনার নারীরা মক্কার কোরাইশ গোত্রের নারীদের চেয়ে বেশি অধিকার ভোগ করত। স্বয়ং মোহাম্মদ ও উমার এই কোরাইশ গোত্রের ধর্মীয় চক্রের লোক। ধর্মীয় চক্রের শহরের অধিবাসীরা সাধারণত আশেপাশের শহরের বাসিন্দাদের চেয়ে বেশি অন্ধ ও পশ্চাৎপদ হয়ে থাকে। ধর্ম সবর্দা নারীদের বশে রাখতে চায় এবং তাদের মানবাধিকার হরণ করতে চায়। স্বভাবতই মক্কার নারীরা আরবের অন্যান্য নগরের, বিশেষত মদিনার নারীদের চেয়ে বেশি দমিত ছিল। মক্কার চেয়ে মদিনা ছিল বেশি সভ্য। সেখানে খ্রিস্টান ও ইহুদি সম্প্রদায়ের লোকজন বেশি ছিল। উমার এবং মোহাম্মদের স্ত্রীরা মদিনার নারীদের স্বাধীনতা চর্চার সামাজিক পরিমন্ডলকে পছন্দ করত, তারাও সেটাকে চর্চা করতে চাইত। কিন্তু মক্কার ওই দুইজন নারী বিদ্বেষী (মোহাম্মদ ও উমার) কখনো এটাকে ভালভাবে নিত না। তাদের স্ত্রীদের নতুন স্বাধীনতা পাওয়ার ব্যপারে এই হাদিসে সতর্ক করে দেওয়া হয়েছে। এই হাদিসের এটাও খুবই গুরুত্বপূর্ণ যে, ইসলাম আবির্ভাবের পূর্বে নারীরা আরো বেশি স্বাধীনতা ভোগ করত। পরবর্তীতে মোহাম্মদ এবং তার নারী বিদ্বেষী অনুসারীরা সেই স্বাধীনতা হরণ করে। এটাও স্পষ্ট হয়ে যায় যে, ইসলামে নারীদের দুর্দশা কোনো ঐশ্বরিক রায় নয়। ১৪০০ বছর আগেকার মক্কার কোরাইশরা নারীদের যেভাবে দেখত, ইসলাম হল তারই প্রতিফলন।
আসলে নারীদের কীভাবে স্বামীর বশে রাখতে হবে, বিশেষত মোহাম্মদ তার বিদ্রোহী এবং কম বয়সী স্ত্রীদের কীভাবে বশে রাখতে চাইতেন, এসব কোরআন ও হাদিসে তার ওপরই জোর দেওয়া হয়েছে। নীচের এই হাদিসে মোহাম্মদের আরেকটি যৌন কেলেঙ্কারির ঘটনা প্রকাশিত হয়েছে।
একদিন মোহাম্মদ তার স্ত্রী হাফজার বাড়িতে গিয়েছিলেন। হাফসা ছিলেন উমারের কন্যা। মারিয়াহ নামে তার একজন গৃহপরিচারিকা ছিল। সে দেখতে ছিল খুবই সুন্দরী ও আকর্ষণীয়। মোহাম্মদের খায়েস হল, মারিয়াকে একাকী কাছে পেতে হবে। সিদ্ধান্ত নিলেন, তার আগে হাফসাকে অন্যত্র পাঠিয়ে দিতে হবে। এজন্য তিনি হাফজাকে গিয়ে মিথ্যা বললেন, ‘তোমার বাবা উমার তোমাকে ডেকেছেন।’ একথা শুনে হাফজা গৃহ ত্যাগ করলেন। মোহাম্মদও মওকা পেয়ে গেলেন। সঙ্গে সঙ্গে মারিয়াকে ধরে বিছানায় নিয়ে এলেন। এরপর আল্লাহর নবী তার সঙ্গে মনের খায়েস পূরণ করতে থাকলেন। মারিয়া যে তাকে বাধা দেবে, এটা তো চিন্তারও বাইরে ছিল। কারণ মারিয়া ছিল ক্রীতদাসী। যার কোনো পরিবার পরিজন নাই। আর মোহাম্মদ হল আল্লাহর রাসুল, তাকে বাধা দেবে এমন সাধ্য কি আর হবে একজন ক্রীতদাসীর। এভাবে মোহাম্মদ মারিয়াকে ধর্ষণ করল।
