বাংলার লোকগাথায় ১২দিনের শিশুপুত্রের সঙ্গে ১২ বছরের কিশোরীর বিয়ের কথা রয়েছে রূপবান আর রহিম বাদশার গল্পে। তবে পরিণত বয়সে তাদের মিলন হয়। এসব নিয়ে অনেকে হাসাহাসি করে থাকেন, কেউ কখনো তা অনুসরণ করেন না। রূপকথার গল্প হিসেবেই তাকে গ্রহণ করেন। এমন গল্প নিয়ে নিয়ে ঠাট্টা তামাশা করেন। কিন্তু আমাদের নবী মোহাম্মদের প্রেমকাহিনী সেই রূপকথার গল্পের চেয়েও নোংরা, কুৎসিত এবং মানবতাবিরোধী অপরাধের শামিল। এটা নিয়ে ঠাট্টা তামাশা করলে কতল করবে তার অনুসারীরা, বরং এই সব অপরাধকে অনুসরণের জন্য তার সাঙ্গপাঙ্গদের তিনি নির্দেশ দিয়ে গেছেন তিনি। শুধু তাই-ই নয়, নারীর ওপর যৌন পীড়ন ও ধর্ষণের ক্ষেত্রে মোহাম্মদ যে উদাহরণ রেখে গেছেন, তা অনুসরণ করতে গিয়ে দুদর্শায় পড়েছে সাধারণ মুসলমানরা। নীচের লেখাটি লুই পাম ও জেক ন্যু ম্যানের বিভিন্ন লেখার সহযোগিতা নেওয়া হয়েছে।
এখন দেখা যাক, আয়েশা ও মোহাম্মদের ‘প্রেম কাহিনী’
শিশু আয়েশা এবং মোহাম্মদ। একজন ৬ বছরের শিশু আরেকজন ৫৩ বছরের বুড়ো ভাম। এই দুইয়ের বিয়েকে মুসলমানরা বলে প্রেমের গল্প! আসলে এটা হল নবী মোহাম্মদের যৌন বিকৃতির গল্প। আর যে গল্পে কষ্টে যে কোনো মানবিক মানুষের চোখ ভিজে যাওয়ার কথা।
এসব কাহিনী শুনলে মনে হবে, আসলে মোহাম্মদ ছিলেন একজন খল চরিত্রের নায়ক। তিনি ছিলেন মানসিকভাবে অসুস্থ, বিকারগ্রস্ত ও যৌন উম্মাদ। যিনি ৫৩ বছরের বুড়ো ভাম হয়ে ৬ বছরের একটি শিশুকে বিয়ে করতে পারেন এবং ৯ বছর বয়সে তাকে ধর্ষণ করতে পারেন। নিজের অপরাধের ন্যায্যতা প্রমাণ করতে তিনি আল্লাহ নামের এক দেবতা তৈরি করে তার আশ্রয় নিয়েছেন, তার মুখ থেকে নিজের অপকর্মের পক্ষ্যে কথা বলিয়ে নিয়ে পার পেয়ে গেছেন।
পূর্ণবয়স্ক না হওয়া পর্যন্ত একজন বালিকার যৌনতার ব্যাপারে তার পরিপূর্ণ আবেগ অনুভুতি জন্মায় না। যৌনতার ব্যাপারে সে শারীরিক, মানসিক ও মনস্তাত্ত্বিকভাবে অপরিপক্ব থাকে। এইসময় একজন বালিকার সঙ্গে একজন পুরুষের যৌনসম্পর্ক স্থাপনের চেষ্টা করা ঘোরতর অপরাধ। এ নিয়ে কোনো বিতর্কই চলে না। এমন অপরাধে যদি একজন নবী জড়িত হয়ে থাকেন সেটা আরো আরো গুরুতর অপরাধ। আর আল্লাহ নামে কোনো ঈশ্বর যদি তাকে জাস্টিফাই করে, তাকে অনুমোদন দেয়, তবুও সে অপরাধ হবে আরো ভয়ঙ্কর, আল্লাহ বলে তাকে এতটুকু ছাড় দেওয়ার সুযোগ নাই। আর আল্লাহ যদি তার নবীর এসব অপরাধকে অনুসরণ করতে বলেন, তাহলে ওই মানবতাবিরোধী অপরাধে স্বয়ং আল্লাহকেই কাঠগড়ায় দাঁড় করানো দরকার।
