মুখবন্ধ
এতদিন নারী ও শিশুর ওপর যে যৌন পীড়ন চলত, অধিকাংশ ক্ষেত্রেই তা নীরবে সহ্য করা হত। কখনো খোলাসা করে বলা হত না। কখনো লোক লজ্জার ভয়ে, কখনো মানসম্মানের ভয়ে। ভুক্তভোগী নারী ও শিশু কিংবা তাদের স্বজনেরা চেপে যেতেন এসব কুৎসিত ঘটনা। আমাদের সমাজটাও এমন যে, উল্টো ভুক্তভোগীকেই দোষী সাব্যস্ত করে বসত আর সেই সুযোগের ষোল আনাই ‘সৎব্যবহার’ করত লম্পট পুরুষরা। কিন্তু আজ সময় পাল্টে যাচ্ছে, মানুষ মুখ খুলতে শুরু করেছে। মুখ খুলছেন ভুক্তভোগী নারী, তার সঙ্গে মানবতাবাদী আধুনিক পুরুষ। পাশে দাঁড়াচ্ছেন যাবতীয় বিবেকবান নারী ও পুরুষ। যতবড় ক্ষমতাধরই হোন না কেন, কেউ যদি যৌন নিপীড়নে অভিযুক্ত হন, তার বিরুদ্ধে তীব্র আন্দোলনে একাট্টা হচ্ছেন তারা। কেউই বাদ যাচ্ছে না। হলিউডের বিখ্যাত তারকা থেকে ক্ষমতাধর রাজনীতিক, এমনকী করপোরেট কোম্পানির মালিকও রেহাই পাচ্ছেন না, যদি তিনি যৌন নিপীড়নের ঘটনায় জড়িত প্রমাণিত হন। এই প্রচারণার নাম দেওয়া হয়েছে ‘হ্যাশ ট্যাগ মি টু’। এই ‘হ্যাশ ট্যাগ মি টু’ প্রচারণায় এবার নিশ্চয়ই অভিযুক্ত হবেন ইতিহাসের অন্যতম খল নায়ক, শিশু ও নারীর ওপর যৌন নিপীড়নকারী, মুসলমানদের নবি স্বয়ং মোহাম্মদ। দিকে দিকে এ আওয়াজ তোলা দরকার, যেমন আওয়াজ উঠেছে বর্তমানের নারীর ওপর নির্যাতনের বিরুদ্ধে। তেমনি সকল যুক্তিবাদী মানবতাবাদী আধুনিক চিন্তাশীল মানুষকে এক হয়ে বলা দরকার, মোহাম্মদ একজন ধর্ষক, শিশুর ওপর যৌন নিপীড়নকারী এবং খুনি। কারণ এটা ইতিহাসের সাক্ষী। পৃথিবীতে বসবাসকারী একটা বড় অংশ মুসলিম জনগোষ্ঠী। তারা যে এতদিন মোহাম্মদের সেই কুকর্মের দায় বহন করে আসছেন, এখন সময় এসেছে সেই দায় ঘাড় থেকে ছুঁড়ে ফেলে দেওয়ার। ধর্ম-বর্ণ-জাতি নির্বিশেষে সকল নারী ও শিশুদের যৌন নিপীড়ন থেকে মুক্তি দেওয়ার জন্য কাজটা জরুরি।
এই লেখায় কীভাবে মোহাম্মাদ নারী ও শিশুদের ওপর তার যৌন লালসা চরিতার্থ করতেন, সেসব ঘটনা ক্ষুদ্র পরিসরে যতটুকু সম্ভব তুলে আনার চেষ্টা করা হয়েছে। তিনি যে শুধু নারী লোলুপ ধর্ষক ও শিশুর ওপর যৌন পীড়নকারীই, তাই নয়, তিনি একজন ঘাতক-খুনি ও গণহত্যাকারীও বটে। সে চরিত্রটিও কোরআনের বিভিন্ন আয়াত থেকে এই লেখায় তুলে আনার চেষ্টা করা হয়েছে। মোহাম্মাদের এই লাম্পট্য ও খুনে স্বভাব শতাব্দীর পর শতাব্দী ধরে তার অনুসারী মুসলিম সম্প্রদায় বহন করে চলেছে। পরিণতিতে পৃথিবীকে একটি ভাগাড়ে পরিণত করে ছেড়েছেন তারা। সুতরাং তার অপরাধ শুধু ব্যক্তিগত নয়, পৃথিবীর একটি অন্যতম বৃহত্তম জনগোষ্ঠীকে অপরাধপ্রবণ করে রেখেছেন এই কথিত পয়গম্বর মোহাম্মাদ। অনুসারীদের মনে মনস্তত্ত্বে সেটে দেওয়া হয়েছে ধর্ষণপ্রবণতা এবং নারীর প্রতি কুৎসিত মনোভাব। এ দায় কখনোই এড়াতে পারেন না মোহাম্মদ। আরেকটি কথা, এই লেখাটি তৈরি করতে জেক ন্যূমানের ‘প্রফেট মোহাম্মদ: ওয়াজ হি এ পেডোফাইল, রেপিস্ট, মনস্টার অব হিস্ট্ররি? # মি টু’ শীর্ষক প্রবন্ধের সহযোগিতা নেওয়া হয়েছে।
এটা ঠিক যে, মুসলিম সম্প্রদায় মোহাম্মাদকে নবি হিসেবে মান্য করে, তার প্রতি তাদের অসম্ভব সম্মান, মর্যাদা ও ভক্তি রয়েছে। সুতরাং মোহাম্মাদের ব্যাপারে যে কোনো সমালোচনা তারা গ্রহণ করতে রাজী হবেন না। কারণ তাদের চোখ ভক্তিতে অন্ধ, আর অন্ধত্ব দিয়ে কখনোই সঠিকতায় পৌঁছানো যায়না।