এরমধ্যে হাফসা যখন বাড়ি গিয়ে শুনল তার বাবা তাকে ডেকে পাঠায়নি। তখন তিনি আর দেরি করলেন না। সঙ্গে সঙ্গে ফিরে আসলেন। এত তাড়াতাড়ি তার ফিরে আসার কথা ছিল না। হাফজা ফিরে এসে যা দেখলেন, তাতেই তার আক্কেলগুরুম। তিনি স্বচক্ষে দেখলেন তার মহান স্বামী, আল্লাহর রাসুল, দোজাহানের বাদশা তার বাড়ির চাকরানীর সঙ্গে বিছানায় শুয়ে সহবাসে লিপ্ত আছেন। এটা দেখে হাফজা অপ্রস্তুত হয়ে গেলেন। মোহাম্মদ যে আল্লাহর রাসুল, সেটা হাফজা ভুলে গেলেন, পাগলের মত চিৎকার শুরু করে দিলেন। এটা নিয়ে রীতিমত কেলেঙ্কারী শুরু হতে থাকল। মোহাম্মদ তাকে শান্ত করার জন্য বার বার অনুরোধ করতে থাকলেন। প্রতিশ্রুতি দিলেন, আর কখনো কাজের মেয়েকে ধর্ষণ করবেন না। শুধু তাই নয়, এই কথা যেন আর কেউ না জানতে পারে, কাউকে যেন না বলে দেওয়া হয় তার প্রতিশ্রুতি আদায় করলেন মোহাম্মদ।
যা হোক, হাফজা নিজের পেটে এ কথা আর হজম করতে পারলেন না। তখন তার প্রায় সমবয়সী সতীন ছিল আয়েশা, দু’জনেই তখন কিশোরী। একারণে বন্ধুত্ব ছিল তাদের মধ্যে নিবিড়। আল্লাহ হলেন পরম দয়শীল, করুণার সিন্ধু, তিনি সকল অপরাধ ক্ষমা করে দেন, এই ভরসায় গল্পের ছলে আয়েশাকে সবকিছু বলে দিল হাফজা। কিন্তু পরম করুণাময় আল্লাহ সকল গুনাহ মাফ করলেও, মোহাম্মদের মানসম্মানের হানী হয়, তেমন গুনাহ কি মাফ করতে পারেন। নবী তার সকল স্ত্রীদের শায়েস্তা করার সিদ্ধান্ত নিলেন। একারণে তিনি এক মাস কোনো স্ত্রীর সঙ্গেই আর রাতে শুতে গেলেন না। এটা হল কোরআনের সুপারিশ অনুযায়ী দ্বিতীয় পর্যায়ের শাস্তি। প্রথম দফায় তাদের সতর্ক করা হয়েছিল। আর তৃতীয় পর্যায়ে শারীরিকভাবে শাস্তি দেওয়া হবে।
সূরা আন নিসা এর ৩৪ নাম্বার আয়াতে বলা হয়েছে,
“পুরুষেরা নারীদের ওপর কর্তৃত্বশীল, এই জন্য যে আল্লাহ একের ওপর অন্যেও বৈশিষ্ট্য দান করেছেন। এই জন্য যে তারা তাদের অর্থ ব্যয় করবে। সেই মতে নেককার স্ত্রীলোকগণ অনুগত হয় এবং আল্লাহ যা হেফাজতযোগ্য করে দিয়েছেন। তিনি লোকচক্ষুর অন্তরালেও তাদের হেফাজত করেন। আর যাদেও মধ্যে অবাধ্যতার আশঙ্কা কর, তাদের সদুপদেশ দাও, তাদের শয্যা ত্যাগ কর এবং প্রহার কর। যদি তাতে তারা বাধ্য হয়ে যায়, তবে আর তাদের জন্য অন্য পথ অনুসন্ধান করো না। নিশ্চয়ই আল্লাহ সবার উপর শ্রেষ্ঠ।”