আসলে মোহাম্মদ এবং আল্লাহ মিলে মুসলমানদের জন্য একটা আতঙ্কজনক নজির স্থাপন করে গেছেন। এটা বালিকাদের জন্য একটা ভয়ঙ্কর বার্তা। কারণ মুসলমানরা সকল কাজে সবসময় তাদের নবীকে অনুসরণ করে থাকেন। সঙ্গতকারণেই শিশু ধর্ষণের ঘটনা ঐতিহ্য ও ইতিহাস পরম্পরায় মুসলমানদের মধ্যে ব্যাপক প্রভাব বিস্তার করে আছে। কারণ সত্যিকারের মুসলমানরা জ্ঞান-বিজ্ঞান, যুক্তিবিচার দ্বারা প্রভাবিত নয়, তারা মোহাম্মদের জীবন যাপন পদ্ধতিকেই অনুসরণ করে থাকেন। আর ভয়টা সেখানেই। দেখুন মোহাম্মদের শিশু ধর্ষণের নমুনা।
আয়েশাকে নিয়ে মোহাম্মদ বিয়ের আগে থেকেই কল্পনা করতেন। সহিহ বুখারী শরীফের নবম খণ্ডে [৯.১৪০] আয়েশা বলেছেন,
“আল্লাহর রসুল আমাকে বলেছেন, ‘বিয়ের আগে তুমি আমাকে স্বপ্নে দুইবার দেখা দিয়েছিলে। আমি দেখলাম একজন ফেরেস্তা একটি সিল্কের মখমলে কাপড়ে মুড়ে তোমাকে বহন করে নিয়ে যাচ্ছে। আমি তাকে বললাম, ‘কাপড়ের টুকরা খুলে দাও’। আমি দেখলাম সেখানে তুমি রয়েছ। আমি তখন বললাম, যদি এটা আল্লাহর তরফ থেকেই হয়ে থাকে তাহলে আমি খুব খুশি।”
দেখুন প্রতারণা কাকে বলে।
আয়েশাকে বিয়ের ব্যাপারে তার বাবা আবু বকরের কোনো মত ছিল না। কিন্তু মোহাম্মদ নাছোড়বান্দা। তিনি নানাভাবে আবু বকরকে বোঝাতে শুরু করলেন। শেষে আবু বকরকে রাজী হতে হয়েছে। এখনো ধর্মীয় নেতারা তাদের অনুসারীদের নানাভাবে প্রতারণা করে থাকেন, তখনও একইভাবে মোহাম্মদ তার অনুসারীদের নানাভাবে ব্যবহার করতেন। সহিহ বুখারী শরীফের ৭.১৮ বলা হয়েছে,
“উরসা থেকে বর্ণিত-আল্লাহর রসুল আবু বকরকে বললেন, বিয়ের ওপর একমাত্র আল্লাহর হাত রয়েছে। আবু বকর জবাব দিলেন, ‘কিন্তু তুমি তো আমার ভাই।’ আল্লাহর রসুল বললেন, ধর্মমতে তুমি আমার ভাই, সেটা ঠিক আছে, কিন্তু আইনগতভাবে আয়েশাকে আমি বিয়ে করতে পারি।”
সহিহ বুখারীর ৫ম খণ্ডে ২৩৪ নং হাদিসে বলা হয়েছে,