ঠিক যেমন একজন শিশুর কথাই ধরা যাক। প্রতিটি শিশুই তার বাবাকে খুব ভালবাসে। ভালবাসাটাই স্বাভাবিক। সেখানে একজন বাবা যদি ধর্ষকও হয়ে থাকেন এবং ওই শিশুকে যদি বলা হয়, ‘তোমার বাবা একজন ধর্ষক।’ যাবতীয় প্রমাণ দেখানোর পরেও ওই শিশু তা কখনোই মেনে নিতে চাইবে না। উল্টো অভিযোগকারীকে মিথ্যাবাদী বলে প্রত্যাখ্যান করবে। তেমনি একজন মুসলমানকে যদি বলা হয় তোমাদের পয়গম্বর মোহম্মাদ একজন ধর্ষক ও শিশু যৌননিপীড়ক, তাহলে ওই শিশুটির মত তারাও সে কথা মেনে নিতে চাইবে না। অর্থাৎ একজন মুসলমানের জন্য তাদের নবি মোহাম্মদের সমালোচনা গ্রহণ করা আসলেই কঠিন ব্যাপার। সেক্ষেত্রেও মোহাম্মদের সমালোচকদের তারা ঘৃণার চোখেই দেখবেন। শুধু তাই নয়, সে সমালোচকদের শারীরিকভাবে আক্রমণ করে বসবে (অবশ্য এটা মোহাম্মদেরই শিক্ষা)।
একজন মুসলমান অন্তর দিয়ে বিশ্বাস করে, মোহাম্মাদ হল সর্বশ্রেষ্ঠ মানুষ। তার কোনো ভুল নাই। তিনিই পারফেক্ট মানুষ। দয়ালু এবং ক্ষমাশীল চরিত্রের অধিকারী। মুসলমানরা আরো মনে করে, পৃথিবীর যাবতীয় মানবিক গুণাবলী মোহাম্মদের মধ্যে রয়েছে। তাকে নিজের বাবা-মায়ের চেয়ে বেশি মর্যাদা দেওয়া হয়। অন্যান্য ধর্মের ক্ষেত্রেও প্রায়ই এ কথা খাটে, অর্থাৎ একজন খ্রিস্টানকে যদি বলা হয়, তোমাদের যিশু একজন লম্পট, চোর এবং ঘাতক। একই অভিযোগ যদি বৌদ্ধদের বুদ্ধ সম্পর্কে কিংবা হিন্দুকে যদি কৃষ্ণ বা রাম সম্পর্কে বলা হয়, সেক্ষেত্রেও একই প্রতিক্রিয়া দেখা যাবে (তবে মুসলমানদের ক্ষেত্রে প্রতিক্রিয়াটা বেশি উগ্র এবং অসহিষ্ণু)। ইতিহাস ঘেটে জানা যায়, মোহাম্মদ ধর্ষণ করেছিল শিশু আয়েশাকে। এছাড়া রায়হানা বিনতে আমর এবং সাফিয়াকে (যাদের বানু কোরাইয়া গোত্রের ওপর হত্যাযজ্ঞ চালানোর পর সেই গোত্র থেকে যৌনদাসী হিসেবে মোহাম্মদ নিয়ে এসেছিলেন)। আরো ৯ স্ত্রীসহ মোট ৬১জন নারীকে মোহাম্মাদ ধর্ষণ করেছিলেন। প্রায় এক কোটি নারী ধর্ষিত হয়েছিল মুসলমানদের দ্বারা। যাদের বিক্রি করা হয়েছিল শুধু ধর্ষণ, হত্যা আর যৌনদাসী হিসেবে ব্যবহার করার জন্য।
প্রথমেই যে কথাটি বলা হয়েছে, অর্থাৎ মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে নারী ও শিশুদের ওপর নির্যাতনের ঘটনায় সম্প্রতি যে সামাজিক আন্দোলন গড়ে ওঠার প্রবণতা শুরু হয়েছে, সেখানে যৌন কেলেঙ্কারিতে জড়িতরা যত বড় ক্ষমতাধর রাজনীতিক কিংবা বিনোদন তারকাই হোন না কেন, কেউই রেহাই পাচ্ছেন না। এসব সামাজিক আন্দোলনের ঢেউ আছড়ে পড়ে টলিয়ে দিচ্ছে তাদের সামাজিক মর্যাদার ভিত্তি। হলিউডের বিখ্যাত চলচ্চিত্র নির্মাতা ওয়েনস্টেইন এবং অন্যান্য তারকারাও এসব যৌন কেলেঙ্কারির ঘটনায় পার পাননি।