যখন একজন স্ত্রীর সঙ্গে যৌন সংসর্গ ত্যাগ করে তাকে শাস্তি দিতে চায়, সেক্ষেত্রে সে তার অন্যান্য স্ত্রীদের সঙ্গে যৌন সম্পর্ক বজায় রাখতে পারে এবং নিজেকে তৃপ্ত করতে পারে। কিন্তু মোহাম্মদের রাগ এতটাই চড়ে গিয়েছিল যে, তিনি শপথ করে বসলেন, পুরো এক মাস কোনো স্ত্রীর সঙ্গেই আর শুতে যাবেন না। এটা ছিল আল্লাহর রাসুলের জন্য কঠোর পদক্ষেপ। নবীকে সাহায্য করতে আল্লাহর করুণা স্বরূপ নাযিল হল সূরা আত তাহরীম। এই সূরায়, নিজে যা পছন্দ করেন (ক্রীতদাসীর সঙ্গে যৌনতা), সে ব্যাপারে নিজেকে বঞ্চিত করার ঘোষণার জন্য আল্লাহ নবীকে তিরস্কার করেছেন। নবী যা পছন্দ করেন, এই সূরায় তাকেই বৈধ করে দিয়েছেন।
এই সূরার ০১ হতে ৫ নাম্বার আয়াতে বলা হয়েছে-
০১. হে নবী, আল্লাহ যা আপনার জন্য বৈধ করেছেন, আপনার স্ত্রীদের খুশী করার জন্য সেখান থেকে নিজেকে বঞ্চিত করছেন কেন? নিশ্চয়ই আল্লাহ ক্ষমাশীল এবং দয়ালু।
০২. আল্লাহ তোমাদের কসম থেকে অব্যাহতি লাভের উপায় বের করে দিয়েছেন। নিশ্চয়ই আল্লাহ হলেন রক্ষাকর্তা সর্বজ্ঞানী এবং সর্বজ্ঞাতা।
০৩. যখন নবী তার একজন স্ত্রীর কাছে (হাফজা) একটি কথা গোপনে বললেন, অতঃপর তিনি যখন আরেক জনের কাছে (আয়েশা) তা বলে দিল। আল্লাহ এসব কিছু নবীকে বলে দিলেন। নবী তা স্ত্রীকে কিছু বললেন, আর কিছু বললেন না। যখন তিনি (হাফজাকে) এসব বললেন, তখন সে নবীকে বললো, কে আপনাকে এ বিষয়ে অবহিত করল? নবী বললেন, যিনি সর্বজ্ঞ, ওয়াকিবহাল সেই আল্লাহ আমাকে বলে দিয়েছেন।
০৪. যদি তোমরা দুইজন (হাফজা এবং আয়েশা) তওবা কর, তোমাদের অন্তর অনুতপ্ত হয় তো ভাল, আর যদি নবীর বিরুদ্ধে একে অন্যকে সাহায্য কর, তাহলে জেনে রাখ, আল্লাহ, জিবরাইল এবং সৎকর্মপরায়ন মুমিন এবং ফেরেস্তাগণ তাঁকে সাহায্য করবে।
০৫. যদি তিনি তোমাদের সকলকেই তালাক দেন, তা হলে সম্ভবত তার পালনকর্তা তোমাদের পরিবর্তে তাকে উত্তম স্ত্রী দেবেন। যারা হবেন আল্লাহর অনুগত, আল্লাহর কাছে অনুতপ্ত, আন্তরিকভাবে আল্লাহর উপাসনাকারিনী, রোজাদার, হিজরতকারিনী, কুমারী এবং বিবাহিত।
যদিও হাফজাকে মোহাম্মদ কথা দিয়েছিলেন যে, তিনি আর কোনো দিন তার গৃহপরিচারিকাকে ধর্ষণ করবেন না। কিন্তু তিনি তার লোভ সংবরণ করতে পারেননি। তিনি মারিয়ার নিষিদ্ধ ফলের সুমিষ্ট মদিরা আকণ্ঠ পান করেছিলেন। স্ত্রীদের সঙ্গে না শোওয়ার জন্য শপথ করার পর থেকেই নবীর জন্য এটা খুবই জরুরি হয়ে উঠেছিল। পুরো এক মাস স্ত্রী সঙ্গম না করে থাকার জন্য এটা ছিল তার উত্তম আবিস্কার। এমন একটি পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়েছিল যেখান থেকে আল্লাহ ছাড়া আর কেউ তাকে রক্ষা করতে পারত না। যখন কোনো কিছুই সম্ভব নয়, তখন আল্লাহ আসে সাহায্য করতে। আল্লাহর হাতেই সবকিছু ছেড়ে দেওয়া ছাড়া আর কোনো গতি থাকে না।
মোহাম্মদ কি আল্লাহর দ্বারা উদ্দীপ্ত হতেন, নাকি তার লালসার শিকার?