“আয়েশা বলেছেন, মোহাম্মদ আমাকে যখন বিয়ে করেন, তখন আমি নিতান্তই শিশু। বয়স ৬ বছর। একবার আমরা মদিনায় গিয়েছিলাম এবং সেখানে আমরা বানু আল হারিথ বিন খাজরাজের বাড়িতে ছিলাম। সেখানে একবার আমি অসুস্থ হয়ে পড়েছিলাম। অসুস্থ হওয়ার পর আমার মাথার চুল পড়ে গিয়েছিল। এরপর ফের মাথায় চুল গজিয়েছিল। আমার মা উম্মে রুমান আমাকে দেখতে আসলেন, তখন আমি সমবয়সী সখীদের সঙ্গে দোলনায় দোল খাচ্ছিলাম। তিনি আমাকে ডাকলেন, আমি তার সঙ্গে গেলাম। আমি জানতাম না তিনি আমাকে কী করতে চান। তিনি আমাকে ধরলেন, দরজার কাছে দাঁড় করালেন। আমার দম বন্ধ হয়ে আসছিল, যখন আমার শ্বাস প্রশ্বাস স্বাভাবিক হল তখন তিনি সামান্য পানি এনে আমার মুখে ও মাথায় ছিটিয়ে দিলেন। এরপর আমাকে ঘরের মধ্যে নিয়ে গেলেন। ঘরের মধ্যে আমি কয়েকজন আনসারি নারীদের দেখতে পেলাম। যারা বলছিল, ‘শুভকামনা আল্লাহর আর্শিবাদ বর্ষিত হোক। এরপর তাদের হাতে আমাকে সোপার্দ করলেন, তারা আমাকে সাজাতে লাগল। এমন সময় অপ্রত্যাশিতভাবে আল্লাহর রসুল সেখানে উপস্থিত হলেন। আমার মা তাঁর হাতে আমাকে সপে দিলেন। তখন আমি নিতান্তই শিশু, আমার বয়স হয়েছিল মাত্র নয় বছর।“
শিশু আয়েশাকে কোলে বসিয়ে তাকে ধর্ষণ করতেন নবী মোহাম্মদ
তাবারি ৯:১৩১,
“আমার মা যখন আসলেন, তখন আমি গাছের দুইটি শাখায় (রশি বেধে) দোল খাচ্ছিলাম। তিনি আমাকে সেখান থেকে নামিয়ে আনলেন। আমার পরিচারিকা এসে আমার মুখ ধুইয়ে দিলেন। আমাকে সাজাতে লাগলেন। যখন আমি দরজার কাছে আসলাম, তিনি বন্ধ রাখলেন। তখন আমি শ্বাস নিতে পারলাম। মোহাম্মদ যখন বিছানায় বসে ছিলেন, তখন আমাকে সেখানে নিয়ে যাওয়া হল। আমার মা তার কোলে আমাকে বসিয়ে দিলেন। ঘরের অন্যান্য নারী পুরুষ সকলেই উঠে দাঁড়াল এবং ঘর পরিত্যাগ করল। নবী মোহাম্মদ যখন আমার সঙ্গে বিয়ের আসল কাজ সম্পন্ন করলেন, তখন আমার বয়স ৯ বছর।”
সহিহ বুখারীর ৭ম খণ্ডের, বই নং ৬২, হাদিস নং ৬৪। সেখানে আয়েশার বর্ণনা অনুযায়ী,
“মোহাম্মদ যখন তাকে বিয়ে করেন, তখন তার বয়স ছিল ৯ বছর। পরবর্তী ৯ বছর (নবীর মৃত্যু পর্যন্ত) তিনি তার সঙ্গে ছিলেন।”
সহিহ বুখারীর ৮ম খণ্ডে ৭৩ নং বইয়ে ১৫১ নং হাদিসে বলা হয়েছে,