একজন নারীর মর্যাদা রক্ষা করা প্রতিটি পুরুষের মহৎ দায়িত্ব। এটা মানুষ হিসেবে মানুষের মর্যাদা রক্ষার মধ্যে পড়ে। নারী পুরুষের সমতা বিধান প্রকৃতিগত। এটাই সত্য হলে হ্যাশ ট্যাগ মি টু, এই আন্দোলনে অভিযুক্ত হয়ে পড়বেন স্বয়ং পয়গম্বর মোহাম্মদ। যিনি সত্যকার অর্থেই একজন ব্যভিচারী, যৌন নিপীড়ক এবং ধর্ষক। যিনি শিশুর ওপর যৌন নির্যাতনের দায়ে ইতিহাসে খলনায়ক হিসেবেই চিহ্নিত হয়ে থাকবেন। ইভাঙ্কা ট্রাম্প সম্প্রতি বলেছিলেন, যারা শিশুদের ওপর নির্যাতন চালায়, তাদের জায়গা নরকে। তাহলে যিনি যৌন দাসত্বের জন্য নারী ও শিশুদের বিক্রি করে দিতে পারেন, অনিবার্যভাবেই তার জায়গা হবে একই স্থানে, বরং নরকের সবচেয়ে নিকৃষ্ট জায়গায়। আর নবি মোহাম্মাদ হলেন সেই ব্যক্তি, যিনি নারী ও শিশুদের যৌন দাসত্বের জন্য বিক্রি করে দিতেন। যিনি ছয় বছর বয়সী শিশু আয়েশার ওপর যৌন নির্যাতন চালিয়েছিলেন, তাকে ৯ বছর বয়সে ধর্ষণ করেছিলেন। কমপক্ষে ৬১ জন নারীকে ধর্ষণ করেছিলেন তিনি। অন্যের বউকে ভাগিয়ে নিয়ে ফুসলিয়ে ধর্ষণ করেছিলেন, তার সংখ্যাও অন্তত ১০ জন। এই নবি মোহাম্মদ এক নারীকে পাথর ছুড়ে হত্যা করেছিলেন, সন্তান জন্ম দেওয়ার ‘অপরাধে’। (সহিহ মুসলিম হাদিস, ১৭:৪২০৬)। এই সেই পয়গম্বর যিনি এক ইহুদি যুবক তার প্রেমিকাকে আলিঙ্গন করার ‘অপরাধে’ ওই প্রেমিক যুগলকে পাথর ছুঁড়ে হত্যা করেছিলেন। (সহিহ বুখারী হাদিস, ৪.৫৬.৮২৯)। এরকম অসংখ্য মানুষকে শুধু পাথর ছুঁড়েই হত্যা করেছিলেন এই নবি পয়গম্বর। অন্তত তিন হাজার মানুষকে হত্যা করেছিলেন। সহস্রাধিক মানুষকে দাস হিসেবে রেখে দিয়েছিলেন তিনি। এর সবের পেছনে ছিল তার বিশুদ্ধ শয়তানি। এছাড়া আল্লাহ নামক এক অপ্রকৃতিস্থ ঈশ্বরও সৃষ্টি করেছেন এই মোহাম্মদ। এতসব অভিযোগে তার জন্য নরকের বিশেষ জায়গা বরাদ্দ থাকা দরকার, এছাড়া তার জন্য আর বড় পুরস্কার কীই বা হতে পারে! মোহাম্মদের তৈরি করা ঈশ্বর ‘আল্লাহ’র আইন অনুযায়ী বাছ-বিচার ছাড়া যে কয়টি কাজ অনায়াসে করা যায়, তা হল হত্যা, ধর্ষণ, দাসত্ব আর সহিংসতা। আর এসব অপকর্ম চলতে পারে পবিত্রতা আর ঐশ্বরিকতার নামে।
ছয় বছর বয়সী শিশু আয়েশার সঙ্গে ৫৪ বছর বয়সী বুড়ো ভামের বিয়ে কী মেনে নেওয়া যায়? এটা কি শিশুর ওপর যৌন নিগ্রহ নয়? জানা যায়, ছয় বছর বয়সী শিশু আয়েশার কাজ ছিল নবির কাপড় চোপড় থেকে তার বীর্যের দাগ পরিষ্কার করা। মোহাম্মাদ আয়েশার সঙ্গে একত্রে গোসল করতেন। আর এসময় দয়াল নবি ছয় বছর বয়সী শিশু আয়েশার শরীরের যৌনকাতর অংশে, বিশেষত যৌনাঙ্গে হাত বুলিয়ে দিতেন। এছাড়া নবি আয়েশার দুই উরুর মাঝে নিজের পুরুষাঙ্গ সঞ্চালন করতেন। আর ততক্ষণ করতেন, যতক্ষণ না নবির বীর্যপাতের ছিটা তার শরীরে পড়ত। দয়াল নবি অবশ্য আয়েশার ৯ বছর না হওয়া পর্যন্ত অপেক্ষা করেছিলেন। এর পরেই তার সঙ্গে যৌন সম্পর্ক স্থাপন করেন। অর্থাৎ ৫৪ বছর বয়সী নবির পুরুষাঙ্গ ৯ বছর বয়সী শিশুর যৌনাঙ্গে এক রকম জোর করেই ঢোকানো হয়। এটা অবশ্যম্ভাবীভাবে ধর্ষণের অপরাধ। এটা একটি শয়তানি ক্রিয়া। এরকম অপরাধ এবং শয়তানি ক্রিয়া চলতে থাকে পরবর্তী ৯ বছর ধরে।
শিশুর ওপর যৌন নিগ্রহ, শিশু নিপীড়ন, শিশু ধর্ষণ, আর শিশুর যৌনাঙ্গে হাত বুলিয়ে দেওয়া, তার দুই উরুর মাঝে পুরুষাঙ্গ রেখে মৈথুন করাসহ মোহাম্মদের অন্যান্য সকল ঘৃণিত অপরাধকে সুন্নী মুসলিমরা পবিত্র এবং ঐশ্বরিক বলে মান্য করে। কিন্তু মোহাম্মদ তার কৃত অপরাধের ন্যায্যতা প্রমাণ করার জন্য আল্লাহ নামে এক দেবতার শরণাপন্ন হলেন, তাকে যৌন নিপীড়নকে অনুমোদন দেওয়া দেবতা হিসেবে চালিয়ে দিলেন। কোরআন সৃষ্টি করলেন। যেখানে শিশুদের ওপর যৌন নিপীড়ন চালানোকে মুসলমানদের জন্য জায়েজ করে দেওয়া হল। তাই মুসলমানদের জন্য ধর্ষণ, শিশু যৌন নিপীড়ন, শিশু ধর্ষণ ও নারী নির্যাতন অনুমোদিত। একজন নারী শিশুর জন্মের সময়ই তার বাবার পছন্দে বিয়ে হতে পারে এবং নয় বছর বয়সে তাকে ধর্ষণ করা চলে। এসবই ইসলামসম্মত। দেখুন কোরআনে কী বলে,
