০
৪৪১ বার পঠিত
মুক্তিযুদ্ধের গল্প মানে মুক্তিযোদ্ধাদের গল্প, শরণার্থীদের গল্প নয়….
মুক্তিযোদ্ধা কে?
অস্থায়ী রাষ্ট্রপতি সৈয়দ নজরুল ইসলাম থেকে ত্রিপুরার ফিল্ড হাসপাতালে নার্স হিসেবে কাজ করা সাইদা কামাল টুলু, বাংলাদেশ সরকার ও তার অধিনের সকল বেসামরিক-সামরিক কর্মী হচ্ছেন মুক্তিযোদ্ধা।
২৫ মার্চ রাত ন’টায় বিদ্রোহকারী মেজর রফিক থেকে ৯ বছরের ইনফরমার মাদারীপুরের ইমরান হচ্ছেন মুক্তিযোদ্ধা।
(১৭-১৯ মার্চ ১৯৭১-এর গাজীপুর, কর্নেল মাসুদের নেতৃত্বের বাঙালি সৈনিকেরা ও আওয়ামী নেতৃত্বে প্রতিরোধ গড়েতোলা গাজীপুরবাসীও এ তালিকায় আসতে পারে)
শহীদ জননী জানানারা ইমাম থেকে নাম না জানা অজস্র মা বাবা, যারা সন্তানকে বলেছিলেন দেশ স্বাধীন করে তবেই ঘরে ফিরবি-তারা ‘সহযোগী মুক্তিযোদ্ধা’।
গ্রামের পর গ্রামে সেই সব মানুষ যারা খাদ্য, আশ্রয় ও তথ্য দিয়ে মুক্তিযোদ্ধাদের সহযোগিতা করেছেন তারাও ‘সহযোগী মুক্তিযোদ্ধা’।
বিচারপতি সাইদ কিংবা অন্যান্য প্রবাসীরা যারা বিশ্ব জনমত গঠনে ও অন্যান্য ভাবে কাজ করেছেন তারাও ‘সহযোগী মুক্তিযোদ্ধা’।
স্বাধীন বাংলা বেতার কেন্দ্র, ফুটবল দল, লংমার্চ দল এরা সকলেই ‘সহযোগী মুক্তিযোদ্ধা’।
(যে কোন যুদ্ধে বা ঘটনায় পার্শ্ব গল্প থাকে, সেটা অধিকাংশ সময়েই মূল ঘটনা বা গল্পের চেয়ে সংখ্যায় ও আকারে বড় হয়)
নির্যাতিতরা নির্যাতিত। সেটা শত্রু বাহিনীর নির্যাতনের গল্প।
আর যারা দেশ ছেড়ে পালিয়ে গ্যাছে শরণার্থী শিবিরে আশ্রয় নিয়েছে তারা সকলেই শরণার্থী। কিংবা আত্মীয় বা অন্য কোন খানে আশ্রয় নিয়ে প্রাণ বাচিয়েছে তারাও সকলেই শরণার্থী। শরণার্থীদের গল্প শরনার্থীদেরই গল্প যোদ্ধা ও যুদ্ধের গল্প নয়…
(যে কোন লড়াইয়েই মূল শত্রুর সাথে লেজ শত্রুও থাকে, এরা সর্বদাই ছ্দ্মবেশী ও ভয়ঙ্কর)
দলীয় বা গোষ্ঠিগত ভাবে চীনপন্থি বা মাওবাদী কমিউনিস্টরা শরণার্থী, তবে এরা সাধারণ শরণার্থী নয়, বিভিন্ন ফোরামে আওয়ামী তথা মুজিব নগর সরকার ও মুক্তিযোদ্ধাদের বিরুদ্ধে বিভিন্ন বক্তব্য প্রদান করবার কাজটি এরা সুচারুভাবেই পালন করেছিল। সে অর্থে এরা মুক্তিযুদ্ধ বিরোধী বা রাজাকার শরনার্থী। সুবিধাবাদী শ্রেণীর এইসব সন্তানেরা মুক্তিযুদ্ধের পরে মুক্তিযোদ্ধা সার্টিফিকেট সবচেয়ে আগে সংগ্রহ করতে সচেষ্ট হয়…
চীনপন্থি বা মাওবাদীদের আর এক অংশ যুদ্ধের ময়দানে মুক্তিযোদ্ধা বেশে ছিল, তারা মুক্তিযুদ্ধের ধারনা বা চেতনার সাথে একমত নন। যদিও তারা পাকিস্তানী বাহিনীর বিপরীতে যুদ্ধ করেছিল,কিন্তু তা বাংলাদেশ সরকারের সঙ্গে মিলে নয়! তাদের উদ্দেশ্য ভিন্ন কিছু, তাদের যুদ্ধের প্রয়োজনীয় অস্ত্র ও রসদ যোগাতো অন্য কেউ! তাদের বলা যেতেপারে ঘোলা পানিতে মাছ শিকারী…
রাজাকাররা রাজাকার (জামায়াতে ইসলামী, মুসলীম লীগ, নেজামে ইসলামী ইত্যাদি)।
যে সব সংগঠনের সদস্যরা মুক্তিযুদ্ধে যোদ্ধা হিসেবে অংশ নিয়েছিল: আওযামী লীগ, আওয়ামী ছাত্রলীগ, কমিউনিস্ট পার্টি (রুশ পন্থি), ন্যাপ (রুশ পন্থি), ছাত্র ইউনিয়ন (রুশ পন্থি)
বিঃদ্রঃ পাকিস্তান সেনাবাহিনীর বাঙ্গালী কর্মকর্তাদের অনেকই ১৯৭১-এর জুলাই/আগস্টে পাকিস্তান ও বিশ্বের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে এসে মুক্তিযোদ্ধা সেজেছে। যারা ১৯৭৫-ঘটনাবলীর প্রকাশ্য কুশিলব…
ই-মেইলে যোগাযোগ করুন