“আয়েশা বর্ণনা করেছেন, আমি আল্লাহর রসুলের উপস্থিতিতেই পুতুল খেলতাম। সমবয়সী সখীরাও আমার সঙ্গে খেলত। যখন রসুল ঘরে আসতেন, তখন আমার সখীরা লুকিয়ে পড়ত। তখন নবী তাদের ডাকতেন এবং আমার সঙ্গে পুতুল খেলতে বলতেন।”
পুতুল খেলা এবং কোনো ধরনের ছবি রাখা নিষিদ্ধ থাকলেও সে সময় আয়েশার জন্য তা অনুমোদিত ছিল, কারণ সে ছিল শিশু। ফাতেহ আল বারি, পৃষ্ঠা ১৪, ১৩ তম খণ্ড।
আয়েশার সঙ্গে মোহাম্মাদের উরু মৈথুন
বৈজ্ঞানিক গবেষণা এবং ফতোয়ার জন্য যে স্বীকৃত কমিটি গঠন করা হয়েছে ওই কমিটির অন্যতম অন্যতম ইসলামিক স্কলার মুফতি আবু আবদুল্লাহ আল সেমারী একটি প্রশ্ন উত্থাপন করেছিলেন। প্রশ্নটি ছিল আয়েশার সঙ্গে মোহাম্মদের উরু মৈথুন সংক্রান্ত। প্রশ্নটি তিনি কমিটির কাছে গভীর পর্যালোচনার জন্য পাঠিয়েছিলেন। (তাঁর রেফারেন্স নাম্বার ১৮০৯, হিজরী ১৪২১/৮/৩ তারিখ) কমিটি প্রশ্নটি পর্যালোচনা করে একটা জবাব দিয়েছিলেন, জবাবটা নীচে দেওয়া হল:
“যেহেতু বিয়ের সময় আয়েশার বয়স ছিল ৬ বছর, এত কম বয়স হওয়ার কারণে নবি তার সঙ্গে সহবাস করতে পারতেন না, এ কারণে রসুলুল্লাহ (সাঃ) তার পুরুষাঙ্গ আয়েশার দুই উরুর মাঝে রেখে হালকাভাবে ম্যাসেজ করতেন। এভাবেই রসুলুল্লাহ (সাঃ) নিজের পুরুষাঙ্গকে নিয়ন্ত্রণে রাখতেন। যা অন্যান্য ইমানদারগণের পক্ষে সম্ভব নয়।”
আসলে মোহাম্মদ শিশু আয়েশাকে নিজের জন্য সংরক্ষিত করে রেখেছিলেন, কারণ সে ছিল অক্ষতযোনী (Virgin) এবং মোহাম্মদ এটাই চেয়েছিলেন।
আগে বিয়ে হয়েছিল, এমন মহিলাকে বিয়ে করার জন্য একজন অনুসারীকে মোহাম্মদ কী বলেছিলেন দেখুন। সহিহ বুখারীর ৭ম খণ্ডে, ৬২ নম্বর বইয়ে ১৭ নাম্বার হাদিসে বলা হয়েছে,
“জাবির বিন আবদুল্লাহ থেকে বর্ণিত, যখন আমি বিয়ে করলাম, রসুলুল্লাহ (সাঃ) আমার কাছে আসলেন, বললেন, তুমি কোন ধরনের নারীকে বিয়ে করেছ? আমি জবাব দিলাম, একজন বিবাহিত স্ত্রীলোককে বিয়ে করেছি। তিনি বললেন, কেন, রং তামাশা (ভড়হফষরহম) করার জন্য তুমি কি কোনো কুমারী নারী পছন্দ করতে পারলে না? জাবির আরো বলেন, আল্লাহর রাসুল তাকে আরো বলেছিলেন, ‘কেন তুমি একজন তরুণীকে বিয়ে করতে পারলেনা, তাহলে তো তুমি তার সঙ্গে এবং সেও তোমার সঙ্গে খেলতে পারত।”
মুসলিম (৮:৩৪৬০)এ বলা হয়েছে,