“আর তোমাদের মধ্যে যারা মহিলাদের দীর্ঘস্থায়ী ঋতুস্রাব পছন্দ করো না, যদি তোমাদের সন্দেহ হয়, অতপর তোমাদের কোনো নারীর পিরিয়ড মাত্র তিনমাস ধরে শুরু হয়। কিংবা এখনো কারো পিরিয়ড শুরুই হয়নি, কিংবা যারা গর্ভবতী, পরবর্তী প্রসব না করা পর্যন্ত আল্লাহ তোমাদের জন্য সবকিছু সহজ করে দিয়েছেন। যদি তোমরা তাকে ভয় কর।”
অপরদিকে আধুনিক ধারণা হল,
“শিশুর সঙ্গে যে কোনো ধরনের যৌনতাই ধর্ষণ, প্রভু এবং দাসের মধ্যেকার যৌনতাও ধর্ষণ, এমনকী স্বামী স্ত্রীর মধ্যে সম্মতি ব্যতিরেকে যৌনতাকেও ধর্ষণ হিসেবে বিবেচনা করা হয়।”
বানু কোরাইয়া গণহত্যা:
বানু কোরাইয়া গণহত্যা সংঘটিত হয়েছিল স্বয়ং মোহাম্মদের নির্দেশে। ওই হত্যাকাণ্ডের ঘটনায় ইহুদিদের একটি গোত্রের প্রায় ৬০০ থেকে ৮০০ পুরুষ এবং বালকদের হত্যা করা হয়। যাদের গুপ্ত অঙ্গের লোম উঠেনি শুধু তাদেরই রেহাই দেওয়া হয়। সেখানে নারী এবং শিশুদের দাস হিসেবে বিক্রি করে দেওয়া হয়। কিশোর বয়সী থেকে পূর্ণ বয়সী সকল পুরুষদের হত্যা করা আর নারী-শিশুদের দাস হিসেবে বিক্রি করে দেওয়ার মত, চিন্তা করা যায় কতবড় অমানবিক এবং নিষ্ঠুর কাজ।
ধর্ষণ ও শিশু নিপীড়নের ঘটনার মত মোহাম্মদ তার গণহত্যাকে জায়েজ করার জন্য কোরআনের বেশকিছু আয়াত যুক্ত করেছেন, তিনি এগুলোকে পবিত্র ও ঐশ্বরিক বলে চালিয়ে দিয়েছেন। যেমন সুরা আন ফাল এর ১৭ নং আয়াতে বলা হয়েছে:
“সুতরাং তোমরা তাদের হত্যা করোনি, বরং আল্লাই তাদের হত্যা করেছে। আর তুমি মাটির মুষ্ঠি নিক্ষেপ করোনি, যখন তা নিক্ষেপ করেছিলেন স্বয়ং আল্লাহ, যেন ইমানদারদের প্রতি এহসান করতে পারেন। নিঃসন্দেহে আল্লাহ শ্রবণকারী, পরিজ্ঞাত।”
একই সুরা আন ফাল এর ৬৭ নং আয়াতে বলা হয়েছে:
“কোনো নবির পক্ষেই বন্দিদের নিজের কাছে রাখা উচিত নয়, যতক্ষণ না হত্যা করে তাদের রক্তে দেশ ভাসিয়ে দেওয়া হয়। তোমরা পার্থিব সম্পদ কামনা কর আর আল্লাহ তোমাদের জন্য কামনা করেন পরকাল। আর আল্লাহ হচ্ছে পরাক্রমশালী ও সর্বজ্ঞানী।”
অর্থাৎ বন্দিদের হত্যা করার জন্য এবং কোনো বন্দিকে জীবিত না রাখার জন্য আল্লাহ নবিকে প্ররোচিত করছেন, যতক্ষণ না গোটা আরবভূমি মোহাম্মাদের করতলে আসে। তাহলে আল্লাহ হলেন এমন ঈশ্বর, যিনি বন্দিদের হত্যা করার জন্য প্ররোচিত করে থাকেন। এসব হল মানবতার বিরুদ্ধে অপরাধ। ঈশ্বরের বিরুদ্ধে অপরাধ, ধর্মের বিরুদ্ধে অপরাধ। এটি গণহত্যার নির্দেশনা, যা এসেছে আল্লাহর তরফ থেকে।
অর্থাৎ জেনেভা কনভেশন অনুযায়ী, যুদ্ধক্ষেত্রে প্রতিপক্ষের সঙ্গে চুক্তি ছাড়া কোনো বন্দিকে হত্যা করা যাবে না। তাদের জানমালে নিরাপত্তা বিধান করতে হবে। আহত হয়ে থাকলে চিকিৎসার দায়িত্ব নিতে হবে। অপরদিকে, কোরআনের নির্দেশনা অনুযায়ী কোনো যুদ্ধবন্দিকে জীবিত রাখা যাবে না, তাদের সকলকেই হত্যা করতে হবে। দেশকে কসাইখানায় পরিণত করতে হবে। ইসলামে এইসকল কাজকে উৎসাহিত করা হয়েছে। ইসলামের এমন বিধানের কারণেই বিশ্বব্যাপী মুসলমানরা অরাজকতা তৈরি করতে উৎসাহ বোধ করেন। যে আল্লাহ হত্যার নির্দেশ দেয়, হত্যাকে উৎসাহিত করেন, আসলে তিনি ঈশ্বর নন, ঘাতক। দেখুন ঘাতক আল্লাহর চরিত্র।
