যৌন নৈতিকতা ও মঙ্গলময় জীবন

8 মতামত পাওয়া গেছে

তাই আমাদের তরুণ সামজকে আমরা খুব সহজেই যৌন বিকৃতি থেকে রক্ষা করতে পারি যৌন স্বাধীনতা দিয়ে । এতে কোনো রকম মারাত্মক সমস্যা যেমন হবে না তেমনি এই বিবাহবিহীন সমাজ ব্যবস্থা নারী-পুরুষের মধ্যে এমন একটি ঐতিহাসিক সম্পর্ক স্থাপন করবে যা সুদৃঢ় অন্তরঙ্গতা এবং শারীরিক, মানসিক ও আত্মিক বন্ধন গড়ে তুলবে । 

একমত। *acute* এত বড় লেখাটার মাঝে কিছু প্যারা ভাগ করে দিলে ভাল লাগত পড়তে।

লেখা অনেক বড়। শুধুমাত্র চোখ বুলিয়ে নিলাম, পরে সময় মত পড়তে হ’বে।

যৌন স্বাধীনতার ব্যাপারে আপনার সাথে মোটামুটি একমত। আমার মনে হয় আমাদের সমাজে যৌনতার ব্যাপারে ঢাকঢাক গুড়্গুড় ভাব একেবারে যৌন নিষ্পেষনের পর্যায়ে পড়ে। ভাবসাব এমন যেন নারী পুরুষ কারোই যৌন অঙ্গ নেই–যৌন অঙ্গ গজিয়ে উঠে বিবাহের রাত্রে। কী তাজ্জবের ব্যাপার!

যৌন অঙ্গ এবং যৌনতা না থাকলে যে পৃথিবী মানবশুণ্য হয়ে যাবে–তা কি বলে দিতে হবে?

আমার মতে দুইজন সাবালক ব্যক্তির সম্পূর্ণ যৌন স্বাধীনতা থাকতে হ’বে। অন্যের অধিকারে হস্তক্ষেপ না করে দুইজন যদি একে অন্যের যৌনতা উপভোগ করে তাতে অন্য কারও–সর্বোপরি, ধর্ম ও রাস্ট্রের হস্তক্ষেপ করা সম্পূর্ণ অন্যায় এবং উৎপীড়নমূলক।

আল্লাহ্‌পাক আমাদেরকে যৌনাঙ্গ দিয়েছেন কী কারণে–শুধু মল-মূত্র ত্যাগের জন্য, শুধু বাচ্চা পয়দার জন্য? আল্লাহ্‌পাকের যৌনাঙ্গ হয়ত নেই–তবে তাঁর সৃষ্ট জীব–তথা মনুষ্য সমাজকে যৌনাঙ্গ দিয়ে সজ্জিত করলেন কেন–কেনই বা সৃষ্টি করলেন অদম্য যৌন ক্ষুধা? আল্লাহ্‌পাক চাইলে ত আকাশ থেকে বাচ্চা-কাচ্চা ধপাস করে ফেলে দিতে পারেন–তা না করে কেনই বা যৌন ক্ষুধার মাধ্যমে বাচ্চা তৈরীর পথ করে দিলেন? আর তাই-ই যদি করলেন তবে কেন আল্লাহ্‌পাক যৌনতার উপর পাহাড়সম বিধিনিষেধ দিয়ে দিলেন–ধর্মের নামে?