তখন কী এমন ঘটেছিল যে স্বয়ং আল্লাহকে সেখানে হস্তক্ষেপ করতে হল। হৃদয়ের সাধ পূরণের জন্য নবীকে সবুজ সংকেত দিতে হল। মারিয়ার সঙ্গে রঙতামাশা করার জন্য এবং তার স্ত্রীদের প্রতি নজর না দেওয়ার জন্য সূরা তাহরিমে আল্লাহ তার প্রাণপ্রিয় নবীকে লাইসেন্স দিয়ে দিলেন। বোঝা যায় আল্লাহ নবীর শারীরিক সুখের ব্যাপারে খুবই সজাগ থাকেন। এমনকি নবীকে তার শপথ ভঙ্গ করার অনুমোদনও দিয়ে দেন। এই না হলে সর্বশক্তিমান আল্লাহ। আর এটা খুবই গুরুত্বপূর্ণ যে, যখন মোহাম্মদ জানতে পারল হাফজা এই গোপন তথ্য আয়েশাকে বলে দিয়েছে। ফের মিথ্যা বলে দিল, ‘আল্লাহ তাকে এ সব বিষয়ে অবগত করেছেন।’ কিন্তু প্রকৃত প্রস্তাবে আয়েশা তাকে এসব কথা বলে দিয়েছিল। (৬৬.৩)। যেহেতু মোহাম্মদ কোরআনের রচয়িতা নয় (মুসলমানের মতে)। সুতরাং দেখা যায় আল্লাহ মোহাম্মদের জন্য মিথ্যা বলেছিল। এই সূরায় মোহাম্মদ তার ব্যাভিচার ও যৌন বিকৃতিকে আড়াল করতে সৃষ্টিকর্তাকে মিথ্যবাদী, ঠক ও পতিতালয়ের সর্দ্দার হিসেবে আমাদের সামনে হাজির করেছেন। এসব আয়াতের প্রতিক্রিয়ায় আয়েশা মোহাম্মদকে বলেছিল, আপনার খোদা সব সময় আপনাকে সাহায্য করার জন্য দ্রুত এগিয়ে আসে। আসলে আয়েশা শুধু সুন্দরীই ছিলেন না, তিনি খুবই বুদ্ধিমতিও ছিলেন। উপরের কাহিনী জেনে মোহাম্মদের অনুসারীদের খুবই বিব্রত ও লজ্জিত হওয়া দরকার। কিন্তু তার বদলে মুসলমানরা নবীর এই ভন্ডামী আড়াল করতে ভিন্ন হাদিস খোঁজে, কিংবা কোরআনের উপরোক্ত আয়াতের ভিন্ন ব্যাখ্যা দাঁড় করায়। কিন্তু এই যুগে এসব করে কি পার পাওয়া যায়? এতে তারা কখনোই পার পাবে না, কারণ উমার ইতোমধ্যেই এর ব্যাখ্যা দিয়ে দিয়েছেন। যা উপরে উল্ল্যেখ করা হল। এবার আমরা হাদিসের স্মরণ নেব।
মুসলিম ৯:৩৪৯৬
আয়েশা (রহ:) থেকে বর্ণিত, আল্লাহর রাসুল (সা.) জাহসের কন্যা জয়নবের সঙ্গে সময় কাটাতেন। তার বাড়ি গিয়ে মধু পান করতেন। তিনি (আয়েশা), বলেন, “আমি এবং হাফজা যুক্তি করেছিলাম, আমাদের মধ্যে যার কাছে প্রথমেই নবী যাবেন, তিনি নবীকে বলবেন, ‘আপনার মুখে খুব দুর্গন্ধ’। নবী তাদের একজনের ঘরে গেলে তিনি নবীকে বললেন, আপনি কি মাঘাফির (একধরণের দুর্গন্ধযুক্ত গাম) খেয়েছেন। কারণ আপনার মুখ দিয়ে দুর্গন্ধ বের হচ্ছে। এরফলে নবী বললেন, ‘আমি জয়নবের ঘরে গিয়ে মধু পান করেছি। আমি আর এটা কখনো করব না।’ এই ঘটনার পর কোরআনে আয়াত নাযিল হল, ‘যা আপনার জন্য আল্লাহ বৈধ করেছেন, কেন আপনি তাদের খুশী করার জন্য তা নিজের জন্য নিষিদ্ধ করছেন।… …যদি তারা দু’জনেই অনুতপ্ত হন।’ এরপর নবী এসব বিষয় মিটমাট করে দেন।” ৬৬:১।