কোরআনের সুরা আল আহযাবের ২৫ নং আয়াতে বলা হয়েছে,
“আল্লাহ অবিশ্বাসীদের (মক্কাবাসী ও তাদের সহযোগিদের) ক্রুদ্ধ অবস্থায় ফিরিয়ে দিলেন। তারা কোনো কল্যাণ পায়নি। যুদ্ধে বিশ্বাসীদের জন্য আল্লাহই যথেষ্ট। নিশ্চয়ই আল্লাহ শক্তিধর ও পরাক্রমশালী।’
একই সুরার ২৬ নং আয়াতে বলা হয়েছে,
“এবং কেতাবের মধ্যে যারা অবিশ্বাসীদের (বানু কোরাইয়ার ইহুদি সম্প্রদায়) পৃষ্ঠপোষকতা করেছিল, তিনি তাদের দূর্গ থেকে নামিয়ে আনলেন। তাদের হৃদয়ে ভীতি সঞ্চার করলেন। তাদের অনেকে বন্দি হলো, অনেককে তোমরা কতল করলে।”
ভাবুন তো একবার, অবরুদ্ধ অবস্থায় নারী ও শিশুরা খাদ্য ও পানির জন্য হাহাকার করছে, বাঁচার জন্য আর্তচিৎকার করছে। আর এসব নারী ও শিশুদের রক্ষার জন্য তাদের বাবা, স্বামী কিংবা ভাইকে আল্লাহ নিচে নামিয়ে আনলেন। তাদের মনে ভীতি সঞ্চার করে দিলেন। ভাবুন তো একবার, এই সুযোগে মোহাম্মদের অনুসারীরা তাদের ধরে বন্দি করে হত্যাযজ্ঞ শুরু করল। এইসময় ওই নারী ও শিশুদের মানসিক অবস্থা একটু কল্পনা করুন তো একবার। একজন সাধারণ কাণ্ডজ্ঞানসম্পন্ন মানুষের যা করতে বিবেকে বাধবে, মোহাম্মদের আল্লাহ তাই করল অবলীলায়। একটি গোত্রের নিরাপরাধ নারী শিশু ও তাদের রক্ষাকারীদের হত্যার অনুমোদন দিল মোহাম্মদের আল্লাহ।
দেখুন আল্লাহর বাক্যচয়নের ছিরি, ‘ক্রুদ্ধ অবস্থায় ফিরিয়ে দিলেন’ ‘তাদের মনে ভীতি সঞ্চার করে দেই’ ‘তাদের অনেককে তোমরা কতল করেছ’। মোহাম্মদের আল্লাহ আসলেই একজন সন্ত্রাসী এবং ঘৃণা উদ্রেককারী। চিন্তাকরুন, একজন বিশ্বব্রহ্মাণ্ডের সৃষ্টিকর্তা হবার দাবিদার, যিনি তীব্র ঘৃণা ছড়ান, নারী, শিশুসহ সব বয়সীদের হৃদয়-মনে ভীতির সঞ্চার করেন, যেন একজন খলনায়ক। মোহাম্মদের আল্লাহ নারী ও শিশুদের ওপর নির্যাতন নেমে আসলে তিনি তা উপভোগ করেন। মোহাম্মদের আল্লাহ, সুরক্ষিত দূর্গ থেকে ইহুদিদের বের করে এনে, তাদের মনে ভয় সঞ্চায় করে দেন, যাতে মোহাম্মদের জেহাদী সাঙ্গাৎরা তাদের হত্যা করতে পারেন এবং তাদের নারী ও শিশুদের দাস বানাতে পারেন। হায়রে মোহাম্মাদের আল্লাহ! যিনি ধর্ষণ ও গণহত্যার প্ররোচনাদানকারী, যার মানবিক নীতি-নৈতিকতার বালাই নাই। যিনি প্রতিশোধপরায়ণ, মানসিকভাবে বিকারগ্রস্ত, উম্মাদ, তিনি নাকী ঈশ্বর! সৃষ্টির প্রতি ভালবাসা নেই মোহাম্মাদের আল্লাহর। তার চারিত্রিক বৈশিষ্ট্যে যে ‘ক্ষমাশীল করুণাসিন্ধু দয়াশীল’ এরকম যে কথা বলা হয়েছে, তা কেবল কথার কথা। বাস্তবে মোহাম্মদের আল্লাহর চরিত্রে এসব মানবিক গুণের লেশমাত্র নেই। তিনি একজন মধ্যযুগীয় বর্বর, দয়ামায়াহীন ব্যক্তিত্ব। যিনি কেবল হিংস্রতারই শিক্ষা দিয়ে গেছেন।
যেমন ধরা যাক সুরা আন ফাল এর ১৭ নং আয়াতের কথা। সেখানে আল্লাহ বলেছেন,
“সুতরাং তোমরা তাদের হত্যা করোনি, বরং আল্লাহই তাদের হত্যা করেছে। আর তুমি মাটির মুষ্ঠি নিক্ষেপ করোনি, যখন নিক্ষেপ করেছিলে, বরং তা আল্লাহ স্বয়ং নিক্ষেপ করেছিলেন। …”
দেখুন, কোরআনের শিক্ষা, মোহাম্মাদের আল্লাহর চরিত্র!