জয়তী ব্যানার্জী

সামজিক উৎপাদনে পিছিয়ে থাকা নারী কখনোই পারে না পুরুষের যোগ্য সঙ্গী হতে পারে না তাই ভালোবাসা এখানে বিরল। মঙ্গলময় জীবন বা প্রেমময় জীবনে নারী-পুরুষের সম্পর্কের মূলভিত্তি বা উদ্দেশ্য হবে অভিন্ন, যা আমাদের সমাজে অনুপস্থিত ।—নারী পারে না এটা বক্তব্য হতেই পারত কিন্তু আপনি নিজেই এর আগে পর্যন্ত বুঝিয়ে বলেছেন পুরুষেরা কেন অযোগ্য হয়ে ওঠে এই সমাজব্যবস্থায়।আর তার পরেই হঠাৎ এই বক্তব্যটি স্ববিরোধী।স্বাভাবিকভাবেই লেখাটি একপেশে,পুরুষের বিশ্লেষন কিছু ক্ষেত্রে।নারী-পুরূষ উভয়েই শিক্ষা ও আর্থিক স্বাবলম্বের কারণে ২৫-৩০ বছর পর্যন্ত স্বাভাবিক যৌনজীবন পাচ্ছেন না,কিন্তু এই বিকৃত চটি বই আর নীল ছবির প্রভাবে শুধুমাত্র পুরুষই কেন এমন মানসিকতার হয়ে উঠছেন তার ব্যাখ্যা নেই।উভয়েরই যদি স্বাভাবিক যৌন প্রয়োজন থেকে থাকে এবং তা অবদমিত হয়ে থাকে ,তাহলে নারীও আসলে চায় তার জন্য বার-পুরুষ,যেখানে স্বামীসঙ্গে অসুখী যাবেন মধ্য রাতে? মনে হয় না তেমনটা।নৈতিক বোধ বদলাবে।এটা খারাপ না বোঝানো হলেও পছন্দের তারতম্য থাকবে এবং ঐ–আশ্চর্য এক রহস্য,প্রেম-তাও থাকবে।পুরুষ যেন প্রেমের যোগ্য হতে পারে,এটাই দেখার।

    সামাজিক নিষেধাজ্ঞা এবং নারীদের যৌনতাকে জোরপূর্বক অবদমিত করে না রাখলে দেখা যাবে অনেক নারীই বারো পুরুষের সাথে যৌন মিলনে প্রস্তুত–সত্যি কথা বলতে হয়–নারী দেহ এবং স্ত্রী জননেদ্রিয় আল্লাহ্‌পাক ঐ ভাবেই সৃষ্টি করেছেন।

    প্রকৃতিতে লক্ষ্য করলে এই ব্যাপারটা সহজেই ধরা পড়ে। একজন পুরুষের পক্ষে একই সময়ে পর পর দুই-তিন বার যৌনসঙ্গম করা খুবই কষ্টকর–অনেক সময় অসম্ভব। কিন্তু প্রকৃতি নারীদেহকে এমনভাবে সজ্জিত করেছে যে সে পারে একই সাথে দরকার হ’লে দশ জন পুরুষের সাথে সঙ্গম করতে।

    এ থেকে পরিষ্কার বুঝা যায় নারীরা পুরুষদের চাইতে যৌন ক্ষমতায় অনেক পারদর্শী। নারীর এই বিশাল যৌনশক্তিকে পুরষসৃষ্ট ধর্ম শিকল দিয়ে বেঁধে রেখেছে—যাতে না নারীর এই অসীম শক্তি পুরুষকে পরাজিত করে ফেলে।

    আদিম সমাজে–এমনকি ইসলামপূর্ব আরব সমাজে এক নারীর বহু পুরুষ সাথী থাকত। সে নারী বহু পুরুষের সাথে যৌন সঙম করত তার ইচ্ছেমত। সমাজে নারীর স্থান ছিল অনেক উচ্চে। শিশুদের পরিচয় হ’ত মায়ের পরিচয়ে। এই ব্যবস্থা এখনও ইহুদী সমাজে রয়েছে।

নবযুগ তার সূচনাতেই এমন সব প্রতিভাবান লেখকদেরকে আকৃষ্ট করছে দেখে আমরা একদিকে কিছুটা হতবাক, অন্যদিকে উল্লসিত।

সমাজের মৌলিক সমস্যাগুলোর উপর চিন্তা-উদ্রেককারী লেখা যেভাবে নবযুগে প্রকাশ হতে শুরু করেছে, তাতে মনে হচ্ছে নবযুগ তার প্রত্যাশিত ফল — বাংগালী প্রগতিশীলতা অগ্রগতি — অর্জন করবে অনায়াসেই।

“সামাজিক নিষেধাজ্ঞা এবং নারীদের যৌনতাকে জোরপূর্বক অবদমিত করে না রাখলে দেখা যাবে অনেক নারীই বারো পুরুষের সাথে যৌন মিলনে প্রস্তুত–সত্যি কথা বলতে হয়–নারী দেহ এবং স্ত্রী জননেদ্রিয় আল্লাহ্‌পাক ঐ ভাবেই সৃষ্টি করেছেন।