“কেন তুমি একজন তরুণীকে বিয়ে করতে পারলে না, তাহলে তুমি তার সঙ্গে খেলতে পারতে, আর সেও তোমার সঙ্গে খেলতে পারত। অথবা তুমি তার সঙ্গে হাসি-ঠাট্টা করতে পারতে, সেও তোমার সঙ্গে হাসি-ঠাট্টা করতে পারত।“
এখানে মোহাম্মদের মন্তব্য লক্ষ করুন। কারণ মোহাম্মদ অক্ষতযোনীর আয়েশাকে বিয়ে করেছিলেন। সে কারণে তার সঙ্গে যৌনোদ্দীপক ক্রীড়ায় মেতে উঠতেন। ইবনে ইসহাক প্রণীত ক্লাসিক ইতিহাস ‘দি লাইফ অফ মোহাম্মদ’ থেকে জানা যায়, মাত্র হামাগুড়ি দিতে শিখেছে, এমন শিশুদেরও বিয়ে করতে আগ্রহ প্রকাশ করতেন মোহাম্মদ।
সুহাইলি-৭৯, ইউনুসের রিওয়াইয়া থেকে বর্ণিত, আমি দেখেছি, রাসুলুল্লাহ যখন তাকে দেখলেন (উম্মুল ফাদল) যখন সে নিতান্তই একজন শিশু। তখনো হামাগুড়ি দিত। রাসুলুল্লাহ বললেন, যখন সে (উম্মুল ফাদল) বড় হবে এবং আমি যদি বেঁচে থাকি, তাহলে তাকে বিয়ে করব। কিন্তু সে বড় হওয়ার আগেই নবি মারা গেলেন। সুফিয়ান বিন আল আসওয়াদ বিন আবদুল আসাদ আল মাখজামির সঙ্গে তাকে বিয়ে দেওয়া হয়। (ইবনে ইসহাক প্রণীত দি লাইফ অফ মোহাম্মদ, অক্সফোর্ড ইউনির্ভাসিটি প্রেস, করাচী। পৃষ্ঠা-৩১১)।
“মোহাম্মদ একবার আব্বাসের কন্যা উম্মে হাবিবাকে দেখলেন। তখনো সে মায়ের বুকের দুধ খেত। তাকে দেখে মোহাম্মদ বললেন, ‘সে বড় হওয়া অবধি যদি আমি বেঁচে থাকি, তাহলে তাকে আমি বিয়ে করব।’
[মুসনাদ আহমেদ, ২৫৬৩৬]
বুখারী (৬.২৯৮) এ আছে, মোহাম্মদ শিশু আয়েশার সঙ্গে একসাথে গোসল করত। এসময় তার যৌনাঙ্গে হাত বুলিয়ে দিতেন।
“আয়েশা থেকে বর্ণিত, “যখন আমাদের জুনুব হত (সহবাস কিংবা নাপাকি হওয়ার কারণে গোসল ফরজ হয়) তখন রসুলুল্লাহ এবং আমি একপাত্রেই একসাথে গোসল করতাম। মাসিক হওয়ার পর তখন তিনি আমাকে ইজার (পেটিকোটের মত কোমরের নীচে পরা আরবীয় নারীদের পোশাক) পরতে বলতেন। এরপর আমাকে টেপাটেপি (ভড়হফষব) শুরু করে দিতেন।’
কাপড়ে মোহাম্মদের বীর্যের দাগ ধুয়ে দিতেন শিশু আয়েশা
’বুখারী (৪:২৩) এ আছে- “কাপড়ে মোহাম্মদের বীর্যের দাগ তার স্ত্রী ধুয়ে দিতেন। দাগ মিলিয়ে না যাওয়া পর্যন্ত ভিজিয়ে রাখা হত, এমনকী নবি যখন মসজিদে যেতেন নামাজ পড়তে তখন কাপড়ে বীর্যের দাগ পরিস্কার করতে হত।”
বুখারী (৪:২৩১) এ আছে- “সুলাইমাম বিন ইয়াজর থেকে বর্ণিত, ‘বীর্যের দাগে কাপড় নোংরা হয়ে যাওয়ার প্রসঙ্গে আমি আয়েশাকে জিজ্ঞেস করেছিলাম। তিনি জবাব দিয়েছিলেন, আমি সাধারণত আল্লাহর রাসুলের ওই কাপড়গুলো ধুয়ে ফেলি।“