আসলে মোহাম্মাদ তার অনুসারীদের প্রতিপক্ষকে হত্যা করার প্ররোচণার কথাটি আল্লাহর মুখ থেকে বের করে এনেছেন মাত্র। এসব অপকর্মের দায় আল্লাহর কাঁধে দিয়ে নিজের কাজ সিদ্ধি করতে চেয়েছেন। এটা এতটাই অগ্রহণযোগ্য যে, নিজের কাজ সিদ্ধির জন্য কল্পিত আল্লাহর স্বরূপকে এতটা বীভৎস করে তুলে এনেছেন। আন ফাল এর এই ১৭ নং আয়াতটি থেকে মুসলমানরা একটি অনৈতিক ও সহিংসতার শিক্ষা এমনভাবে গ্রহণ করেছে যে, যেখান থেকে মুসলিমরা গণহত্যার ন্যায্যতা খুঁজে পায়। এই আয়াত থেকে মোহাম্মাদ তার অনুসারীদের বুঝিয়েছেন,
“কোনো চিন্তা কর না, তোমরা যা করেছ তা সঠিক কাজ। কারণ সেটা আল্লাই চেয়েছেন। তোমরা এমন হত্যাকাণ্ডের ঘটনায় কোনো অনুশোচনা কোরো না। এই হত্যাকাণ্ডে দুঃখ পাওয়ার কিছু নাই। এতে রাতে দুঃস্বপ্নে আৎকে উঠো না, ভয় পেও না, কারণ এটা ন্যায্য কাজ। একাজে আল্লাহ পুরষ্কার দেবেন। যাদের হত্যা করেছ, তাদের প্রতি কোনো দয়া দেখানোর দরকার নেই। মন শক্ত কর, আল্লাহর শত্রুদের খতম করতে প্রতিজ্ঞাবদ্ধ হও। তোমার হাত দিয়েই আল্লাহ তার শত্রুদের হত্যা করতে চায়, ইত্যাদি।”
অর্থাৎ মোহাম্মদের এই সব অপরাধের বৈধতা দিচ্ছেন তার আল্লাহ। ঈশ্বর বলতে মানুষ যে প্রেমময় ক্ষমাশীল দয়াপরায়ণ, সুরক্ষাকারী এক মানবিক সত্তাকে ভাবতে চায়, সেখানে মোহাম্মদ এমন এক ঈশ্বর তৈরি করে আমাদের সামনে এনে দিলেন, যিনি পুরোদস্তুর একজন দুর্বৃত্ত, খলনায়ক। ধর্ষণ ও গণহত্যার প্ররোচনাদানকারী। যিনি নিষ্ঠুর, বর্বর, হিংস্র ক্রিমিনাল এবং প্রতিশোধপরায়ণ। আসলে কোরআন কোনো নৈতিকতা শিক্ষা দেওয়ার গ্রন্থ নয়, এটা হল শয়তানের পদাবলী। এই গ্রন্থ রচনা করে মোহাম্মদ গণহত্যা, ধর্ষণ ও লুণ্ঠনের সংস্কৃতিকে আইনি রূপ দিয়েছেন।
লুটপাটের ধর্ম:
গণহত্যার ঘটনায় আল্লাহর মন ভরল না, তিনি ঘোষণা করলেন, যুদ্ধের পর পরাজিতদের ধন-সম্পত্তি লুটপাট করতে হবে। তাদের জোতজমি, ঘরবাড়ি, টাকাকড়ি, এমনকী তাদের ঘরের সুন্দরী নারীদেরও বাদ দেওয়া যাবে না। আল্লাহর নতুন ঘোষণা, এসব গণিমতের মাল। এগুলো এখন তোমাদের, এগুলো নিতে দ্বিধা করো না। আল্লাহর শিক্ষা হল, কাফেরদের আক্রমণ কর, তাদের হত্যা কর। তাদের মেয়েদের ও শিশুদের দাস-দাসী বানাও, তাদের মেয়েদের ধর্ষণ কর। লুটপাট আল্লাহর কাছে খুব প্রিয়, যেমন ধর্ষণ ও গণহত্যা। সুরা আন ফাল হল, লুটপাটের ও গণহত্যার প্ররোচণা দানকারী সুরা। মুসলিমদের চরিত্রে যার প্রকাশ মেলে। বুখারী শরীফে পাওয়া যায়,
নবি মোহাম্মদ বলেছেন, আমাকে আল্লাহ পাঁচটি জিনিশ দিয়েছেন, যা আর কাউকে দেননি। যেমন –
১. শত্রুদের ভীত-সন্ত্রস্ত করে তাদের ওপর আমাকে বিজয়ী করেছেন
২. এই বিশ্বব্রহ্মাণ্ড আমার জন্যই আল্লাহ তৈরি করে দিয়েছেন
৩. লুটপাট একমাত্র আমার জন্যই বৈধ করা হয়েছে, ইতোপুর্বে আর কেউ এই সুযোগ পায়নি
৪. শেষ বিচারের দিনে একমাত্র আমার সুপারিশেই কাজ হবে, আর কারো নয় এবং
৫. প্রতিটি নবিই এসেছিলেন তাদের নিজ নিজ গোত্র ও জাতির জন্য, কিন্তু আমাকে পাঠানো হয়েছে গোটা মানবজাতির জন্য।
দেখুন লুটপাট নিয়ে সুরা আন ফাল এর ১ নং আয়াতে কী বলা হয়েছে,
“তারা আপনার কাছে লুটপাটের মাল সম্পর্কে জিজ্ঞেস করে। আপনি বলে দিন, এসব লুটের মাল হল আল্লাহর ও তার রসুলের। যাতে তোমরা আল্লাহকে ভয় কর এবং নিজেদের মধ্যেকার সম্পর্ক বজায় রাখ। আল্লাহ এবং তার রসুলের হুকুম মান্য কর, যদি বিশ্বাসী হয়ে থাক।”