এই হাদিস প্রথমদিকে বর্ণিত উমারের কথার সঙ্গে গরমিল রয়েছে। উমারের বর্ণনা অনুযায়ী নবীর সাহাবিরা মিথ্যার বেসাতি করে। যেমন বর্তমানে করছে মুসলমানরা। তাদের নবীর কলুষিত চরিত্রকে আড়াল করতে এসব হাদিসে গল্প ফাঁদা হয়েছে। সূরা তাহরিমের এই আয়াতের ব্যাখায় মধু খাওয়ার প্রসঙ্গটি বড়জোর একজন পাগলই মেনে নিতে পারে। আর মধু কখনোই দুর্গন্ধযুক্ত হয় না। শুধু মধু খাওয়ার কারণে ঘরে এত অশান্তি হতে পারে, এর ফলশ্রুতিতে নবী তার সকল স্ত্রীদের তালাক দেওয়ার ঘোষণা দেবেন, এক মাস তাদের বিছানা পরিত্যাগ করবেন, এটা যুক্তিহীন, ধারণারও বাইরে। এই মধু খাওয়া নিয়ে এত তুলকালাম কান্ড ঘটে যাবে, যার কারণে স্বয়ং আল্লাহর হস্তক্ষেপের দরকার হবে? মধুর জন্য নবীর স্ত্রীদের সতর্ক করে দেবেন আল্লাহ? তালাকের হুমকি দেওয়া হবে? এর বিপরীতে নবীর জন্য সুন্দরী বিশ্বাস ও কুমারী নারীর ব্যবস্থার ঘোষণা দেবেন? অবশ্য মারিয়ার দুই ঠ্যাংয়ের মাঝের জায়গা থেকে পান করা অর্থে মধু খাওয়া বুঝাইলে সেটা কিছুটা মানায়।
অনেক মুসলমান দাবি করেন যে, আব্দুল্লাহ বিন আব্বাসের বর্ণিত হাদীসটি মিথ্যা। এবং সঠিক হাদীস হল মধু খাওয়ার ঘটনাটি। এটা একটা ফালতু কথা। এই হাদিসটি বুখারী এবং মুসলিম থেকে সংগৃহীত। এই হাদিসটিই সূরা আত তাহরীমের যৌক্তিক শানে নুজুল। মুসলিম স্কলার আসিফ ইফতিখারের মতে, ‘একটি হাদিস শুধুমাত্র ধর্মীয় নির্দেশনার উৎস হিসেবে বিবেচিত হতে পারে। কোরআন বা সুন্নাহ বা ইসলামের প্রতিষ্ঠিত নীতিমালার অধীনে থাকলেই সেই হাদিস গ্রহণ করা হবে।’ কিন্তু ক্রীতদাসীর সঙ্গে যৌনতা কোরআনে অনুমোদিত। (৪ঃ২৪)। ঘরের চাকরানীকে ধর্ষণ করা মোহাম্মদেরও স্বভাব। সুতরাং এই সূরার শানে নুযুল কখনোই মধু পান করা নিয়ে নয়, বরং মোহাম্মদের বাছ বিচারহীন যৌনতা নিয়েই সূরাটি নাযিল হয়েছিল। আসিফ ইফতেখার বলেন, ‘ইমাম ইবনে আলী জাওজি বলেছেন, ‘যদি দেখ যে, কোনো হাদীস সাধারণ কান্ডজ্ঞানের সঙ্গে যায় না। অথবা প্রকৃতির সাধারণ বৈশিষ্টের সঙ্গে সাংঘর্ষিক, তাহলে মনে করবে, এই হাদীসটি ভুয়া।’
মধু খাওয়া নিয়ে কোরআন নাযিলের এই হাদিসটি যে ভুয়া এটা না বোঝার কোনো কারণ নাই। এজন্য মুসলমানরা লজ্জা পাওয়ার বদলে সেই ভুয়া হাদিস দিয়ে প্রকৃত ঘটনা আড়াল করতে চায়।
মে ৩, ২০১৪; ৩:১৩ পূর্বাহ্ন
রাসূল সাঃ কে মন্দ বলার কারনে ও ইসলামের বিষয়ে বিদ্রোহ করার কারণে তোর মৃত্যুদন্ড আবশ্যক।আল্লাহ নবীজীকে ভালবাসার মাধ্যমে আমাদের কে দুনিয়া ও আখেরাতের মুক্তির রহমত এবং হেদায়েত দিন , আমিন।
জুন ৭, ২০১৪; ৩:১৬ পূর্বাহ্ন
সকল মুসলিম ভাইদের বলছি এই নাস্তিক কে যেখানে পাবেন সেখানেই হত্যা করবেন।