আবু দাউদ, বই ১১, নাম্বার ২১৬১ এ আছে,
“আয়েশা উম্মুল মুমিনিন বর্ণিত, আমি এবং রসুল (সাঃ) রাতে একই কাপড়ে ঘুমাতাম, যখন আমার মাসিক হত। যদি আমার কাছ থেকে কোনো কিছুর দাগ তার শরীরের লাগলে, তিনি সেই জায়গা ধুয়ে ফেলতেন, তার নীচের জায়গা ধুতেন না। যদি তার কাছ থেকে কোনো কিছু তার কাপড়ে লাগত, তিনি সেই জায়গা ধুয়ে ফেলতেন। এরপর সেই কাপড় পরেই নামায পড়তেন।”
আবু দাউদ, বই ১১, নাম্বার ২১৬১ এ আছে, “যখন মাসিক হত, তখনো আয়েশার কোলে মাথা রেখে মোহাম্মদ কোরআন পড়তেন।’ বুখারী (৯৩:৬৩৯) এ আছে, “ইসলামের নবি আয়েশার কোলে মাথা রেখে কোরআন পড়তেন, যখন আয়েশার মাসিক হত।’
শিশু আয়েশাও টের পেতেন, মোহাম্মদের প্রতারণার কৌশল
বুখারী (৬০:৩১১)- “আমি বুঝেছি, আপনার প্রভু আপনার ইচ্ছা এবং সাধ খুব দ্রুত পূরণ করছেন।” এ কথা আয়েশা বলেছিল, যখন সে জেনে গেছে, বড়সংখ্যক নারীর সঙ্গে তার স্বামীর যৌনাকাঙ্খা চরিতার্থ করতে আল্লাহ অনুমতি দিয়েছেন। যখন যাকে পছন্দ হয়।
কাফিরদের বন্দি করার পর তাদের নারীরা হল গণিমতের মাল
তাবারি ৯: ১৩৭- অনুযায়ী আল্লাহ বানু কোরাইয়া গোত্রের রায়হানাকে মোহাম্মদের জন্য নির্ধারণ করে দিলেন। মোহাম্মদ ওই নারীকে তার জন্য আল্লাহর উপহার হিসেবে দেখছেন।
মোহাম্মদ একজন নারীলোলুপ
তাবারি ৯: ১৩৯- তুমি একজন সম্মানিয়া বালিকা, কিন্তু নবী হল একজন নারীলোলুপ (মাগীখোর)। এমন কথা বলেছেন একজন বালিকার হতাশাগ্রস্ত বাবা মা, যারা তার তার কন্যাকে মোহাম্মদের জন্য সঁপে দিয়েছিলেন।
মোহাম্মদ তার স্ত্রীদের ওপর যৌন অপব্যবহার করতেন
বুখারী (৬:৩০০)- “মোহাম্মদ যখনই ফস্টিনস্টি (ভড়হফষরহম) করতে চাইতেন, এজন্য তার স্ত্রীদের তৈরি থাকতে হত। এমনকী যখন তাদের মাসিক হত, তখনো।“
বুখারী শরীফের প্রথম খণ্ডের ৬ নং বইয়ের ২৯৯ নং হাদিসে বলা হয়েছে, আবদুর রহমান বিন আল আসওয়াদ থেকে বর্ণিত “…আয়েশা বলেছিল, যখন আল্লাহর নবী মাসিক চলাকালে আমাদের যে কারো সঙ্গে রং তামাশা করতে চাইতেন, তখন তিনি তাকে পেটিকোট পরার নির্দেশ দিতেন এবং তাকে টেপাটেপি শুরু করে দিতেন।