একই সুরা আন ফাল এর ৪১ নং আয়াতে বলা হয়েছে,
“এবং এ কথা জেনে রেখো যে, এই সব লুটপাটের মালামাল যা যুদ্ধে বিজয়ের পর শত্রুদের কাছ থেকে গণিমতের মাল হিসেবে নিয়ে আসা হয়েছে, তার পাঁচ ভাগের এক ভাগ হল আল্লাহ, তার রসুলের, তার নিকট আত্মীয় স্বজনের, এতিম-অসহায়দের এবং ভ্রমনকারীদের জন্য। যদি তোমাদের বিশ্বাস থাকে আল্লাহর ওপর এবং সেই বিষয়ের ওপর যা আমি বান্দার ওপর অবতীর্ণ করেছি বিচারের দিনে। যে দিন দুইটি শক্তি মুখোমুখি হবে। নিশ্চয়ই আল্লাহ সব কিছুর ওপর ক্ষমতাশালী।”
এই আয়াতে বলা হয়েছে লুটের মালের এক পঞ্চমাংশ পাবেন মোহাম্মাদ স্বয়ং। আর লুটের মালের একাংশ তার নিকট আত্মীয় স্বজনের নামে গ্রহণ করেছেন। এটা মোহাম্মদের সিদ্ধান্ত। এই লুটের মালের মধ্যে রয়েছে যুদ্ধবন্দি, যাদের দাসে পরিণত করা হয়। প্রথম জয়ী হওয়া বদর যুদ্ধে মোহাম্মাদ যুদ্ধবন্দিদের মুক্তি দান করেন। মোহাম্মাদের এই ক্ষমাশীলতাকে ভাল চোখে দেখেনি মুসলমানদের বেশকিছু নেতা। তাদের মধ্যে ওমর রয়েছেন। তিনি চেয়েছিলেন যুদ্ধবন্দিদের হত্যা করতে। এ ঘটনার পর সিদ্ধান্ত হয়, যারা ইসলাম গ্রহণ করতে অস্বীকার করবেন, তাদের হত্যা করা হবে এবং তাদের নারী ও শিশুদের দাস হিসেবে গ্রহণ করা হবে।
সুরা আন ফাল এর ৬৯ নং আয়াতে বলা হয়েছে,
“এখন থেকে যুদ্ধ থেকে লুণ্ঠিত মালামাল তোমরা ভোগ কর। এটা তোমাদের জন্য বৈধ এবং পরিচ্ছন্ন। যদি আল্লাহর কাছ থেকে পূর্ব অনুমোদন না থাকত, তবে আপনি যা গ্রহণ করেছেন তার জন্য আপনাকে কঠোর শাস্তি ভোগ করতে হত। সুতরাং এই বৈধ ও পরিচ্ছন্ন লুটের মাল ভোগ করুন। যা আপনি যুদ্ধ থেকে অর্জন করেছেন। সুতরাং তোমরা আল্লাহকে ভয় কর, নিশ্চয় আল্লাহ ক্ষমাশীল এবং মেহেরবান।”
এখানে আল্লাহ মুসলমানদের যুদ্ধক্ষেত্র থেকে মালামাল লুট করতে উৎসাহিত করেছেন। আল্লাহর আগের চরিত্র থেকে এটা আরো বেশি রূঢ়।
কোরআনের সূরা আল আহযাব এর ২৭ নং আয়াতে বলা হয়েছে,
“এবং তিনি তোমাদেরকে তাদের ঘরদোর, জোতজমি ও মালপত্রের উত্তরাধিকারী করে দিয়েছেন। এবং এমন এক ভূমির মালিক করে দিয়েছেন যেখানে এখনো তোমরা অভিযান করোনি। নিশ্চয়ই আল্লাহ সব কিছুর ওপর ক্ষমতাবান।”
আল্লাহ তার রসুল মোহাম্মদকে ইহুদিদের সমগ্র সম্পত্তি বাজেয়াপ্ত করার নির্দেশ দিলেন। চিন্তা করে দেখুন তো, আল্লাহ শিক্ষা দিচ্ছেন অপরের জোতজমি-ঘরদোর-মালসামানা এবং তাদের ভূমি দখল করে নিতে। অর্থাৎ আল্লাহর শিক্ষা হল অপরের সম্পত্তি চুরি করা, কাফেরদের সম্পত্তি ছিনিয়ে নেওয়া, নারী ও শিশুদের দাস বানানো ইত্যাদি। এভাবে চুরিচামারি ও লুটপাটকে পবিত্র কর্তব্য বলে ঘোষণা দিলেন মহান আল্লাহু রাব্বুল আলামিন। আল্লাহর লুটপাটের সন্ত্রাসী সহযোগী হল মোহাম্মদ। যিনি লুটের মালের ৮০ ভাগ অন্যান্য সন্ত্রাসী সাঙ্গাৎদের ভাগাভাগি করে দেন। এ কারণেই মোহাম্মদ একটি লুটেরা সেনাবাহিনী গড়ে তুলতে সক্ষম হয়েছিলেন। যুদ্ধের জন্য সমরাস্ত্র ও আর্থিক সঙ্গতি অর্জন করেন। লুটপাটের ভাগ পাওয়ার সুযোগ ছাড়াও নারীদের ধর্ষণ করা, বালকদের দাস বানানো জন্য উৎসাহী মানুষ তার দলভারী করতে থাকে।
অবশ্য আল্লাহ তার অসীম ক্ষমতা দিয়ে মোহাম্মাদের সুরক্ষার জন্য বিশেষ আইন তৈরি করে দিয়েছেন। যে আইনবলে আল্লাহ যুদ্ধছাড়া লুটের মালের শতভাগ মোহাম্মদকে ভোগ করার অধিকার দিয়েছেন। কোরআনের সূরা আল হাশরের ৬ নং আয়াতে বলা হয়েছে,
