০
১১৩৯ বার পঠিত
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা তার বাবা শেখ মুজিবের বাকশালের অনুকরণে সফল হয়েছে একটি একদলীয় শাসন ব্যবস্থা প্রবর্তনের । এই একদলীয় শাসন ব্যবস্থা কায়েম করে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনের মাধ্যমে হাসিনা তার শাসনের সমালোচকদের উপর চালাচ্ছে হত্যা, গুম ও নির্যাতন । স্বজনপ্রীতি করা, ভুয়া ইলেকশনের মাধ্যমে অবৈধ ভাবে ক্ষমতায় থাকা ও নিজের পালা সন্ত্রাসী চক্রকে দেশের সবচেয়ে প্রভাবশালী পদগুলিতে বসিয়ে দেশকে একটি মাফিয়া রাষ্ট্রে পরিণত করা তার কয়েকটি উল্লেখযোগ্য সফলতা । এই সাফল্যের ক্ষেত্রে তার প্রধান কৌশল হল ধর্মের ব্যবহার ও মুক্তচিন্তা দমন । প্রত্যেক নির্বাচনের আগে তার মাথাই হিজাব পড়া, মাজারে যাওয়া, লোক দেখানো নামাজ পড়ে বেশি ধার্মিক সাজার চেষ্টা ইত্যাদি আমারা সকলেই জানি । হাসিনার শাসন ও ইসলাম ধর্মের একটি কমন শত্রু আছে । আর তা হল মুক্তচিন্তা করার স্বাধীনতা । হাসিনা খুব কৌশলের মাধ্যমে ধর্মান্ধদেরকে ব্যবহার করে মুক্তচিন্তা দমনের কাজ করে চলেছে । ইসলাম কে হেফাজত করার নামে প্রণয়ন করেছে আইসিটি অ্যাক্ট । এটা শুধু যে ইসলামের সমালোচকদের দমন করতে ব্যবহার হচ্ছে, তা নয়, এটা দিয়ে তার দুর্নীতির সমালোচকদের মুখও বন্ধ করতে ব্যাবহার করছে । এ যেন এক ঢিলে দুই পাখি মারার মত । ইসলাম প্রেমিক সেজে বোকা ধর্মান্ধদের ভোট পাওয়া আর মুক্তচিন্তা দমন করে তার সমালোচনা বন্ধ করে ক্ষমতার গদি মজবুত করা । তার প্রত্যক্ষ মদদ ও আস্কারা পেয়ে হেপাজতে ইসলাম নামে একটি উগ্র দল চারা থেকে মহীরুহে পরিণীত হয়েছে । বাংলাদেশ স্বাধীন হওয়ার পর থেকে তার আমলেই সব চেয়ে বেশি সংখ্যক প্রগতিশীল ব্লগার , লেখক , কার্টুনিস্ট ইত্যাদি ধর্মান্ধ ও রাষ্ট্রের হাতে হত্যা নির্যাতনের শিকার হয়েছে । কিন্তু হাসিনার বিপত্তি ঘটে তখন যখন তার হাতে দুধ কলা দিয়ে পোষা সাপ হেপাজতে ইসলাম তাকেই কামড় দিতে উদ্যত হয় । এক পর্যায়ে হেপাজতে ইসলাম ঢাকা ঘেরাওয়ের ডাক দিয়ে দাবি করে হাসিনার পদত্যাগের । তখন কূটকৌশলী হাসিনা হেফজতে ইসলামের লাগাম টেনে ধরতে একটি দ্বিমুখী কৌশল অবলম্বন করে । কৌশলটি হল হেপাজতে ইসলামের আন্দোলনরত কর্মীদের উপর দমন নিষ্পেষণ আর তাদের উপরের দিকের নেতাদের মনোরঞ্জন । তাদেরকে একটা মেসেজ দেয়া যে, ক্ষমতার গদির উপর হুমকি দেয়া হল হাসিনার রেড লাইন । হেফাজতে ইসলামের আন্দোলনরত কর্মীদের পুলিশের গুলি ও লাঠিপেটার মাধ্যমে একরাতের মধ্যেই ছত্রভঙ্গ করে দেয় । এক ভয়ঙ্কর নৃশংস হত্যা যজ্ঞ চলে । আর অন্যদিকে চলে হেপাজতে ইসলামের উপরের সারির নেতাদের মনোরঞ্জন । হেপাজতে ইসলামের আমীর শফী হুজুরকে জামাই আদর করে হেলিকপ্টারে করে হাসিনা নিয়ে আসে তার সাথে একান্ত গোপন বৈঠক করতে । ওই বৈঠক শেষ হওয়ার পর শফী হুজুর যেন পুরোপুরি হাসিনার বশীভূত হয়ে যায় । সেদিনের ঘটনায় নিহত কয়েকশত হেপাজতে ইসলামের আন্দোলনরত কর্মীদের লাশ যেন শফী হুজুরের কাছে কিছুই না । এত একটি বিশাল ঘটনার পরেও তিনি একটি সমালোচনাও করেনি হাসিনার দমন নিপীড়নের । বরং হেফাজতে ইসলামের উপরের সারির নেতাদের সাথে হাসিনার গভীর দহরম মহরম সম্পর্ক তৈরি হয় । স্বাভাবিক ভাবেই প্রশ্ন জাগে, ঐ দিনের সেই গোপন বৈঠকে কি হয়েছিল আসলে ? শুধুই কি অর্থকড়ি আর ভাল খাবার দাবার দিয়েই শফী হুজুরকে মনোরঞ্জন করা হয়েছিল ? নাকি নারীর ব্যবস্থাও ছিল ? আর যদি সেই নারীটি হয় হাসিনা ? কেও যদি দাবি করে বসে, সে গোপন বৈঠকের দরজার ফাঁক দিয়ে হাসিনার সাথে শফী হুজুরকে সেক্স করতে দেখেছে, তাহলেও আমি অবাক হব না । কারন হাসিনার সাথে শফী হুজুরের যে গভীর দহরম মহরম সম্পর্ক তৈরি হয়েছিল তা অন্যভাবে ব্যাখ্যা করা কঠিন ।
ই-মেইলে যোগাযোগ করুন