সহিহ মুসলিম শরীফে প্রথম খণ্ডের ৫৯০ পৃষ্ঠায় বলা হয়েছে,
“আয়েশা বর্ণিত, যদি আমাদের মধ্যে কারো মাসিক চলত, তখনো আল্লাহর নবি তাকে ডেকে কাছে আনতেন, এবং তার সঙ্গে সহবাস করতেন।
ময়মুনা বর্ণিত, ‘আল্লাহর রাসুল মাসিক চলাকালেও আমার সঙ্গে সহবাস করতেন, যখন এক টুকরা আচ্ছাদন আমাদের মাঝে থাকত।“
মাসিক চলাকালেও একজন স্ত্রীর সঙ্গে যৌনসঙ্গম করা কতটা রুচির পরিচায়ক। কতটা হীন মানসিকতাসম্পন্ন হলে মাসিক চলাকালে স্ত্রীর যৌনাঙ্গে হাত ঢুকিয়ে দিতে পারে। এটা হল যৌন নিপীড়ন এবং ধর্ষণ।
একরাতেই নবী তার সকল স্ত্রীর সঙ্গেই সঙ্গম করতেন
বুখারী (৬২:৬)- “নবিজী একরাতেই তার সকল স্ত্রীর সঙ্গেই সঙ্গম করতেন। সেসময় তাঁর ৯ জন স্ত্রী ছিল। মোহাম্মদ বলতেন, সকল স্ত্রীকে সমানভাবে সন্তষ্ট করা সম্ভব নয়। এটা অনুমান করা কী খুব শক্ত।“
বুখারী (৫:২৬৮)- “রাত দিন ২৪ ঘণ্টায় নবি একবার করে হলেও তাঁর প্রত্যেক স্ত্রীর কাছে যেতেন। সেসময় তাঁর স্ত্রীর সংখ্যা ছিল ১১ জন। আমি আনাসকে জিজ্ঞেস করেছিলাম, নবীর কী এত ক্ষমতা আছে? জবাবে আনাস বলেছিলেন, আমরা বলতাম মোহাম্মদের শরীরে ত্রিশজন মানুষের ক্ষমতা ছিল।“
নারীদের ব্যাপারে আল্লাহর কতটা নীচু এবং অনৈতিক
সূরা আল বাকারা’র ২২৩ নং আয়াতে বলা হয়েছে, তোমাদের স্ত্রীরা হলো তোমাদের জন্য শস্যক্ষেত্র স্বরূপ, তোমাদের যেভাবে ইচ্ছা, তাদের সেভাবে কর্ষণ কর…।’ তাহলে ইচ্ছেমত ব্যবহার করতে হবে নারীদের।
এই লেখায় দেখানো হল, অনন্তকাল ধরে আল্লাহর এই শিক্ষা গ্রহণ করে মুসলিম পুরুষরা নারীদের সঙ্গে যৌন সম্পর্কে মিলিত হচ্ছে। আর সেই আল্লাহর নবী বলে মোহাম্মদকে স্বীকার করে নিচ্ছেন। তারা মনে করছেন তিনি হচ্ছে মানবতার আদর্শ। কিন্তু প্রকৃত প্রস্তাবে মোহাম্মদ হচ্ছেন একজন শিশু ধর্ষক, নারী লোলুপ, বিকৃত যৌনাচারী এবং যৌন নিপীড়ক। মানবতার জন্য অভিশাপ হয়ে থাকছেন। অথচ এমন লোককেই মানবতার দিশারী হিসেবে মেনে নিচ্ছেন তাঁর অনুসারীরা। ফলে মানবিকতার নামে, পূণ্যের নামে মুসলিমদের মধ্যে নারী ও শিশুদের প্রতি অমানবিকতা ও নিপীড়নের যে প্রবণতা লক্ষ করা যায়, তার মূলে রয়েছে এই মোহাম্মদের চরিত্র এবং তার তৈরি দুর্বৃত্ত চরিত্রের আল্লাহ। এই আল্লাহ এবং মোহাম্মদের কারণে মুসলমানদের এই দূর্দশা।
