০
৭৩৭ বার পঠিত
আমাদের ৩য় বিশ্বের দেশগুলর খুব বড় একটা সমস্যার নাম রাজনীতি। কারণ রাজনীতি নিয়ে প্রায় সবাই সচেতন। এই সচেতনতায় ঘৃণার ভাব টা প্রবল। বিশেষত মধ্যবিত্ত ও নিম্নমধ্যবিত্ত সমাজের কাছে “রাজনীতি” শব্দটা অনেকটা নোংরা গালির মত। “রাজনীতিবিদ” আটা কারো কাছে PASSION টো না ই পেশার তো প্রশ্নই উঠে না। যারা দিনরাত রাজনীতি ও রাজনীতিবিদ্গনের দোষ খুঁজে বেরাই, এঁরা মানুষরূপী কতটা শয়তান, কতটা নষ্ট তার পুঙ্খানুপুঙ্খ বিশ্লেষণ করি, তাঁরা দেশের জন্য কতটা অনুপযুক্ত কতটা অপ্রয়োজনীয় তার হিশেব করার আগে একবার কি ভেবে দেখেছেন তাঁদের ছাড়া আই ১৬ কোটি মানুষের জনপদ অচল! এই রাজনীতিবিদগণ না থাকলে অন্য আকদল রাজনীতিবিদ থাকতেন। কিন্তু থাকতেন কেও না কেও। রাজনীতি অ রাজনীতিবিদগণ ছাড়া একটা রাষ্ট্রযন্ত্র অচল। সুতরাং যে জিনিসটা ছাড়া একটা জনপদ অচল সেটাকে ঘৃণায় আকপাশে সরিয়ে রাখা কতটা যুক্তিসঙ্গত! মল-মুত্র খুব এ খারাপ জিনিস, তাই বলে কি মল-মুত্র ত্যাগ এ বিরত থাকবেন?
কোন এক সুদুর অতিতে যখন ৭ম শ্রেণীতে পড়ি, কোন এক রাজনীতিক কে দেখে মুগ্ধ হয়েছিলাম। ভাবছিলাম “Aim In Life” রচনা আসলে “politician” লিখবো। লোকমান স্যার (তখন আমাদের ক্লাস টিচার)এমন ভাবে তাকিয়েছিলেন যেন আমি বলেছি “ধর্ষক” হব। প্রচণ্ড ঘৃণাভরে উনি আমাকে বলেছিলেন ‘ তবে আর স্কুল এ এসে পড়ালেখা করার কি দরকার’! আমার প্রশ্ন হল যে অত্যাবশ্যকীয় রাজনীতি ছাড়া দেশ চলে না তা নিয়ে এত ঘৃণা ক্যান? দূর থেকে সমালচনা অনেক সহজ। যারা এই সহজ সমালোচনা করেন তারা হয়ত মহান, তারা ভাল স্কুল, কলেজ, বিশ্ববিদ্যালয় এ পড়বেন , পড়া শেষ করে একটা চাকর-(ই) করবেন, একখানা বিবাহ করবেন, অফিস এ লেডি কলিগদের সাথে হালকা ফষ্টিনষ্টি করবেন, সন্ধ্যায় বাজার করে বাসায় ফিরবেন, বউ এর সাথে ২/১ তা স্টার প্লাস বা জি বাংলায় ডেলি সোপ দেখবেন, নিউজ দেখবেন আর রাজনীতিবিদ দের গালাগালি করবেন অতঃপর পেঁয়াজ রসুনের গন্ধমাখা স্ত্রির দুগ্ধ ফেনিল বুকে শুয়ে কামভাব নিয়ে ঘুমাবেন। ২/৩ জন বাচ্চা পয়দা করবেন এবং তাদের ও একি শিক্ষা দিবেন। হ্যাঁ আপনাদের (মধ্যবিত্ত) বলছি গালি দেয়ার আগে বলুন ত আপনি, আমি কি করেছি!
আমি আজব্দি কাওকে পাইনি যে তার AIM IN LIFE রাজনীতিবিদ হিসেবে ভাবার সাহস করে। শিক্ষিত মদ্ধবিত্ত যারা রাজনীতি সচেতন তারা যদি রাজনীতি তে আসেন তবে অনেক কিছু পরিবর্তন হতে বাধ্য। আর যদি না পারেন তাহলে তবে গালাগালি করার অধিকার ও আপনার নাই। আপনারা, আমরা রাজনীতির প্রতি অনিহা দেখান বলেই মূর্খরা রাজনীতি করার সুযোগ পায়। আমরাই তার সুযোগ করে দেই। যেখানে উন্নত বিশ্বে সবচে মেধাবিরা রাজনীতি করে করেন আর বাকিরা চাকুরী করে। আর আমাদের মেধাবিদের রাজনীতি তে অনিহা। মহামান্য শিক্ষিত মদ্ধবিত্ত বেক্তিগন রাজনীতিকে গালি না দিয়ে বরং আসুন না একে পরিবর্তন করতে, তাহলেই না বুঝব দেশকে বিরাট ভালবাসেন। নইলে অফ যান বুলি কপচায়েন না মেহেরবানি করে… ।
ই-মেইলে যোগাযোগ করুন