“আল্লাহ তার রসুলকে তাদের (বনু-বনুযায়রের) নিকট থেকে গ্রহণ করে যে ধন সম্পদ দান করেছেন, এই (ধন সম্পদের) জন্য তোমরা ঘোড়ার ও উটের পিঠে উঠে যুদ্ধ করোনি। কিন্তু আল্লাহ তার রসুলগণকে যে বিষয়ে ইচ্ছা মনে করেন তা দান করেন। নিশ্চয়ই আল্লাহ সবকিছুর ওপর ক্ষমতা রাখেন।”
একই সূরার ৭ নং আয়াতে বলা হয়েছে,
“লুটের মাল (গণিমতের মাল) যেভাবেই হোক না কেন, তা যদি মোহাম্মদের কাছে যায়, তাহলে সেটা আল্লাহর অধিকারেই যাওয়া হয়। সেটা অবশ্যই মোহাম্মাদের আত্মীয় স্বজনের কাছে, দরিদ্র এবং ভ্রমণকারীর (মুসাফির) কাছে যাবে। মোহাম্মাদ তোমাদের যতটুকু প্রদান করে, তোমরা তাই গ্রহণ কর।”
এই হল মোহাম্মদ এবং তার আল্লাহ। এই আল্লাহকে কীভাবে একজন স্বাভাবিক, যুক্তিবাদী মানুষ মেনে নিতে পারেন যিনি হলেন তার রসুলের সকল অপকর্মের অনুমোদনদাতা? এমন একজন মানুষকে যিনি রসুল হিসেবে নির্ধারণ করেছেন, যিনি একজন ধর্ষক, গণহত্যাকারী ও সন্ত্রাসী। যিনি মনুষ্যত্বের ঘাতক। যিনি বালকদের প্যান্ট খুলে দেখেন, তার গুপ্তলোম গজিয়েছে কীনা। যার ওপর নির্ভর করে সেইসব বালকদের বাঁচামরা। যিনি নারীদের ধর্ষণ করেন এবং ধর্ষণের অনুমোদন দেন। তাদের দাসী হিসেবে বিক্রিও করে দেন। চিন্তা করুন তো, একটি ছোট বালকের চোখের সামনে তার বাবাকে হত্যা করা হচ্ছে, তার বোন কিংবা মা কে যৌন দাসী হিসেবে বিক্রি করে দেওয়া হচ্ছে। তাদের ধর্ষণ করা হচ্ছে। একজন মানুষ হিসেবে কোনো মুসলমান কী কোনো নারীর যৌনদাসত্ব মেনে নিতে পারেন? কোনো সুন্দরী তরুণীকে নিজের যৌনদাসী হিসেবে আজকের কোনো মুসলমান কী গ্রহণ করবেন? ভয়ঙ্কর ধর্ষণের উল্লাসকে কী ঐশ্বরিক শাশ্বত বিধান হিসেবে কী কল্পনা করা যায়? এসব প্রশ্নের জবাব যদি হ্যাঁ হয়, তাহলে আপনি সত্যকার অর্থেই মোহাম্মদের প্রকৃত উম্মত, আর না হলে আপনাকে ইসলাম সম্পর্কে, মোহাম্মদ সম্পর্কে, আল্লাহ সম্পর্কে আরো জানতে হবে, বুঝতে হবে। খতিয়ে দেখতে হবে, কেন এই ধর্ম আজ তাদের পৃথিবীতে এই পর্যায়ে রেখে দিয়েছে। কেন তারা সন্ত্রাসী সম্প্রদায় হিসেবে নিগৃহীত। কেন তারা কোনো নতুন চিন্তা গ্রহণ করতে পারেন না। কেন তারা প্রগতির সঙ্গে তাল মিলিয়ে হাঁটতে পারে না। এর কারণ যে তাদের ধর্মের মধ্যে রয়েছে তাকে খুঁজে বের করতে হবে। এই কাজটি করতে আজকের পৃথিবীতে যুক্তিশীল ও দায়িত্বশীল মানবতাবাদী মুসলমান যুবকদের এগিয়ে আসতে হবে।
আসলে মোহাম্মদ আল্লাহ নামে একজন ঈশ্বর সৃষ্টি করে একটি বড় ধরনের অপরাধ করেছেন। এই আল্লাহ মোহাম্মাদকে সব ব্যাপারেই অবাধ স্বাধীনতা দিয়েছেন, চাইকী ভাল কাজ, চাইকী মন্দ কাজ করার। মুক্তভাবে যখন যা দরকার, তখন তাই করেছেন। এবং তার সৃষ্ট আল্লাহকে দিয়ে তা অনুমোদন করিয়ে নিয়েছেন।
হ্যাঁ ইভাঙ্কা ট্রাম্প, আপনি ঠিকই বলেছেন, যারা নারী ও শিশুদের ওপর যৌন নির্যাতন চালায় তাদের জায়গা হবে নরকের বিশেষ জায়গায়। ঠিক যেমন মোহাম্মাদের। যিনি নারী ও শিশুর ওপর যৌন নির্যাতনের জন্য মানুষের ইতিহাসে কুখ্যাত হয়ে থাকবেন।
অক্টোবর ১১, ২০১৭; ৩:২১ পূর্বাহ্ন
নিজের প্রাণের চেয়ে, নিজের সন্তানের চেয়ে, নিজের মা-বাবার চেয়ে এবং তার যাবতীয় সম্পদ থেকে প্রিয় আমাদের প্রিয় নবী মোহাম্মদ আর সেই নবীর বিরুদ্ধে লিখার সাহস তুই কোথায় পাইল জাহাননামী, আল্লাহর ও আল্লাহর নবীর কসম তোকে যেখানেই পাব আমি তোকে হত্যা করব। সাহস থাকলে শুধু একবার দেশে আয়।