১
৬২৭ বার পঠিত
গতকাল দৈনিক নয়া দিগন্তে একটা নিউজ হয়েছে, যেটা নয়া দিগন্ত হওয়ার কারণে ভাইরাল হয়নি।
নয়া দিগন্ত নিউজটার টাইটেল করেছিল, ‘কোর্ট চলাকালীন বিচারকের গায়ে টাকা নিক্ষেপ!’
কিন্ত, আমার হিসেবে নিউজটার টাইটেল হওয়া উচিত ছিল, ‘বাংলাদেশের শেষ মানসিকভাবে সুস্থ নারী।‘
রিপোর্টে দেখা যাচ্ছে, নেত্রকোনায় গত ২০ ফেব্রুয়ারি কোর্ট চলাকালীন জজ আদালতে প্রতিদিনের ন্যায় বিচারকার্যক্রম চলছিল। এ সময় আকস্মিকভাবে শাহেরা খাতুন নামে এক মধ্যবয়সী নারী দ্রুত কোর্টে প্রবেশ করে বিচারকের গায়ে টাকা ছুড়ে মারেন এবং চিৎকার করে বলতে থাকেন-
“যেখানেই যাই সেখানেই শুধু ঘুষ আর ঘুষ, ঘুষ ছাড়া এখন আর ন্যায্য প্রাপ্য কোন কাজ করানো সম্ভব নয়। সবখানে সবাইকে যখন ঘুষ দিতে হয় আমি তো সবাইকে চিনি না তাই আপনাকেই এই টাকা দিলাম ওদের দিয়ে দেন।”
ঘটনার আকস্মিকতায় বিচারকের আসনে বসা সহকারী জজ মাহবুবুর রহমান ভূঁইয়া হকচকিত হয়ে দ্রুত এজলাস পরিত্যাগ করে নিজের খাসকামরায় চলে যান।
নেত্রকোনা মডেল থানার ওসি আমীর তৈমুর ইলী ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে নয়া দিগন্তকে বলেন, কোর্ট চলাকালীন হতাশাগ্রস্ত শাহেরা খাতুন নামে এক নারী ১০০ টাকার পাঁচটি নোট বিচারকের টেবিলে ছুড়ে চিৎকার, চেঁচামেচি করার দায়ে টাকা জব্দ করে তাকে আটক করা হয়েছে।
আটক নারী সম্ভবত মস্তিষ্ক বিকৃত বলে ধারণা করা হচ্ছে।
আমার ধারণা এই মহিলাই বাংলাদেশের মানসিকভাবে সুস্থ একমাত্র নারী। বাকি সবাই মানসিকভাবে অসুস্থ।
বাংলাদেশের মানসিকভাবে সুস্থ পুরুষ ও আছে মাত্র একজন। যার কথা নিউজপেপারে এসেছিল।
উনি অর্থমন্ত্রীর অফিসে ঢুকে গিয়ে বলেছিলেন‚
‘‘তুই কে? আমি দেশের মালিক।”
তখনো তাকে মানসিকভাবে অসুস্থ ঘোষণা করা হয়েছিল।
ষোল কোটি অসুস্থ মানুষের দেশে যেখানে ঘুষ, খুন, দখল, লুট এখন স্বাভাবিক একটা প্রক্রিয়া হিসেবে দেখা হচ্ছে, যেখানে লক্ষ লক্ষ মানুষের রক্তের বিনিময়ে অর্জিত স্বাধীন রিপাবলিক এখন তালুকের মত ব্যবহার করছে মাফিয়া গ্যাং- সেইখানে এই দুইজন সুস্থ এবং স্বাভাবিক প্রত্যাশার মানুষকে মিডিয়া এবং পুলিশ মানসিক বিকৃত হিসেবে দেখাচ্ছে।
কিন্ত বাংলাদেশে শুধুমাত্র এই দুইজন নারী পুরুষই মানসিকভাবে সুস্থ যারা এই সিস্টেমকে মেনে নেয়নি।
আমরা বাকিরা সবাই এই সিস্টেমটাকে স্বাভাবিক জেনে দিন গুজার করছি। আমরাই আসলে মানসিকভাবে অসুস্থ ।
ই-মেইলে যোগাযোগ করুন
ফেব্রুয়ারি ২৪, ২০১৮; ১২:০৮ পূর্বাহ্ন
অব্যাবস্থার সাথে যারা স্বাভাবিক হয়ে যায় তারা সুস্থ্য নয়। সেই হিসাবে বাংলাদেশে সুস্থ্য মানুষের সংখ্যা ঐ দুই একজনের বেশী হবে না। এমন বাস্তবতা অনুধাবন সবার আসুক।