০
১২৭৬ বার পঠিত
১.
ওষুধটানা খেয়ে ঘুমাবেনা কিন্তু!
ভালো আছো?
প্রতিদিন দেখায় অভ্যস্ত প্রাণী এখন,
ভিক্ষুকের পাঁচ টাকা পাওয়ার আশার মতো চেয়ে থাকি।
তুমি আসোনা।
তোমার শরীর ঠিক আছে?
আমার উৎকন্ঠিত ঘৃণাও তোমার খেয়াল রাখে,
বেসরকারি ক্লিনিকের নার্সের মতো।
এবার অমর উৎকন্ঠিত ভালোবাসা নিয়ে বলছি,
ওষুধ টা না খেয়ে ঘুমাবেনা কিন্তু!
২.
যান্ত্রিক প্রেম
শীতের ছোঁয়ায় তোমার বারোমাসি শীতল হাতটা
হিম হয়ে গেছে,
সেই হাত যখন আমার হাতকে কাছে টেনে নেয়,
আমিও বুর্জুয়াদের মতো এসির বাতাসের সুখ নিতে শুরু করি।
কিন্তু হুট করেই মাথায় যন্ত্রণা হয়,
কেন বলতে পারো?
৩.
চাঁদ ও কাব্যের পার্থক্য
তুমি এখন সমুদ্রের পাড়ে,
চিরকুটে লিখে আমার সাথে কাটানো দিনগুলো,
নিশ্চিত ফেলেছো।
আমি ভালোবাসি,
তবুও পুড়িয়েছি তোমার চিঠি।
সূর্য কী এখনো তোমার সাদা মুখে উজ্জ্বলতা দিয়ে ফিরে আসে?
আমার চুম্বন তুমি কালের চাদরে মুছে নিয়েছো নিশ্চয়।
আমি কিন্তু তা করিনি।
শুধু যে হাত ধরে মিথ্যা সংসার বাধার সুদূরপ্রসারী চিন্তা করেছিলে,
সে হাতটাকে মুখোমুখি করেছি করুণ মৃত্যুর।
তুমি ফিরিয়ে দিয়েছো আমার উপহার গুলি,
বইগুলোর প্রতিটি পাতায় পোলোনিয়ামের গন্ধ।
তোমার জবাটা আছে,
ফিরিয়ে দিয়েছি যদিও সব,
তবে সাথে দিয়েছি মৃগনাভির সুগন্ধি।
৪.
সম্মুখ ডাকযোগ
কাঁটাতারের কাঁটায় চোখ গেঁথে গেছে
সবুজ ঘাসের উপর লাল পানির কুয়াশা,
নিথর হাতে কোনো এক চে’র উদ্দেশ্যে লেখা চিঠি,
সম্মুখ ডাকযোগে হয়নি দেয়া।
নরম পায়ে লেগে আছে সোঁদা মাটি
পা বলে দিচ্ছে গতিবেগ,
শুধু এখানে আসার আকুতি।
সম্মুখ ডাকযোগে এপারে আসতো
উত্তর, চিন্তা,বিপ্লব।
৫.
কাক
কুকুরের লালা পথের বাঁকে আমার নিস্তব্ধ অশ্রুর মতো পড়ছে,
তাই চেটেপুটে খাচ্ছে তোমার কাক গুলো।
ইদানিং তোমার কাক গুলো খুব স্বার্থপর হয়েছে,
এখন সে স্টেশন মাস্টারের কাছেই থাকে।
তুমি যাওয়ার পর তারা আর আসেনা,
তাদের অর্থনৈতিক মন্দা কেটেছে।
ই-মেইলে যোগাযোগ করুন