০
১০০৪ বার পঠিত
গল্পের শুরু ২০০০ সাল থেকে।
১৪ ই আগস্ট পাকিস্তানের জাতীয় দিবসে স্বাধীন বাংলার রাজধানী ঢাকার আরমানীটোলার এক বাড়িতে পাকিস্তানের জাতীয় পতাকা উত্তোলন করে কুখ্যাত রাজাকার মোনায়েম খানের জামাতা জাহাংগীর মোহাম্মদ আদেল।
পরদিন পনেরই আগস্ট। এই ঘটনার প্রতিবাদে পনেরই আগস্ট দুপুরে জাতির জনকের মৃত্যু দিবসের আনুষ্ঠানিকতা শেষে একটা মিছিল বের করে ওয়ার্ড আওয়ামীলীগের সহ সভাপতি, আবার পড়ুন ‘ওয়ার্ড আওয়ামীলীগের সহ সভাপতি’ কামাল হোসেন।
তাকে প্রকাশ্যে রাস্তায় আটটি গুলি করে হত্যা করা হয়। মামলার আসামী জাহাংগীর আদেলের দুই পুত্র।
আঠারো বছরেও এই মামলার সুবিচার পায়নি কামাল হোসেনের ভাই মামলার বাদী নাজির হোসেন।
পুরান ঢাকায় তাদের দুটি বাড়ি বিক্রি করে দিয়েছে মামলা চালাতে গিয়ে। নাজির হোসেনও আওয়ামীলীগ করে। অনেকবার প্রধানমন্ত্রীর দৃষ্টি আকর্ষণ করার চেষ্টা করেছেন তিনি। করেই যাচ্ছেন।
জাহাংগীর আদেলের সুপুত্র, মামলার এক নম্বর আসামী তারেক আদেল সম্প্রতি বাংলাদেশ হকি ফেডারেশনে কি যেন একটা পদ পেয়েছে। শুনেছি পদটি দিয়েছেন পাপন সাহেব।
গল্প শেষ।
এবার আসুন মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় শান্ত হয়ে ঘুমিয়ে পড়ি। মুক্তিযোদ্ধার নাতিদের কোটা দিয়ে আত্মতৃপ্তিতে ভুগছি। ঘুম নিশ্চয়ই ভাল হবে।
ই-মেইলে যোগাযোগ করুন