যেমন কোরআনে যৌবনপ্রাপ্ত হওয়ার আগেই বালিকাদের সঙ্গে যৌন সম্ভোগের অনুমোদন দেওয়া হয়েছে। আল্লাহ নিজেই যেখানে নারীর ওপর যৌন নিপীড়নের অনুমোদনদাতা, সেখানে তার নবীও হয়েছেন সেইরকম একজন যৌন নিপীড়নকারী ও শিশু ধর্ষক। যৌন নিপীড়ন ও শিশু ধর্ষণে যে কোনো অভিযু্ক্তের চেয়ে মোহাম্মদের অপরাধ অনেকগুণ বেশি। আল্লাহ এবং মোহাম্মদ-এই দুইয়ের অনুমোদনে শিশু ও নারীদের ওপর যৌন পীড়ন করা একজন সাচ্চা মুসলমানের কাছে স্বাভাবিক ব্যাপার। এসব ঘটনায় তারা কোরআন থেকে এ সংক্রান্ত দলিল হাজির করে আর মোহাম্মদের জীবনী থেকে উদাহরণ দেয়। কারণ নবীকে অনুসরণ করলেই স্বর্গে অনন্ত জীবনের সুখ পাওয়া যাবে। নারী ও শিশুদের সম্পর্কে আধুনিক ধারণা যতই উন্নত হোক, মুসলমানরা তা মেনে নিতে পারেনা শুধু তাদের ধর্মের কারণে। এ কারণে আধুনিকতার সঙ্গে আল্লাহ এবং তার নবীর অবস্থান সাংঘর্ষিক।
মে ৮, ২০১৪; ১:৫৫ পূর্বাহ্ন
আমাদের ধর্ম ও নবী কে নিয়ে কথা বলার তুই কে? তুই তো নাস্তিক তুকে যেখানে পাব সেখানেই হত্যা করব।
তুই আল্লাহর দুষমন, ইসলামের দুষমন তুকে আগুনে পুড়িয়ে মারতে পারলে আমি শান্তি পাব।
মিথ্যাবাদী শয়তান তুই আমাদের হযরত মোহাম্মদ (সা:) কে মিথ্যা কথা বলিস তুর ঠিকানা দে তোকে পাওয়ামাত্র কুচি কুচি কেটে কুকুর কে খাওয়াব।
তুই একটা ফেরাউন ,তোকে আগুনে পুড়িয়ে মারা উচিত।
মে ৮, ২০১৪; ৩:৩৯ পূর্বাহ্ন
তোকে শেষ বারের মতো বলছি তুই ইসলাম ধর্ম ও নবী মোহাম্মদ (সা:) নিয়ে লিখা বন্ধ কর তা না হলে তোকে বা তোর পরিবারের যাকেই পাব কল্লাকাটা হবে ইনশাআল্লাহ।
আল্লাহর কসম তোকে বাংলার মাটিতে পাওয়া মাত্র তোর কবর রচনা হবে।
অক্টোবর ১, ২০২৩; ১:১২ অপরাহ্ন
এই কুত্তার বাচ্চা! বুনো শুয়োর! তুই আমাদের ধর্মের বিরুদ্ধে কটাক্ষ করছিস,তোর এতো বড় কলিজা হলো কিভাবে? কুলাঙ্গারের বাচ্চা কুলাঙ্গার! তোর জন্ম কি কোনো কুকুরের পেট থেকে হয়েছে? হারামজাদা! আমাদের কলিজার টুকরো, আমাদের ঈমান হযরত রাসুলে পাক (স:)-কে নিয়ে কথা বলার তুই কে??? তোর যদি ছাতি যদি প্রশস্ত হয়,যদি বুকে সাহস থাকে, যদি তুই পুরুষ কুকুর হয়ে থাকিস তাহলে তোর ঠিকানা দে,তোর নাম্বার দে, তোর ব্যবস্থা করতেছি। শালা শুয়োরের বাচ্চা শুয়োর!