১
১০৫৫ বার পঠিত
অধিকাংশ যুক্তিবাদীর বিশ্বাস শব্দটাতে খুব আপত্তি। অনেকটা রিলিজনি (religious) লোকেদের যেমন ‘নাস্তিক’এর প্রতি অ্যালার্জী থাকে, তেমনি। তীব্র বিরাগে বিশ্বাসকে ‘ভাইরাস’, ‘বাঁশ’ ইত্যাদি রূপে অভিহিত করেন। কিন্তু সরল সত্যটা হল, “বিশ্বাসে বাঁশ”, “বিশ্বাসের ভাইরাস” কথাগুলো অতিসরলীকৃত এবং ভ্রান্তিজনক।
বিশ্বাস মানুষের সম্পদ বা বিষ দুইই হতে পারে। অতিপ্রাকৃত শক্তিতে বিশ্বাস যেমন আমাদের খুব সহজেই বিপথগামী করে, তেমনি, সব কিছুই যে প্রাকৃতিক এই বিশ্বাস আমাদের সত্যানুসন্ধানী ও সত্যনিষ্ঠ করে।
সত্যি করে বলতে কি আমি একজন বিশ্বাসী মানুষ। আমি ‘মানুষত্বে’ বিশ্বাসী, বিজ্ঞানে বিশ্বাসী। এমনি আরো অনেক কিছুতে আমি বিশ্বাস করি। আমি গভীরভাবে বিশ্বাস করি যে “একদিন এই দুনিয়া ‘মানুষে’র দুনিয়া হবে”। এই বিশ্বাস আমার প্রেরণা। এরকম বিশ্বাস যদি ‘ভাইরাস’, ‘বাঁশ’ হয় তো হোক। আমি এমন বিশ্বাসীই আমৃত্যু থাকতে চাই।
বিশ্বাসের স্বরূপ জানুন বন্ধু। শুধু যুক্তি দিয়ে আমরা জীবন চালাই না। বিশ্বাসের শক্তিকে (মনের জোর, গণ ঐক্যের ভিত্তি) উপলব্ধি করুন। কাজে লাগান। নিজের দিকে চেয়ে দেখুন সাথী, চারিদিকে এতো মিথ্যার জয়জয়কার দেখেও আপনি যে যুক্তি-সত্য প্রতিষ্ঠার লড়াই চালাচ্ছেন তার উৎসও আপনার মনের গভীরে অবস্থান করা এক মানসিক অবস্থা –
“সত্যের জয় একদিন হবেই”।
“আমরা করবো জয় একদিন”
এই মানসিক অবস্থাগুলোর নামও ‘বিশ্বাস’।
ই-মেইলে যোগাযোগ করুন
নভেম্বর ২৮, ২০১৭; ৬:১৩ অপরাহ্ন
এমনভাবে কখনো ভাবিনি। ভাল লাগলো…