প্রকৃতিতে লক্ষ্য করলে এই ব্যাপারটা সহজেই ধরা পড়ে। একজন পুরুষের পক্ষে একই সময়ে পর পর দুই-তিন বার যৌনসঙ্গম করা খুবই কষ্টকর–অনেক সময় অসম্ভব। কিন্তু প্রকৃতি নারীদেহকে এমনভাবে সজ্জিত করেছে যে সে পারে একই সাথে দরকার হ’লে দশ জন পুরুষের সাথে সঙ্গম করতে।

এ থেকে পরিষ্কার বুঝা যায় নারীরা পুরুষদের চাইতে যৌন ক্ষমতায় অনেক পারদর্শী।”

কাশেম ভাই, আপনার সাথে একমত…

জয়তী,

//সামজিক উৎপাদনে পিছিয়ে থাকা নারী কখনোই পারে না পুরুষের যোগ্য সঙ্গী হতে পারে না তাই ভালোবাসা এখানে বিরল।//

    এই বাক্যটি দ্বারা আসলে আমি এটা বুঝাই নাই, যে নারী অক্ষম । আমি আগেই পুরুষতন্ত্রের শোষনের কারণ দেখিয়েছি (পিতৃত্বনিশ্চিত) এবং বোঝাতে চেষ্টা করেছি যে নারীরা কেন উপযুক্ত সংগী হতে পারছে না ।. অতপর ঐ বাক্যটি বর্তমান অবস্থা বর্ননা করতে ব্যবহৃত ।

//নারী-পুরূষ উভয়েই শিক্ষা ও আর্থিক স্বাবলম্বের কারণে ২৫-৩০ বছর পর্যন্ত স্বাভাবিক যৌনজীবন পাচ্ছেন না,কিন্তু এই বিকৃত চটি বই আর নীল ছবির প্রভাবে শুধুমাত্র পুরুষই কেন এমন মানসিকতার হয়ে উঠছেন তার ব্যাখ্যা নেই।//

   নারীদের মাঝেও যৌন বিকৃতি বা খারাপ মানসিকতা হচ্ছে না, তা কিন্তু আমি কোথাও বলি নাই । তবে আমি নারীদের মানসিকতা নিয়ে আলোচনা করি নাই কারণ আমি পুরুষ । আমার পক্ষে নারীদের ঐ অনুভূতিগুলো বিশ্লেষন করা সম্ভব না । আপনি যদি নারী হন তবে আশা করবো যে আপনি এই কাজটা করবেন ।

// ঐ–আশ্চর্য এক রহস্য,প্রেম-তাও থাকবে।পুরুষ যেন প্রেমের যোগ্য হতে পারে,এটাই দেখার। //

প্রথমত আমার কাছে প্রেমকে কোনো রহস্য বলে মনে হয় না, বরং মাদকতা মনে হয় যার সঠিক ব্যবহার ভালো ফলাফল দিতে পারে ।

আর লেখার কোথাও তো বলা নেই যে প্রেম বা ভালোবাসা থাকবে না ; বলে হয়েছে প্রেম তার স্বরূপ পরিবর্তন করবে । দ্বিতীয়ত আমার লেখাটির প্রধান লক্ষ্যই হলো পুরুষতান্ত্রিক পুরুষদের প্রেমের যোগ্য মানসিকতা গড়ে তোলা এবং পুরুষতন্ত্রের বিদায় ।

      লেখাটি কেন আপনার একপেশে মনে হলো তা আমার বোধগম্য নয় কারণ লেখার শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত আমি পুরুষতন্ত্রের নগ্ন রূপকে পরোক্ষভাবে দোষারোপ করেছি বর্তমান পরিণতির জন্য । তবে আমি সরাসরি কিছু বলি নাই কারণ এতে অনেকের মনে হতে পারে যে, আমি আমার নিজস্ব মতবাদ প্রচার করছি । আমি নিরপেক্ষভাবে বিশ্লেষন করার চেষ্টা করেছি এবং আশা করেছি বুদ্ধিমান পাঠকরা বর্তমান অবস্থা উপলব্ধি করে নিজ থেকেই সত্যটা বুঝতে পারবেন ।


মতামত দিন বাতিল করুন

আপনার ই-মেইল অ্যাড্রেস প্রকাশিত হবে না।